হঠাৎ নেওয়া সিদ্ধান্তে বিপদে পড়তে পারেন। চলচিত্র ও যাত্রা শিল্পী, পরিচালকদের শুভ দিন। ধনাগম হবে। ... বিশদ
কোনও কিছুই সঠিক পথে এগচ্ছে না, যেমনটা আশা করেছিলেন তেমনটা হয়নি, ভবিষ্যৎ সম্পর্কে আশাহত, হতাশা গ্রাস করেছে, আগামীদিনে কীভাবে চলবেন বুঝতে পারছেন না, চারপাশের পরিবেশ আপনাকে অস্থির করে তুলেছে, সিদ্ধান্তহীনতায় ভুগছেন, ভালো থাকা ভুলে গিয়েছেন, কম হাসছেন, কম কথা বলছেন? এই সকল প্রশ্নগুলির উত্তর হ্যাঁ হলে আপনি অবশ্যই খারাপ সময়ের মধ্য দিয়ে যাচ্ছেন। এমন পরিস্থিতিতে নিজের মানসিক অচলাবস্থার দিকে নজর দিন। পজিটিভ থাকার চেষ্টা করুন। নইলে যখনতখন জল অন্যদিকে গড়িয়ে অবসাদ থেকে শুরু করে নানান মানসিক জটিলতা তৈরি হতে পারে। তাই প্রথম থেকেই সাবধান থাকুন। এবার আসুন খারাপ সময়েও পজিটিভ থাকার আটটি সহজ কৌশল সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক—
১. সবার আগে নিজেকে ভালোবাসতে হবে। তবেই আপনি স্বয়ং এবং আপনার সঙ্গে জড়িয়ে থাকা মানুষগুলি ভালো থাকবে। তাই প্রথমে নিজেকে গুরুত্ব দিন। নিজেকে ভালোবাসতে নিজের পছন্দগুলির যত্ন নিন। গান গাইতে, ছবি আকঁতে, বই পড়তে, ভালো জামাকাপড় পরতে, সাজতে— যা ভালো লাগে তাই করুন।
২. নিজেকে একা ভাববেন না। করোনা অতিমারীর মধ্যে সকলেই খারাপ অবস্থার মধ্যে দিয়ে যাচ্ছেন। মানসিক পরিস্থিতি প্রত্যেকেরই সামান্য হলেও বিগড়ে রয়েছে। তাই অহেতুক নিজেকে দোষ দেবেন না। আত্মবিশ্বাস ধরে রাখুন। খারাপ সময় ঠিক কেটেই যাবে।
৩. অন্যের সঙ্গে তুলনা করে নিজেকে ছোট করবেন না। সকলের মধ্যে সব গুণ থাকে না। অন্য মানুষটির মধ্যে যেই গুণ রয়েছে তা যেমন আপনার মধ্যে নেই, তেমনই আপনার যে দক্ষতা আছে তা অন্যের মধ্যে নেই। তাই নিজেকে অহেতুক ছোট করা বন্ধ করুন।
৪. মনে খারাপ চিন্তা আসলে তার সঙ্গে লড়াই করুন। নিজের বাস্তব বুদ্ধি কাজে লাগিয়ে দেখুন, আদৌ দুশ্চিন্তা করার মতো কিছু রয়েছে কি না। আর যদিও বা চিন্তার কিছু থাকে তাহলে সেই জটিলতা মুক্তির পথ খুঁজুন। অর্থাৎ সমস্যা নয়, সমস্যার সমাধান খুঁজে নেওয়াটাই হবে আপনার ভাবনার মূল কেন্দ্রবিন্দু।
৫. পরিবারকে একটু বেশি সময় দিন। ভালোমন্দ, হাসি, কান্না তাঁদের সকলের সঙ্গে ভাগ করে নিন। দেখবেন ভালো লাগছে। একইভাবে বন্ধুদের সঙ্গেও ভিডিও কল, ফোনে প্রাণখুলে আড্ডা দিন। দেখবেন মন হালকা লাগছে।
৬. মন ভালো রাখতে মজার বই, হাসির অনুষ্ঠান দেখুন।
৭. শরীরচর্চা করতে ভুলবেন না। শারীরিক কসরত করলে মস্তিষ্কে ফিল গুড হর্মোন বেরয়। এই হর্মোন মন ভালো রাখে। আনে পজিটিভিটি। এছাড়া মানসিক শান্তি আনতে নিয়মিত প্রাণায়াম, মেডিটেশন বা যে কোনও ধরনের রিল্যাক্সেশন টেকনিকের সাহায্য নিন।
৮. জোর করে ভালো আছি বোঝাবার প্রয়োজন নেই। খারাপ লাগলে নিজের অনুভূতি কাছের মানুষগুলির সঙ্গে ভাগ করে নিন। প্রয়োজনে কেঁদেও নিতে পারেন। অন্দরের অনুভূতি বাইরে বেরিয়ে আসলে ভিতরটা হালকা লাগবে। আর পরিশেষে বলি, সমস্যা কোনও উপায়েই মিটছে না বুঝলে দ্রুত একজন মনোরোগ বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।