Bartaman Patrika
হ য ব র ল
 

আশ্চর্য আন্দাজ
রিমি মুৎসুদ্দি

মেঘলা আকাশের মতো দেবলামাসির মনটাও আজ খুবই খারাপ। সকাল সকাল রান্না সেরে চারটি মুড়ি ঘুগনি দিয়ে জলখাবার খেয়েই মাসি কাগজ কলম নিয়ে গুছিয়ে বসেছে।
মুড়ি ঘুগনি আমারও খুব প্রিয়। বিশেষ করে এই ঘুগনিটা মাসি যে কী সুন্দর রাঁধে! শুধু ঘুগনি কেন, কতবেলের আচার, আমসত্ত্ব থেকে তালের ক্ষীর সবই মাসির হাতে অপরূপ। দু-চারদিন স্কুলের ছুটি পেলেই আমতায় দেবলামাসির বাড়ি আমার আসা চাই। এবার অবশ্য বড়দিনের ছুটিতে এসেছি। 
আমার আসার খবর পেয়েই মাসি চন্দ্রপুলি, ক্ষীরের ছাঁচ, নারকোলের চিঁড়া তৈরি করেছে। প্রতিবার শীতের ছুটিতে মা আর আমি দু’জনেই আসি। এবার আমি একাই এসেছি। 
মাসির রান্নার গুণের কথা তো বললামই। রান্না ছাড়াও মাসির আরও একটা গুণের কথা এখনও বলা হয়নি। এই গুণের কারণেই মাসি সবসময় খুব হাসিখুশি থাকতে পারে না। এই হয়তো আনন্দে গুনগুন করে ঘরের কাজ সারছে, রান্নাঘরের কাজ দ্রুত হাতে সামলাচ্ছে। বেড়ালকে মাছভাত মেখে দিচ্ছে। পোষা পাখিটাকে ঝাঁঝরি দিয়ে স্নান করিয়ে পেয়ারা অথবা ছোলা খেতে দিচ্ছে। মেসো ফিরলে একপ্রস্থ লুচি ভেজে দিয়ে কফির কাপ হাতে গল্প করতে বসছে। আবার বলা নেই কওয়া নেই, ওই যে বললাম, বিশেষ একটা গুণের কারণে হঠাৎ মাসির মুখে অন্ধকার! 
সেই গুণটার কথাই বলি। দেবলা মাসি গল্প, উপন্যাস লেখে। আমার মতো দস্যিদের মাসি যেমন খাইয়ে সুখ পায়, তেমনিই গল্প বলেও খুব আনন্দ পায়। একদিন নিজের খেয়ালে একটি পত্রিকায় গল্প পাঠিয়েছিল। সেই গল্পটা মনোনীত হয়ে ছাপার পর থেকেই মাসি লেখে। 
গতমাসে মেসো একটা ল্যাপটপও কিনে দিয়েছে। ওতে গল্প লেখা আরও সহজ। মাসি যদিও এখনও কাগজ কলমেই লিখতে ভালোবাসে। নতুন যন্ত্রটায় অভ্যস্ত হতে সময় লাগবে। 
শীতকালের বৃষ্টি মাসির কেন আমারও তেমন ভালো লাগে না। একে বাড়ির ভেতর এমনিই ঠান্ডা তায় বাইরে বৃষ্টি! কাল এখানে তুমুল বৃষ্টি হয়েছে। সঙ্গে ঝোড়োবাতাস। বাজ পড়ার সে কী কড়কড় শব্দ! আজও সকাল থেকেই আকাশের মুখভার। 
মাসির আজ বৃষ্টির জন্য মনখারাপ নয়। কাগজ কলম নিয়ে বসেছে সেই সকাল ন’টায়। এখন প্রায় বারোটা বাজে। যদিও আকাশের দিকে তাকালে সন্ধে ছ’টা মনে হচ্ছে এত ঘন ঘোর কালো!
মাসি এখনও একটা লাইনও লিখে উঠতে পারল না। আমি হাঁ করে বসে আছি। মাসি একপাতা করে লিখবে আর আমি পড়ব। অগত্যা বইয়ের তাক থেকে একটা পত্রিকার ভূতের গল্প সংখ্যাটা পড়ব বলে নিলাম। মাসি আমার হাতে পত্রিকাটা দেখেই বলল, ‘ওটা পড়ে ভালো লাগবে না। ওর মধ্যে একটাও ভূত নেই। ভূতের গল্পের নামে কেউ সুন্দরবন বিষয়ে তাঁর জ্ঞান লিখেছেন। কেউ আবার পাহাড়ে বেড়াতে যাওয়ার ভ্রমণকাহিনি! আমি তো একটা গল্পেও ভূত পেলাম না।’ 
