সন্তানের বিদ্যাশিক্ষায় নজর দেওয়া প্রয়োজন। অতিরিক্ত পরিশ্রমে শরীরে অবনতি। নানাভাবে অর্থ অপচয়। কর্মপরিবর্তনের সম্ভাবনা বৃদ্ধি।প্রতিকার: ... বিশদ
কয়েকটি পরিসংখ্যান
পৃথিবীর জনসংখ্যার প্রায় ১০ শতাংশ বিভিন্ন কিডনি রোগের শিকার। স্বাস্থ্যনিয়ামক সংস্থা, বিভিন্ন কিডনি সংগঠন, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা নানা কর্মসূচির মাধ্যমে এই অসুখ সম্বন্ধে সচেতনতা বৃদ্ধির চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। তবে দুর্ভাগ্যের বিষয় হল, উন্নত পরিষেবা থাকা সত্ত্বেও মানুষের মনে এই রোগ নিয়ে আশঙ্কা কমেনি।
এবারের কিডনি দিবসের বার্তা
এবারে বিশ্ব কিডনি দিবসের মূল বার্তা হল ‘কিডনির অসুখ নিয়েও ভালো থাকুন’। প্রতি বছরের মার্চ মাসের দ্বিতীয় বৃহস্পতিবার বিশ্ব কিডনি দিবস পালিত হয়। এবারে প্রচেষ্টা রইল, রোগী, তাঁর পরিবার, স্বাস্থ্য পরিষেবা প্রদানকারী সংস্থা, চিকিৎসক, নীতি নির্ধারণকারী সংস্থা— এই সকলের মধ্যে সমন্বয় ঘটিয়ে রোগীকে দিশা দেওয়া।
কীভাবে রোগীর জীবনের মান উন্নত করা সম্ভব?
প্রথমেই জীবনের যে সহজাত চাহিদা, পড়াশোনা, কাজ, পারিবারিক দায়িত্ব নেওয়া, খেলাধুলো, সামাজিক মেলামেশা, সমাজের বা পারিবারিক বিভিন্ন অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করা এগুলি যতটা সম্ভব স্বাভাবিক রাখার চেষ্টা করতে হবে। এর ফলে অসুস্থ অবস্থাতেও মানসিক ও শারীরিক ভারসাম্য বজায় রেখে জীবনযাপন সম্ভব। তবে এর জন্য বিভিন্ন স্তরের লোককে এগিয়ে আসতে হবে এবং রোগী যাতে চিন্তামুক্ত হয়ে আগের মতোই দিন কাটাতে পারেন, সেটা নিশ্চিত করতে হবে। রোগীকেও যে যে নিয়মের মধ্যে থাকলে বা সতর্কতা অবলম্বন করলে বাড়তি ঝুঁকি এড়ানো সম্ভব, তা যথাযথ পালন করতে হবে। অবশ্যই চিকিৎসক, বন্ধু, পরিবার বা দরকারে পরিষেবা প্রদানকারী সংস্থার সাহায্য নিতে হবে। এই সমস্ত সংস্থা বা ‘কেয়ার পার্টনারের’ ভূমিকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের সঙ্গে যোগাযোগ করা, ডায়ালিসিসের ব্যবস্থা করা, গাড়ি করে ডায়ালিসিস কেন্দ্রে পৌঁছে দেওয়া এবং নিয়ে আসা, নির্দিষ্ট সময়ে ওষুধ দেওয়া, হোম ডায়ালিসিসে সাহায্য করা, পরিবর্তিত খাদ্যাভ্যাসে রোগীকে অভ্যস্ত করা, এসব করে থাকে এরা। তবে কোন সংস্থা নির্ভরযোগ্য ও দায়িত্বশীল, সেই খোঁজখবর অবশ্যই নেবেন। ভরসার হলে তখনই আসবে তাঁদের কাজে লাগানোর প্রশ্ন।
সাহস রাখুন
প্রথম ডায়ালিসিস শুরুর মুহূর্তে আতঙ্কিত হবেন না। সুযোগ পেলে অন্যান্য ডায়ালিসিস রোগীদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখুন। তাঁদের সঙ্গে কথা বলুন, পরামর্শ নিন। ভয় পেয়ে ডায়ালিসিস বন্ধ করবেন না যেন।
রোগ সম্পর্কে জানুন
সুযোগ পেলেই কিডনির যে সমস্যা হয়েছে, সেই সম্পর্কে জানুন। সহজ সচেতনতামূলক বই পড়ুন। দেখবেন, বহু ভুল ধারণা কেটে যাচ্ছে। প্রয়োজন পড়লে সাহায্য নিতে হবে ডায়েটিশিয়ান, কাউন্সেলর বা মনের ডাক্তারের। পরামর্শ নিতে হবে সমাজসেবী, অকুপেশনাল থেরাপিস্টের। আর অবশ্যই নিজের আত্মবিশ্বাস বাড়াতে হবে।