Bartaman Patrika
গল্পের পাতা
 

পুণ্য ভূমির পুণ্য ধুলোয়
সিদ্ধপীঠ রাজরপ্পা
ষষ্ঠীপদ চট্টোপাধ্যায়

 পর্ব-৩৩
ঝাড়খণ্ডের সিদ্ধপীঠ হল রাজরপ্পা। ছোটনাগপুরের গভীর বনপ্রদেশে এক মনোরম প্রাকৃতিক পরিবেশে এই মহাতীর্থের অবস্থান। দেবী এখানে ছিন্নমস্তা।
রাঁচি থেকে ৫০ কিমি দূরে রাষ্ট্রীয় রাজমার্গ। সেখান থেকে ৩০ কিমি দূরে রাজরপ্পা। রাঁচি, হাজারিবাগ, ধানবাদ ও বোকারো থেকে রামগড় পর্যন্ত সারাদিনে অনেক বাস ও ট্যাক্সির যাতায়াত। রামগড় থেকেও রাজরপ্পা যাওয়ার জন্য ঘন ঘন ট্রেকার ও ট্যাক্সি মেলে।
সৌন্দর্যের এই রম্যস্থান দেবী ছিন্নমস্তার কারণে দারুণ মহিমান্বিত। দেবনদ দামোদর ও ভৈরবী দেবনদী এখানে বিপরীত রতিতে এসে মিলেছে দেবী ছিন্নমস্তার চরণবন্দনা করতে। এই রমণীয় সঙ্গমস্থলের নাম ভাণ্ডারদহ।
এবার ছিন্নমস্তা দেবীর কথা বলি। দশমহাবিদ্যার ভয়ঙ্করী রূপের প্রকাশ ছিন্নমস্তায়। এটি হল মহাদেবীর অন্তর্মুখী রূপ। এঁর স্বরূপ অনুধাবন করার শক্তি একমাত্র সাধকের পক্ষেই সম্ভব। ছিন্নশির হয়েও ইনি জীবিত থাকেন। চতুর্দিকে এঁর বসন। অর্থাৎ ইনি দিগবসনা। ইনি বিশ্বপ্রপঞ্চের প্রতীক শ্বেতপদ্মের উপর দণ্ডায়মানা। এঁর নাভিদেশে যোনিচক্রের অধিষ্ঠান। রজো এবং তমোগুণের দুই দেবী তাঁর সখী। অর্ধরাত্রে দেবীর স্বরূপ কল্পনা করে নিষ্ঠার সঙ্গে ছিন্নমস্তার ধ্যান করলে সাধক বা সাধিকা সরস্বতী সিদ্ধ হয়। শত্রুবিজয়, রোগমুক্তি, রাজ্যপ্রাপ্তি এবং দুর্লভ মোক্ষপ্রাপ্তির জন্য ছিন্নমস্তার ধ্যান ও পূজা অত্যন্ত ফলদায়ক।
হিমালয়ের এক অতি উচ্চস্থানে সতী ছিন্নশির হয়ে চিন্তাপূর্ণিতে যে ছিন্নমস্তা রূপ মহাদেবকে দর্শন করিয়েছিলেন সে-কথা আমি অনেক আগের নিবন্ধে বলেছি। এবার এই স্থানে দেবীর আবির্ভাব কী করে হল তা বলি।
সুপ্রাচীনকালে এই স্থান মিথিলাক্ষেত্র নামে পরিচিত ছিল। কিন্তু এই স্থান রাজরপ্পা হওয়ার নেপথ্যেও এক কাহিনী আছে।
