Bartaman Patrika
গল্পের পাতা
 

ছায়া আছে কায়া নেই
অপূর্ব চট্টোপাধ্যায়  

৩৭

ছিলেন বিজ্ঞানের ছাত্র, বিষয় ছিল রসায়ন। তিনি নিজের সম্পর্কে বলতেন, ‘আমি বিজ্ঞানের ছাত্র। আচারে-ব্যবহারে, ভ্রমণে-পর্যটনে, খাদ্যে-পানীয়ে কালাপাহাড় বলিয়া পরিচিত মহলে আমার অখ্যাতি আছে; তবু আজ অস্বীকার করিতে পারি না, অলৌকিক শ্রেণীর দুইটি ঘটনার আমি সাক্ষী হইয়া আছি। দুইটি ঘটনাই আমার মনের উপর এমন গভীর রেখাপাত করিয়াছে যে, আমার ধর্মবিশ্বাস পর্যন্ত তদ্দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হইয়াছে।’
সজনীকান্ত দাস। বঙ্গসাহিত্যে তিনি আজীবন উজ্জ্বল জ্যোতিষ্কের মতো বিচরণ করেছিলেন। তাঁর শাণিত ব্যঙ্গের কষাঘাতে বারেবারে নাজেহাল হয়েছেন বঙ্গের বিখ্যাত ব্যক্তিত্বরা। স্বয়ং রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর থেকে নজরুল ইসলামের পাশাপাশি কল্লোলগোষ্ঠীর বিখ্যাত লেখক বিভিন্ন সময়ে ‘শনিবারের চিঠি’-র ব্যঙ্গ-লেখনীতে বিদ্ধ হয়েছেন।
কাজি নজরুল ইসলামের বিখ্যাত ‘বিদ্রোহী’ কবিতাটি ‘বিজলী’ পত্রিকায় প্রকাশের সঙ্গে সঙ্গেই সৃষ্টি হল আলোড়ন। আর তারপরেই শনিবারের চিঠির জন্য কলম ধরলেন স্বয়ং সজনীকান্ত দাস। ভবকুমার প্রধান ছদ্মনামে খুব সম্ভবত তিনিই ‘বিদ্রোহী’ কবিতার প্যারডি লিখলেন ‘ব্যাঙ’ শিরোনামে। তাঁর লেখা প্যারডি কবিতাটি ছিল এইরকম— ‘
‘আমি ব্যাঙ
লম্বা আমার ঠ্যাং
ভৈরব রভসে বর্ষা আসিলে ডাকি যে গ্যাঙোর গ্যাং।
আমি ব্যাঙ
আমি পথ হতে পথে দিয়ে চলি লাফ;
শ্রাবণ নিশায় পরশে আমার সাহসিকা
অভিসারিকা
ডেকে ওঠে ‘বাপ বাপ।’’
প্রথমদিকে কাজি নজরুল ইসলাম শনিবারের চিঠির এই ধরনের ব্যঙ্গ-বিদ্রূপকে উপেক্ষা করার চেষ্টাই করতেন। তবে একসময় তাঁর ধৈর্যের বাধ ভেঙে গিয়েছিল। তিনিও পাল্টা কলম ধরেছিলেন উত্তর দেওয়ার জন্য।
সজনীকান্ত দাসের বয়স তখন মাত্র বারো। তাঁরা তখন থাকেন মালদহ-ইংরেজবাজারের কাছে কালীতলা পল্লিতে। সেইবছরেই তাঁর পিতা হরেন্দ্রলাল দাস বদলি হয়েছেন পাবনায়। তখন তিনি সাব-ডেপুটি কালেক্টর। মেজ পুত্র আজুর প্রবল অসুস্থতার খবর পেয়ে তিনি ছুটি নিয়ে পাবনা থেকে ফিরে এলেন মালদহে। বাড়ির মেজ ছেলেকে নিয়ে শুরু হল যমে-মানুষে টানাটানি। শহরের বড় বড় চিকিৎসকরাও শত চেষ্টা করেও রোগীকে সুস্থ করতে পারছেন না। বাড়ির সবাই মিলে চব্বিশ ঘণ্টা পালা করে রোগীর পাশে থেকে সেবা-শুশ্রুষা করছেন। তা সত্ত্বেও দিনকে দিন রোগীর অবস্থা আরও খারাপ হচ্ছে।
