উচ্চবিদ্যার ক্ষেত্রে বাধার মধ্য দিয়ে অগ্রসর হতে হবে। উচ্চতর বিদ্যার ক্ষেত্রে শুভ ফল পাবে। কর্মপ্রার্থীদের ... বিশদ
ধান-চালের ব্যবসায়ে প্রাণগোপাল সবদিক থেকেই সার্থক। তারসঙ্গে সে সৎ-ও। তাঁর অধীনস্থ কোনও কর্মচারীকে সে ঠকায় না। তারাও তাদের মালিককে গণ্যমান্য করে।
প্রাণগোপাল পাঠশালায় বেশ অনেকটাই পড়াশোনা করেছিল। ইচ্ছে হলে সে জেলা স্কুলে গিয়ে একটা পাশ দিয়েই আসতে পারত। কিন্তু ব্যবসায়ে এমনভাবে জুড়ে গেল যে সরস্বতীর দায়টা তার আর মেটানো হল না। কিন্তু বিয়ে করল সে মাধ্যমিক পাশ ভবতারিণীকে। কেউ কেউ বলে মাধ্যমিক পাশ নয়, ভবতারিণী মাধ্যমিক ফেল। তাতে কিছু আসে যায় না প্রাণগোপালের। স্কুলের শেষ গণ্ডি অবধি পড়াশোনা করেছে ভব, এতেই সে খুশি।
কস্তাপেড়ে শাড়ি কুচিয়ে পরে মাথায় ঘোমটা দিয়ে ভবতারিণী যখন স্বামীর ব্যবসা দেখাশোনা করে, ধান-চালের হিসেব রাখে, চালকলের কাজকর্ম পরিদর্শন করে আর নিখুঁত খাতা-পত্র তৈরি রাখে, তখন স্ত্রীর জন্য প্রাণগোপালের বুক গর্বে ভরে ওঠে।
এই গর্ব তাঁর আরও বাড়ল ওদের একমাত্র মেয়ে পাখি বড় হয়ে উঠলে। ছেলে হয়নি বলে স্বামী-স্ত্রীর কোনও আক্ষেপ নেই। মেয়ে তাদের বড় আদরের। ছোটবেলায় পাখি মায়ের কাছেই পড়াশোনা করত। মেয়েকে মায়ের এই পড়ানোটা প্রাণগোপাল খুব সম্মানের চোখে দেখত। উপভোগও করত। এ কী কম কথা হল!
মেয়েকে পড়াশোনা শিখিয়ে মানুষ করে তোলাই ওদের সাধ ও স্বপ্ন, দুই-ই। যথাসময়ে পাখি উচ্চমাধ্যমিক শেষ করে ফেলল। এরপর সে কলকাতায় যাবে কলেজে পড়তে। যাবে জানা কথা। যেতে দিতেই হবে।
গ্রাম ছেড়ে কলকাতায় পড়তে যাবে বলে বাবা-মায়ের দুশ্চিন্তা যে নেই তা নয়। তবে আশার কথা, প্রাণগোপালের বাল্যবন্ধু নিত্যানন্দর ছেলে পলাশের সঙ্গে পাখির বিয়ের সম্বন্ধ করা আছে। পলাশ দু’বছর আগেই কলকাতায় পড়তে চলে গেছে। পাখি আর পলাশের মধ্যে বন্ধুত্বও আছে। তাই পাখির কলকাতাকে একেবারে অজানা অচেনা মনে হবে না। যে কোনও দরকারে পাখির দেখাশোনা করতে পারবে পলাশ। পাখির জন্য বাবা-মায়ের বিচ্ছেদ বেদনা যতই হোক, এই ভরসাটুকু আছে।
