Bartaman Patrika
আমরা মেয়েরা
 

অন্তরঙ্গতায়
ভরা ছিল 

আজ নবনীতা দেবসেনের প্রয়াণ দিবস। তাঁর হাতে গড়া ‘সই’-এর অন্যতম সদস্য বিনতা রায়চৌধুরীর স্মরণে ধরা দিলেন এক বহুমুখী নবনীতা। যিনি নতুন আলোর সন্ধানে মেয়েদের হাত ধরে এগিয়ে নিয়ে গিয়েছেন।

বাংলা সাহিত্যের আঙিনায় নবনীতা দেবসেন শিক্ষিত ও বিদূষী এক ব্যক্তিত্ব। আজ আমার এই লেখা অবশ্য তাঁর পাণ্ডিত্যর কথা মনে করিয়ে দেওয়ার জন্য নয়। তাঁর গবেষণা বা বিভিন্ন বক্তৃতামালার গল্পও বলব না। বরং বলব তাঁর অন্তরঙ্গতার কথা।
তবে একজন মানুষের বিদ্যা ও শিক্ষা থেকে যে কালচার তৈরি হয়, সেই কালচারের আলোর রেশ মানুষটির জীবনের প্রত্যেক পদক্ষেপেই এসে পড়ে। আর সেই আলোই আমি দেখেছি নবনীতাদির পরিহাস-রসিকতাময় উচ্ছল জীবনের পাতায় পাতায়।
নবনীতা দেবসেনের মানসকন্যা ‘সই’ সংস্থার কথা সর্বজনবিদিত। আমি নিজেও ‘সই’ নিয়ে দু’চার কথা কোথাও কোথাও বলেছি, অন্য সই-রাও বলেছেন। সই-এর সুবাদে প্রবীণ-নবীন অনেক লেখিকাই তাঁর পাশটিতে আসার সুযোগ পেয়েছিলেন। ‘ভালো-বাসা’ বাড়ির দোতলার বড় ঘরে বসত সে আসর। উপচে পড়া সই-কাকলি, আর তার মধ্যমণি জ্বলজ্বল নবনীতা দেবসেনকে যাঁরা দেখেছেন তাঁরা জানেন এতজন সাহিত্যিক একসঙ্গে বসে কী আনন্দটাই না করতে পারে।
সইদের লিখন, পঠন, গালগল্পের রুচি প্রকাশের দিকে নবনীতাদির সতর্ক চোখ মেলা থাকত। সই সভার অলিখিত নিয়মগুলির মধ্যে ছিল— কোনও রাজনৈতিক আলোচনা বা রাজনৈতিক তর্ক-বিতর্ক করা চলবে না সই-তে। শুধু তাই নয়, কোনও সমাজকল্যাণ কর্মাবলিতে আমরা সরাসরি যোগ দেব না। সভাগুলিতে সাহিত্য পাঠ এবং সাহিত্যের আলোচনাই প্রাধান্য পাবে। সেখানে সইদের নিজেদের লেখা পাঠ করা হতো। কবিতা, গল্প, রম্যরচনা ইত্যাদি যে কোনও লেখা আমরা পাঠ করতাম। তাই নিয়ে আলোচনা হতো। ভুল-ভ্রান্তির সংশোধনও চলত। ভালো লেখাগুলি নবনীতাদির প্রশংসা পেত। কোনও সই ইচ্ছে হলে অন্য কারও কোনও ভালো লেখা (সই-দের লেখা নয়) এনেও পড়তে পারত। তাই নিয়েও তুমুল আলাপ চলত।
কেউ কোথাও বেড়াতে গেলে, সেই ভ্রমণের অভিজ্ঞতা অন্যান্য সইদের সঙ্গে ভাগ করে নেওয়ার রেওয়াজ ছিল। তাই নিয়ে মজা-আড্ডাও বেশ জমে যেত। নবনীতাদি বলতেন, ‘সবাই বলে মেয়েরা একসঙ্গে কিছু করতে পারে না। কলহ বাঁধিয়ে বসে। সেটা যে কতদূর মিথ্যে আমরা ‘সই’ করে বুঝিয়ে দিয়েছি।’ সই নিয়ে দিদির এই অহঙ্কারে আমরা সমস্বরে সায় দিলেও জনান্তিকে জানিয়ে রাখি, একটু-আধটু অসূয়া-অভিমান যে সইদের মধ্যে চলত না, তা কিন্তু নয়। তবে সে সব দিদির সমক্ষে করার সাহস করাও ছিল না।
নবনীতাদি প্রায়ই অভিনব সব সিদ্ধান্ত ঘোষণা করতেন। একদিনের সভায় দিদি বললেন, ‘সই সভায় সই-দের জন্মদিন পালন করলে কেমন হয়?’
বেশিরভাগ সই-ই এই প্রস্তাবে উৎফুল্ল হয়ে উঠল। কারণ একজন সইয়ের জন্মদিনে শুভেচ্ছা-ভালোবাসা জানানো হবে সইদের মধ্য থেকেই! এর চেয়ে আনন্দের আর কী আছে? একজন সিনিয়র সই অবশ্য আপত্তি তুললেন। তার বক্তব্য, জন্মদিনের অনুষ্ঠান করলে সেই উপহার, খাওয়া-দাওয়ার ব্যাপার আসবে। চাঁদা তোলা ইত্যাদি সমস্যা আসবে। প্রত্যেকের জন্মদিন পালন করা সম্ভব নাও হতে পারে। তাতে দুঃখ, অভিমান ইত্যাদি বাড়বে।
