Bartaman Patrika
গল্পের পাতা
 

ছায়া আছে কায়া নেই
অপূর্ব চট্টোপাধ্যায়

৩২
মানুষটিকে আজ আর আমাদের তেমনভাবে মনে নেই। আর যাঁদের মনে আছে, তাঁদের কাছে তিনি পরিচিত শুধুমাত্র কথাসাহিত্যিক বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের শ্বশুরমশাই হিসেবে। তাঁর নামটি ছিল ভারি সুন্দর— ষোড়শীকান্ত চট্টোপাধ্যায়। তাঁর কাছে গল্প শুনেই বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায় এঁকেছিলেন তারানাথ তান্ত্রিকের চরিত্রটি। তারানাথ ছিলেন একজন বিখ্যাত তন্ত্রসাধক। মুর্শিদাবাদের এক শ্মশানে এক তান্ত্রিক গুরুর কাছে নিয়েছিলেন তন্ত্রসাধনার দীক্ষা। হয়তো একাকী শ্মশানে তাঁকে বসতে হয়েছিল শবসাধনায়। জাগিয়ে তুলেছিলেন সেই শবকে। গভীর নিশীথে ক্ষুধার্ত শব সাধকের কাছে বিকট চিৎকার করে আহার করতে চেয়েছিল। আর সাধক তারানাথ তাঁর করাল মুখগহ্বরে ঢেলে দিয়েছিলেন সঙ্গে আনা কারণের বোতল থেকে এক ঢোঁক কারণ এবং একমুঠো ছোলা ও চাল ভাজা। তারপর ঘটেছে নানা ভয়ঙ্কর ঘটনা, অবশেষে এসেছে সেই অলৌকিক ক্ষণটি। সন্তানের সাধনায় তুষ্ট হয়ে জগৎজননী সন্তান সাধককে দর্শন দিয়ে ধন্য করেছেন।
আর সেইজন্যই হয়তো পরলোকতত্ত্বে ষোড়শীকান্তের ছিল অসম্ভব বিশ্বাস। আর জামাতা বিভূতিভূষণের ছিল দেহ ও দেহান্তরিত আত্মা সম্পর্কে প্রবল জিজ্ঞাসা। শেষপর্যন্ত এই একটি কারণেই দুই অসমবয়সি মানুষ একজায়গায় এসে একত্রিত হলেন। গড়ে উঠল সুন্দর এক পারিবারিক সম্পর্ক। এরপর আর কোনও ‘কিন্তু’ বা ‘বাধা’ রইল না।
কিন্তু বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায় তো তান্ত্রিক ছিলেন না! তাহলে তিনি কেন আকৃষ্ট হলেন এই অলৌকিক জগতের প্রতি! দেহ ও দেহান্তরিত আত্মা সম্পর্কে তাঁর জিজ্ঞাসা কেন এত প্রবল হয়ে উঠেছিল! এইসব প্রশ্নের উত্তর জানার জন্য আমাদের একবার কিছুক্ষণের জন্য ফিরতে হবে আরও একটু অতীতে— রিপন কলেজের (অধুনা যে কলেজটি সুরেন্দ্রনাথ কলেজ নামে পরিচিত) সেইসব দিনগুলিতে। বিভূতিভূষণ তখন কলেজের চতুর্থ বর্ষের ছাত্র। তাঁর সঙ্গে হঠাৎই বিয়ে হল বসিরহাট মহকুমার পানিতর গ্রামের জমিদার ও মোক্তার কালীভূষণ মুখোপাধ্যায়ের দ্বিতীয়া কন্যা গৌরীদেবীর। দিনটি ছিল বত্রিশে শ্রাবণ, তেরশো চব্বিশ সন, ইংরেজি উনিশশো সতেরো সাল।
এই দাম্পত্য জীবন কিন্তু মোটেই দীর্ঘস্থায়ী হয়নি। ঠিক ষোলো মাসের মাথায় পুজোর পর পরই একই দিনে আগে মা কামিনী দেবী এবং তার কিছুক্ষণ পরেই চলে গেলেন মেয়ে গৌরী দেবী। মহামারীর আকারে সেবার বাংলায় প্রবেশ করেছিল ইনফ্লুয়েঞ্জার মতো এক জ্বর। সেই জ্বরে কিছুক্ষণের তফাতে একই পরিবার থেকে অকালে ঝরে গেল দুটি প্রাণ।