বহুকাল পূর্বে ছোটনাগপুরে রজ নামে এক প্রতাপশালী রাজা রাজত্ব করতেন। তাঁর রানির নাম রূপমা। রাজা তাঁকে রপ্পা বলে ডাকতেন। এঁরা ছিলেন নিঃসন্তান। একবার এক পূর্ণিমা তিথিতে রাজা রজ তাঁর সেপাইদের নিয়ে শিকারে বেরিয়ে এখানকার এই রমণীয় স্থানে এসে পৌঁছলেন। এই নয়নাভিরাম দৃশ্যস্থলে দামোদর ও ভৈরবীর সঙ্গম দেখে মোহিত হলেন রাজা। তখন সন্ধ্যা উত্তীর্ণ হয়েছে। পূর্ণিমার চাঁদের আলোয় এখানকার প্রকৃতি মায়াময় হলে ভাব-বিভোর হয়ে উঠলেন তিনি। সেপাইদের বললেন, এখানেই ছাউনি ফেলে রাত্রিবাসের ব্যবস্থা করতে।
মধ্যরাতে চন্দ্রমার প্রকাশ যখন আরও প্রকট হয়ে সমস্ত পাহাড় ও জঙ্গলকে ঝলমলিয়ে দিল রাজা তখন এক স্বপ্ন দেখলেন। লাল শাড়ি পরিহিতা তেজোদীপ্তা, মুখমণ্ডলে আশ্চর্য দ্যুতিসম্পন্না এক কন্যা তাঁকে বলছেন, ‘হে রাজন! এতখানি বয়স হয়ে গেল তবুও কোনও সন্তানাদি না হওয়ায় তোমার মনে শান্তি নেই। যদি আমার কথা শোনো তবে অচিরেই তোমার রানি সন্তানসম্ভবা হবে।’
স্বপ্নভঙ্গে শয্যা ত্যাগ করে তাঁবুর বাইরে এলেন রাজা। চারদিক ঘুরে দেখলেন কাউকে কোথাও দেখতে পান কি না। কিন্তু না। কেউ কোথাও নেই। তবুও রাজা সেই ভয়ঙ্কর নির্জনে একা একাই এদিক-সেদিক দেখতে দেখতে চলে এলেন দামোদর ও ভৈরবীর সঙ্গমস্থল ভাণ্ডারদহে। সেখানে আসতেই দেখতে পেলেন জলের ভেতর থেকে এক তেজস্বিনী কন্যা অলৌকিকভাবে প্রকট হলেন। সেই কন্যার পরনে লাল বস্ত্র, গলায় নরমুণ্ডের মালা, এক হাতে শঙ্খ অপর হাতে খড়্গ। কন্যার সারা শরীর থেকে চন্দনের সুবাস ভেসে আসছে। সেই দৃশ্য দেখে রাজা অত্যন্ত ভয় পেয়ে গেলেন। রাজার ভীতিদর্শনে কন্যা বললেন, ‘হে রাজন! আমাকে দেখে ভয় পাওয়ার কিছু নেই। আমিই তোমাকে স্বপ্নে দেখা দিয়েছিলাম। আমি প্রচণ্ডচণ্ডিকা দেবী ছিন্নমস্তা। এই রমণীয় তপোবনে প্রাচীনকাল থেকে আমি গুপ্তরূপে অবস্থান করছি। কলিযুগের মানুষ এখনও আমার অবস্থান সম্বন্ধে অবগত নয়। আমার এই রম্যবনে তোমার আগমন তোমারই মনস্কামনা পূর্ণ হবার জন্য হয়েছে। তোমার মনে সন্তান লালসা রয়েছে। আমার বরে আজ থেকে ঠিক এগারো মাস পরে তুমি একটি পুত্রসন্তান লাভ করবে।’
রাজা রজ দূর থেকে জোড় হাতে দেবীকে প্রণাম জানালেন।