আমি পত্রিকাটা যথাস্থানে রাখতে যাচ্ছি মাসি বলল, ‘হ্যাঁ, আছে অবশ্য! তবে ভূত নয়। ভূতের ওঝা, বাঘের ওঝা এসব আছে। একটাও ভালো ভূতের গল্প পড়তে পেলুম না।’ 
আমি মাসির কথা মানতে পারলাম না। এমনিতেই আমার বিজ্ঞানমনস্ক মন ভূতের অস্তিত্বই মানতে চায় না। আমি বললাম, ‘ভূত বিষয়টাই তো কাল্পনিক। ভূতের গল্প লিখতে গেলে ভূতের কল্পনা যেমন থাকবে ভূতের ওঝাও তো থাকবেই।’  
মাসি কোনও তর্কে গেল না। চুপ করে থাকল কিছুক্ষণ। তারপর চেয়ার থেকে উঠে নিজেই বইয়ের তাক ঘেঁটে একটা পুরনো দিনের ভূতের গল্প সংকলন হাতে ধরিয়ে দিলে। 
তারপর বলল, ‘নে, এইটা পড়ে দেখ। মনে হয় বার বার  পড়ি। তেমন লেখা কোথায়? আমি নিজেও তো তেমন লিখতেই পারছি না। এই এতক্ষণ ধরে বসে বসে চার কাপ চা ধ্বংস করেও কি এক লাইনও লিখতে পারলাম? যে প্লট মাথায় আসছে তাই মনে হচ্ছে হয় লেখা হয়ে গেছে, নাহলে একদমই বাজে ভাবনা।’ 
ওই যে বললাম মাঝেমাঝে হঠাৎ মাসির মন খারাপ হয়, তা এই লিখতে না পারার জন্যই। লিখতে বসে লেখাটা এগিয়ে নিতে না পারলে অথবা নিজের লেখা নিজেরই খুব অপছন্দ হলে মাসির খুব মনখারাপ হয়। 
আজ মাসির আচরণ আরও অদ্ভুত ঠেকল। আমার হাতে যে বইটা মাসি দিল, তা আবার নিজেই ফেরত নিয়ে বলল, ‘তুতুল, তুই যা তো টুটুন-বুবুনদের বাড়ি। ওরা তো বাড়িতেই আছে। ওদের সঙ্গে একটু খেলা করে আয়।’ 
আমি অবাক হলেও বুঝলাম, একা বাড়িতে কিছুক্ষণ গল্প নিয়ে ভাববে হয়তো। 
বৃষ্টির দিনে টুটুন-বুবুনদের বাড়ি গিয়ে গল্প করতে আমার ভালোই লাগবে। অগত্যা আমি চলে এলাম। 
ওখান থেকে ফিরে আসার পর যা যা শুনেছি তাই লিখছি এখন। 
আমাকে খেলা করতে পাঠিয়ে দিয়ে, মাসি যেই পুরনো ভূতের গল্পের বইটা খুলতে যাবে, অমনি কলিং বেলের শব্দ। মাসি ভাবল, আমি বোধহয় ফিরে এসেছি। 
দরজা খুলে কিন্তু কাউকেই দেখতে পেল না। দরজার বাইরে বেঁটে কলাগাছগুলো এমন দুলছে যেন প্রচণ্ড হাওয়ার ঝাপটা। অথচ বাতাসের তেমন জোর আজ নেই! মাসি ভালো করে একবার চারপাশ দেখে দরজা বন্ধ করে লেখার টেবিলে এল। তখুনি ফোনটা বেজে উঠল। আর দপ করে ঘরের আলো নিভে গেল। অন্ধকারেই মাসি ফোন ধরল। ফোন ধরতেই ওপাশে একজন বেশ হেঁড়ে গলায় বললেন, ‘নমস্কার। আমি কি দেবলা মিত্রর সঙ্গে কথা বলছি?’ 