শ্বশুরবাড়ি পানিতর থেকে শ্বশুরমশাই কালীভূষণ মেয়ের অসুস্থতার খবর দিয়ে লোক পাঠিয়েছিলেন জামাইয়ের কাছে। খবর পেয়ে বিভূতিভূষণও রওনা হয়েছিলেন পানিতরের পথে। কিন্তু সেখানে পৌঁছে দেখলেন মৃতা মায়ের কোলের কাছে চিরঘুমে ঘুমিয়ে আছেন তাঁর কিশোরী বধূ গৌরীও, পরণে রয়েছে পুজোর আগে তাঁরই দেওয়া আটপৌরে শাড়িটি। বিভূতিভূষণের মাথায় আকাশ ভেঙে পড়ল। তিনি ক্রমশ ডুবতে শুরু করলেন শোকের অতল গহ্বরে। পড়াশোনা মাথায় উঠল। দিন-রাত তিনি ঘুরে বেড়ান পথে পথে। এমনই এক দিনে তিনি খবর পেলেন তাঁর ছোট বোন মণিও সন্তান প্রসব করতে গিয়ে মারা গিয়েছেন। আঘাতের পর আঘাত। শোকে বিদীর্ণ হয়ে গেলেন বিভূতিভূষণ।
এমনই কঠোর কঠিন সময়ে তাঁর সঙ্গে দেখা হল এক সাধকের। বিভূতিভূষণ সেদিন উদভ্রান্তের মতো টালিগঞ্জের খালটা পার হয়ে হেঁটে চলেছেন পুঁটিয়ারির দিকে। হঠাৎই তিনি দেখতে পেলেন সেই জটাজুটধারী সৌম্য সন্ন্যাসীকে। থমকে দাঁড়িয়ে পড়লেন তিনি। মন হয়তো বলেছিল, যাও ওই সন্ন্যাসীকে প্রণাম করে তাঁর চরণে নিজেকে সমর্পণ কর, ওখানেই পেতে পার একটু শান্তি।
বিভূতিভূষণ মনের কথা শুনে সন্ন্যাসীকে প্রণাম করে তাঁর পায়ের সামনে বসে পড়লেন। সৌম্য সন্ন্যাসী তাঁকে আশীর্বাদ করে বললেন, বেটা, মনে বড় কষ্ট তাই না!
বিভূতিভূষণ মাথা নাড়লেন।
সন্ন্যাসী বললেন, তোর বউ ক’দিন আগেই তো মারা গিয়েছে। তাকে তোর খুব দেখতে ইচ্ছা করে! তাকে দেখবি?
বিভূতিভূষণ বললেন, বাবা, আমি কী তাকে সত্যি দেখতে পাব?
সন্ন্যাসী বললেন, গীতা পড়িসনি! স্বয়ং শ্রীকৃষ্ণ সেখানে বলেছেন আত্মা অবিনশ্বর।
বিভূতিভূষণ যেন হাতে চাঁদ পেলেন। তিনি বললেন, বাবা, আমার বউকে আমি দেখতে চাই। কিন্তু কীভাবে দেখব!
সন্ন্যাসী বললেন, কেন প্ল্যানচেটে।
পরপর কয়েকদিন সন্ন্যাসীর কাছে গিয়ে বিভূতিভূষণ শিখে নিলেন প্ল্যানচেটের গূঢ়তত্ত্ব।
তারপর শুরু হল তাঁর চক্রাধিবেশন। অনেকগুলো দিন নাওয়া-খাওয়া ভুলে তিনি মেতে রইলেন পরলোকে হারিয়ে যাওয়া তাঁর প্রিয়জনদের নিয়ে।
মানসিক দিক থেকে তখন অনেকটাই শান্ত বিভূতিভূষণ। একদিন তিনি সেই সন্ন্যাসীর খোঁজে আবার গেলেন পুঁটিয়ারি। কিন্তু কোথায় সেই সন্ন্যাসী। তাঁর শূন্য আস্তানায় খালি পড়ে আছে সন্ন্যাসীর অব্যবহৃত কিছু সামগ্রী। বিভূতিভূষণ আশেপাশে অনেকের কাছেই সেই সন্ন্যাসীর সন্ধান করলেন। অনেকেই বললেন, তিনি তীর্থ ভ্রমণে বেরিয়েছেন। নিজ আস্তানায় ফিরে এলেন হতাশ বিভূতিভূষণ। তারপর তাঁর আর বোধহয় সেই সন্ন্যাসীর সঙ্গে দেখা হয়নি । তিনি অশান্ত বিভূতিভূষণকে শান্ত করে বেরিয়ে পড়েছিলেন আরও কোনও অশান্ত মানুষের সন্ধানে। কারণ তাঁর হাতেই তো রয়েছে শান্তির বারিধারা।