সেই সইদিদির আপত্তিতে আমরা থমকে গেলাম, সব উৎসাহে ভাটা পড়ে গেল। কিন্তু নবনীতাদি থামলেন না, একই উৎসাহ নিয়ে বললেন, ‘কোনও চাঁদা নয়, কোনও উপহারের বাধ্যবাধকতা নয়। কেউ ইচ্ছে হলে একটি গোলাপও উপহার দিতে পারে। যার যেমন খুশি, যার যেমন রুচি। তবে হ্যাঁ, ‘ভালো-বাসা’ বাড়িতে যখন জন্মদিন পালন হবে, পায়েস বানানোর দায়িত্বটা আমিই নিচ্ছি।’ খুব ভালোবাসা আর আবেগ দিয়ে আমাদের জন্মদিন পালনের অনুষ্ঠানটা চলেছিল অনেকদিন। তারপর কয়েকটা অসুবিধার জন্য সইদের জন্মদিন অনুষ্ঠান বন্ধ হয়ে যায়। নবনীতাদিও আর জোর করেননি। আমার ব্যক্তিগত অনুভূতিতে মনে হয়, নিজের মা ছাড়া আর কোনও মানুষ আমার জন্মদিনে পায়েস রাঁধতে পারেন সেই সৌভাগ্য আমার অন্তত ছিল না। নবনীতাদি আমার জন্মদিনে ‘ভালো-বাসা’ বাড়িতে পায়েস রেঁধেছিলেন। ভুলতে পারি না। জন্মদিনের দিন সকালে ফোন করে দিদি বলছেন, ‘বিনতা তোর জন্মদিনের পায়েস বসিয়ে দিয়েছি।’ এখনও যেন কান পাতলে শুনতে পাই। চোখ ভিজে যায়।
শুধু সাহিত্য পাঠ আর সাহিত্য আলোচনাই সই সংস্থার কার্যকলাপ হোক এটা নবনীতাদি মনে মনে চাইতেন না। তিনি চাইতেন নতুন কিছু করবে সই। সাধারণ গল্প আর রঙ্গ-রসিকতার ফাঁকেই এমন এক একটি অসাধারণ প্রস্তাব করে ফেলতেন যে তার মধ্যে আমরা রামধনুর সাতটি রং-ই খুঁজে পেতাম।
একবার তিনি ঠিক করলেন, শুধু মেয়েদের লেখা বই নিয়ে একটি বইমেলা করবেন। প্রত্যেক কলকাতা বইমেলায় সইদের একটি অনুষ্ঠান হতো। নির্ধারিত সময়সূচি মেনে মেলার মূল মঞ্চে আমাদের সেই অনুষ্ঠানের নাম ছিল ‘বইমেলায় সই মেলা’।
নবনীতাদি বললেন, মেয়েদের বই নিয়ে যে বইমেলাটি হবে তার নাম হবে ‘সইমেলায় বইমেলা’। সত্যিই সবাইকে অবাক করে দিয়ে শুধু মেয়েদের লেখা বই নিয়ে নবনীতাদি একটা আস্ত বইমেলা করে ফেললেন সইদের পূর্ণ সহযোগিতায়।
রবীন্দ্রসদন আর বাংলা আকাদেমির মধ্যবর্তী মাঠে প্রচুর স্টল তৈরি হল। স্টলে স্টলে শোভা পেতে লাগল শুধু মেয়েদের লেখা বই। প্রকাশকরা খুব সাহায্য করলেন। একটি মঞ্চও তৈরি হল। মেলা উদ্বোধন করেছিলেন পশ্চিমবঙ্গের তৎকালীন রাজ্যপাল শ্রী গোপালকৃষ্ণ গান্ধী। তাছাড়াও অতিথি হয়ে এসেছিলেন অসমের বিখ্যাত লেখিকা ইন্দিরা গোস্বামী, নৃত্যশিল্পী অমলাশঙ্কর, শোভা সেন, অপর্ণা সেন প্রমুখ খ্যাতনামা মহিলারা। মেলা চলেছিল তিন দিন। আমন্ত্রিত অতিথিবৃন্দ ছাড়াও সইরা গল্প-কবিতা পাঠ, গান, বক্তৃতা দিয়ে মঞ্চ আলোকিত করে রেখেছিল। তারপর থেকে এই ‘সইমেলায় বইমেলা’ প্রায় প্রতি বছরই অনুষ্ঠিত হয়েছে। উন্মুক্ত প্রান্তর থেকে মেলা তার জায়গা বদল করেছে বার বার। নিত্যনতুন পরিকল্পনা নিয়ে ফিরে ফিরে এসেছে ‘সইমেলায় বইমেলা’।
এইরকমই আর একটি অভিনব সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছিলেন নবনীতাদি এক সই-সভাতে। তিনি বললেন, ‘সব সই-রা মিলে একখানি উপন্যাস লিখব।’ সিদ্ধান্তটি চমকে দেওয়ার মতো। কিন্তু দিদি তাঁর সিদ্ধান্তে অবিচল। বারো-ইয়ারি মিলেই তো বারোয়ারি হয়, তাই না? তাই বারোয়ারি উপন্যাস হতেই বা বাধা কোথায়?