সেদিন প্রথম রাতে পুত্রের পাশে বসেছিলেন তাঁর মা তুঙ্গলতা দেবী। রাত দুটো-আড়াইটে নাগাদ স্ত্রীকে ঘুমতে পাঠিয়ে পিতা হরেন্দ্রলাল পুত্রের পাশে এসে বসলেন। ভোর রাতের দিকে তিনি বালক সজনীকান্তকে ঘুম থেকে তুলে বললেন, বাবা, তুই একটু দাদার পাশে গিয়ে বোস। আমি একটু ছাদ থেকে পায়চারি করে আসি। পিতার আদেশে সজনীকান্ত ঘুমচোখে মেজদার শয্যাপাশে এসে বসলেন।
বিশ্বনাথ মুখোপাধ্যায় লিখছেন, ‘তন্দ্রাচ্ছন্ন সজনীকান্ত পাখার বাতাস করছেন তাঁর অসুস্থ মেজদাকে আর ছাদে বাবার ভারী পায়ের শব্দ শুনছেন। অসুস্থ মেজদাও তন্দ্রাচ্ছন্ন।’
আর তারপরে কী ঘটল!
আমরা শুনব স্বয়ং সজনীকান্ত দাসের মুখ থেকে— ‘হঠাৎ বাবার পায়ের শব্দ থামিয়া গেল। প্রতিবেশী বন্ধু যতীনকাকা প্রাতভ্রমণে বাহির হইয়া মেজদার সংবাদ লইতে আসিয়াছেন। বাবার দৃঢ়কণ্ঠ কানে আসিল, আজই শেষ হয়ে যাবে। আমি চকিত হইয়া উঠিলাম। ঘুম জড়ানো চোখ দুইটি জলে ভরিয়া গেল! সে কি?- সে কি?— বলিতে বলিতে যতীনকাকা বৈঠকখানা ঘরে প্রবেশ করিলেন। বাবাও ছাদ হইতে নামিয়া আসিলেন। আমি আড়ালে থাকিয়া উৎকর্ণ হইয়া তাঁহাদের কথোপকথন শুনিলাম।’
হরেন্দ্রলাল তাঁর প্রতিবেশী যতীনবাবুকে কী বলেছিলেন সেই ভোরে। তিনি পুত্রের পাশে বসে কী দেখেছিলেন?
বিশ্বনাথ মুখোপাধ্যায় লিখছেন, ‘হরেন্দ্রলাল একা মুমূর্ষু পুত্রের শিয়রে বসে। রাতের শেষ প্রহর। হঠাৎ একটা অস্বাভাবিক লাল আলো এসে সমস্ত ঘর ভরে গেল। চমকে উঠলেন হরেন্দ্রলাল। বিস্ময়ে হতবাক্‌। একি! কোথাও আগুন লাগলো নাকি?
বিস্ময়ের ঘোর কাটিয়ে ঘরের চারিদিকে চাইলেন। কারণ অনুসন্ধান করতে চাইলেন। না, কোথাও কিছু নেই। কিন্তু এত তীব্র লাল আলো এলো কোথা থেকে? সেই আলোর মধ্যে তিনি হঠাৎ দেখলেন তাঁর মুমূর্ষু পুত্র বিছানার ওপর সোজা হয়ে বসে কাকে যেন উদ্দেশ করে বলেছে, এই যে আমি যাচ্ছি।’
