শিক্ষার জন্য দূরে কোথাও যেতে পারেন। প্রেম-প্রণয়ে নতুন যোগাযোগ হবে। বিবাহের কথাবার্তাও পাকা হতে পারে। ... বিশদ
কাবুলিওয়ালাদের সঙ্গে কলকাতার মানুষের পরিচয় আছে বিলক্ষণ। সেই রবীন্দ্রনাথের আমল থেকেই। কিন্তু কাবুল জায়গাটা কীরকম? আর এই সন্ত্রাসঅধ্যুষিত সময়ে দাঁড়িয়ে সেখানকার নাগরিকরাই বা কীরকম জীবনযাপন করছেন? সেই গল্পই ছবিতে ছবিতে বলছেন প্রণব মুখোপাধ্যায়। প্রণব পেশাদার ফোটোগ্রাফার নন। পেশায় তিনি আইএএস। বর্তমানে অবসরপ্রাপ্ত। ২০১৪-১৭ এই সময়ে তিনি আফগানিস্তানে নিযুক্ত ছিলেন সে দেশের সরকারকে প্রশাসনিক বিভিন্ন বিষয়ে দক্ষতা বাড়ানোর কাজে সহায়তা দিতে। সেই সময়ে তিনি কাবুলের রাস্তায় রাস্তায় ঘুরে নানা ছবি তুলেছেন। কাজটা মোটেই সহজ ছিল না। কারণ জায়গাটা বিশ্বের অন্যতম অসুরক্ষিত স্থান হিসেবে চিহ্নিত। ছিল ধর্মীয় নজরদারি। সেসব বাধা সামলেই প্রচুর ছবি তুলেছেন প্রণব। সেইসব ছবি নিয়েই আগামী ২৪-২৭ ফেব্রুয়ারি গগনেন্দ্র শিল্প প্রদর্শশালায় হবে প্রদর্শনী। রোজ ৩টে-৮টা পর্যন্ত।
ফোটোগ্রাফির মহাকুম্ভ মেলা
আগামী ২৭ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হতে চলেছে ফোটোগ্রাফির মহাকুম্ভ মেলা ‘কলকাতা ইন্টারন্যাশনাল ফোটোগ্রাফি ফেস্টিভ্যাল ২০১৯’। ৪০টি দেশের ২৫০ জন ফোটোগ্রাফারের ছবি স্থান পাচ্ছে। ৬ মার্চ পর্যন্ত চলবে এই মেলা। প্রদর্শিত হবে প্রায় দেড় হাজার ছবি। এযাবৎ এটাই এশিয়ার বৃহত্তম ফোটোগ্রাফি প্রদর্শনী। শহরের আটটি প্রদর্শশালা জুড়ে চলবে এই প্রদর্শনী। এই প্রদর্শাশালাগুলি হল, ভারতীয় জাদুঘর, ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়াল হল, নন্দন, কলকাতা সেন্টার ফর ক্রিয়েটিভিটি, হ্যারিংটন গ্যালারি, আই সি সি আর, মায়া আর্ট স্পেস এবং কলকাতা তথ্য কেন্দ্র।
ইথিওপিয়া থেকে নাইজেরিয়া, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে ইরান, জাপান থেকে দক্ষিণ আফ্রিকা, ইতালি থেকে তিউনিশিয়া এবং জামার্নি থেকে পাকিস্তান সব দেশের ছবিতে গল্প বলিয়েরা অংশ নেবেন এই প্রদর্শনীতে।
কী ধরনের ছবি দেখা যাবে এই প্রদর্শনীতে? উৎসবের নির্দেশক কৌন্তেয় সিংহ জানাচ্ছেন, রঘু রাইয়ের তোলা কলকাতার ওপর ৪০টি ছবি এবং অনেক দুস্প্রাপ্য ছবির সম্ভার থাকবে এই প্রদর্শনীতে। থাকবে সত্যজিৎ রায়ের তোলা বেশকিছু ছবিও। থাকবে চিত্রশিল্পী যোগেন চৌধুরী, প্রয়াত বিকাশ ভট্টাচার্য, গণেশ হালুই প্রমুখের ছবি। সঙ্গীত পরিচালক শান্তনু মৈত্র, চিত্র পরিচালক গৌতম ঘোষ, জনপ্রিয় নায়ক প্রসেনজিতের তোলা ছবি। আগামী ২৭ ফেব্রুয়ারি বিকেল ৫টায় ভারতীয় জাদুঘরে উৎসবের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন।
স্বস্তিনাথ শাস্ত্রী