কেন দেহ ও দেহান্তরিত আত্মা সম্পর্কে তাঁর জিজ্ঞাসা এত প্রবল হয়ে উঠেছিল সেই কারণটা আমরা জানতে পারলাম। তাহলে আবার আমরা ফিরে যাই অসমবয়সি দুই মানুষ ষোড়শীকান্ত ও বিভূতিভূষণের সেই আসরে।
মাননীয় কিশলয় ঠাকুর ‘পথের কবি’ গ্রন্থের একজায়গায় লিখছেন, ‘প্রেততত্ত্ব নিয়ে এক–একদিন গভীর রাত্রি পর্যন্ত আলোচনা। মাঝে মাঝে চক্রাধিবেশন। দুজনেই মেতে উঠলেন নতুন উৎসাহে। গড়গড়ার নল সমানে চাটুজ্যে-বাঁড়ুজ্যের হাতে হাতে ঘুরে আসর জমাটি।’
তখনও চাটুজ্যে-বাঁড়ুজ্যে কেউই কাউকে চিনতেন না। কিন্তু ললাটের লিখন বড়ই রহস্যময় । একসময় যাঁর অধীনে বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায় চাকরি করেছেন, সেই খেলাত ঘোষ এস্টেটের ভাগলপুর কাছারির সুপারিন্টেন্ডেন্ট ছিলেন ষোড়শীকান্তের শ্বশুরমশাই সারদাকান্ত চক্রবর্তী, আরণ্যকের সারদাকান্ত। অবসর সময়ে সারদাকান্ত বিভূতিভূষণকে শোনাতেন তাঁর কর্মজীবনের বিচিত্র অভিজ্ঞতার কথা। এই গল্প করতে করতে সারদাবাবু বিভূতিভূষণকে শুনিয়েছিলেন তাঁর তন্ত্রসাধক জামাতার জীবন ও তন্ত্রসাধনার কথা। গল্পশুনে খুব খুশি হয়েছিলেন বিভূতিতভূষণ। অচেনা, অদেখা সেই তন্ত্রসাধক মানুষটি সম্পর্কে তিনি আরও অনেক কথা জানতে চাইতেন চক্রবর্তীমশাইয়ের কাছে। সারদাকান্তও তাঁকে খুব স্নেহ করতেন। তাই অধীনস্থ হলেও তিনি মেনে নিতেন বিভূতিভূষণের সমস্ত আবদার। প্রায়ই শোনাতেন তাঁর জামাতার কাহিনী।
লেখক বিভূতিভূষণ বড় হয়েছেন প্রকৃতির কোলে, লিখতেন প্রকৃতির গন্ধ মাখা মিষ্টি লেখা। সেই অসামান্য কথাসাহিত্যিক একদিন হবু দাদা শ্বশুরের মুখে ভাবী শ্বশুরের কাহিনী শুনে ‘তারানাথ তান্ত্রিক’-কে নিয়ে লিখে ফেললেন দুটি গল্প। কিন্তু তারপর তাঁর কলম আর কখনও এই তান্ত্রিককে চরিত্র করে কোনও গল্প লেখেনি। আসলে তাঁর জীবনটাও ছিল বড়ই সংক্ষিপ্ত। তিনিও আব্রাহাম লিঙ্কনের মতো নিজের মৃতদেহ দর্শন করেছিলেন। আমেরিকার প্রেসিডেন্ট নিজের মৃতদেহ দেখেছিলেন নিদ্রিত অবস্থায়, আর বিভূতিভূষণ সজ্ঞানে, এঁদেলবেড়া হ্রদের কাছে।
(ক্রমশ)
অলংকরণ: চন্দন পাল
20th  October, 2019
পুণ্য ভূমির পুণ্য ধুলোয়
পুষ্করের সাবিত্রী মা
ষষ্ঠীপদ চট্টোপাধ্যায় 

