বেশি বন্ধু-বান্ধব রাখা ঠিক হবে না। প্রেম-ভালোবাসায় সাফল্য আসবে। বিবাহযোগ আছে। কর্ম পরিবেশ পরিবর্তন হতে ... বিশদ
আপনি কি ১৯ জুলাই নিজে যাচ্ছেন এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটে?
হ্যাঁ,অবশ্যই। শুধু আমাকেই নয় ওদের সঙ্গে যারা কাজ করেছে তাদের সবাইকেই ডেকেছে।
রোজভ্যালির প্রযোজনায় দুটো ছবিতে আপনি অভিনয় করেছিলেন ‘মনের মানুষ’ আর ‘হ্যাংওভার’। সেই ছবিগুলির ব্যপারেই কি তলব?
না, না। ওদের সঙ্গে প্রোডাকশন করেছিলাম বলে। আমাকে নয় সবাইকে ডাকছে।
ইডি’র চিঠি কি আপনার হাতে এসে পৌঁছেছে?
দেখুন, এই নিয়ে আমি কোনও কথাই এখন বলতে পারব না। কিন্তু হ্যাঁ... এটা ঘটনা, চিঠি শুধু আমাকে দেওয়া হয়নি। কোম্পানিকে দেওয়া হয়েছে। আমি দেশের একজন দায়িত্বশীল নাগরিক। তদন্তের স্বার্থে ইডি যদি আমার কাছ থেকে বা আমার কোম্পানির কাছ থেকে কোনওরকম সহযোগিতা চান, আমি একশো শতাংশ সহযোগিতা করব।
কোন কোম্পানির নামে চিঠি দেওয়া হয়েছে? আইডিয়াজ না এনআইডিয়াজ? রোজভ্যালির সঙ্গে কী কী প্রযোজনা করেছিলেন?
এর বেশি এখন কিছু বলতে পারব না। ‘লৌকিক না অলৌকিক’ নিয়ে এবার প্রশ্ন করুন প্লিজ।
বেশ কিছুদিন পর ধারাবাহিক নিয়ে ফিরে একশ্রেণীর ভণ্ড সাধু ও জ্যোতিষীর বুজরুকিকে বিষয় হিসেবে বেছে নেওয়ার কারণ ?
আমার মনে হয় ‘লৌকিক না অলৌকিক’-এর বিষয় সময়োচিত। ভারতীয় বিজ্ঞান ও যুক্তিবাদী সমিতির প্রতিষ্ঠাতা প্রবীর ঘোষ এক সময় ভণ্ডামির বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়িয়েছিলেন। তাঁর লেখা বই থেকেই ধারাবাহিকের গল্পগুলি নেওয়া হয়েছে। সৃজনশীল পরিচালক জয়দীপ মুখোপাধ্যায়। ‘গানের ওপারে’ থেকে জয়দীপ আমার সঙ্গে আছেন। ওই ধারাবাহিকে একঝাঁক নতুন ছেলেমেয়েকে সুযোগ দিয়েছিলাম, যাঁরা আজ প্রত্যেকেই জনপ্রিয় শিল্পী। এবারও একঝাঁক নতুন ছেলেমেয়েকে আপনারা দেখতে পাবেন। আমার দৃঢ় বিশ্বাস ঋদ্ধিষ চৌধুরী (বিক্রম), সোহিনী বন্দ্যোপাধ্যায় (হিয়া), সৌম্যরূপ সাহা (পার্থ), কার্তিকেয় ত্রিপাঠী (রজত), দেবপ্রিয় মুখোপাধ্যায়রাও (ভোম্বল) আগামীদিনে বিখ্যাত হবে। এই ফাইভ মাসকেটিয়ার্স নানা বুজরুকির বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ায় এবং সমাজের সামনে ভণ্ডদের মুখোশ খুলে দেয়। এদের নেতা বিক্রম। টাইটেল মিউজিক লিখেছেন শ্রীজাত, সুর দিয়েছেন ইন্দ্রদীপ দাশগুপ্ত, গেয়েছেন রূপঙ্কর। মোট ষোলোটা গল্প আমরা নির্বাচন করেছি। প্রতিটি গল্প দুটি এপিসোডের। মোট বত্রিশ এপিসোডের সিরিয়াল।
বিপরীতে ‘ভণ্ড’দের ভূমিকায় ভারী নামের তালিকা...