এপাশ থেকে ‘হ্যাঁ’ বলায় লোকটি বললেন, ‘দেবলা ম্যাডাম, আপনি আপনার বোনপোকে একটি পত্রিকা পড়তে বারণ করলেন। পত্রিকায় একটাও ভূতের গল্প পাননি বললেন। আপনি কিন্তু পুরো পত্রিকাটি নিজেও পড়েননি!’
ফোনের এ প্রান্তে মাসি পুরো হতবাক! 
—আপনি কে? কোথা থেকে বলছেন? আমার বাড়ির ভিতর আমি কী বলেছি, কী পড়েছি, তা আপনি জানলেন কীভাবে? 
—আজ্ঞে, আমি এমন কেউ নই। তবে আমিও একজন লেখক। লেখকদের অন্তর্দৃষ্টি থাকে, সে তো জানেনই। 
—আশ্চর্য! অন্তর্দৃষ্টি লেখকের থাকে তবে এরকম তো হয় না? বন্ধ ঘরের ভিতর আমি কী করলাম তা জানা লেখক কেন কারওর পক্ষেই সম্ভব নয়। 
—আহা! আমি কি বলেছি সম্ভব? আমি তো বলছি আন্দাজ। সেটা তো লেখক করতেই পারেন। তাই না?
—আন্দাজ? এরকম আশ্চর্য আন্দাজ কেউ করতে পারেন? 
—আরে বাদ দিন না ম্যাডাম। যেটা জরুরি তা হল আপনি ওই পত্রিকার সব ক’টা গল্প পড়েননি। এই অধমেরও একটা লেখা আছে ওই পত্রিকায়। সেই লেখাটাই আপনি পড়েননি। আমার নামটা এমন বিদঘুটে তাই হয়তো পড়ার ইচ্ছে হয়নি! একবার যদি অধমের গল্পটা পড়ে দেখেন! 
—আপনি লেখক। আপনি অধম কেন হতে যাবেন? কিন্তু আপনি যেভাবে ফোনে বলছেন, পুরো বিষয়টা এত অদ্ভুত যে আমি...
মাসিকে শেষ করতে না দিয়েই লোকটা বললেন,
—আমার নাম ভূতনাথ। কোনও পদবি নেই পত্রিকার পাতায়। ‘ভূতনাথের ভূতের গপ্পো’ গল্পের নাম। আপনি একবার পড়ে দেখতে পারেন।
বলেই ওপাশে ফোন রেখে দেওয়ার শব্দ। আর তখুনি ঘরের টিউবলাইটটা জ্বলে উঠল। অর্থাৎ কারেন্ট এল। 
অথচ ঠিক পাশের বাড়িতেই আমি এতক্ষণ ছিলাম। একবারও আলো নেভেনি। টুটুন-বুবুনদের বাড়িতে কোনও ইনভার্টার বা জেনারেটর নেই। 
ফোন রেখে মাসি হতভম্ব! কী করবে ভেবে পাচ্ছে না। একবার জানলার পর্দা সরিয়ে দেখল। কেউ নেই তো বাইরে? থাকলেও এই দোতলার ঘরে উঁকি দিয়ে কেউ জানবে কী করে মাসি একটু আগে তুতুলকে কী বলেছে? এমন অদ্ভুত অভিজ্ঞতা মাসি কেন কারওর জীবনেই কি হয়েছে? 
টেবিলের ওপর রাখা পত্রিকাটায় মাসির চোখ যেতেই কীরকম একটা অস্বস্তি হচ্ছিল। একবার ভাবল টুটুন-বুবুনদের বাড়িতে গিয়ে আমাকে ডেকে নিয়ে আসবে। মেসোকে ফোন করতে গিয়েও করল না। অফিসের কাজ ফেলে তড়িঘড়ি ছুটে বাড়ি আসবেন। একবার সদর দরজায় গিয়ে দেখে আসল। ছিটকিনি আঁটাই আছে। তাহলে ভূতনাথ লোকটা এসব বললেন কী করে? 
নিজের ঘরে ফিরে মাসি পত্রিকার পাতা খুলে সূচিপত্র দেখল। শেষের দুটো গল্পের আগেই ভূতনাথবাবুর নাম ও গল্পের নাম। লোকটি ফোনে যা বলেছেন একেবারেই মিলে গেছে। এই রহস্যের সমাধান হবে কি না মাসির জানা নেই। কিন্তু গল্পটা তো একবার পড়ে দেখতেই হয়। 