পর্ব-৩৫

রাজস্থান ভ্রমণে এসে পুষ্কর তীর্থে স্নান করে ভারতের একমাত্র ব্রহ্মা মন্দিরে পুজো দিয়ে সাবিত্রী পাহাড়ে সাবিত্রী মাতাকে দর্শন করেন না এমন যাত্রী নেই বললেই চলে।
আজমির থেকে পুষ্করের দূরত্ব ১১ কিমি।  
বিশদ

10th  November, 2019
ছায়া আছে কায়া নেই
অপূর্ব চট্টোপাধ্যায়  

৩৫

ঔপন্যাসিক উপেন্দ্রনাথ গঙ্গোপাধ্যায়। ১৩৩৪ বঙ্গাব্দের আষাঢ় মাসে ‘বিচিত্রা’ পত্রিকা প্রতিষ্ঠার সঙ্গে সঙ্গে শুরু হল এক নতুন যুগের। জন্ম হল উপেন্দ্রনাথ গঙ্গোপাধ্যায় নামে এক স্বয়ংসম্পূর্ণ প্রতিষ্ঠানের। সম্পর্কে তিনি ছিলেন কথা সাহিত্যিক শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের মামা।   বিশদ

10th  November, 2019
সম্পর্ক
সম্পন্ন চৌধুরী 

রাত প্রায় বারোটা
মুষলধারে বৃষ্টি হয়েই চলেছে। থামার কোনও লক্ষণই যেন নেই। কিন্তু গরমটা কিছুতেই যেন কমছে না। মানে বৃষ্টিটা আরও হবে। গোটা বাড়িটাই প্রায় জলে ভরে গেছে। ঘরের ভিতরেও জল ঢুকবে ঢুকবে করছে। 
বিশদ

10th  November, 2019
পুণ্য ভূমির পুণ্য ধুলোয়
দেশনোকের করণীমাতা
ষষ্ঠীপদ চট্টোপাধ্যায়

পর্ব-৩৪

দেশনোকের করণীমাতার প্রসঙ্গে এবার আসা যাক। ইনি রাজস্থানের মরু অঞ্চলে রাজ পরিবারের আরাধ্যা দেবী। করণীমাতার মন্দির হচ্ছে পৃথিবীবিখ্যাত মন্দির, অসংখ্য ইঁদুরের জন্য এই মন্দির ‘চুহা মন্দির’ নামে প্রসিদ্ধ। সেবার রাজস্থান ভ্রমণের সময় মুলতানি ঘাঁটির কোলায়েতে গিয়েছিলাম কপিলমুনির মন্দির ও পবিত্র সরোবর দেখতে।  
বিশদ

03rd  November, 2019
ছায়া আছে কায়া নেই
অপূর্ব চট্টোপাধ্যায় 

৩৪

সংসার সুখের হয় রমণীর গুণে। জমে উঠল বন্দ্যোপাধ্যায় দম্পতির সুখের সংসার। আর সেই দৃশ্য দেখে বিধাতা বোধহয় একটু মুচকি হেসেছিলেন, হয়তো মনে মনে বলেছিলেন, বিভূতিভূষণ, সুখ নয় , তোমাকে আমি পৃথিবীতে পাঠিয়েছি সৃষ্টি করার জন্য, সুখভোগের অধিকারী তুমি নও!  
বিশদ