হরেন্দ্রলাল আরও বললেন, এই দৃশ্য দেখে আমি চিৎকার করতে যাচ্ছিলাম। এমন সময় দেখি আমার অসুস্থ ছেলে আবার বিছানার ওপর শুয়ে পড়েছে। বুঝতে পারলুম মৃত্যু আসন্ন। কারণ এই দৃশ্য আমি পূর্বেও দেখেছি আমার দাদার মৃত্যুশয্যার পাশে বসে। সেদিন আমার দাদা তাঁর মৃতা স্ত্রীর উদ্দেশে বলেছিলেন, এই যে আমি যাচ্ছি। কিন্তু আজকে! আজুকে কে নিতে এসেছিলেন সেটাই আমি বুঝে উঠতে পারছি না!
সজনীকান্ত লিখছেন, ‘মধ্যাহ্ন অতিক্রান্ত না হইতেই সত্যই সব শেষ হইল। আমাদের ক্ষুদ্র সুখী সংসারে সেই প্রথম মৃত্যু প্রবেশ করিল। আমার জন্মের পূর্বে আমার এক দিদি নিতান্ত শিশু অবস্থায় বিদায় লইয়াছিলেন, সে বিরহ-বেদনা আমাকে স্পর্শ করে নাই। মেজদার মৃত্যুতে বিপর্যয় ঘটিয়া গেল। বাবা খুবই বিচলিত হইলেন। মা কিন্তু ধীর স্থির ছিলেন। মৃত্যুর পরদিন দ্বিপ্রহরের ঠিক পূর্বে বাবা ও ভাইবোন সকলে আমরা মায়ের শয়নঘর অর্থাৎ বড়ঘরের মেঝেতে চৌকিতে বসিয়া মেজদার প্রসঙ্গ আলাপ করিতেছিলাম। মা দুধ গরম করিতে সামনেই রান্নাঘরে ঢুকিয়াছিলেন। হঠাৎ বাবা গুরুগম্ভীর কণ্ঠে মেজদার নাম ধরিয়া ডাকিতেই আমরা সকলে বিস্ময়বিমূঢ় হইয়া দেখিলাম, মেঝের ঠিক মাঝখানে রক্ষিত একটা খালি চেয়ারে একটা লাল আলোয়ান গায়ে জীর্ণশীর্ণ মেজদাদা আসিয়া বসিয়াছেন। বাবা চিৎকার করিয়া মাকে ডাকিলেন, ওগো, কে এসেছে দেখে যাও!
মা গরম দুধের বাটি আঁচলে ধরিয়া প্রায় ছুটিতে ছুটিতে শোওয়ার ঘরের চৌকাঠ পর্যন্ত আসিয়া মেজদাকে দেখিয়াই ‘বাবা আমার’ বলিয়া মূর্ছিত হইয়া পড়িলেন। দুধের বাটি ছিটকাইয়া ঝন্‌ঝন্‌ শব্দ করিতে করিতে মেঝেতে গড়াইতে লাগিল। আমার দৃষ্টি সেইদিকে আকৃষ্ট হইল। পরক্ষণেই ফিরিয়া দেখি, মেজদা অন্তর্ধান হইয়াছেন। মায়ের মূর্ছার সেই সূত্রপাত। তাহার পর ঘন ঘন মূর্ছা হইতে লাগিল। মা কোথাও স্তব্ধ হইয়া বসিলেই বুঝিতে পারিতাম, বিপদ আসিতেছে—
মৃত মেজদাকে আমরা সকলেই দেখিয়াছিলাম। বাবা মেজদার নাম ধরিয়া ডাকাতেই আমরা হিপ্‌঩নোটাইজড হইয়াছিলাম, ঘটনাটি কখনই সেইভাবে উড়াইয়া দিতে পারি নাই।’
ছবি: পার্থজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের সৌজন্যে
(সমাপ্ত)
অলংকরণ: চন্দন পাল 
24th  November, 2019
ভানু বন্দ্যোপাধ্যায় পর্ব * ১
সন্দীপ রায়চৌধুরী

