বেশি বন্ধু-বান্ধব রাখা ঠিক হবে না। প্রেম-ভালোবাসায় সাফল্য আসবে। বিবাহযোগ আছে। কর্ম পরিবেশ পরিবর্তন হতে ... বিশদ
আগের দুটির মতো অরিন্দমের ‘অন্তর্ধান’-এও একটি গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে অভিনয় করছেন মমতাশঙ্কর। এই ছবিতে তাঁর চরিত্রের নাম অপরাজিতা রায়। অনির্বাণ-তনুশ্রী’র প্রতিবেশী। একটু দার্শনিকমনস্ক, তন্ত্র-মন্ত্রে বিশ্বাসী অপরাজিতা এগিয়ে এসেছেন কন্যাহারা দম্পতির পাশে, মানসিক জোর জোগাতে। জিনিয়া-অন্তর্ধান তদন্তের দায়িত্বে রয়েছেন নীলাদ্রি সেন। তিনি দিনে ডিউটির সময় ঘুমোন, রাতে যখন গোটা পৃথিবী নিঝুম, নীলাদ্রি তখন সক্রিয়। চরিত্রটির অভিনেতা রজতাভ দত্ত’র কাজের উচ্ছ্বসিত প্রশংসা করলেন পরিচালক। জানালেন, এমন চরিত্রে নাকি রজতাভকে আগে কখনও অভিনয় করতে দেখা যায়নি।
কথার ফাঁকে লাইট রেডি। অতিসক্রিয় সহকারী পরিচালকরা সংবাদমাধ্যমের বুম আর মোবাইল রেকর্ডারের ‘কবল’ থেকে অভিনেতা-অভিনত্রীদের ‘উদ্ধার’ করে সেটে এনে হাজির করলেন। ইন্ডোর সিন। দিল্লির একটি হাসপাতালের করিডোর। বসে আছে নীলাদ্রি, তনুশ্রী ও অপরাজিতা। তনুশ্রী মানসিকভাবে বিপর্যস্ত। তাকে সান্ত্বনা দেওয়ার চেষ্টা করছে নীলাদ্রি। এমন সময় হাসপাতালের লবির কাছে বেজায় হট্টগোল শুরু হল। বিরক্ত নীলাদ্রি উঠে গিয়ে চিৎকার করতে থাকা রোগীর আত্মীয়দের শান্ত করার চেষ্টা করতে থাকে। কিন্তু কে শোনে কার কথা। উল্টোদিকে বসা অপরাজিতা উঠে গিয়ে তনুশ্রীর পাশে বসে। তার হাতের উপর নিজের হাতটা রাখে। তনুশ্রী অসহায়ভাবে তাকায় অপরাজিতার দিকে। ‘কাট’ বলে ওঠেন পরিচালক।
দু’তিনটি ক্লোজ শট শেষ করে মেকআপ রুমের সোফায় গুছিয়ে বসে পরমব্রত বলেন, ‘শুধু আকর্ষণীয় চরিত্রই নয়, গল্পের মধ্যে কোথাও একটা মানবিক দৃষ্টিকোণ, চমক এবং গল্প বলার মধ্যে নতুনত্ব থাকতে হয়।’ সেক্ষেত্রে পরিচালকের গল্প ভাবনার মুন্সিয়ানাকে সাধুবাদ দিয়ে পরমব্রতর বক্তব্য, ‘আমি এখনও বিয়ে করিনি। তাই সন্তান হওয়ার প্রশ্ন উঠছে না এই মুহূ্র্তে। কিন্তু বুঝতে পারি বাবা-মায়ের সন্তান হারিয়ে গেলে তাদের মানসিক অবস্থাটা কোথায় গিয়ে পৌঁছয়।’
এই নিয়ে অরিন্দমের তিনটি (শর্টফিল্ম ‘অপরিচিত’) ছবিতে অভিনয় করছেন তনুশ্রী চক্রবর্তী। থ্রিলারধর্মী ছবি রীতিমত উপভোগ করেন তিনি। ছোটপর্দায় ‘উৎসবের রাত্রি’ এবং বড়পর্দায় ‘অভিশপ্ত নাইটি’র পর ‘অন্তর্ধান’-এ তনুশ্রী তৃতীয়বার সহ অভিনেতা হিসেবে পেলেন পরমব্রতকে। সমবয়সী, খুব কাছের বন্ধু হওয়া সত্ত্বেও এখনও কেন পরিচালক পরমব্রতর ছবিতে তনুশ্রীকে দেখা যাচ্ছে না? উত্তরে হাসিতে রহস্য ছড়িয়ে তনুশ্রী বলেন, ‘দেখা যায়নি, তবে দেখা যেতেই পারে।’ বলে যোগ করেন, ‘কেন তোমার ছবিতে আমায় নিচ্ছ না, পরমকে এ কথাটা বলার মতো অধিকার আমার নিশ্চয়ই আছে। দেখুন না কী হয়।’ অধিকার ভঙ্গ নয়, ‘অরিন্দম এরপর ওর চতুর্থ ছবিতে না নিলে ভীষণ অভিমান হবে’ বলে জানালেন মমতাশঙ্কর। ‘কারণ, অরিন্দমের সঙ্গে কাজ করতে করতে একটা দারুণ সম্পর্ক তৈরি হয়ে গিয়েছে,’ বলেন মমতাশঙ্কর। ‘অপরাজিতা’ চরিত্রটি খোলসা করতে চাইলেন না তিনি। আগের দুটির মতো অন্তর্ধান-এও সঙ্গীতের দায়িত্বে আছেন মমতাশঙ্করের ছেলে রাতুলশঙ্কর। এখনও পর্যন্ত একটি গান গেয়েছেন উজ্জয়িনী। প্রিয়ব্রত দত্ত