Bartaman Patrika
গল্পের পাতা
 

ছায়া আছে কায়া নেই
অপূর্ব চট্টোপাধ্যায়

৩৩
ইছামতী নদীতে সাঁতার কাটতে তিনি বড়ই ভালোবাসতেন। বলতেন, ইছামতী আমাকে উজাড় করে অনেক কিছু দিয়েছে। কিন্তু সেই ইছামতীর কাছ থেকেই তিনি পেলেন প্রবল আঘাত। ওই নদীর কোলে চিরতরে হারিয়ে গেলেন তাঁর ছোট বোন, তাঁর জীবনের অন্যতম সেরা বন্ধন জাহ্নবী, যাঁকে তিনি আদর করে জাফরি নামে ডাকতেন।
তিনি তখন কলকাতার মেসে থাকেন। ভগ্নীপতি পঞ্চানন চট্টোপাধ্যায়ের অকাল মৃত্যুর পর বোন জাহ্নবীর জীবনটা শ্বশুরবাড়ির লোকজনের কৃপায় হয়ে উঠেছিল দুর্বিষহ। বোনের এই নিদারুণ যাতনা বিভূতিভূষণ সহ্য করতে পারতেন না। তিনি বোনকে বললেন, আর কত লাঞ্ছনা তুই মুখ বুঝে সহ্য করবি। তুই চল আমার সঙ্গে। পিতৃসম বড়দাদার অনুরোধে পুত্র ও কন্যাকে সঙ্গে নিয়ে জাহ্নবীদেবী চলে এলেন বড়ভাইয়ের আশ্রয়ে। বিভূতিভূষণ বনগাঁ ডাকবাংলোর পাশে বারো টাকা দিয়ে দু’কামরার একটা ঘর ভাড়া নিলেন। জমে উঠল ভাই-বোনের সংসার।
কিন্তু সুখ দীর্ঘস্থায়ী নয়। পঞ্চাননবাবু মারা যাওয়ার আগে জাহ্নবীদেবী এক কন্যা সন্তানের মাতা হন। কিন্তু পিতার অকাল মৃত্যুর দায় বহন করতে হয়েছিল সদ্যোজাত সেই কন্যা সন্তানকে। তাকে চট পেতে শুইয়ে রাখা হতো বাড়ির বাইরের নারকেল গাছের তলায়। স্বভাব কবি বিভূতিভূষণকে নাড়িয়ে দিয়েছিল এই দৃশ্য। তিনি তাঁর দিনলিপির পাতায় নিজের অশ্রুজল দিয়ে লিখলেন সেই কাহিনী, ‘ও আপন মনে হাসত— কিন্তু সবাই বলত আহা কি হাসি, আর হাসতে হবে না, কে তোমার হাসি দেখচে? ওর অপরাধ ও জন্মাবার পর ওর বাবা মারা গেল। সত্যি ওর হাসি কেউ চাইতো না। ওর বাবা তো মারা গেল, ওর মার সংকটাপন্ন অসুখ হল— ওকে কেউ দেখত না। ওর খুড়িমা বললে, টাকা পাই তো ওকে মাইয়ের দুধ দিই। ওকে নারকেল তলায় চট পেতে শুইয়ে রাখত উঠানে— আমার কষ্ট হতো— কিন্তু আমি কি করব? আমি তো আর স্তন্যদুগ্ধ দিতে পারিনে। আনওয়ানটেড স্মাইল। কিন্তু সে হাসি কোথায় অদৃশ্য হয়ে গিয়েছে গত মঙ্গলবার থেকে— খয়রামারির মাঠে ওর বালিশটা পড়ে আছে সেদিন দেখেছি। এছাড়া আর কোন চিহ্ন কোথাও রেখে যায়নি ও। পুওর লিটল মাইট। কিন্তু আমি বলি এ হাসি শাশ্বত।’
