বেশি বন্ধু-বান্ধব রাখা ঠিক হবে না। প্রেম-ভালোবাসায় সাফল্য আসবে। বিবাহযোগ আছে। কর্ম পরিবেশ পরিবর্তন হতে ... বিশদ
শোনা যাচ্ছে, ইডির কাছে অভিনেত্রী ঋতুপর্ণা সেনগুপ্তর নাম বলেছেন স্বয়ং রোজভ্যালি কর্ণধার গৌতম কুণ্ডু। সূত্রের খবর, রোজভ্যালির টাকায় ঋতুপর্ণা একাধিকবার বিদেশভ্রমণ করেছেন, কয়েকটি ছবি কেনার বিষয়ে তিনি মধ্যস্থতা করেছেন, ঋতুপর্ণার জন্য কম পয়সার সিনেমা বেশি পয়সায় কিনতে বাধ্য হয়েছেন এমনই একগুচ্ছ অভিযোগ ইডির কাছে করেছেন গৌতম। এইমুহূর্তে অভিনেত্রী আমেরিকায় রয়েছেন। সেখান থেকে হোয়াটসঅ্যাপে ঋতুপর্ণা জানান, আমার অ্যাকাউন্ট্যান্টের কাছে খবরটা শুনেছি। তবে সেখানে শুধু দেখা করার কথাই বলা আছে। আমার নামে কোনও চিঠি আসেনি। ভাবনা আজ ও কাল-এর কর্ণধারের নামে এসেছে। কোম্পানির কর্ণধার হিসেবে যাব। রূপসী বাংলার সঙ্গে যা যা কাজ হয়েছে তার সব ডকুমেন্টস নিয়ে দেখা করব। সরকারি তদন্তে সবরকমের সহযোগিতা করব।’
রোজভ্যালি প্রযোজনা সংস্থার ব্যানারে একাধিক ভালো ছবি হয়েছে। গৌতম ঘোষ পরিচালিত ‘মনের মানুষ’ এবং কৌশিক গঙ্গোপাধ্যায় পরিচালিত ‘শব্দ’ দুটি ছবিই জাতীয় পুরস্কার পেয়েছিল, যার প্রযোজনা করেছিল গৌতম কুণ্ডুর সংস্থা ব্র্যান্ডভ্যালু কমিউনিকেশন। ‘মনের মানুষ’ ছবিতে মূল অভিনেতা ছিলেন প্রসেনজিৎ। টলিউডের সুপারহিট জুটিকে তলব প্রসঙ্গে তাঁর প্রতিক্রিয়া কী জানতে চাইলে গৌতম ঘোষ বলেন, ‘এই বিষয়ে আমি কী বলি বলুন তো! একজন চলচ্চিত্র পরিচালক হিসেবে কাজ করেছি। তার মধ্যে যে এত জটিলতা রয়েছে তা তো জানতাম না। আইন আইনের পথে চলবে। কেউ ভুল করে থাকলে সে তার ভুল শুধরে নেবে। পেশাদার পরিচালক হিসেবে কাজ করেছি। এটা ভারত সরকারের স্বীকৃত একটি প্রজেক্ট। ভারত-বাংলাদেশ যৌথ প্রযোজনার ছবি ছিল। আমাদের দিক থেকে পুরোটাই নিয়মমাফিক ছিল।’
অন্যদিকে প্রসেনজিৎ রোজভ্যালির পরিচালনায় অন্য যে ছবিতে অভিনয় করেছিলেন সেই ‘হ্যাংওভার’ ছবির পরিচালক ছিলেন প্রভাত রায়। কাহিনীকারও তিনি। তখন অবশ্য কোম্পানির নাম ছিল রোজভ্যালি ফিল্মস প্রাইভেট লিমিটেড। পরে সম্ভবত ব্র্যান্ড ভ্যালু সংস্থার মিডিয়া পরামর্শদাতা হিসেবে নিযুক্ত হয়েছিলেন প্রভাতবাবু। টলিউডের সাম্প্রতিক সমস্যায় প্রভাত রায়ের প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে তিনি বলেন,‘এই বিষয়ে আমাকে কেন ফোন করছেন? আমি কিছু বলতে পারব না। আমি এখন ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির সঙ্গে যুক্তও নই।’ কিন্তু আপনি তো ওই সংস্থার মিডিয়া অ্যাডভাইসর ছিলেন? প্রভাতবাবুর উত্তর,‘আমি শুধু কোন গল্প নিয়ে ছবি হবে সেটা নির্বাচনের দায়িত্বে ছিলাম। এর বেশি কিছু আমার জানা নেই।’ অন্যদিকে বিধায়ক-অভিনেতা চিরঞ্জিত আবার ইডির সাম্প্রতিক তলবে অন্য ‘গন্ধ’ পাচ্ছেন। ‘আমরা পেশাদার অভিনেতা। পারিশ্রমিক নিয়ে কাজ করি। প্রসেনজিৎ, ঋতুও নিশ্চয়ই সেটা করেছে। এটার ভিতরে এত জটিলতা কেন বুঝতে পারছি না। সেটা জিজ্ঞাসাবাদে উঠে আসবে। এটা একটা অন্যরকমের চাপ মনে হচ্ছে। বিজেপি উঠে পড়ে লেগেছে একটা কিছু করার জন্য। এঁদের থেকে কোনও সূত্র পেয়ে অন্য লোকের জন্য কিছু খাড়া করছে কিনা সেটা ভবিষ্যত্ বলবে। তবে আমার মনে হয় না এরা কিছু করেছে। কে প্রযোজক, কার অনুষ্ঠানে গেলাম এত খবর আমরা রাখি না,’ বলছেন চিরঞ্জিত। দেখা যাক এরপর কোথাকার জল কোথায় গড়ায়!
সোহম কর