দুই
পাখি আর পলাশ পড়াশোনা করে ভালো রেজাল্ট করেছে। ধুমধাম করে ওদের বিয়েও দিয়েছে প্রাণগোপাল আর নিত্যানন্দ।
পাখি আর পলাশ বিয়ের পর কলকাতাতেই সেট্ল করেছে। খুবই স্বাভাবিক সেটা। দু’জনেই কলকাতায় চাকরি করে।
পাখিদের একমাত্র মেয়ে প্রিয়াঙ্কা।
কলকাতার নামী একটি ইংলিশ মিডিয়াম স্কুলে পড়ে।
সে স্মার্ট, সুন্দরী আবার মরমিও বটে।
পলাশ আর পাখি বছরে একবার অবশ্যই গ্রামে যায়। তারা তাদের শিকড় ভোলেনি। পাখির বাবা-মা, প্রাণগোপাল আর ভবতারিণী খুব খুশি হয় মেয়ে-জামাইকে কাছে পেয়ে। প্রিয়াঙ্কাও বাবা-মায়ের সঙ্গে গ্রামের বাড়ি যায়। দাদু-দিদিমাকে শ্রদ্ধা করে, ভালোবাসে।
ভবতারিণী বলে, ‘খুব ভালো শিক্ষা দিয়েছে পাখি মেয়েকে। পলাশও।’
পলাশের বাড়িও থাকে পাখি মেয়েকে নিয়ে। নিত্যানন্দ মারা গেছেন কিন্তু পলাশের মা বেঁচে আছেন। প্রিয়াঙ্কা ঠাকুমাকেও খুব ভালোবাসে।
পাখি আর পলাশ মাকে বার বার অনুরোধ করে, ‘আমাদের সঙ্গে কলকাতায় চলো মা।’ প্রিয়াঙ্কাও বাবা-মাকে সমর্থন করে, ‘চলো না, ঠাকুমা। বেশ হবে।’ নাতনির চিবুক ধরে আদর করে ঠাকুমা বলে, ‘তোমরা যে আমাকে নিয়ে যেতে চাইলে, এতেই আমার যাওয়া হয়ে গেল দিদিভাই।’
পলাশের মা কিন্তু একবারও অনুযোগ করে ওদের গ্রামে গিয়ে থাকতে বলে না। উল্টে বলে, ‘হ্যাঁ, আমি তোদের সঙ্গে কলকাতা চলে গেলে তোরা কি আর এখানে আসবি? মাটির টান চলে যাবে। প্রিয়াঙ্কা এখানে এসে কত আনন্দ করে। কী ভালো যে লাগে আমার। ঠাকুরদা-ঠাকুমার বাড়ি, স্বাদই আলাদা।’
প্রিয়াঙ্কা কম্পিটিটিভ পরীক্ষায় পাশ করে এমবিএ করার চান্স পেয়ে গেল ব্যাঙ্গালোরে। খুব ভালো কলেজ। প্রিয়াঙ্কা খুব খুশি।
পাখির মুখ শুকিয়ে এতটুকু। প্রিয়াকে ছেড়ে কী করে থাকবে সে? পলাশেরও মন খারাপ হচ্ছে কিন্তু সে পুরুষমানুষ। সহজেই আবেগ সংযত করতে জানে। কিন্তু পাখির বড্ড বেশি চোখে জল আসছে।
একবার বলেই ফেলল মেয়েকে, ‘কলকাতাতেও কত ভালো ভালো কলেজ আছে।’
‘হয়তো আছে। অস্বীকার করছি না। কিন্তু আমি যেখানে চান্স পেয়েছি, খুব কম ছাত্র-ছাত্রীই পায় মা। সেই সুযোগটা আমি হারাব?’