দেবী বললেন, ‘হে রাজন! আজকের রাত্রি প্রভাত হলে এই সঙ্গমস্থলের পাশে বনমধ্যে বহু প্রাচীন এবং পরিত্যক্ত আমার একটি মন্দির তুমি দেখতে পাবে। সেই মন্দির মধ্যে একটি শিলাখণ্ডে আমার স্বরূপ আঁকা আছে। তুমি কাল সকালে এই সঙ্গমস্থলে স্নান করে শুদ্ধচিত্ত হয়ে আমার পূজা করবে এবং বলি চড়াবে। শুধু তাই নয়, প্রতিদিন বিধিপূর্বক আমার পূজা-অর্চনার জন্য এক সৎ ব্রাহ্মণকে নিযুক্ত করবে।’ এই বলে দেবী অন্তর্ধান করলেন।
এরপর রাজা সেই বনময় স্থানে একাকী ভ্রমণ করে সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে দেবীর পরিত্যক্ত ভগ্নমন্দির দেখতে পেলেন। মন্দিরের অভ্যন্তরে একটি শিলাখণ্ডে অঙ্কিত দেবীর দিব্যরূপও দর্শন করলেন। এরপর স্নান-পূজা অন্তে বলিদান ইত্যাদির দ্বারা দেবীর আদেশ পালন করলেন। এবং পরবর্তীকালে নতুন একটি রম্য মন্দিরও নির্মাণ করালেন।
কথিত আছে, নতুন মন্দিরে রাজা যখন পূজায় বসলেন তখন হঠাৎ কোথা থেকে এক ব্রাহ্মণ পূজারী মন্দিরে প্রবেশ করে বিধিপূর্বক পূজা করাতে লাগলেন রাজাকে। সেই পূজায় দেবী এমনই সন্তুষ্ট হলেন যে, ব্রাহ্মণ ও রাজার মস্তকে ফুল-বেলপাতা নিক্ষেপ করে বললেন, ‘আমি তোমাদের পূজা ও উপাসনায় অত্যন্ত সন্তুষ্ট হয়েছি। তাই আমার ইচ্ছায় আজ থেকে রাজা রজ ও রানি রপ্পার নামানুসারে এই স্থানের নাম হবে রাজরপ্পা।’
দেবীর আদেশ মান্য করা হল। রাজ-আজ্ঞায় সেই ব্রাহ্মণই এরপর থেকে দেবীর সেবা-পূজা চালিয়ে যেতে লাগলেন।
এর বহুকাল পরে রামগড়ের রাজাকে দেবী ছিন্নমস্তা স্বপ্নাদেশ দিয়ে বললেন, ‘আমার সেবাপূজার জন্য এখানকার বংশজ ব্রাহ্মণ নয়, কলকাতার কালীঘাট থেকে বাঙালি ব্রাহ্মণ নিয়ে এসে পূজা করাও। কেন না বাঙালি ব্রাহ্মণরা শক্তির উপাসক হয়।’
দেবীর আদেশ মতো কালীঘাট থেকে বাঙালি ব্রাহ্মণরা এসে ছিন্নমস্তার পূজা করতে লাগলেন। স্থানটি এখনও অতি মনোরম। আমি সময় পেলেই শনি ও মঙ্গলবার দেখে সেখানে যাই। নবাগত যাত্রীদের অনুরোধ, বর্ষার সময়টা বাদ দিয়ে গেলে শুধু দেবী দর্শন নয়, ভৈরবী ও দামোদরের বিপরীত রতিতে মিলনদৃশ্য দেখে মন মোহিত হয়ে যাবে। অন্যসময় জলপ্লাবনে তা সম্ভব নয়।
(ক্রমশ)
অলংকরণ : সোমনাথ পাল
27th  October, 2019
ভানু বন্দ্যোপাধ্যায় পর্ব * ১
সন্দীপ রায়চৌধুরী