ইছামতীর কোলে জাফরি চিরআশ্রয় নিলেও এরপর বনগাঁ বিভূতিভূষণকে দিল দুহাত ভরে। সার্কেল ইনস্পেকটর হয়ে এই শহরে এলেন ষোড়শীকান্ত চট্টোপাধ্যায়। আর এই মানুষটির পরিবারের ভালোবাসাব বন্ধনে এবার আবদ্ধ হবেন স্বয়ং বন্দ্যোপাধ্যায় মহাশয়।
‘পথের পাঁচালী’ ততদিনে লিখে ফেলেছেন বিভূতিভূষণ। আর সেই লেখা পাঠকের মনে তুলেছে প্রবল আলোড়ন এবং সেই লেখা পড়ে আপ্লুত হয়েছিলেন তন্ত্রসাধক ষোড়শীকান্তের মেজ কন্যা কল্যাণীদেবী। আদর করে তাঁর পিতা তাঁকে রমা নামে ডাকতেন। অপু-দুর্গা-সর্বজয়া-ইন্দির ঠাকুরণ-হরিহরের স্রষ্টা তাঁদের বাড়ির এত কাছে থাকেন শুনে তিনি প্রায় লাফিয়ে উঠলেন।
খবরটা তাঁকে দিয়েছিলেন তাঁর পিসিমা নির্মলা দেবী। তিনি দুঃখ করে বলেছিলেন, ইস, মা-টা চলে গেল ইছামতীর বুকে। কী খারাপ খবর। এখন ওই ছোট ছোট দুটো শিশুকে ওই চালচুলোহীন মানুষটা একলা কী করে সামলাবেন!
কল্যাণী দেবী পিসির কথা শুনে ভেবেছিলেন মানুষটি বোধহয় সংসার বৈরাগী সন্ন্যাসী গোছের কোনও লোক। তিনি পিসির কাছে জানতে চাইলেন, লোকটা কি সন্ন্যাসী?
পিসি বললেন, সন্ন্যাসী হতে যাবেন কেন! বহুদিন আগে তাঁর স্ত্রী গত হয়েছেন। জীবনের অন্যতম বন্ধন ছোটবোনটিও চলে গেল! বউ নেই তো, তাই তাঁর সংসারও নেই!
কল্যাণী দেবী বললেন, তুমি তাঁকে চেনো?
পিসি বললেন, আমি কেন, তুইও চিনিস। কত গল্প, নভেল তিনি লিখেছেন। এই তো কদিন আগেই তুই তাঁর লেখা পথের পাঁচালী পড়ছিলিস।
কল্যাণী দেবী বললেন, তাই, বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়! তুমি আমাকে তাঁর কাছে নিয়ে যাবে!
পিসি বললেন, নিয়ে যাব, তবে মানুষটাকে একটু সামলাতে দে। শোকটা একটু কমুক। তারপর নিয়ে যাব তোকে। কল্যাণী দেবীও তখন অল্পবিস্তর সাহিত্য চর্চা করেন। তিনি পিসিকে চেপে ধরলেন তাঁর স্বপ্নের লেখক বিভূতিভূষণকে সামনাসামনি দর্শন করার জন্য।
সেইসময় ঈশ্বরের অবিরাম কষাঘাতে জর্জরিত বিভূতিভূষণ। অসহায়, অনাথ দুই ভাগ্নে ও ভাগ্নীকে বুকে চেপে দিন কাটছে তাঁর প্রাণপ্রিয় বনগাঁ শহরে।
আর ঠিক সেই ক্ষণে তাঁর জীবনে এলেন ষোড়শীকান্তের মেজ কন্যা কল্যাণী চট্টোপাধ্যায়। সেদিন ছিল পাঁচই অগ্রহায়ণ। বিভূতিভূষণের বাড়ির দরজার কড়া নাড়লেন নির্মলা দেবী, সঙ্গে ষোলো বছরের ভাইঝি কল্যাণী।
দরজা খুলে দিল সদ্য মাতৃহারা সেই ছোট্ট মেয়েটি।
