কাজকর্মের ক্ষেত্রে ও ঘরে বাইরে বাধা থাকবে। কারও প্ররোচনায় যে কোনও সিদ্ধান্ত গ্রহণে সতর্ক হন। ... বিশদ
এলাকার বাসিন্দাদের অভিযোগ, এ নিয়ে পুরসভাকে বারবার বলা হলেও কেউ কর্ণপাত করছে না। ফলে, ভাঙাচোরা অংশ এড়াতে পাশের একচিলতে পথ দিয়ে মানুষকে যানবাহন নিয়ে চলতে হচ্ছে। আবার কোথাও অসমান রাস্তার কারণে যে কোনও সময় দুর্ঘটনার আশঙ্কা থেকেই যাচ্ছে। এসব কারণে দিনভর যানজটের মুখোমুখি হতে হচ্ছে বাসিন্দাদের।
স্বাভাবিকভাবেই রাস্তার হাল নিয়ে বাসিন্দাদের মধ্যে তীব্র ক্ষোভ তৈরি হয়েছে। সমস্যার কথা স্বীকার করে নিয়েছেন পুর চেয়ারম্যান স্বপন দাস। তিনি বলেন, জলের পাইপ বসানোর কাজ এখনও শেষ হয়নি। মানুষের ভোগান্তির জন্য আমরা দুঃখিত। কিন্তু উন্নয়নের কাজ কেমন করে বন্ধ রাখব? রাস্তাঘাটের পরিষেবা মানুষকে সুষ্ঠুভাবে দেওয়ার জন্য আমরা সব সময় চেষ্টা করি। তাছাড়া জলপ্রকল্পটি পুরসভা এলাকায় হলেও এর তত্ত্বাবধানে পুরসভার কোনও হাত নেই। এটাও একটা সমস্যা। চেয়ারম্যানের দাবি, আগামী মার্চ মাসের মধ্যে ঝাঁ চকচকে রাস্তা তৈরি হবে। কোন্নগরের বাসিন্দা নিখিল পাল বলেন, রাস্তার অবস্থা সত্যিই উদ্বেগজনক। কোথাও রাস্তার একপাশ দিয়ে, কোথাও আবার মাঝ বরাবর খুঁড়ে পাইপলাইন পাতা হয়েছে। ফলে রাস্তা সরু ও অসমান হয়ে গিয়েছে। এইসব রাস্তা দিয়ে চলাচল করাই বিপজ্জনক হয়ে উঠেছে। দিনে যদি বা চলাচল করা যায়, কিন্তু রাতে দুর্ঘটনার ঝুঁকি নিয়েই চলতে হয় বাসিন্দাদের। গোটা শহরই তখন মরণফাঁদ হয়ে ওঠে।
পুরসভার অন্দরমহল সূত্রে জানা গিয়েছে, মূলত পিএইচই এবং কেএমডিএ এই প্রকল্পের কাজ করছে। জেলাস্তরে বৈঠকের পর দুই সংস্থাকেই খোঁড়া রাস্তা সংস্কার করার কথা বলা হয়েছিল। কিন্তু তারা সেই কাজ করেনি। তার জেরেই বাসিন্দাদের ভোগান্তির মুখে পড়তে হচ্ছে। রাস্তা খোঁড়ার পর সংস্কার না করে ফেলে রাখার ঘটনা নতুন কিছু নয়। গত দু’বছর ধরে এনিয়ে চুঁচুড়া শহরে বারবার পুরকর্তা ও প্রশাসনের ক্ষোভের মুখে পড়েছে জলপ্রকল্পের নির্মাণকারী সংস্থা। কোন্নগরের বাসিন্দাদের ক্ষোভ, এখানকার পুরকর্তারা নীরব দর্শকের ভূমিকা পালন করছেন। যে কারণে রাস্তা মেরামতের উদ্যোগই নিচ্ছে না কেউ। উল্টে ঝুঁকি নিয়েই রাস্তায় নামছে কোন্নগর।