03rd  November, 2019
পরম্পরা
বিনতা রায়চৌধুরী 

প্রাণগোপাল সরকার জমিদার না হলেও গ্রামের একজন অত্যন্ত সম্পন্ন গৃহস্থ। বিঘের পর বিঘে জমিতে তাঁর ধান চাষ হয়। ধান-চালের ব্যবসায়ে প্রাণগোপাল সবদিক থেকেই সার্থক। তারসঙ্গে সে সৎ-ও। তাঁর অধীনস্থ কোনও কর্মচারীকে সে ঠকায় না।  
বিশদ

03rd  November, 2019
পুণ্য ভূমির পুণ্য ধুলোয়
সিদ্ধপীঠ রাজরপ্পা
ষষ্ঠীপদ চট্টোপাধ্যায়

 এবার ছিন্নমস্তা দেবীর কথা বলি। দশমহাবিদ্যার ভয়ঙ্করী রূপের প্রকাশ ছিন্নমস্তায়। এটি হল মহাদেবীর অন্তর্মুখী রূপ। এঁর স্বরূপ অনুধাবন করার শক্তি একমাত্র সাধকের পক্ষেই সম্ভব। ছিন্নশির হয়েও ইনি জীবিত থাকেন। চতুর্দিকে এঁর বসন। অর্থাৎ ইনি দিগবসনা। বিশদ

27th  October, 2019
ছায়া আছে কায়া নেই
অপূর্ব চট্টোপাধ্যায়

 কিন্তু সুখ দীর্ঘস্থায়ী নয়। পঞ্চাননবাবু মারা যাওয়ার আগে জাহ্নবীদেবী এক কন্যা সন্তানের মাতা হন। কিন্তু পিতার অকাল মৃত্যুর দায় বহন করতে হয়েছিল সদ্যোজাত সেই কন্যা সন্তানকে। তাকে চট পেতে শুইয়ে রাখা হতো বাড়ির বাইরের নারকেল গাছের তলায়। স্বভাব কবি বিভূতিভূষণকে নাড়িয়ে দিয়েছিল এই দৃশ্য। বিশদ

27th  October, 2019
ঝাঁপ
পার্থ বন্দ্যোপাধ্যায়

 বাবলু তিনতলার ছাদ থেকে দূরের চার্চের ঘড়িটার দিকে তাকিয়ে আছে। ঘড়ির কাঁটা ঘুরে চলেছে। সেকেন্ডের কাঁটা ঘুরে ঘুরে বারোটার কাছে যাচ্ছে। আর কয়েকটা মুহূর্ত। তারপর-ই বাবলু ঝাঁপ দেবে। নিজেকে ছিন্নভিন্ন করে শেষ করে দেবে। এখন ছাদের এক কোণায় এসে ও দাঁড়িয়েছে। এখানটাতে রেলিং নেই।
বিশদ

20th  October, 2019
পুণ্য ভূমির পুণ্য ধুলোয়
ষষ্ঠীপদ চট্টোপাধ্যায়

 নদীর বালুচরে পথ চলতে চলতে হঠাৎই একটি বালি সংগ্রহকারী লরি এসে পড়ায় আমরা তারই সাহায্যে এগিয়ে গেলাম অনেকটা পথ। এইভাবে বিশেষ একটি জায়গায় যাওয়ার পর যেখানে লরি থেকে নামলাম সেখান থেকে একই নদী-কাঠের গুঁড়ির সাঁকোয় কতবার যে পার হলাম তার ঠিক নেই। বিশদ

20th  October, 2019
পুণ্য ভূমির পুণ্য ধুলোয়
মণিকূটের বিগ্রহ, পর্ব-৩১
ষষ্ঠীপদ চট্টোপাধ্যায় 

তিব্বতের লোহিত সরোবর থেকে বয়ে আসা সাংমা (ব্রহ্মপুত্র) নদের তীরে পাহাড় নদী ও নানা দেব-দেবীর মন্দিরে ভরা এক অন্য তীর্থভূমির কথা এবার বলব। তার কারণ স্থানটি গুয়াহাটি শহর থেকে মাত্র ৩২ কিমি দূরে— হাজো। এটি হল নানা ধর্মসমন্বয়ের ক্ষেত্র। অনেকেই কিন্তু এই স্থানটির সম্বন্ধে পরিচিত নন। 
বিশদ