নির্মলা দেবী জানতে চাইলেন, বিভূতিভূষণবাবু বাড়িতে আছেন?
শোকে আচ্ছন্ন সেই মেয়েটি বলল, বড়মামা বাড়িতে আছেন, আমি ডেকে দিচ্ছি।
কিছুক্ষণের মধ্যে বিভূতিভূষণ ভেতরের ঘর থেকে বেরিয়ে এলেন।
নীরবতা ভঙ্গ করলেন নির্মলা দেবী। তিনি বললেন, আজ এইসময় আমাদের এখানে আসাটা বোধহয় ঠিক হয়নি। আমি আপনার মনের অবস্থার কথা জানি। কিন্তু আসতে বাধ্য হলাম আমার এই ভাইঝির জন্য। ও আপনার লেখার ভীষণ ভক্ত।
বিভূতিভূষণ খুব মৃদু স্বরে বললেন, ভালোই করেছেন আজ এসে। বনগাঁর পাট আমার চিরতরে চুকল বোধহয়! এদের দুজনকে পাঠিয়ে দেব ঘাটশিলায় আমার ভাইয়ের কাছে। তারপর আবার ভেসে পড়ব এই পৃথিবীর বুকে।
নির্মলা দেবী বললেন, সে কী! কেন? এই শহরকে আপনি কত ভালোবাসেন।
কিশলয় ঠাকুর তাঁর ‘কালের কবি’ গ্রন্থে লিখছেন, বিভূতিভূষণ বললেন, ঠিকই বলেছেন আপনি। এই বনগাঁ, বারাকপুরকে আমি যে কত ভালবাসি, সে কথা কেউ জানে না। কেউ নেই আমার বারাকপুরে। তবু ছিল জাহ্নবী, তখন চালকিতে, তার পরে এখানে। একমাত্র অবশিষ্ট বোন আমার, তাকেও হারালাম ওই ইছামতীতে।’
সময়ও বোধহয় তখন স্তব্ধ হয়ে শুনছেন বিভূতিভূষণের সেই আর্তনাদ। সেইসময় মামার কোল ঘেঁষে দাঁড়িয়ে আছে সদ্য মাতৃহারা দুই বালক-বালিকা।
এর বেশকিছু বছর বাদে ঘটল সেই অলৌকিক ঘটনাটি। কল্যাণী দেবীর সঙ্গে এবার বিবাহ হবে বিভূতিভূষণের। আবার নতুন করে সংসারের বন্ধনে আবদ্ধ হবেন তিনি। তবে তিনি পুনরায় বিবাহে রাজি ছিলেন না। তুলেছিলেন বয়সের অজুহাত। কল্যাণী দেবী ফুৎকারে উড়িয়ে দিয়েছিলেন হবু স্বামীর সেই ঠুনকো অজুহাত। তিনি সেদিন প্রণাম করেছিলেন তাঁর জীবনের প্রথম ভালোবাসাকে। আর বিভূতিভূষণ! বাড়ি ফিরেই বসেছিলেন প্ল্যানচেটে। এসেছিলেন তাঁর মা মৃণালিনী দেবী। বিবাহের অনুমতি চেয়েছিলেন মায়ের কাছ থেকে। মা সানন্দে অনুমতি দিলেন।
মায়ের অনুমতি পেয়ে আবার মাথায় টোপর পরলেন বিভূতিভূষণ। আর সেই মাসটাও ছিল অগ্রহায়ণ, তারিখটি ছিল সতেরো। কল্যাণী দেবীর সঙ্গে তাঁর প্রথম দেখা হয়েছিল এমনই এক অগ্রহায়ণ মাসে। (ক্রমশ)
ছবি: মিত্রা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সৌজন্যে
অলংকরণ: চন্দন পাল
27th  October, 2019
ভানু বন্দ্যোপাধ্যায় পর্ব * ১
সন্দীপ রায়চৌধুরী

