পারিবারিক সম্পত্তি সংক্রান্ত আইনি কর্মে ব্যস্ততা। ব্যবসা সম্প্রসারণে অতিরিক্ত অর্থ বিনিয়োগের পরিকল্পনা। ... বিশদ
সুষম খাবারের খোঁজ
সায়ন্তনী বললেন, বাচ্চাকে ছোট থেকেই সবরকম খাবার খাওয়ানো দরকার। কার্বোহাইড্রেট, মিনারেল, ভিটামিন, ফ্যাট ও প্রোটিন সবই যেন তার খাদ্যতালিকায় থাকে সে দিকে নজর দিতে হবে মাকে। এটাই সুষম আহার। কী কী থাকবে এই সুষম আহারের তালিকায়? ভাত, রুটি, চিঁড়ে, মুড়ি দিতে পারেন। সঙ্গে মাছ, চিকেন, ডিমের পাশাপাশি রাজমা, ছানা, পনির ইত্যাদি খাওয়ানোর অভ্যাস করুন। ফ্যাটের ক্ষেত্রে ঘি ও চিজ রাখুন খাদ্যতালিকায়। সঙ্গে মাখনও রাখতে পারেন, তবে পরিমাণে অল্প। এছাড়া বাচ্চাকে দিনে একবাটি সব্জি আর একটা ফল খাওয়াতেই হবে। একেবারে ছোট থেকেই এই নিয়ম করে দিন। তবেই শিশু সুষম আহার পাবে। মাকে মনে রাখতে হবে আলু কিন্তু কোনও সব্জি নয়, ওটি কার্বোহাইড্রেট। তাই ভাত, মাখন, ডিম ও আলু সেদ্ধ বাচ্চাকে খাওয়ালে সব্জি বাদ পড়ে যাবে।
নানারকম খাওয়ান
বাচ্চাকে সব ধরনের খাবার খাওয়ানো এবং একই সঙ্গে পুষ্টিকর খাবার খাওয়ানো মায়েদের কাছে একটা চ্যালেঞ্জ। সেক্ষেত্রে কয়েকটা জিনিস একটু মেনে চলতে পারেন। সয়ন্তনী বললেন, একটা উদাহারণ দিই, ধরুন রোল। জাঙ্ক ফুডের মধ্যেই পড়ে এই খাবারটি। কিন্তু একটু বুদ্ধি খাটিয়ে এটাকেও পুষ্টিকর করে তুলতে পারেন মা। তাতে উপকরণের সামান্য বদল ঘটবে। অর্থাৎ পরোটার বদলে রুটি দিয়ে তা বানান। ডিম ফেটিয়ে তার উপর রুটি দিয়ে একদম এগরোলের মতো করেই তৈরি করুন। সাদা তেলের বদলে অল্প ঘি আর মাখন দিয়ে বানিয়ে দিন রোলটা। শসা আর পেঁয়াজের সঙ্গে একটু টম্যাটোও জুড়ে দিন পুরে। স্যসের বদলে লেবুর রস ব্যবহার করুন। সুস্বাদু এবং পুষ্টিকর রোল বাড়িতেই তৈরি হয়ে যাবে। এইভাবে এক একদিন এক একরকম খাবার বাচ্চাকে বানিয়ে দিন।
খাদ্য তালিকায় যা রাখবেন
রুটি দিয়ে পিৎজাও বানাতে পারেন। সেক্ষেত্রে আটার সঙ্গে ওটস গুঁড়ো করে মিশিয়ে দিন। তাতে চিকেন, টম্যাটো, কর্ন, বিনস, গাজর ইত্যাদি দিয়ে টপিং বানিয়ে দিন। স্যসের বদলে টম্যাটো পিউরি ব্যবহার করতে পারেন, তেঁতুল আর গুড় জ্বাল দিয়ে স্যস তৈরি করতে পারেন। আবার ধরুন সব্জিতে বাচ্চার খুবই অনীহা। সেক্ষেত্রে পালংশাকের টিকিয়া, চিল্লা ইত্যাদি বানানো যায়। এক্ষেত্রে বেসনের বদলে সয়াবিনের আটা মেশান। বাড়ির খাবারে এইভাবে ভিন্ন স্বাদ আনুন।
সবসময় সবরকম
খাবারটাকে একটা উৎসবের মতো করে ফেলুন। যখন প্রাদেশিক খাবার বা নতুন কোনও খাবার বাচ্চাকে খাওয়াতে চাইছেন তখনই এটা প্রয়োগ করুন। ব্রেকফাস্ট এবং বিকেলের জলখাবারে একটু অন্য স্বাদের খাবার রাখুন। এখন ধোসা মিক্স, ধোকলা মিক্স সবই পাওয়া যায়। সেগুলো বাড়িতে বানিয়ে খাওয়ান। স্টাফড পরোটার ক্ষেত্রে আটার সঙ্গে ওটস মেশান। তার মধ্যে পালংশাক, বিনস, গাজর একসঙ্গে সেদ্ধ করে নেড়ে পুর বানিয়ে স্টাফ করুন। বাড়িতে একদিন ইডলি বানান। চালের গুঁড়োর সঙ্গে রাগি আটা মেশান। তাতে পুষ্টি অটুট থাকবে। এইভাবে কখনও রুটি রাজমা দিয়ে ডিনার করুন। বাড়িতে সবাই মিলে যদি সপ্তাহে একদিন একটু ভিন্ন ধরনের খাবার খাওয়ার অভ্যাস করেন, তাহলে পরবর্তীতে বাচ্চার আর অন্য স্বাদের খাবার খেতে অসুবিধে হবে না।