উজ্জ্বল জ্যোতিষ্কের দ্যুতিতে ভাস্বর। এই লাইনটা বললে হয়তো এক রকম অপমানই করা হয় তাঁদের। কারণ অন্যের আলোয় আলোকিত হওয়ার প্রয়োজন এঁদের কারও কখনও হয়নি। এঁরা নিজেরাই এক একজন কিংবদন্তি।   বিশদ

01st  December, 2019
অথৈ সাগর
বারিদবরণ ঘোষ

আগামী বছর ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের দ্বিশতজন্মবর্ষ। তার প্রাক্কালে মাইলফলক দেখে ইংরেজি সংখ্যা শেখাই হোক বা বিধবা বিবাহ প্রচলনের জন্য তীব্র লড়াই— বিদ্যাসাগরের জীবনের এমনই নানা জানা-অজানা কাহিনী দিয়ে সাজানো এ ধারাবাহিকের ডালি। 
বিশদ

01st  December, 2019
ফেসবুকে বনলতা
শুচিস্মিতা দেব 

আমি তপেন বাগচি। পেশাহীন এবং নেশাহীন ছাপোষা মানুষ। পেশার অভাবে নেশা করার হিম্মত হয়নি কখনও। অভিজাত পাড়ায় ঠাকুরদার আমলের দোতলা বাড়িতে বিনা পয়সার বাসস্থান। বাবা ছিলেন ব্যারিস্টার ঠাকুরদার ল ফার্মের যোগ্য উত্তরাধিকারী।   বিশদ

01st  December, 2019
পুণ্য ভূমির পুণ্য ধুলোয়
মহাকালীর কালীমঠ
ষষ্ঠীপদ চট্টোপাধ্যায়  

পর্ব-৩৭

হিমালয়ের পবিত্র দেবস্থানগুলি বারে বারে পরিব্রজন করলেও গুপ্তকাশীর অদূরে কালীমঠে আর যাওয়াই হয় না। তাই সেবার গৌরীকুণ্ডের পথে ত্রিযুগীনায়ারণ হয়ে গুপ্তকাশীতে এসে রাত্রিবাস করলাম। 
বিশদ

24th  November, 2019
ছায়া আছে কায়া নেই
অপূর্ব চট্টোপাধ্যায়  

৩৭

ছিলেন বিজ্ঞানের ছাত্র, বিষয় ছিল রসায়ন। তিনি নিজের সম্পর্কে বলতেন, ‘আমি বিজ্ঞানের ছাত্র। আচারে-ব্যবহারে, ভ্রমণে-পর্যটনে, খাদ্যে-পানীয়ে কালাপাহাড় বলিয়া পরিচিত মহলে আমার অখ্যাতি আছে; তবু আজ অস্বীকার করিতে পারি না, অলৌকিক শ্রেণীর দুইটি ঘটনার আমি সাক্ষী হইয়া আছি। 
বিশদ

24th  November, 2019
বীরবল
তপন বন্দ্যোপাধ্যায়

 বাদশাহের মর্জিতেই তাকে নামানো হয়েছে লড়াইতে, কিন্তু তাকে কিছুতেই বাগ মানাতে পারছে না তার পিলবান। কিছুক্ষণের মধ্যেই সে প্রতিদ্বন্দ্বী হাতিকে ছেড়ে তাড়া করল এক জওয়ান লেড়কা দর্শককে, সেই লেড়কা দ্রুত পালিয়ে ঢুকে গেল আম-আদমির ভিড়ের মধ্যে। হাতিটা তখন দূর থেকে দেখছে বীরবরের লাল বেনিয়ান পরা চেহারাটা। বিশদ

17th  November, 2019
 বন্ধুত্ব
তপনকুমার দাস

দীনবন্ধুর যে ক’জন বন্ধু ছিল, তাদের সবাই প্রায় হারিয়ে গেছে। কলেজবেলার পর চাকরিবেলার শুরুতেই হারানোর পালা শুরু হতে হতে সংসারবেলায় পৌঁছে একেবারে ফেড আউট হয়ে গেছিল যাবতীয় বন্ধুত্ব। একে অপরকে ভুলে যেতে যেতে একসময় গল্পের উঠোনে গিয়ে দাঁড়িয়েছিল সব বন্ধুত্ব।
বিশদ

17th  November, 2019
পুণ্য ভূমির পুণ্য ধুলোয়
পুষ্করের সাবিত্রী মা
ষষ্ঠীপদ চট্টোপাধ্যায় 