উজ্জ্বল জ্যোতিষ্কের দ্যুতিতে ভাস্বর। এই লাইনটা বললে হয়তো এক রকম অপমানই করা হয় তাঁদের। কারণ অন্যের আলোয় আলোকিত হওয়ার প্রয়োজন এঁদের কারও কখনও হয়নি। এঁরা নিজেরাই এক একজন কিংবদন্তি।   বিশদ

01st  December, 2019
অথৈ সাগর
বারিদবরণ ঘোষ

আগামী বছর ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের দ্বিশতজন্মবর্ষ। তার প্রাক্কালে মাইলফলক দেখে ইংরেজি সংখ্যা শেখাই হোক বা বিধবা বিবাহ প্রচলনের জন্য তীব্র লড়াই— বিদ্যাসাগরের জীবনের এমনই নানা জানা-অজানা কাহিনী দিয়ে সাজানো এ ধারাবাহিকের ডালি। 
বিশদ

01st  December, 2019
ফেসবুকে বনলতা
শুচিস্মিতা দেব 

আমি তপেন বাগচি। পেশাহীন এবং নেশাহীন ছাপোষা মানুষ। পেশার অভাবে নেশা করার হিম্মত হয়নি কখনও। অভিজাত পাড়ায় ঠাকুরদার আমলের দোতলা বাড়িতে বিনা পয়সার বাসস্থান। বাবা ছিলেন ব্যারিস্টার ঠাকুরদার ল ফার্মের যোগ্য উত্তরাধিকারী।   বিশদ

01st  December, 2019
পুণ্য ভূমির পুণ্য ধুলোয়
মহাকালীর কালীমঠ
ষষ্ঠীপদ চট্টোপাধ্যায়  

পর্ব-৩৭

হিমালয়ের পবিত্র দেবস্থানগুলি বারে বারে পরিব্রজন করলেও গুপ্তকাশীর অদূরে কালীমঠে আর যাওয়াই হয় না। তাই সেবার গৌরীকুণ্ডের পথে ত্রিযুগীনায়ারণ হয়ে গুপ্তকাশীতে এসে রাত্রিবাস করলাম। 
বিশদ

24th  November, 2019
ছায়া আছে কায়া নেই
অপূর্ব চট্টোপাধ্যায়  

৩৭

ছিলেন বিজ্ঞানের ছাত্র, বিষয় ছিল রসায়ন। তিনি নিজের সম্পর্কে বলতেন, ‘আমি বিজ্ঞানের ছাত্র। আচারে-ব্যবহারে, ভ্রমণে-পর্যটনে, খাদ্যে-পানীয়ে কালাপাহাড় বলিয়া পরিচিত মহলে আমার অখ্যাতি আছে; তবু আজ অস্বীকার করিতে পারি না, অলৌকিক শ্রেণীর দুইটি ঘটনার আমি সাক্ষী হইয়া আছি। 
বিশদ

24th  November, 2019
বীরবল
তপন বন্দ্যোপাধ্যায়

 বাদশাহের মর্জিতেই তাকে নামানো হয়েছে লড়াইতে, কিন্তু তাকে কিছুতেই বাগ মানাতে পারছে না তার পিলবান। কিছুক্ষণের মধ্যেই সে প্রতিদ্বন্দ্বী হাতিকে ছেড়ে তাড়া করল এক জওয়ান লেড়কা দর্শককে, সেই লেড়কা দ্রুত পালিয়ে ঢুকে গেল আম-আদমির ভিড়ের মধ্যে। হাতিটা তখন দূর থেকে দেখছে বীরবরের লাল বেনিয়ান পরা চেহারাটা। বিশদ

17th  November, 2019
 বন্ধুত্ব
তপনকুমার দাস

দীনবন্ধুর যে ক’জন বন্ধু ছিল, তাদের সবাই প্রায় হারিয়ে গেছে। কলেজবেলার পর চাকরিবেলার শুরুতেই হারানোর পালা শুরু হতে হতে সংসারবেলায় পৌঁছে একেবারে ফেড আউট হয়ে গেছিল যাবতীয় বন্ধুত্ব। একে অপরকে ভুলে যেতে যেতে একসময় গল্পের উঠোনে গিয়ে দাঁড়িয়েছিল সব বন্ধুত্ব।
বিশদ

17th  November, 2019
পুণ্য ভূমির পুণ্য ধুলোয়
পুষ্করের সাবিত্রী মা
ষষ্ঠীপদ চট্টোপাধ্যায় 