মাসি গল্পটা পড়ে ফেলল। গল্পের শুরুটা, ঝড়বৃষ্টির সন্ধ্যায় এক স্কুলছাত্রের শিক্ষকের গৃহ থেকে ফেরা দিয়ে। মাস্টারের বাড়ি থেকে ছেলেটির নিজের বাড়ি ফেরার পথে একটা বাঁশবাগান পড়ে। বাঁশবাগান এড়িয়ে বড় রাস্তা দিয়েও যাওয়া যায়। তবে রাস্তাটা বেশ কাঁচা। ঝড় বৃষ্টিতে সেই রাস্তার অবস্থা আরও শোচনীয়। আর ওই পথে বাড়ি ফিরতে বেশ অনেকটাই সময় লাগবে। ছেলেটি বৃষ্টির হাত থেকে রক্ষা পেতে বাঁশবাগানের পথই ধরল। 
গল্প ক্রমশ এগচ্ছে। একটা গা ছমছমে ভয়ের জাল ধীরে ধীরে পাঠককে ঘিরে ধরছে। আর ঠিক তখুনি গল্পটা এমনভাবে শেষ হল যেন ভূত থাকলেও থাকতে পারে আবার না থাকতেও পারে। 
মাসি পুরো গল্পটা পড়ে একদম হতবাক। এরকম গল্প তো বহুদিন পড়েনি। এই যে গা ছমছমে ভয় থেকে শেষে ভূত আছে কি নেই সেই প্রশ্নে শেষ হওয়া অর্থাৎ নিশ্চিত থেকে অনিশ্চিতে পৌঁছনো! এই তো একটা ভূতের গল্পের আসল ম্যাজিক। 
মাসি বইটা নিয়ে বসে আছে, আমি ফিরে এলাম। আমাকে এই পর্যন্ত বলে মাসি কেমন একটা ঘোরের মধ্যে চলে গেল! আমিও কী বলব ভেবে না পেয়ে চুপ করেই ছিলাম। তারপর মাথায় একটা ভাবনা খেলে গেল। মাসিকে বললাম, যে নম্বর থেকে ফোন এসেছে সেই নম্বরে ফোন কর একবার। মাসি ফোনের কলার আইডি দেখে বলল, সকাল ন’টার সময় তোর মেসো অফিসে পৌঁছে ফোন করেছিল। আর তার ঠিক আধঘণ্টা বাদে তোর মা ফোন করেছিল তোদের বাড়ির ল্যান্ডফোন থেকে। এই চেনা নম্বর দুটো ছাড়া আর কোনও নম্বরই লিস্টে নেই! 
মাসিকে কেমন বিমর্ষ দেখাচ্ছে। আমি আরও একটা উপায় বার করে ফেললাম। বললাম, পত্রিকা থেকে নম্বর নিয়ে সম্পাদকীয় দপ্তরে ফোন কর। লেখকের ফোন নম্বর চাও। 
মাসি পত্রিকা দপ্তরে ফোন করছে। খুব একটা আশা আমাদের দু’জনেরই নেই। পত্রিকা দপ্তর কি লেখকের নম্বর দেবে মাসিকে? তবে এই পত্রিকায় মাসি নিজে কয়েকবার লিখেছে। তাই একটা ক্ষীণ আশা আছে। 
ফোন রেখে দিয়ে মাসি অদ্ভুত গলায় বলল, ‘খবরের কাগজ পড়েছিস আজ? কাল সন্ধেবেলায় ঝড়বৃষ্টির সময় বাজ পড়ে আমতায় পাঁচজন মারা গেছেন। মৃতদের মধ্যে একজন ভূতনাথবাবু।’ 
আমি এবার আর কথা খুঁজে পাচ্ছিলাম না। এমনও হয়? মাসি কিছুক্ষণ বাদে কেমন একটা নিস্তেজ গলায় বলল, ‘পত্রিকায় ওঁর আরও একটি গল্প মনোনীত হয়েছে । সেই খবর জানাতেই আজ পত্রিকা থেকে ওঁর বাড়িতে ফোন করেছিল। তখনই ওঁর মৃত্যুর খবর জানানো হয়েছে।’
আমি তখুনি খবরের কাগজ খুলে ‘বজ্রপাতে মৃত পাঁচ’ খবরটা পড়লাম। মৃতদের মধ্যে একজনের নাম ‘ভূতনাথ মজুমদার’। বাড়ি আমতায়!
23rd  June, 2024
একাগ্রতায় বিশ্বজয়