পর্ব-৩৫

রাজস্থান ভ্রমণে এসে পুষ্কর তীর্থে স্নান করে ভারতের একমাত্র ব্রহ্মা মন্দিরে পুজো দিয়ে সাবিত্রী পাহাড়ে সাবিত্রী মাতাকে দর্শন করেন না এমন যাত্রী নেই বললেই চলে।
আজমির থেকে পুষ্করের দূরত্ব ১১ কিমি।  
বিশদ

10th  November, 2019
ছায়া আছে কায়া নেই
অপূর্ব চট্টোপাধ্যায়  

৩৫

ঔপন্যাসিক উপেন্দ্রনাথ গঙ্গোপাধ্যায়। ১৩৩৪ বঙ্গাব্দের আষাঢ় মাসে ‘বিচিত্রা’ পত্রিকা প্রতিষ্ঠার সঙ্গে সঙ্গে শুরু হল এক নতুন যুগের। জন্ম হল উপেন্দ্রনাথ গঙ্গোপাধ্যায় নামে এক স্বয়ংসম্পূর্ণ প্রতিষ্ঠানের। সম্পর্কে তিনি ছিলেন কথা সাহিত্যিক শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের মামা।   বিশদ

10th  November, 2019
সম্পর্ক
সম্পন্ন চৌধুরী 

রাত প্রায় বারোটা
মুষলধারে বৃষ্টি হয়েই চলেছে। থামার কোনও লক্ষণই যেন নেই। কিন্তু গরমটা কিছুতেই যেন কমছে না। মানে বৃষ্টিটা আরও হবে। গোটা বাড়িটাই প্রায় জলে ভরে গেছে। ঘরের ভিতরেও জল ঢুকবে ঢুকবে করছে। 
বিশদ

10th  November, 2019
পুণ্য ভূমির পুণ্য ধুলোয়
দেশনোকের করণীমাতা
ষষ্ঠীপদ চট্টোপাধ্যায়

পর্ব-৩৪

দেশনোকের করণীমাতার প্রসঙ্গে এবার আসা যাক। ইনি রাজস্থানের মরু অঞ্চলে রাজ পরিবারের আরাধ্যা দেবী। করণীমাতার মন্দির হচ্ছে পৃথিবীবিখ্যাত মন্দির, অসংখ্য ইঁদুরের জন্য এই মন্দির ‘চুহা মন্দির’ নামে প্রসিদ্ধ। সেবার রাজস্থান ভ্রমণের সময় মুলতানি ঘাঁটির কোলায়েতে গিয়েছিলাম কপিলমুনির মন্দির ও পবিত্র সরোবর দেখতে।  
বিশদ

03rd  November, 2019
ছায়া আছে কায়া নেই
অপূর্ব চট্টোপাধ্যায় 

৩৪

সংসার সুখের হয় রমণীর গুণে। জমে উঠল বন্দ্যোপাধ্যায় দম্পতির সুখের সংসার। আর সেই দৃশ্য দেখে বিধাতা বোধহয় একটু মুচকি হেসেছিলেন, হয়তো মনে মনে বলেছিলেন, বিভূতিভূষণ, সুখ নয় , তোমাকে আমি পৃথিবীতে পাঠিয়েছি সৃষ্টি করার জন্য, সুখভোগের অধিকারী তুমি নও!  
বিশদ

03rd  November, 2019
পরম্পরা
বিনতা রায়চৌধুরী 

প্রাণগোপাল সরকার জমিদার না হলেও গ্রামের একজন অত্যন্ত সম্পন্ন গৃহস্থ। বিঘের পর বিঘে জমিতে তাঁর ধান চাষ হয়। ধান-চালের ব্যবসায়ে প্রাণগোপাল সবদিক থেকেই সার্থক। তারসঙ্গে সে সৎ-ও। তাঁর অধীনস্থ কোনও কর্মচারীকে সে ঠকায় না।  
বিশদ

