কাজকর্মের ক্ষেত্রে ও ঘরে বাইরে বাধা থাকবে। কারও প্ররোচনায় যে কোনও সিদ্ধান্ত গ্রহণে সতর্ক হন। ... বিশদ
অপরিচিত শব্দটা কীভাবে ব্যাখ্যা করবেন?
অপরিচিত মানে, ধরা যাক আপনাকে আমি চিনি। কিন্তু কতটা চিনি? আপনার ভিতরটা কতটা জানি? ভেবে দেখলে এই দু’জন মানুষ কিন্তু অপরিচিত। আবার আরও একটা ভাবনা আছে। চেনা মানুষগুলোও কখনও অপরিচিত হয়ে যায়। সম্প্রতি এটা ঘটেছে আমার সঙ্গে।
সে কি!
হ্যাঁ, ভীষণ ভালো একটা সম্পর্ক ছিল। হঠাৎ করে কথা বলা বন্ধ হয়ে গেল। কোনও কারণ ছাড়া আমার ফোন ধরা বন্ধ করে দিল। ধীরে ধীরে সেই পরিচিত মানুষটা একেবারে অপরিচিত হয়ে গেল।
এইসব পরিস্থিতি মানিয়ে নিতে সমস্যা হয় না?
আসলে আমরা সকলেই হয়তো একে অপরের কাছে অপরিচিত। কারও যখন ইচ্ছে করবে, মনে হবে বেশি করে পরিচিত হই, তখন তাঁরা তা হবেন। আবার তাঁদের যখন ইচ্ছে করবে, তখন তাঁরা অপরিচিত হয়ে যাবেন। জীবনে চলার পথে এটার সঙ্গে আমরা অভ্যস্ত হয়ে যাই।
আপনার নতুন ছবিও কি এমন অপরিচিতদের ঘিরে?
এটা সাইকোলজিক্যাল থ্রিলার। সাইকোলজি আর থ্রিলার দুটোর কম্বিনেশনে ছবি প্রথমবার করলাম। আমার সাইকোলজি বিষয়টা খুব পছন্দ। আর থ্রিলার বাঙালির পছন্দ।
আপনাকে ঘিরে গল্প?
এই ছবির মুখ্য চরিত্রের নাম রঞ্জন। তাকে ঘিরে গল্প। একটা দুর্ঘটনা ঘটে। তাতে রঞ্জন স্মৃতিশক্তি হারিয়ে ফেলে। তারপর থেকে রঞ্জনের জীবনে বেশ কিছু সন্দেহজনক ঘটনা ঘটতে থাকে। থ্রিলার তো, তাই আমার চরিত্র নিয়ে এখনই কিছু বলতে চাই না।
টলিউডে তো গত কয়েক বছর ধরে থ্রিলারের রমরমা?
দেখুন, বাঙালি বরাবরই থ্রিলার পছন্দ করে। ফেলুদা, ব্যোমকেশ, এমনকী টিনটিনও। ফলে বাঙালির মগজে গোড়াতেই থ্রিলারের অনুভূতিটা ঢুকিয়ে দেওয়া হয়। সেজন্য ১০০টা সিনেমা হলে ৯০টাই হয়তো থ্রিলার। তবে থ্রিলার বানালেই হয় না। সেটা একটু ঘুরিয়ে ফিরিয়ে এক্সপেরিমেন্ট করে বানাতে হয়। কারণ ব্যবসা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
২০১৬-এ শেষবার টেলিভিশন করেছেন, সেখানে ফেরার প্ল্যান রয়েছে?
না। এখনই টেলিভিশনে ফেরার কোনও প্ল্যান নেই। সিনেমার কাজ নিয়ে ভালো আছি। আমি আসলে খুবই ঘরকুনো, অলস। নিজের মধ্যে থাকতেই পছন্দ করি। তার মধ্যে থেকেই আশা করি আরও ভালো ভালো সিনেমা হবে এবছর।