‘না-না, তা হয় নাকি?’ চোখের জল মুছে ফেলল পাখি।
নিজের মায়ের কথা ভাবছিল পাখি।
সে যখন বুক ভর্তি ফানুস নিয়ে কলকাতা যাত্রা করেছিল তখন মায়ের মনে কী হয়েছিল আজ বুঝতে পারছে। তবে গ্রামে তো কোনও উপায় ছিল না। উচ্চশিক্ষার জন্য পাখি-পলাশের কলকাতায় না গেলে চলতই না। তবু, মায়ের মনের ভাষা তো একই হয়, তাই না? ওর জন্যই বাড়িতে ফোন আনা হয়েছিল। মা সেই ফোনের পাশে চুপটি করে বসে থাকত, কখন পাখি সময় পাবে।
আজ আর ইচ্ছে হলেও বাবা-মায়ের কাছে গিয়ে থাকতে পারবে না। দু’জনেই পৃথিবীর মায়া কাটিয়ে চলে গেছেন। পলাশের মা যতদিন বেঁচে ছিল তবু ততদিন গ্রামের সঙ্গে যোগাযোগটা ছিল। তারপর ওদের জমি-বাড়ি, চালকল-ব্যবসাপত্র গুটিয়ে নিয়েছে ওরা। আর যায় না গ্রামে। সম্ভবও না।
তিন
গ্রামে নয়। ওরা এখন সুযোগ পেলে ব্যাঙ্গালোরে যায়।
প্রিয়াঙ্কাও ছুটি পেলে কলকাতায় আসে।
তাছাড়া এখন তো ফোনে ট্রাঙ্কল বুক করে বসে থাকতে হয় না। ফোনে কথা বলা খুব সহজ হয়ে গেছে। এসে গেছে মুঠোফোনও। তারও ব্যবস্থা করে নিয়েছে পাখি-পলাশ। মেয়েকেও কিনে দিয়েছে। যত খুশি কথা বলা যায়। তবে সময় বের করতে হবে।
প্রিয়াঙ্কা কলেজের পড়াশোনা নিয়ে খুব ব্যস্ত থাকে। দারুণ মেধাবী মেয়ে সে। নিজেকে প্রমাণ করার জন্য উঠেপড়ে লেগেছে। করেও ফেলল। খুব ভালো রেজাল্ট হল ওর।
পাখিরা সঙ্গে সঙ্গে বলে ফেলল, ‘আমরা আসছি তোর কাছে।’ ‘না, তোমরা এসো না। আমি যাচ্ছি তোমাদের কাছে। এখন তো ছুটি পড়ে যাচ্ছে।’
প্রিয়াঙ্কা এবার কলকাতায় এসে ওর বয়ফ্রেন্ড সুব্রতর সঙ্গে আলাপ করিয়ে দিল। খুব ভালো ছেলে সুব্রত। বেশ পছন্দ হল পলাশদের। ওরা দু’জনেই চাকরির চেষ্টা করছে। আর পেয়েও গেল। পুনার একটা বড় কোম্পানিতে চান্স পেয়েছে দু’জনেই।
‘কত ভাগ্য বল মা, আমরা এক জায়গাতেই চাকরি পেয়ে গেলাম। নইলে আমি এক জায়গায়, ও অন্য জায়গায়। আবার ট্রান্সফারের ঝামেলা।’
‘দু’জনেই যদি কলকাতায় চাকরি পেতিস?’ খুব হাসতে হাসতে বলল পাখি। সুব্রতও হেসে উঠল, ‘কলকাতায়? কোনও ওয়ার্ক-কালচার নেই।’
পলাশ ঘাড় নাড়ল, ‘হয়তো ঠিকই বলেছ তোমরা। আসলে মায়ের মন তো!’