03rd  November, 2019
ছায়া আছে কায়া নেই
অপূর্ব চট্টোপাধ্যায়

 কিন্তু সুখ দীর্ঘস্থায়ী নয়। পঞ্চাননবাবু মারা যাওয়ার আগে জাহ্নবীদেবী এক কন্যা সন্তানের মাতা হন। কিন্তু পিতার অকাল মৃত্যুর দায় বহন করতে হয়েছিল সদ্যোজাত সেই কন্যা সন্তানকে। তাকে চট পেতে শুইয়ে রাখা হতো বাড়ির বাইরের নারকেল গাছের তলায়। স্বভাব কবি বিভূতিভূষণকে নাড়িয়ে দিয়েছিল এই দৃশ্য। বিশদ

27th  October, 2019
একনজরে
সংবাদদাতা, কুমারগ্রাম: উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন দপ্তর আলিপুরদুয়ার শহরের ইন্ডোর স্টেডিয়ামের পাশে অত্যাধুনিক ব্যায়ামাগার তৈরির কাজ শুরু করছে। এই কাজ অনেকটাই এগিয়ে গিয়েছে। জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, এটির কাজ সম্পূর্ণ হয়ে গেলে আলিপুরদুয়ার জেলা ক্রীড়া সংস্থার হাতে তা তুলে দেওয়া হবে।  ...

সংবাদদাতা, বিষ্ণুপুর: কেন্দ্রীয় হারে মহার্ঘ্যভাতা, সংশোধিত বেতনক্রম চালু সহ মোট ৯ দফা দাবিতে পশ্চিমবঙ্গ প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির সদস্যরা সোমবার বাঁকুড়া জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শকের অফিসে অবস্থান ও প্রতীকী অনশন কর্মসূচি পালন করেন। এদিন সকাল ১০টা থেকে অফিসের সামনে শিক্ষকরা ধর্নায় বসেন। ...

নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র চালানোর খরচের ৯০ শতাংশ আগে কেন্দ্রীয় সরকার দিত। এখন দিচ্ছে ৪০ শতাংশ। ফলে রাজ্য সরকারকে দিতে হচ্ছে বাকি ৬০ শতাংশ টাকা। পরিস্থিতি এরকম হলেও রাজ্য সরকার অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রগুলি চালিয়ে যাবে বলে সোমবার বিধানসভায় জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী ...

 ন্যাশনাল স্টক এক্সচেঞ্জে যেসব সংস্থার শেয়ার গতকাল লেনদেন হয়েছে শুধু সেগুলির বাজার বন্ধকালীন দরই নীচে দেওয়া হল। ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

দীর্ঘদিনের পরিশ্রমের সুফল আশা করতে পারেন। শেয়ার বা ফাটকায় চিন্তা করে বিনিয়োগ করুন। ব্যবসায় ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

বিশ্ব এইডস দিবস
১৯৪১: দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র আক্রমণে চূড়ান্ত অনুমোদন দিলেন জাপানের সম্রাট হিরোহিতো
১৯৫৪: সমাজকর্মী মেধা পাটেকরের জন্ম
১৯৬৩: ভারতের ১৬তম রাজ্য হিসাবে ঘোষিত হল নাগাল্যাণ্ড
১৯৬৫: প্রতিষ্ঠিত হল বর্ডার সিকিউরিটি ফোর্স (বিএসএফ)
১৯৭৪: স্বাধীনতা সংগ্রামী সুচেতা কৃপালিনীর মৃত্যু
১৯৮০: ক্রিকেটার মহম্মদ কাইফের জন্ম
১৯৯৭: বিহারের লক্ষ্মণপুর-বাথে অঞ্চলে ৬৩জন নিম্নবর্গীয়কে খুন করল রণবীর সেনা
১৯৯৯: গায়ক শান্তিদেব ঘোষের মৃত্যু