হ্যাঁ... সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায় থেকে শুরু করে, সব্যসাচী চক্রবর্তী, শুভাশিস মুখোপাধ্যায়, সুদীপ্তা চক্রবর্তী, সুপ্রিয় দত্ত, দেবেশ রায়চৌধুরীরা আছেন। প্রথম গল্পের নাম ‘বশীকরণ’, যেটির ভিলেন সব্যসাচী।
শান্তিনিকেতনে কোন গল্পগুলোর শ্যুটিং হল?
এখানে হল ‘বাকসিদ্ধ’ ও ‘ডাইনি’র শ্যুটিং। এই গল্প দুটোর মধ্যে ‘বাকসিদ্ধ’র ভিলেন সুপ্রিয় দত্ত। ‘ডাইনি’তে আছেন সুদীপ্তা ও দেবেশ রায়চৌধুরী।
ধারাবাহিকের মূল বার্তাটা কী?
বিশ্বাস এক জিনিস, অন্ধবিশ্বাস আর এক জিনিস। দুর্বল মুহূর্তে মানুষের বিশ্বাস, সংস্কার নিয়ে যারা ভণ্ডামি করে, ঠকায় আমাদের লড়াই তাদের বিরুদ্ধে।
প্রসেনজিৎ ও সৃজনশীল পরিচালক (জয়দীপ মুখোপাধ্যায়), দু’জনের হাতেই দুটি করে পাথর বসানো আংটি শোভা পাচ্ছে। কতটা বিশ্বাস আর কতটা অন্ধবিশ্বাস থেকে ওগুলো ধারণ করা?
সত্যি বলছি ছোটবেলা থেকেই বাড়ি থেকে বেরনোর আগে পুজো না করে বাইরে পা রাখি না। এখন প্রশ্ন হচ্ছে সেই পুজো কতটা করব, কতটা দেখাব, কতটা বলব? এই আংটি দুটো আমার মায়ের দেওয়া। আমার প্রথম জীবনের ছবিতেও এই আংটি দুটো দেখতে পাওয়া যাবে। এটা বিশ্বাসই বলুন, আর মায়ের প্রতি শ্রদ্ধা জানানোই বলুন, আমার আঙুলে আছে।
(জয়দীপ: আমিও ভগবানে বিশ্বাস করি। আমার আঙুলে এই যে দুটো আংটি, সেটা কারোর বিশ্বাসকে সম্মান জানানোর জন্যই পরা। নিজের বিশ্বাসটা যেন নিজের কাছেই থাকে, সেটা যেন অন্ধবিশ্বাসে পরিণত না হয়।)
‘লৌকিক না অলৌকিক’ গ্রাম্য অন্ধ সংস্কারকে কতটা নাড়া দিতে পারবে বলে আপনার বিশ্বাস?
বিশ্বাস নিয়ে আমাদের কোনও তর্ক নেই। আমরা বিপদে পড়লেই ঈশ্বরকে ডাকি। কিন্তু সেটা যখন অন্ধবিশ্বাসে পরিণত হয়, তখনই মানুষ বুজরুকি, ভণ্ডামির শিকার হন। মনে রাখতে হবে জ্যোতিষ একটা বিজ্ঞান। তার অপপ্রয়োগের বিরুদ্ধেই আমাদের এই প্রয়াস। আমার আশা সিরিয়ালটা দেখে মানুষ কোথাও সচেতন হবে।