পর্ব-৩৫

রাজস্থান ভ্রমণে এসে পুষ্কর তীর্থে স্নান করে ভারতের একমাত্র ব্রহ্মা মন্দিরে পুজো দিয়ে সাবিত্রী পাহাড়ে সাবিত্রী মাতাকে দর্শন করেন না এমন যাত্রী নেই বললেই চলে।
আজমির থেকে পুষ্করের দূরত্ব ১১ কিমি।  
বিশদ

10th  November, 2019
ছায়া আছে কায়া নেই
অপূর্ব চট্টোপাধ্যায়  

৩৫

ঔপন্যাসিক উপেন্দ্রনাথ গঙ্গোপাধ্যায়। ১৩৩৪ বঙ্গাব্দের আষাঢ় মাসে ‘বিচিত্রা’ পত্রিকা প্রতিষ্ঠার সঙ্গে সঙ্গে শুরু হল এক নতুন যুগের। জন্ম হল উপেন্দ্রনাথ গঙ্গোপাধ্যায় নামে এক স্বয়ংসম্পূর্ণ প্রতিষ্ঠানের। সম্পর্কে তিনি ছিলেন কথা সাহিত্যিক শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের মামা।   বিশদ

10th  November, 2019
সম্পর্ক
সম্পন্ন চৌধুরী 

রাত প্রায় বারোটা
মুষলধারে বৃষ্টি হয়েই চলেছে। থামার কোনও লক্ষণই যেন নেই। কিন্তু গরমটা কিছুতেই যেন কমছে না। মানে বৃষ্টিটা আরও হবে। গোটা বাড়িটাই প্রায় জলে ভরে গেছে। ঘরের ভিতরেও জল ঢুকবে ঢুকবে করছে। 
বিশদ

10th  November, 2019
পুণ্য ভূমির পুণ্য ধুলোয়
দেশনোকের করণীমাতা
ষষ্ঠীপদ চট্টোপাধ্যায়

পর্ব-৩৪

দেশনোকের করণীমাতার প্রসঙ্গে এবার আসা যাক। ইনি রাজস্থানের মরু অঞ্চলে রাজ পরিবারের আরাধ্যা দেবী। করণীমাতার মন্দির হচ্ছে পৃথিবীবিখ্যাত মন্দির, অসংখ্য ইঁদুরের জন্য এই মন্দির ‘চুহা মন্দির’ নামে প্রসিদ্ধ। সেবার রাজস্থান ভ্রমণের সময় মুলতানি ঘাঁটির কোলায়েতে গিয়েছিলাম কপিলমুনির মন্দির ও পবিত্র সরোবর দেখতে।  
বিশদ

03rd  November, 2019
ছায়া আছে কায়া নেই
অপূর্ব চট্টোপাধ্যায় 

৩৪

সংসার সুখের হয় রমণীর গুণে। জমে উঠল বন্দ্যোপাধ্যায় দম্পতির সুখের সংসার। আর সেই দৃশ্য দেখে বিধাতা বোধহয় একটু মুচকি হেসেছিলেন, হয়তো মনে মনে বলেছিলেন, বিভূতিভূষণ, সুখ নয় , তোমাকে আমি পৃথিবীতে পাঠিয়েছি সৃষ্টি করার জন্য, সুখভোগের অধিকারী তুমি নও!  
বিশদ

03rd  November, 2019
পরম্পরা
বিনতা রায়চৌধুরী 

প্রাণগোপাল সরকার জমিদার না হলেও গ্রামের একজন অত্যন্ত সম্পন্ন গৃহস্থ। বিঘের পর বিঘে জমিতে তাঁর ধান চাষ হয়। ধান-চালের ব্যবসায়ে প্রাণগোপাল সবদিক থেকেই সার্থক। তারসঙ্গে সে সৎ-ও। তাঁর অধীনস্থ কোনও কর্মচারীকে সে ঠকায় না।  
বিশদ