01st  December, 2019


ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৭০.৯৪ টাকা ৭২.৬৫ টাকা
পাউন্ড ৯১.০৫ টাকা ৯৪.৩৪ টাকা
ইউরো ৭৭.৬১ টাকা ৮০.৬১ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৩৮,৪৮০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৩৬,৫১০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৩৭,০৬০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৪৪,৪০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৪৪,৫০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

১৬ অগ্রহায়ণ ১৪২৬, ৩ ডিসেম্বর ২০১৯, মঙ্গলবার, সপ্তমী ৪২/৫৩ রাত্রি ১১/১৪। ধনিষ্ঠা ২০/২৯ দিবা ২/১৭। সূ উ ৬/৪/৫৩, অ ৪/৪৭/২৯, অমৃতযোগ দিবা ৬/৪৬ মধ্যে পুনঃ ৭/২৯ গতে ১১/৪ মধ্যে। রাত্রি ৭/২৭ গতে ৮/২০ মধ্যে পুনঃ ৯/১৩ গতে ১১/৫২ মধ্যে পুনঃ ১/৩৯ গতে ৩/২৫ মধ্যে পুনঃ ৫/৫২ গতে উদয়াবধি, বারবেলা ৭/২৫ গতে ৮/৪৫ মধ্যে পুনঃ ১২/৪৭ গতে ২/৭ মধ্যে, কালরাত্রি ৬/২৭ গতে ৮/৬ মধ্যে। 
১৬ অগ্রহায়ণ ১৪২৬, ৩ ডিসেম্বর ২০১৯, মঙ্গলবার, সপ্তমী ৪২/৪৮/৩২ রাত্রি ১১/১৩/৪৯। ধনিষ্ঠা ২২/৪৯/২৩ দিবা ৩/১৪/৯, সূ উ ৬/৬/২৪, অ ৪/৪৭/৫২, অমৃতযোগ দিবা ৭/০ মধ্যে ও ৭/৪২ গতে ১১/১৩ মধ্যে এবং রাত্রি ৭/৩২ গতে ৮/২৬ মধ্যে ও ৯/২০ গতে ১২/১ মধ্যে ও ১/৪৯ গতে ৩/৩৬ মধ্যে ও ৫/২৪ গতে ৬/৭ মধ্যে, কালবেলা ১২/৪৭/১৯ গতে ২/৭/৩০ মধ্যে, কালরাত্রি ৬/২৭/৪১ গতে ৮/৭/৩০ মধ্যে। 
৫ রবিয়স সানি  

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
আজকের রাশিফল 
মেষ: দীর্ঘদিনের পরিশ্রমের সুফল আশা করতে পারেন। বৃষ: বন্ধুস্থানীয় কোনও ব্যক্তির সাহায্যে ...বিশদ

07:11:04 PM

ইতিহাসে আজকের দিনে 
বিশ্ব প্রতিবন্ধী দিবস১৮৮২: চিত্রশিল্পী নন্দলাল বসুর জন্ম১৮৮৯: বিপ্লবী ক্ষুদিরাম বসুর ...বিশদ

07:03:20 PM

শহরে এটিএম জালিয়াতি, আরও ১৪টি অভিযোগ দায়ের 
যাদবপুরের পর এবার চারু মার্কেট থানা এলাকা। শহরে ফের জাঁকিয়ে ...বিশদ

05:13:00 PM

বাংলায় এনআরসি হবে না, ধর্মের ভিত্তিতে ভাগাভাগি করা যাবে না: মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় 

04:06:10 PM

বুলবুল: রাজ্যকে আর্থিক সাহায্য পাঠাল কেন্দ্র
বুলবুল-এ ক্ষতিগ্রস্ত রাজ্য হিসাবে পশ্চিমবঙ্গকে আর্থিক সাহায্য পাঠাল কেন্দ্র। রাজ্যকে ...বিশদ

03:42:00 PM

আগামী ২ দিন বসবে না বিধানসভা অধিবেশন
রাজভবনে আটকে রয়েছে বিল । সেখান থেকে বিল না আসায় ...বিশদ

03:36:00 PM