উজ্জ্বল জ্যোতিষ্কের দ্যুতিতে ভাস্বর। এই লাইনটা বললে হয়তো এক রকম অপমানই করা হয় তাঁদের। কারণ অন্যের আলোয় আলোকিত হওয়ার প্রয়োজন এঁদের কারও কখনও হয়নি। এঁরা নিজেরাই এক একজন কিংবদন্তি।   বিশদ

01st  December, 2019
অথৈ সাগর
বারিদবরণ ঘোষ

আগামী বছর ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের দ্বিশতজন্মবর্ষ। তার প্রাক্কালে মাইলফলক দেখে ইংরেজি সংখ্যা শেখাই হোক বা বিধবা বিবাহ প্রচলনের জন্য তীব্র লড়াই— বিদ্যাসাগরের জীবনের এমনই নানা জানা-অজানা কাহিনী দিয়ে সাজানো এ ধারাবাহিকের ডালি। 
বিশদ

01st  December, 2019
ফেসবুকে বনলতা
শুচিস্মিতা দেব 

আমি তপেন বাগচি। পেশাহীন এবং নেশাহীন ছাপোষা মানুষ। পেশার অভাবে নেশা করার হিম্মত হয়নি কখনও। অভিজাত পাড়ায় ঠাকুরদার আমলের দোতলা বাড়িতে বিনা পয়সার বাসস্থান। বাবা ছিলেন ব্যারিস্টার ঠাকুরদার ল ফার্মের যোগ্য উত্তরাধিকারী।   বিশদ

01st  December, 2019
পুণ্য ভূমির পুণ্য ধুলোয়
মহাকালীর কালীমঠ
ষষ্ঠীপদ চট্টোপাধ্যায়  

পর্ব-৩৭

হিমালয়ের পবিত্র দেবস্থানগুলি বারে বারে পরিব্রজন করলেও গুপ্তকাশীর অদূরে কালীমঠে আর যাওয়াই হয় না। তাই সেবার গৌরীকুণ্ডের পথে ত্রিযুগীনায়ারণ হয়ে গুপ্তকাশীতে এসে রাত্রিবাস করলাম। 
বিশদ

24th  November, 2019
বীরবল
তপন বন্দ্যোপাধ্যায়

 বাদশাহের মর্জিতেই তাকে নামানো হয়েছে লড়াইতে, কিন্তু তাকে কিছুতেই বাগ মানাতে পারছে না তার পিলবান। কিছুক্ষণের মধ্যেই সে প্রতিদ্বন্দ্বী হাতিকে ছেড়ে তাড়া করল এক জওয়ান লেড়কা দর্শককে, সেই লেড়কা দ্রুত পালিয়ে ঢুকে গেল আম-আদমির ভিড়ের মধ্যে। হাতিটা তখন দূর থেকে দেখছে বীরবরের লাল বেনিয়ান পরা চেহারাটা। বিশদ

17th  November, 2019
 বন্ধুত্ব
তপনকুমার দাস

দীনবন্ধুর যে ক’জন বন্ধু ছিল, তাদের সবাই প্রায় হারিয়ে গেছে। কলেজবেলার পর চাকরিবেলার শুরুতেই হারানোর পালা শুরু হতে হতে সংসারবেলায় পৌঁছে একেবারে ফেড আউট হয়ে গেছিল যাবতীয় বন্ধুত্ব। একে অপরকে ভুলে যেতে যেতে একসময় গল্পের উঠোনে গিয়ে দাঁড়িয়েছিল সব বন্ধুত্ব।
বিশদ

17th  November, 2019
পুণ্য ভূমির পুণ্য ধুলোয়
পুষ্করের সাবিত্রী মা
ষষ্ঠীপদ চট্টোপাধ্যায় 

পর্ব-৩৫

রাজস্থান ভ্রমণে এসে পুষ্কর তীর্থে স্নান করে ভারতের একমাত্র ব্রহ্মা মন্দিরে পুজো দিয়ে সাবিত্রী পাহাড়ে সাবিত্রী মাতাকে দর্শন করেন না এমন যাত্রী নেই বললেই চলে।
আজমির থেকে পুষ্করের দূরত্ব ১১ কিমি।  
বিশদ