বিশ্বজয়ী অধিনায়কদের তালিকায় কপিল ও ধোনির পর নতুন সংযোজন রোহিত। এই তিন ক্রিকেট ক্যাপ্টেনের দৌলতে চারবার বিশ্বজয়ের স্বাদ পেয়েছে দেশ। তাঁদের রূপকথার মতো উত্থানের গল্প শোনালেন সৌরাংশু দেবনাথ
বিশদ

21st  July, 2024
সিমলার হানাবাড়ি
সায়নদীপ ঘোষ

ভ্রমণপ্রেমীদের অন্যতম পছন্দের জায়গা সিমলা। পাহাড়ের গায়ে ঠিক যেন রূপকথার শহর। যাওয়ামাত্র মনপ্রাণ জুড়িয়ে যায়। তবে এই সুন্দর শৈলশহরে রয়েছে এক ভূতুড়ে বাড়ি। স্থানীয়দের বিশ্বাস, সন্ধ্যার পর সেখানে গেলেই নাকি এক অশরীরীর দেখা মেলে। তাই সূর্য ডোবার পর পারতপক্ষে সেখানে কেউ যান না। বিশদ

21st  July, 2024
যোগ-গুণের ম্যাজিক
স্বরূপ কুলভী

অঙ্ক মানেই বুদ্ধির খেলা। যোগ-গুণ-ভাগ-বিয়োগের পরতে পরতে লুকিয়ে বিস্ময়। এগুলিই গণিতের সোনার কাঠি-রুপোর কাঠি। আর এই কাঠি ছোঁয়ালেই যেন আশ্চর্য ম্যাজিক! সংখ্যার হেরফেরে একেবারে নিখুঁতভাবে লক্ষ্যে পৌঁছে যাওয়া যায়। বিশদ

21st  July, 2024
উলের ফুল

ফেলে দেওয়া জিনিস দিয়ে হাতের কাজ করা শেখাচ্ছেন ডিজাইনার বিদিশা বসু। তাঁর সঙ্গে কথা বললেন কমলিনী চক্রবর্তী।
বিশদ

14th  July, 2024
সাইকেলে বিশ্বজয়!

যখন মেসোপটেমিয়ায় ছিলেন, তখনই বিশ্ব ভ্রমণের‌ কথা মাথায় আসে। যুদ্ধ শেষ হওয়ার কয়েক বছর পর একটি সাইকেল জোগাড় করে রামনাথ বিশ্ব ভ্রমণে বেরিয়ে পড়েন। সঙ্গী ছিল এক জোড়া চটি, দু’টি চাদর ও একটি সাইকেল। ক্যারিয়ারে একটি বাক্সে রাখা ছিল সাইকেল মেরামতির কিছু প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম। ১৯৩১ সালের ৭ জুলাই সিঙ্গাপুরের কুইন স্ট্রিট থেকে যাত্রা শুরু করল ‘রাউন্ড দ্য ওয়ার্ল্ড’। হ্যাঁ, ঠিক এই কথাটিই লেখা ছিল রামনাথের সাইকেলের গায়ে।
বিশদ