সই-রা একটি সমস্যার কথা তুলল। আমাদের মধ্যে সিনিয়র লেখকরা আছেন। আবার তরুণ লেখকরাও আছেন। একটি উপন্যাসে দুইয়ের কলম মিলবে কী করে? কিছুক্ষণ চিন্তা করে নবনীতাদি এই সমস্যার সমাধান করে দিলেন। তিনি বললেন, ‘আমরা পাঁচজন সিনিয়র মিলে একটি উপন্যাস লিখব, সেটা হবে ‘বারোয়ারি-এক’। বাকি কুড়িজন মিলে আর একটি উপন্যাস লিখবে, সেটা হবে ‘বারোয়ারি-দুই’। যেমন পরিকল্পনা, তেমনই কাজ এগতে থাকল।
বিষয়টি মুখে বলা যত সহজ, কাজে সমাধা করা অত সহজ নয়। বারোয়ারি-এক নিয়ে তেমন সমস্যা নেই কারণ তাঁরা পাঁচজনই প্রতিষ্ঠিত লেখিকা। কিন্তু কুড়িজন মিলে যে উপন্যাসটি লেখা হবে সেটা প্রায় অসম্ভব। কারণ কুড়িজন লেখিকার প্রত্যেকের চিন্তা-ভাবনা, মানসিকতা, ভাষা, প্রকাশভঙ্গি আলাদা আলাদা। কী উপায়ে যোগসূত্র নির্মিত হবে? অনেক আলোচনার পর শেষ পর্যন্ত ঠিক হল ‘আত্মকথন’-এর মাধ্যমে এই উপন্যাসের কাহিনী নির্মিত হবে। তাতে প্রত্যেক লেখকের নিজস্বতাও অক্ষুণ্ণ থাকবে আবার কাহিনীর সাযুজ্যও বজায় থাকবে।
এরজন্য এমন একটি কাহিনী চাই যাতে কুড়িটি চরিত্র থাকবে। রাখতে হবে বিভিন্ন শেড। একটি বাঙালি যৌথ পরিবারের বিয়েবাড়ির কাহিনীকে পটভূমি হিসেবে নেওয়া হল। সবটাই পাওয়া যাবে এখানে। শুরু হয়ে গেল বারোয়ারি উপন্যাস লেখা। একজন যেখানে ছেড়ে দেবে আর একজন সেখান থেকে ধরে নেবে। তাই প্রচুর মিটিং হল। বিস্তর কোলাহল আর অনুরাগের মধ্য দিয়ে কুড়িটি ‘আত্মকথন’ মিলে তৈরি হল উপন্যাস। নাম রাখা হল— ‘গাথা বিংশতি’। এটি হল বারোয়ারি-দুই। এক আগেই হয়েছে, তার নাম রাখা হয়েছে ‘চিরহরিৎ’। নবনীতাদি এখানেও থামলেন না। সই-কবি এবং সই-অকবিদের দিয়ে লেখালেন পঁচিশখানি কবিতা। এটি হল ‘বারোয়ারি-তিন’। নাম করা হল ‘নির্বাচিত কবিতা’। একটি সুদৃশ্য গিফ্ট বক্সে ভর্তি হল— সই বারোয়ারি ১, ২, ৩। তারপর সেগুলি পৌঁছে গেল পাঠকের হাতে হাতে ২০০৭-এর ‘সইমেলায় বইমেলা’-তে। সমগ্র ভারতীয় সাহিত্য তথা বিশ্বসাহিত্যের ইতিহাসেও কুড়িজন লেখিকা মিলে একখানি উপন্যাস রচনার উদাহরণ আর পাওয়া যাবে কি না জানি না। অজস্র অভিনন্দন আর মুঠিভরা সরস মন্তব্য আমাদের ভাসিয়ে নিয়ে গিয়েছিল। কিন্তু সই বারোয়ারি নির্মাণের প্রেক্ষাপটে কত যে রঙ্গ-রসিকতা, মান-অভিমান, হাসি-কান্না উপচে পড়েছিল সেটা বলতে গেলে আর একখানি আলাদা আখ্যান তৈরি হয়ে যাবে।
২০১৯-এর সাত নভেম্বর নবনীতা দেবসেন আমাদের কাছ থেকে চিরবিদায় নিয়েছেন। দেখতে দেখতে একটি বছর পার হয়ে গেল। ‘ভালো-বাসা’ বাড়ির দোতলার বড় ঘরে ইজিচেয়ারে দুলতে দুলতে আর কেউ অভিনব সব প্রস্তাব শুনিয়ে আমাদের চমকে দেন না। তাঁর রসবোধে আমরা আর উদ্দীপিত হয়ে ওঠার সুযোগ পাই না। যদিও জানি, তিনি না থেকেও আমাদের মনের মণিকোঠায় আছেন। যেমন ছড়িয়ে আছেন তাঁর অজস্র লেখার মধ্যে। সেখানে তিনি থাকবেন, চিরকাল। 
07th  November, 2020
লেডি ম্যাকবেথ 
হন তিনকড়ি দাসী