13th  October, 2019
ছায়া আছে কায়া নেই
অপূর্ব চট্টোপাধ্যায় 

৩১

‘মরণ রে,
তুঁহুঁ মম শ্যাম সমান ।
মেঘবরণ তুঝ, মেঘজটাজুট,
রক্ত কমলকর, রক্ত অধরপুট, 
তাপবিমোচন করুণ কোর তব বিশদ

13th  October, 2019
সাত বছরের ফাঁদে
ভগীরথ মিশ্র 

ভর-দুপুরে সদর বাজার দিয়ে হাঁটছিল শুখা।
পান্তু নাগের গোপন ডেরায় যাচ্ছে সে। কেন জানি, খুব জরুরি তলব দিয়েছে পান্তু।
এলাকার মুকুটহীন-সম্রাট রামতনু শিকদারের বাঁ হাত হল পান্তু নাগ। মানুষজন জলশৌচ জাতীয় যাবতীয় নোংরা-ঘাঁটা কাজগুলো তো বাঁ হাত দিয়েই করে। সেই হিসেবে পান্তু রামতনুর বাঁ হাতই।  
বিশদ

13th  October, 2019
ছায়া আছে কায়া নেই 
অপূর্ব চট্টোপাধ্যায়

সুকুমার রায়। শিশুসাহিত্যিক ও ভারতীয় সাহিত্যে ‘ননসেন্স রাইম’-এর প্রবর্তক। তিনি একাধারে লেখক, ছড়াকার, শিশুসাহিত্যিক, রম্যরচনাকার, প্রাবন্ধিক, নাট্যকার ও সম্পাদক। তিনি ছিলেন জনপ্রিয় শিশুসাহিত্যিক উপেন্দ্রকিশোর রায়চৌধুরীর পুত্র।  বিশদ

29th  September, 2019
একনজরে
মুম্বই, ১৪ নভেম্বর: জয়ের আশা জাগিয়েও মুম্বইয়ের বিরুদ্ধে ৩ উইকেটে হেরে গেল বাংলা। তার ফলে সৈয়দ মুস্তাক আলি টি-২০ টুর্নামেন্টের পরের রাউন্ডে ওঠা অনিশ্চত হয়ে পড়ল অরুণ লালের ছেলেদের। প্রথমে ব্যাট করে বাংলা তোলে ৪ উইকেটে ১৫৩ রান। ...

 নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: প্রশান্ত কিশোরের দাওয়াই মেনে এবার ইস্তাহার উপনির্বাচনেও। দলের ইতিহাসে এই প্রথম কোনও উপনির্বাচনে ভোটারদের কাছে পৌঁছতে এলাকা ভিত্তিক ইস্তাহার প্রকাশের সিদ্ধান্ত নিল ...

 বেঙ্গালুরু, ১৪ নভেম্বর (পিটিআই): যোগ দেওয়ার দিনই বরখাস্ত হওয়া ১৩ বিধায়ককে উপনির্বাচনের প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা করল কর্ণাটক বিজেপি। একইসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী বি এস ইয়েদুরাপ্পা ঘোষণা করে দিলেন, জয়ী হয়ে এলে এঁদের মধ্যে বেশ কয়েকজনকে তাঁর মন্ত্রিসভার সদস্য করা হবে। ...

বিএনএ, সিউড়ি: সময়সীমা শেষ হওয়ার আগেই ভোটার তথ্য যাচাই প্রক্রিয়ায় ৯৯ শতাংশ সাফল্য আসায় নজির গড়েছে বীরভূম। কিছুদিন আগে পর্যন্ত ভোটার তথ্য যাচাইয়ের প্রক্রিয়ার গতি শ্লথ ছিল। কিন্তু, বর্তমানে তা লক্ষ্যমাত্রার খুব কাছে গিয়ে পৌঁছেছে।  ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

উচ্চবিদ্যার ক্ষেত্রে বাধার মধ্য দিয়ে অগ্রসর হতে হবে। উচ্চতর বিদ্যার ক্ষেত্রে শুভ ফল পাবে। কর্মপ্রার্থীদের ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৮২১: রুশ সাহিত্যিক ফিওদর দস্তয়েভস্কির জন্ম
১৮৮৮: স্বাধীনতা সংগ্রামী মৌলানা আবুল কালাম আজাদের জন্ম
১৯১৮: শেষ হল প্রথম বিশ্বযুদ্ধ
১৯৩৬: অভিনেত্রী মালা সিনহার জন্ম