14th  July, 2024
আজব আজগুবিতলা

আজগুবিতলা স্টেশনে নেমে সত্যি সত্যিই ভয় পেয়ে গেলেন মণিশংকরবাবু। চারদিক শুনশান। জনপ্রাণী কেউ কোত্থাও নেই। এখন এই অন্ধকারে ঘড়িও দেখা যাচ্ছে না।
বিশদ

14th  July, 2024
 রথের মেলার মজা
 
​​​​​​​

আজ রথযাত্রা। রথ মানে যেমন জগন্নাথ, বলরাম ও সুভদ্রার মাসির বাড়ি যাত্রা, তেমনই পাঁপড়ভাজা আর পেঁয়াজি খাওয়ার মজা। তবে, মেলা ছাড়া আষাঢ়ের এই উৎসব পূর্ণতা পায় না। রথের মেলায় মজা করার অভিজ্ঞতা ভাগ করে নিল দক্ষিণ ২৪ পরগনার  পাথরপ্রতিমা ব্লকের সীতারামপুর জি-প্লট মিলন বিদ্যানিকেতন স্কুলের ছাত্রছাত্রীরা।
বিশদ

07th  July, 2024
কাঁদলে হবে! জানাও দরকার

বকুনি দিলে কার না কান্না পায় বল। দুঃখ পেলে চোখে জল ভরে আসে। কেউ কেউ ফুপিয়ে কাঁদে, কেউ আবার জোরে। অনেকের আবার বই পড়ে বা সিনেমা দেখেও কান্না আসে।
বিশদ

07th  July, 2024
মধুর প্রতিশোধ!

সোনার চামচ মুখে নিয়ে জন্মাননি। জন্মেছিলেন ইতালির এক সাধারণ আঙুর চাষির ঘরে। তারিখটা ১৯১৬ সালের ২৮ এপ্রিল। ইতালির এক দরিদ্র আঙুর চাষির ঘরের ছেলে হয়ে তাঁকে কোনও দিনই চাষের খেত আকর্ষণ করেনি। ছোটবেলা থেকেই আগ্রহ ছিল ট্রাক্টর এবং চাষাবাদে ব্যবহৃত বিভিন্ন যন্ত্রপাতি।
বিশদ

07th  July, 2024
নাচছে একশো কোটি

রোহিতদাদা মোহিত করেন, সত্যি করিতকর্মা,
সোনার জলে থাক লেখা নাম— বাবু রোহিত শর্মা।
কোহলি তো সত্যি ‘বিরাট’, দেশকে ধরেন উচ্চে,
আনন্দে কে ফেলেন কেঁদে, চোখের জলও মুছছে?
বিশদ

07th  July, 2024
ইউরোর মাঝেই পড়াশোনায় ব্যস্ত ইয়ামাল

স্কুলছাত্র। ১৬ বছর বয়সেই দাপাচ্ছে ইউরো কাপ টুর্নামেন্ট। স্পেনের এই উঠতি ফুটবল তারকাকে নিয়ে লিখেছেন সৌগত গঙ্গোপাধ্যায় বিশদ

30th  June, 2024
পর্বতশৃঙ্গের বিভীষিকা

অন্নপূর্ণা, কে-২, নাঙ্গা পর্বতের মতো শৃঙ্গগুলি অভিযাত্রীদের কাছে রীতিমতো আতঙ্কের। তবুও সাহসে ভর করে বেরিয়ে পড়েন পর্বতারোহীরা। সেই গল্পই শোনালেন বিশ্বজিৎ দাস।     বিশদ

30th  June, 2024
ইতিহাসের সাক্ষী রামমোহন লাইব্রেরি
সোমনাথ সরকার

ভারতবর্ষের সাংস্কৃতিক রাজধানী আমাদের গর্বের শহর কলকাতা। আর এই শহরেই দৃপ্ত পদক্ষেপে শতবর্ষ পেরিয়ে এগিয়ে চলেছে রামমোহন লাইব্রেরি। ১৯০৫ সালের ২৪ জানুয়ারি উত্তর কলকাতার এক ভাড়াবাড়িতে রামমোহন লাইব্রেরির সূচনা হয়। বিশদ