03rd  November, 2019
পুণ্য ভূমির পুণ্য ধুলোয়
সিদ্ধপীঠ রাজরপ্পা
ষষ্ঠীপদ চট্টোপাধ্যায়

 এবার ছিন্নমস্তা দেবীর কথা বলি। দশমহাবিদ্যার ভয়ঙ্করী রূপের প্রকাশ ছিন্নমস্তায়। এটি হল মহাদেবীর অন্তর্মুখী রূপ। এঁর স্বরূপ অনুধাবন করার শক্তি একমাত্র সাধকের পক্ষেই সম্ভব। ছিন্নশির হয়েও ইনি জীবিত থাকেন। চতুর্দিকে এঁর বসন। অর্থাৎ ইনি দিগবসনা। বিশদ

27th  October, 2019
একনজরে
নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র চালানোর খরচের ৯০ শতাংশ আগে কেন্দ্রীয় সরকার দিত। এখন দিচ্ছে ৪০ শতাংশ। ফলে রাজ্য সরকারকে দিতে হচ্ছে বাকি ৬০ শতাংশ টাকা। পরিস্থিতি এরকম হলেও রাজ্য সরকার অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রগুলি চালিয়ে যাবে বলে সোমবার বিধানসভায় জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী ...

 নয়াদিল্লি, ২ ডিসেম্বর (পিটিআই): কমিশন এজেন্টের কাছ থেকে ১০০ টাকা ঘুষ চাওয়ার অভিযোগের ভিত্তিতে ডাক বিভাগের সংশ্লিষ্ট অফিসারদের বিরুদ্ধে মামলা রুজু করল কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা সিবিআই। ঘটনাটি উত্তপ্রদেশের প্রতাপগড় জেলার কুন্দা সাব পোস্ট অফিসের। ...

 নয়াদিল্লি, ২ ডিসেম্বর (পিটিআই): পশ্চিম জর্ডনের খামারে একটি অস্থায়ী ধাতব বাড়িতে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় আট শিশু সহ ১৩ জন পাকিস্তানির মৃত্যু হয়েছে। গুরুতর জখম হয়েছে তিনজন। উদ্ধারকারীদের পক্ষে জানানো হয়েছে যে, এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ শোনার (পশ্চিম আম্মান থেকে ৫০ ...

সংবাদদাতা, বিষ্ণুপুর: কেন্দ্রীয় হারে মহার্ঘ্যভাতা, সংশোধিত বেতনক্রম চালু সহ মোট ৯ দফা দাবিতে পশ্চিমবঙ্গ প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির সদস্যরা সোমবার বাঁকুড়া জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শকের অফিসে অবস্থান ও প্রতীকী অনশন কর্মসূচি পালন করেন। এদিন সকাল ১০টা থেকে অফিসের সামনে শিক্ষকরা ধর্নায় বসেন। ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

দীর্ঘদিনের পরিশ্রমের সুফল আশা করতে পারেন। শেয়ার বা ফাটকায় চিন্তা করে বিনিয়োগ করুন। ব্যবসায় ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

বিশ্ব এইডস দিবস
১৯৪১: দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র আক্রমণে চূড়ান্ত অনুমোদন দিলেন জাপানের সম্রাট হিরোহিতো
১৯৫৪: সমাজকর্মী মেধা পাটেকরের জন্ম
১৯৬৩: ভারতের ১৬তম রাজ্য হিসাবে ঘোষিত হল নাগাল্যাণ্ড
১৯৬৫: প্রতিষ্ঠিত হল বর্ডার সিকিউরিটি ফোর্স (বিএসএফ)
১৯৭৪: স্বাধীনতা সংগ্রামী সুচেতা কৃপালিনীর মৃত্যু
১৯৮০: ক্রিকেটার মহম্মদ কাইফের জন্ম
১৯৯৭: বিহারের লক্ষ্মণপুর-বাথে অঞ্চলে ৬৩জন নিম্নবর্গীয়কে খুন করল রণবীর সেনা
১৯৯৯: গায়ক শান্তিদেব ঘোষের মৃত্যু