10th  November, 2019
ছায়া আছে কায়া নেই
অপূর্ব চট্টোপাধ্যায়  

৩৫

ঔপন্যাসিক উপেন্দ্রনাথ গঙ্গোপাধ্যায়। ১৩৩৪ বঙ্গাব্দের আষাঢ় মাসে ‘বিচিত্রা’ পত্রিকা প্রতিষ্ঠার সঙ্গে সঙ্গে শুরু হল এক নতুন যুগের। জন্ম হল উপেন্দ্রনাথ গঙ্গোপাধ্যায় নামে এক স্বয়ংসম্পূর্ণ প্রতিষ্ঠানের। সম্পর্কে তিনি ছিলেন কথা সাহিত্যিক শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের মামা।   বিশদ

10th  November, 2019
সম্পর্ক
সম্পন্ন চৌধুরী 

রাত প্রায় বারোটা
মুষলধারে বৃষ্টি হয়েই চলেছে। থামার কোনও লক্ষণই যেন নেই। কিন্তু গরমটা কিছুতেই যেন কমছে না। মানে বৃষ্টিটা আরও হবে। গোটা বাড়িটাই প্রায় জলে ভরে গেছে। ঘরের ভিতরেও জল ঢুকবে ঢুকবে করছে। 
বিশদ

10th  November, 2019
পুণ্য ভূমির পুণ্য ধুলোয়
দেশনোকের করণীমাতা
ষষ্ঠীপদ চট্টোপাধ্যায়

পর্ব-৩৪

দেশনোকের করণীমাতার প্রসঙ্গে এবার আসা যাক। ইনি রাজস্থানের মরু অঞ্চলে রাজ পরিবারের আরাধ্যা দেবী। করণীমাতার মন্দির হচ্ছে পৃথিবীবিখ্যাত মন্দির, অসংখ্য ইঁদুরের জন্য এই মন্দির ‘চুহা মন্দির’ নামে প্রসিদ্ধ। সেবার রাজস্থান ভ্রমণের সময় মুলতানি ঘাঁটির কোলায়েতে গিয়েছিলাম কপিলমুনির মন্দির ও পবিত্র সরোবর দেখতে।  
বিশদ

03rd  November, 2019
ছায়া আছে কায়া নেই
অপূর্ব চট্টোপাধ্যায় 

৩৪

সংসার সুখের হয় রমণীর গুণে। জমে উঠল বন্দ্যোপাধ্যায় দম্পতির সুখের সংসার। আর সেই দৃশ্য দেখে বিধাতা বোধহয় একটু মুচকি হেসেছিলেন, হয়তো মনে মনে বলেছিলেন, বিভূতিভূষণ, সুখ নয় , তোমাকে আমি পৃথিবীতে পাঠিয়েছি সৃষ্টি করার জন্য, সুখভোগের অধিকারী তুমি নও!  
বিশদ

03rd  November, 2019
পরম্পরা
বিনতা রায়চৌধুরী 

প্রাণগোপাল সরকার জমিদার না হলেও গ্রামের একজন অত্যন্ত সম্পন্ন গৃহস্থ। বিঘের পর বিঘে জমিতে তাঁর ধান চাষ হয়। ধান-চালের ব্যবসায়ে প্রাণগোপাল সবদিক থেকেই সার্থক। তারসঙ্গে সে সৎ-ও। তাঁর অধীনস্থ কোনও কর্মচারীকে সে ঠকায় না।  
বিশদ

03rd  November, 2019
পুণ্য ভূমির পুণ্য ধুলোয়
সিদ্ধপীঠ রাজরপ্পা
ষষ্ঠীপদ চট্টোপাধ্যায়

 এবার ছিন্নমস্তা দেবীর কথা বলি। দশমহাবিদ্যার ভয়ঙ্করী রূপের প্রকাশ ছিন্নমস্তায়। এটি হল মহাদেবীর অন্তর্মুখী রূপ। এঁর স্বরূপ অনুধাবন করার শক্তি একমাত্র সাধকের পক্ষেই সম্ভব। ছিন্নশির হয়েও ইনি জীবিত থাকেন। চতুর্দিকে এঁর বসন। অর্থাৎ ইনি দিগবসনা। বিশদ