30th  June, 2024
জানা অজানা: দূরদর্শী বঙ্কিম

আগামী বুধবার সাহিত্যসম্রাটের জন্মদিন। তিনি ছিলেন ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেট। কর্মজীবনে বিচিত্র অভিজ্ঞতার সম্মুখীন হয়েছিলেন বঙ্কিমচন্দ্র। তেমনই কয়েকটি মজার ঘটনা তুলে ধরলেন অরিন্দম ঘোষ। বিশদ

23rd  June, 2024
একনজরে
বাংলাদেশের অশান্তির প্রভাব পড়েছে এপারের বাণিজ্যে। ওপারে সৃষ্টি হওয়া অচলাবস্থার জেরে মালদহের ব্যবসায়ীরা ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছেন। গত এক সপ্তাহ ধরেই পণ্য পরিবহণে বিঘ্ন ঘটছিল। রবি ...

ফিটনেসের সমস্যা, চোটের জন্য মাঝেমধ্যেই বাইরে থাকা, সতীর্থদের আস্থার অভাব। ভারতের টি-২০ অধিনায়ক হওয়ার দৌড়ে হার্দিক পান্ডিয়ার ছিটকে যাওয়ার কারণ এগুলোই। সোমবার প্রধান নির্বাচক অজিত ...

দুবাই পুলিস গ্রেপ্তার করেছে পাক সঙ্গীতশিল্পী রাহাত ফতে আলি খানকে। সোমবার পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যমে এমনই খবর ছড়িয়ে পড়েছিল। ...

পুলিসি ধরপাকড় কিছুটা কমতেই ফের শুরু হয়েছে চোরাই কয়লা কারবার। দুবরাজপুরের ঘাট গোপালপুর গ্রামই এখন চোরাই কয়লার প্রধান স্টক পয়েন্ট। সেখান থেকে বাইকে করে কয়লা ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

পারিবারিক সম্পত্তি সংক্রান্ত আইনি কর্মে ব্যস্ততা। ব্যবসা সম্প্রসারণে অতিরিক্ত অর্থ বিনিয়োগের পরিকল্পনা। ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৮২৯- আমেরিকাতে টাইপরাইটারের পূর্বসুরী টাইপোগ্রাফার পেটেন্ট করেন উইলিয়াম অস্টিন বার্ড
১৮৪৩ - সাহিত্যিক, সাংবাদিক ও বাগ্মী রায়বাহাদুর কালীপ্রসন্ন ঘোষের জন্ম
১৮৫৬- স্বাধীনতা সংগ্রামী বাল গঙ্গাধর তিলকের জন্ম
১৮৮১ - আন্তর্জাতিক ক্রীড়া সংস্থাগুলির মধ্যে সবচেয়ে পুরাতন আন্তর্জাতিক জিমন্যাস্টিক ফেডারেশন প্রতিষ্ঠিত 
১৮৯৩ - কলকাতায় বঙ্গীয় সাহিত্য পরিষদ পূর্বতন বেঙ্গল একাডেমি অব লিটারেচার স্থাপিত
১৮৯৫- চিত্রশিল্পী মুকুল দের জন্ম
১৮৯৮ - বিশিষ্ট বাঙালি কথাসাহিত্যিক তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায়ের জন্ম
১৯০৬ - চন্দ্রশেখর আজাদ, ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনের বিপ্লবী
১৯২৭ - সালের এই দিনে ইন্ডিয়ান ব্রডকাস্টিং কোম্পানি বোম্বাইয়ে ভারতের প্রথম বেতার সম্প্রচার শুরু করে
১৯৩৩ - ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনের সশস্ত্র বিপ্লবী ও আইনজীবী যতীন্দ্রমোহন সেনগুপ্তের মৃত্যু
১৯৩৪ – পশ্চিমবঙ্গের প্রাক্তন রাজ্যপাল এম কে নারায়ণনের জন্ম
১৯৪৭ – বলিউড অভিনেতা মোহন আগাসের জন্ম
১৯৪৭ – বিশিষ্ট বেহালা বাদক এল সুব্রহ্মণমের জন্ম
১৯৪৯ -  দক্ষিণ আফ্রিকান ক্রিকেটার ক্লাইভ রাইসের জন্ম
১৯৫৩ - ইংল্যান্ডের প্রাক্তন ক্রিকেটার গ্রাহাম গুচের জন্ম
১৯৭৩ – সঙ্গীত পরিচালক তথা সঙ্গীত শিল্পী হিমেশ রেশমিয়ার জন্ম
১৯৯৫- হেল-বপ ধূমকেতু আবিস্কার হয়, পরের বছরের গোড়ায় সেটি খালি চোখে দৃশ্যমান হয়
২০০৪- অভিনেতা মেহমুদের মৃত্যু
২০১২- আই এন এ’ যোদ্ধা লক্ষ্মী সায়গলের মৃত্যু
২০১৮ - মঞ্চ ও চলচ্চিত্রাভিনেত্রী বাসবী নন্দীর মৃত্যু