কথা আর এগল না। হাসির কথা হাসিতেই শেষ হয়ে গেল।
শুভদিনে প্রিয়াঙ্কা-সুব্রতর বিয়ে হয়ে গেল। পুনায় ওরা গুছিয়ে সংসার পেতে বসল। চাকরি আর সংসার ছেড়ে বেরতেই পারে না। খুব ব্যস্ত ওরা। বাবা-মাকে মিস করে প্রিয়াঙ্কা। পুনায় নিয়ে যেতে চায় বাবা-মাকে। পলাশরা রাজি হয় না।
পাখি বলে, ‘ওভাবে মাটি উপড়ে কি যাওয়া যায়? তোরা সময় পেলে আসিস।’
চার
প্রিয়াঙ্কা আর সুব্রতর একটিমাত্র ছেলে। ওরা তার নাম রেখেছে সৌরভ। ছোট থেকেই সৌরভ মহাওস্তাদ। সৌরভ তার আশপাশকে একেবারে দারুণ সুরভিত করে রেখেছে। এমন এক-একটা কাণ্ড ঘটায় সে, সবাই চমকে যায়। সৌরভকে নিয়ে বাবা-মায়ের গর্বের শেষ নেই।
সুব্রতকে প্রিয়াঙ্কা একদিন বলল, ‘দেখো, এই ছেলে আমাদের ছাড়িয়ে যাবে। বংশের মুখ উজ্জ্বল করবে ও।’
সুব্রতও বিশ্বাস করে, সৌরভ সত্যিই ট্যালেন্টেড। ও জেনেই গেছে, সৌরভ সকলের মাথা ঘুরিয়ে দেওয়ার মতো কাজ করবে।
অন্য কাউকে নয়, প্রথমেই বাবা-মায়ের মাথা ঘুরিয়ে দিল সৌরভ।
আমেরিকায় সবচেয়ে বিখ্যাত ইউনিভার্সিটি থেকে ও স্কলারশিপ পেয়েছে। প্রিয়াঙ্কা অবাক হয়ে বলল, ‘এখনও তো তুই স্কুলের গণ্ডি ছাড়াসনি। এখনই বাইরে পড়তে যাবি নাকি?’
—‘এমন কথা কোথায় লেখা আছে যে স্কুলের গণ্ডি না ছাড়ালে পড়াশোনার আরও বড় বৃত্তে পৌঁছনো যাবে না?’
—‘সেটা আলাদা কথা। এখন তুই অনেক ছোট সৌরভ, এখনই আমি তোকে বিদেশ যেতে দেব না।’
—‘যেতে দেওয়া বা না দেওয়ার কী আছে? আমার তো ডাক এসে গেছে।’
—‘আসুকগে ডাক। এত অল্প বয়সে বাবা-মাকে ছেড়ে কেউ বিদেশ যায় না।’
যায় না মানে? দিব্যি চলে গেল সৌরভ।
ওকে যে ছোট ছেলেটি বলা যাবে না, সেটা সে কাজেই প্রমাণ করে দিল। প্রিয়াঙ্কা কিছুতেই খুশি মনে মেনে নিতে পারল না ছেলের এই লাফ দিয়ে মগডালে চড়ে বসার প্রক্রিয়াটা। সুব্রতর মনে বড্ড লাগল। বাবা-মায়ের এত বড় চাকরি, পজিশন সৌরভ যেন কেয়ারই করল না!
‘মেয়েরা বিয়ের পর শ্বশুরবাড়ি চলে যায় জানি। সেটা চেনাজানা বিচ্ছেদ। কিন্তু ছেলেটা এভাবে চলে গেল?’ সুব্রতর এই আপশোসের আগে একবার ভাবা উচিত ছিল যে ভবিষ্যতের হাতছানি আর জীবনের কলরবকে মেনে নিয়ে নিজেও কত সহজে বাড়ি ছেড়েছিল।
প্রিয়াঙ্কার গলায় ভরা অভিমান, ‘আমি কিন্তু এত তাড়াতাড়ি বাড়ি ছাড়িনি। বাবা-মায়ের কাছে থেকেই পড়াশোনা অনেকটাই করে নিয়েছিলাম।’
সুব্রত ওর সাজানো-গোছানো বাড়িটা দেখে।
প্রিয়াঙ্কা শখ করে অনেক খরচ করে বাড়িটাকে ফার্নিশড করেছিল। ক’টা দিনই বা ছেলে থাকল এ বাড়িতে? অজস্র খরচ করেছিল ছেলের জন্যও। কোথাও কোনও কার্পণ্য করেনি। সবকিছু এক ফুঁয়ে ভুলে গেল সৌরভ।
নিজের নিজের মতো করে সুব্রত আর প্রিয়াঙ্কা ভাবনা-চিন্তা করে। কলকাতার বাড়ির কথাও ভাবে। অনেকদিন কলকাতা যাওয়া হয়নি মনে পড়ে।
সুব্রতর কলকাতায় তেমন পিছুটান নেই। কিন্তু প্রিয়াঙ্কার তো আছে। দু’জনেই পরিকল্পনা করে কলকাতায় গেল এবার।
পাখি আর পলাশ খুব খুশি হল।
দু’জনেই রিটায়ার করেছে। কতদিন পর এল মেয়ে-জামাই।
সৌরভের কথা আগেই শুনেছে ওরা। পাখি মেয়েকে বোঝানোর চেষ্টা করল,
‘আসলে অঙ্কটা বোধহয় সর্বত্রই এক। তুই যখন ব্যাঙ্গালোর...।’
—‘এক? ব্যাঙ্গালোর যাওয়া আর আমেরিকা যাওয়া এক হল? স্বদেশ-বিদেশ তফাত নেই?’
