সন্তানের বিদ্যাশিক্ষায় নজর দেওয়া প্রয়োজন। অতিরিক্ত পরিশ্রমে শরীরে অবনতি। নানাভাবে অর্থ অপচয়। কর্মপরিবর্তনের সম্ভাবনা বৃদ্ধি।প্রতিকার: ... বিশদ
পশ্চিমবঙ্গের আশরাফের কথাই ধরা যাক। দীর্ঘদিন ধরে পিঠে ব্যথা আর কনস্টিপেশনের সমস্যায় ভুগছিলেন তিনি। নানা জায়গায় চিকিৎসা করানোর পরেও সুফল না পাওয়ায় বেঙ্গালুরুর মণিপাল হাসপাতাল হোয়াইটফিল্ড-এ যোগাযোগ করেন। সেখানে কনসালটেন্ট মেডিক্যাল গ্যাস্ট্রোএন্টেরোলজস্ট ডাঃ আদিত্য শাহ রোগীকে সিটি স্ক্যান করাতে বলেন। তারপরেই রোগীর অ্যাবডোমিনাল অ্যাওর্টিক অ্যানিউরিজম-এর সমস্যা ধরা পড়ে।
রোগীকে প্রতিষ্ঠানের ভাসকুলার এবং এন্ডোভাসকুলার সার্জারি বিভাগের চিকিৎসক ডাঃ অনুপ টি-এর কাছে রেফার করা হয়। চিকিৎসকরা বোঝেন, সমস্যাটি বেশ জটিল আকার নিয়েছে। অ্যানিউরিজমের কারণে অন্ত্র ও কিডনিতে স্বাভাবিক রক্তপ্রবাহে ঘাটতি হচ্ছিল। এদিকে রোগীর ডায়াবেটিসের সঙ্গে প্রস্রাবের সমস্যাও ছিল। এছাড়া ছিল আগেকার হার্টের সমস্যাও। বিশিষ্ট চিকিৎসকরা স্থির করেন, এক্ষেত্রে সমাধান একটা— অস্ত্রোপচার করতে হবে। তবে ওপেন সার্জারি করলে রোগীর প্রাণ সংশয় হতে পারত। তাই অ্যাঞ্জিওপ্লাস্টির মতো পদ্ধতিতে অপারেশন করার সিদ্ধান্ত নেন ডাঃ অনুপ টি, ডাঃ নাগাভূষণপ্রমুখ সার্জেনরা। চিমনি পদ্ধতি অবলম্বন করে প্রতিটি রেনাল আর্টারিতে স্টেন্ট বসানো হয়। একটি স্টেন্ট বসানো হয় সুপিরিওর মেসেনট্রিক আর্টারিতেও। অ্যানিউরিজমের অংশেও স্টেন্ট বসে। অপারেশন সফল হয়। এক সপ্তাহের মধ্যে রোগী হাসপাতাল থেকে ছুটি পেয়ে যান।
লিখেছেন সুপ্রিয় নায়েক