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮২.৮৫ টাকা ৮৪.৫৯ টাকা
পাউন্ড ১০৬.৪৩ টাকা ১০৯.৯৫ টাকা
ইউরো ৮৯.৬৩ টাকা ৯২.৭৮ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৭৩,৭৫০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৭৪,১৫০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৭০,৫০০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৮৮,৯০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৮৯,০০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

৭ শ্রাবণ, ১৪৩১, মঙ্গলবার, ২৩ জুলাই, ২০২৪। দ্বিতীয়া ১৩/১০ দিবা ১০/২৪। ধনিষ্ঠা নক্ষত্র ৩৭/৫৫ রাত্রি ৮/১৮। সূর্যোদয় ৫/৮/০, সূর্যাস্ত ৬/১৭/৫৯। অমৃতযোগ দিবা ৭/৪৬ গতে ১০/২৪ মধ্যে পুনঃ ১/২ গতে ২/৪৮ মধ্যে পুনঃ ৩/৪০ গতে ৫/২৬ মধ্যে। রাত্রি ৭/১ মধ্যে পুনঃ ৯/১১ গতে ১১/২১ মধ্যে পুনঃ ১/৩১ গতে ২/৫৮ মধ্যে। বারবেলা ৬/৪৭ গতে ৮/২৫ মধ্যে পুনঃ ১/২২ গতে ৩/১ ম঩ধ্যে। কালরাত্রি ৭/৩৯ গতে ৯/০ মধ্যে। 
৭ শ্রাবণ, ১৪৩১, মঙ্গলবার, ২৩ জুলাই, ২০২৪। দ্বিতীয়া দিবা ১২/৪৭। ধনিষ্ঠা নক্ষত্র রাত্রি ১১/৪২। সূর্যোদয় ৫/৬, সূর্যাস্ত ৬/২১। অমৃতযোগ দিবা ৭/৫০ গতে ১০/২৪ মধ্যে ও ১২/৫৮ গতে ২/৪১ মধ্যে ও ৩/৩২ গতে ৫/১৫ মধ্যে এবং রাত্রি ৬/৫১ মধ্যে ও ৯/৫ গতে ১১/১৯ মধ্যে ও ১/৩৩ গতে ৩/২ মধ্যে। বারবেলা ৬/৪৬ গতে ৮/২৫ মধ্যে ও ১/২৩ গতে ৩/৩ মধ্যে। কালরাত্রি ৭/৪২ গতে ৯/৩ মধ্যে।
১৬ মহরম।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
নিট-ইউজি প্রশ্নপত্র ফাঁস মামলা: পুনরায় পরীক্ষার নির্দেশ দিল না সুপ্রিম কোর্ট

05:18:38 PM

কলকাতা লিগ: ক্যালকাটা পুলিস ক্লাব ও মোহন বাগানের ম্যাচ ড্র, স্কোর ১-১

05:10:49 PM

বক্তব্য শেষ করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়

05:02:23 PM

১৫ অক্টোবর দুর্গাপুজোর কার্নিভ্যাল: মমতা

04:58:39 PM

আগামী বছরে পুজো কমিটিগুলিকে ১ লক্ষ টাকা করে আর্থিক অনুদান দেওয়া হবে, ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রীর

04:58:18 PM

চলতি বছরে পুজো কমিটিগুলিকে ৮৫ হাজার টাকা আর্থিক অনুদান, ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রীর

04:56:43 PM