‘না রে, আসলে কোনও তফাৎ নেই,’ পাখি বলল। সুব্রতর একান্তে বউকে বুঝিয়ে বলেছে, ‘তোমার মা বোধহয় ঠিকই বলেছেন। আসলে কোনও তফাত নেই। দুনিয়া দ্রুত পাল্টাচ্ছে। ভেবে দেখো, বাড়ি গিয়ে আমরা চাইলে স্কাইপে সৌরভের সঙ্গে কথা বলতে পারব, দেখতে পারব। এইটুকুর জন্য নিজের ভাগ্যকে ধন্যবাদ দাও। আমাদের বাবা-মায়ের এ সুযোগ ছিল না। ওদের মতো বিচ্ছেদ যন্ত্রণা আমাদের সহ্য করতে হবে না। ওরা অনেক বেশি স্যাক্রিফাইস করেছিল। কিন্তু কষ্টর কথা মুখে কখনও প্রকাশ করেনি।
পাঁচ
সৌরভ আমেরিকায় নিজের পায়ে দাঁড়িয়ে গেছে।
বাবা-মাকে অনেকবার ডেকেছে। ওরা বলেছে, ‘পরে যাব।’
সৌরভ ভালোবেসে অ্যাঞ্জেলাকে বিয়ে করেছে।
বাবা-মাকে সৌরভ বলেছিল, ‘অ্যাঞ্জেলা কালো মেয়ে ঠিকই কিন্তু মনটা ওর সোনার মতো।’
দূর থেকেই বাবা-মা ওদের আশীর্বাদ করেছে। ছেলে সুখী হলেই ওরা সুখী। কালো বা সাদা বউ নিয়ে তারা একটুও মাথা ঘামায়নি।
সোনার মনের মেয়ে অ্যাঞ্জেলার সঙ্গে সৌরভের বিবাহ বিচ্ছেদ হয়ে গেছে।
ওদের মেয়ে জেনি দু’জনের সঙ্গেই সম্পর্ক রেখেছে। কেউই তার বেশি কিংবা কম প্রিয় নয়। জেনি এখন আমেরিকায় এয়ারো ফিজিক্স নিয়ে পড়ছে। তার জীবনের লক্ষ্য নাসা। বাবাকে সে জানিয়ে দিয়েছে, মহাকাশ অভিযানে যাবে সে একদিন। যাবেই যাবে। তার জন্য নিজেকে তৈরি করবে।
সৌরভ মেয়েকে বোঝানোর চেষ্টা করেছে, ‘এতে জীবনের ঝুঁকি আছে। এটা ঠিক নয়।’ জেনি বাবার এসব কথা শুনতে চাইছে না। তার সোজা কথা, ‘ঝুঁকি না নিলে আমি উড়ব কী করে? ওড়াই আমার জীবনের স্বপ্ন।’
আসলে সবাই উড়তে চায়। যার যার মতো করে।
অলংকরণ : সুব্রত মাজী