27th  October, 2019
ছায়া আছে কায়া নেই
অপূর্ব চট্টোপাধ্যায়

 কিন্তু সুখ দীর্ঘস্থায়ী নয়। পঞ্চাননবাবু মারা যাওয়ার আগে জাহ্নবীদেবী এক কন্যা সন্তানের মাতা হন। কিন্তু পিতার অকাল মৃত্যুর দায় বহন করতে হয়েছিল সদ্যোজাত সেই কন্যা সন্তানকে। তাকে চট পেতে শুইয়ে রাখা হতো বাড়ির বাইরের নারকেল গাছের তলায়। স্বভাব কবি বিভূতিভূষণকে নাড়িয়ে দিয়েছিল এই দৃশ্য। বিশদ

27th  October, 2019
একনজরে
নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: বিধায়ক এলাকা উন্নয়ন তহবিলে বরাদ্দ অর্থ বৃদ্ধির দাবি উঠল বিধানসভায়। সোমবার প্রশ্নোত্তর পর্বে বিরোধী কংগ্রেস এবং সিপিএমের কয়েকজন বিধায়ক এই প্রসঙ্গটি তোলেন। সেই সময় টেবিল চাপড়িয়ে অর্থ বরাদ্দ বাড়ানোর প্রস্তাবকে সমর্থন করতে দেখা যায় তৃণমূল কংগ্রেসের কয়েকজন ...

 নয়াদিল্লি, ২ ডিসেম্বর (পিটিআই): পশ্চিম জর্ডনের খামারে একটি অস্থায়ী ধাতব বাড়িতে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় আট শিশু সহ ১৩ জন পাকিস্তানির মৃত্যু হয়েছে। গুরুতর জখম হয়েছে তিনজন। উদ্ধারকারীদের পক্ষে জানানো হয়েছে যে, এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ শোনার (পশ্চিম আম্মান থেকে ৫০ ...

সংবাদদাতা, কুমারগ্রাম: উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন দপ্তর আলিপুরদুয়ার শহরের ইন্ডোর স্টেডিয়ামের পাশে অত্যাধুনিক ব্যায়ামাগার তৈরির কাজ শুরু করছে। এই কাজ অনেকটাই এগিয়ে গিয়েছে। জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, এটির কাজ সম্পূর্ণ হয়ে গেলে আলিপুরদুয়ার জেলা ক্রীড়া সংস্থার হাতে তা তুলে দেওয়া হবে।  ...

নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র চালানোর খরচের ৯০ শতাংশ আগে কেন্দ্রীয় সরকার দিত। এখন দিচ্ছে ৪০ শতাংশ। ফলে রাজ্য সরকারকে দিতে হচ্ছে বাকি ৬০ শতাংশ টাকা। পরিস্থিতি এরকম হলেও রাজ্য সরকার অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রগুলি চালিয়ে যাবে বলে সোমবার বিধানসভায় জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

দীর্ঘদিনের পরিশ্রমের সুফল আশা করতে পারেন। শেয়ার বা ফাটকায় চিন্তা করে বিনিয়োগ করুন। ব্যবসায় ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

বিশ্ব এইডস দিবস
১৯৪১: দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র আক্রমণে চূড়ান্ত অনুমোদন দিলেন জাপানের সম্রাট হিরোহিতো
১৯৫৪: সমাজকর্মী মেধা পাটেকরের জন্ম
১৯৬৩: ভারতের ১৬তম রাজ্য হিসাবে ঘোষিত হল নাগাল্যাণ্ড
১৯৬৫: প্রতিষ্ঠিত হল বর্ডার সিকিউরিটি ফোর্স (বিএসএফ)
১৯৭৪: স্বাধীনতা সংগ্রামী সুচেতা কৃপালিনীর মৃত্যু
১৯৮০: ক্রিকেটার মহম্মদ কাইফের জন্ম
১৯৯৭: বিহারের লক্ষ্মণপুর-বাথে অঞ্চলে ৬৩জন নিম্নবর্গীয়কে খুন করল রণবীর সেনা
১৯৯৯: গায়ক শান্তিদেব ঘোষের মৃত্যু