01st  December, 2019


ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৭০.৯৪ টাকা ৭২.৬৫ টাকা
পাউন্ড ৯১.০৫ টাকা ৯৪.৩৪ টাকা
ইউরো ৭৭.৬১ টাকা ৮০.৬১ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৩৮,৪৮০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৩৬,৫১০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৩৭,০৬০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৪৪,৪০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৪৪,৫০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

১৬ অগ্রহায়ণ ১৪২৬, ৩ ডিসেম্বর ২০১৯, মঙ্গলবার, সপ্তমী ৪২/৫৩ রাত্রি ১১/১৪। ধনিষ্ঠা ২০/২৯ দিবা ২/১৭। সূ উ ৬/৪/৫৩, অ ৪/৪৭/২৯, অমৃতযোগ দিবা ৬/৪৬ মধ্যে পুনঃ ৭/২৯ গতে ১১/৪ মধ্যে। রাত্রি ৭/২৭ গতে ৮/২০ মধ্যে পুনঃ ৯/১৩ গতে ১১/৫২ মধ্যে পুনঃ ১/৩৯ গতে ৩/২৫ মধ্যে পুনঃ ৫/৫২ গতে উদয়াবধি, বারবেলা ৭/২৫ গতে ৮/৪৫ মধ্যে পুনঃ ১২/৪৭ গতে ২/৭ মধ্যে, কালরাত্রি ৬/২৭ গতে ৮/৬ মধ্যে। 
১৬ অগ্রহায়ণ ১৪২৬, ৩ ডিসেম্বর ২০১৯, মঙ্গলবার, সপ্তমী ৪২/৪৮/৩২ রাত্রি ১১/১৩/৪৯। ধনিষ্ঠা ২২/৪৯/২৩ দিবা ৩/১৪/৯, সূ উ ৬/৬/২৪, অ ৪/৪৭/৫২, অমৃতযোগ দিবা ৭/০ মধ্যে ও ৭/৪২ গতে ১১/১৩ মধ্যে এবং রাত্রি ৭/৩২ গতে ৮/২৬ মধ্যে ও ৯/২০ গতে ১২/১ মধ্যে ও ১/৪৯ গতে ৩/৩৬ মধ্যে ও ৫/২৪ গতে ৬/৭ মধ্যে, কালবেলা ১২/৪৭/১৯ গতে ২/৭/৩০ মধ্যে, কালরাত্রি ৬/২৭/৪১ গতে ৮/৭/৩০ মধ্যে। 
৫ রবিয়স সানি  

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
আজকের রাশিফল 
মেষ: দীর্ঘদিনের পরিশ্রমের সুফল আশা করতে পারেন। বৃষ: বন্ধুস্থানীয় কোনও ব্যক্তির সাহায্যে ...বিশদ

07:11:04 PM

ইতিহাসে আজকের দিনে 
বিশ্ব প্রতিবন্ধী দিবস১৮৮২: চিত্রশিল্পী নন্দলাল বসুর জন্ম১৮৮৯: বিপ্লবী ক্ষুদিরাম বসুর ...বিশদ

07:03:20 PM

শহরে এটিএম জালিয়াতি, আরও ১৪টি অভিযোগ দায়ের 
যাদবপুরের পর এবার চারু মার্কেট থানা এলাকা। শহরে ফের জাঁকিয়ে ...বিশদ

05:13:00 PM

বাংলায় এনআরসি হবে না, ধর্মের ভিত্তিতে ভাগাভাগি করা যাবে না: মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় 

04:06:10 PM

বুলবুল: রাজ্যকে আর্থিক সাহায্য পাঠাল কেন্দ্র
বুলবুল-এ ক্ষতিগ্রস্ত রাজ্য হিসাবে পশ্চিমবঙ্গকে আর্থিক সাহায্য পাঠাল কেন্দ্র। রাজ্যকে ...বিশদ

03:42:00 PM

আগামী ২ দিন বসবে না বিধানসভা অধিবেশন
রাজভবনে আটকে রয়েছে বিল । সেখান থেকে বিল না আসায় ...বিশদ

03:36:00 PM