দৌড়ে এগিয়ে থাকার স্বাদই আলাদা। আর সবার আগে থেকে এন্ডিং লাইন ক্রস করলে? সেই অনুভূতি ভাষায় প্রকাশ করা বোধহয় কঠিন। ঠিক যেমন শুক্রবার উচ্ছ্বাস বাঁধ ভেঙেছিল জি বাংলার ‘পরিণীতা’ সিরিয়ালের সেটে। টিআরপি রেটিং চার্টে প্রথমবার শীর্ষস্থান দখল করল উদয়প্রতাপ সিং ও ঈশানী চট্টোপাধ্যায় অভিনীত ধারাবাহিক। দু’মাসের মধ্যে সাপ্তাহিক পরীক্ষার ফলাফলে প্রথম। ‘অপেক্ষা করছিলাম এই দিনটার জন্য। তবে এই পজিশনটা ধরে রাখতে হবে’, বলছিলেন দুর্গাপুরের মেয়ে ঈশানী। তিনি কলকাতায় এসেছিলেন স্নাতকস্তরের পড়াশোনা করতে। ঘটনাচক্রে অডিশন, সিলেকশন... শুরু হল লাইট ক্যামেরা অ্যাকশনের ঘেরাটোপে থাকা এক নতুন সফর। যে সফরে সিনিয়র-জুনিয়ররা প্রতি মুহূর্তে তাঁর সঙ্গ দিচ্ছেন। প্রথম ধারাবাহিক থেকে কী কী শিখছেন? ঈশানীর কণ্ঠে তখন ‘সবার আমি ছাত্র’র সুর। বললেন, ‘সকলের থেকেই শেখার রয়েছে। প্রতি মুহূর্তে পর্যবেক্ষণ করি। কেউ শট দিলে, মনিটরের সামনে থেকে তাঁর অভিনয় দেখি। এক্সপ্রেশন কীভাবে দিচ্ছেন প্রত্যক্ষ করি।’ শ্যুটিংয়ের চাপে ঈশানীর পড়াশোনা খানিক বিরতিতে। তিনি জানাচ্ছেন, ধারাবাহিক শেষ হলে ফের শুরু করবেন পড়াশোনা। তবে দীর্ঘদিন চলা ধারাবাহিককে টিআরপি কি দায়িত্ব বাড়িয়ে দেয়? ‘না, তেমন নয়। আমরা প্রত্যেকদিনই দায়িত্বশীল হয়ে কাজ করি। ফোকাস থাকি। মাথায় রাখার চেষ্টা করি দর্শকের বিষয়টা পছন্দ হচ্ছে কি না। আরও ভালো কীভাবে করা যায়।’ আর চাপ? তা কিছুটা বাড়ায় প্রথম হওয়া? ‘কঠোর পরিশ্রম করি। তার সঙ্গে মজা করে, ভালোবেসে কাজটা করি। বাকিটা দর্শকের উপর’, বললেন ঈশানী।
প্রথমবার টিআরপি টপার। কতদিন শুরু হয়েছে, দু’মাস। মাস দুয়েকের মধ্যে টপার। প্রথম এল খবর, প্রথম কেমন লাগল? অপেক্ষা করছিলাম আরও ভালো কাজ করতে পারি। বেঙ্গল টপার পজিশনটা পেতে পারি। আরও অনেকবার হতে হবে, মেনটেন করতে হবে। প্রথমবার শুনে খুব খুশি হয়েছিলাম। একেবারে প্রথম ধারাবাহিক। আমার বাড়ি দুর্গাপুর। পড়াশোনার জন্য এসেছিল, অডিশন দিয়ে সিলেকশন, নতুন জার্নি। না এখন স্টপ লেডি ব্রেবন কলেজ। ওভাবে হয় না। কাজটার পর আবার শুরু করব। কী শিখছ, সিনিয়রদের থেকে? কেবল সিনিয়র নয়, জুনিয়রও। সকলের কাছ থেকে শেখার। বেশিরভাগটাই শেখার। রিয়েলাইজ করতে থাকি। এই কাজটা থেকে শিখতে হবে, বুঝতে থাকি কীভাবে কাজ করতে হয়। বাকিরা যখন অভিনয় করে, তখন মনিটরের সামনে বসি। অবজার্ভ করে এক্সপ্রেশন বোঝার চেষ্টা করি। যাঁদের কাছ থেকে শেখা যায়, তা চে,্টা করি। সেই জিনিসগুলি বোঝার চেষ্টা করি। দায়িত্ব বাড়িয়ে দেয়? ‘না সেরকম নয়, আমরা সকলেই এটা ভেবেই কাজ করি। সবসময় আমরা ফোকাস হয়েই কাজ করি। এখন একটু হলেও কঠোর পরিশ্রম করি, দর্শকের ভালো লাগছে। আরও পরিশ্রম করতে হবে। টিআরপি প্রেশার, একেবারেই নয়, আমরা ভালোবেসে কাজ করি। প্রেশার নয়, ভালোবেসে কাজ করি।’ বাকিটা দর্শকের উপর।