01st  December, 2019


ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৭০.৯৪ টাকা ৭২.৬৫ টাকা
পাউন্ড ৯১.০৫ টাকা ৯৪.৩৪ টাকা
ইউরো ৭৭.৬১ টাকা ৮০.৬১ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৩৮,৪৮০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৩৬,৫১০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৩৭,০৬০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৪৪,৪০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৪৪,৫০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

১৬ অগ্রহায়ণ ১৪২৬, ৩ ডিসেম্বর ২০১৯, মঙ্গলবার, সপ্তমী ৪২/৫৩ রাত্রি ১১/১৪। ধনিষ্ঠা ২০/২৯ দিবা ২/১৭। সূ উ ৬/৪/৫৩, অ ৪/৪৭/২৯, অমৃতযোগ দিবা ৬/৪৬ মধ্যে পুনঃ ৭/২৯ গতে ১১/৪ মধ্যে। রাত্রি ৭/২৭ গতে ৮/২০ মধ্যে পুনঃ ৯/১৩ গতে ১১/৫২ মধ্যে পুনঃ ১/৩৯ গতে ৩/২৫ মধ্যে পুনঃ ৫/৫২ গতে উদয়াবধি, বারবেলা ৭/২৫ গতে ৮/৪৫ মধ্যে পুনঃ ১২/৪৭ গতে ২/৭ মধ্যে, কালরাত্রি ৬/২৭ গতে ৮/৬ মধ্যে। 
১৬ অগ্রহায়ণ ১৪২৬, ৩ ডিসেম্বর ২০১৯, মঙ্গলবার, সপ্তমী ৪২/৪৮/৩২ রাত্রি ১১/১৩/৪৯। ধনিষ্ঠা ২২/৪৯/২৩ দিবা ৩/১৪/৯, সূ উ ৬/৬/২৪, অ ৪/৪৭/৫২, অমৃতযোগ দিবা ৭/০ মধ্যে ও ৭/৪২ গতে ১১/১৩ মধ্যে এবং রাত্রি ৭/৩২ গতে ৮/২৬ মধ্যে ও ৯/২০ গতে ১২/১ মধ্যে ও ১/৪৯ গতে ৩/৩৬ মধ্যে ও ৫/২৪ গতে ৬/৭ মধ্যে, কালবেলা ১২/৪৭/১৯ গতে ২/৭/৩০ মধ্যে, কালরাত্রি ৬/২৭/৪১ গতে ৮/৭/৩০ মধ্যে। 
৫ রবিয়স সানি  

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
আজকের রাশিফল 
মেষ: দীর্ঘদিনের পরিশ্রমের সুফল আশা করতে পারেন। বৃষ: বন্ধুস্থানীয় কোনও ব্যক্তির সাহায্যে ...বিশদ

07:11:04 PM

ইতিহাসে আজকের দিনে 
বিশ্ব প্রতিবন্ধী দিবস১৮৮২: চিত্রশিল্পী নন্দলাল বসুর জন্ম১৮৮৯: বিপ্লবী ক্ষুদিরাম বসুর ...বিশদ

07:03:20 PM

শহরে এটিএম জালিয়াতি, আরও ১৪টি অভিযোগ দায়ের 
যাদবপুরের পর এবার চারু মার্কেট থানা এলাকা। শহরে ফের জাঁকিয়ে ...বিশদ

05:13:00 PM

বাংলায় এনআরসি হবে না, ধর্মের ভিত্তিতে ভাগাভাগি করা যাবে না: মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় 

04:06:10 PM

বুলবুল: রাজ্যকে আর্থিক সাহায্য পাঠাল কেন্দ্র
বুলবুল-এ ক্ষতিগ্রস্ত রাজ্য হিসাবে পশ্চিমবঙ্গকে আর্থিক সাহায্য পাঠাল কেন্দ্র। রাজ্যকে ...বিশদ

03:42:00 PM

আগামী ২ দিন বসবে না বিধানসভা অধিবেশন
রাজভবনে আটকে রয়েছে বিল । সেখান থেকে বিল না আসায় ...বিশদ

03:36:00 PM