11th  November, 2019


ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৭১.২৯ টাকা ৭৩.০০ টাকা
পাউন্ড ৯১.০০ টাকা ৯৪.৩২ টাকা
ইউরো ৭৭.৯২ টাকা ৮০.৮৮ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৩৮,৮৭৫ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৩৬,৮৮৫ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৩৭,৪৪০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৪৫,১০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৪৫,২০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

২৮ কার্তিক ১৪২৬, ১৫ নভেম্বর ২০১৯, শুক্রবার, তৃতীয়া ৩৪/৪৩ রাত্রি ৭/৪৬। মৃগশিরা ৪৩/১৮ রাত্রি ১১/১২। সূ উ ৫/৫২/৪৬, অ ৪/৪৯/৩০, অমৃতযোগ দিবা ৬/৩৫ মধ্যে পুনঃ ৭/১৯ গতে ৯/৩১ মধ্যে পুনঃ ১১/৪৩ গতে ২/৩৮ মধ্যে পুনঃ ৩/২২ গতে অস্তাবধি। রাত্রি ৫/৪২ গতে ৯/১১ মধ্যে পুনঃ ১১/৪৭ গতে ৩/১৫ মধ্যে পুনঃ ৪/৭ গতে উদয়াবধি, বারবেলা ৮/৩৭ গতে ১১/২১ মধ্যে, কালরাত্রি ৮/৫ গতে ৯/৪৩ মধ্যে।
২৮ কার্তিক ১৪২৬, ১৫ নভেম্বর ২০১৯, শুক্রবার, তৃতীয়া ৩৩/৪৬/২৯ রাত্রি ৭/২৪/৪৫। মৃগশিরা ৪৪/২৬/৪৪ রাত্রি ১১/৪০/৫১, সূ উ ৫/৫৪/৯, অ ৪/৫০/১, অমৃতযোগ দিবা ৬/৪৮ মধ্যে ও ৭/৩১ গতে ৯/৩৯ মধ্যে ও ১১/৪৭ গতে ২/৩৮ মধ্যে ও ৩/২১ গতে ৪/৫০ মধ্যে এবং রাত্রি ৫/৪০ গতে ৯/১০ মধ্যে ও ১১/৫৩ গতে ৩/২৪ মধ্যে ও ৪/১৯ গতে ৫/৫৫ মধ্যে, বারবেলা ৮/৩৮/৭ গতে ১০/০/৬ মধ্যে, কালবেলা ১০/০/৬ গতে ১১/২২/৫ মধ্যে, কালরাত্রি ৮/৬/৩ গতে ৯/৪৪/৪ মধ্যে।
 ১৭ রবিয়ল আউয়ল

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
আজকের রাশিফল
মেষ: কর্মপ্রার্থীদের বিভিন্ন দিক থেকে শুভ যোগাযোগ ঘটবে। বৃষ: বন্ধুবান্ধব ...বিশদ

07:11:04 PM

ইতিহাসে আজকের দিনে 
১৫৩৩: ইনকা সভ্যতার রাজধানী কুঝকোয় পদার্পণ করলেন ফ্রান্সিসকো পিজারিও১৬৩০: জার্মান ...বিশদ

07:03:20 PM

কলকাতা চলচ্চিত্র উৎসবের সমাপ্তি অনুষ্ঠানে ভিডিও বার্তা অমিতাভ বচ্চনের 

05:20:00 PM

প্রথম টেস্ট: দ্বিতীয় দিনের শেষে ভারত ৪৯৩/৬ (৩৪৩ রানের লিড) 

05:05:49 PM

মালদহের সুজাপুরে ২০ লক্ষ টাকার জালনোট উদ্ধার 
২০ লক্ষ টাকার জালনোট উদ্ধার হল মালদহের কালিয়াচক এলাকার সুজাপুরে। ...বিশদ

03:53:52 PM

দ্বিশতরান মায়াঙ্ক আগরওয়ালের, ভারত ৩৬৫/৪

03:51:23 PM