কালীকৃষ্ণ ঠাকুরের বাড়িতে পুজো। সেই উপলক্ষে বাড়িতে সিটি থিয়েটারের বায়না ছিল। অভিনয় দেখার জন্য দর্শকদের মধ্যে সেদিন উপস্থিত ছিলেন স্বয়ং গিরিশচন্দ্র ঘোষ। অভিনয়ের শেষে শিল্পীরা প্রণাম করছেন তাঁকে। দীঘল একটি মেয়ে, কাঁচা সোনার মতো গায়ের রং, অভিনয়ের সময়েই শোনা গিয়েছে তাঁর চড়া গলার দাপট। মেয়েটি এসে লুটিয়ে প্রণাম করলেন নাট্যাচার্যকে। বিশদ

28th  November, 2020
ক্যান্সার ঠেকাতে 
কার্যকর ব্রকোলি 

সুরজিৎ মুখোপাধ্যায়: ক্যান্সারের কথা শুনলেই আমরা আতঙ্কিত হয়ে পড়ি। তবে সম্প্রতি কয়েকটি গবেষণায় দাবি করা হয়েছে, ম্যালিগন্যান্ট টিউমার দমন বা প্রতিরোধ করার ক্ষেত্রে ব্রকোলি নাকি অনবদ্য। বিশেষত এই সব্জিতে অনেকাংশেই এড়ানো যায় স্তন ক্যান্সার। বিশদ

28th  November, 2020
ওয়াহিদা রহমানের
ওয়াইল্ডলাইফ ফোটোগ্রাফি

তরুণ বয়সে ছিলেন বলিউডের পর্দাকাঁপানো অভিনেত্রী। এখন ৮২ বছর বয়সে এসে তাঁর নতুন শখ ওয়াইল্ডলাইফ ফটোগ্রাফি। তিনি ওয়াহিদা রহমান। অশীতিপর এই অভিনেত্রী এখন দাপিয়ে বেড়াচ্ছেন বনে-জঙ্গলে। এমনিতে ওয়াহিদার ছবি তোলার নেশা অবশ্য অনেক পুরনো। বিশদ

28th  November, 2020
নারী-মনের যন্ত্রণাই 
ডুবিয়ে দেয় অবসাদে

মানসিক নির্যাতনে ক্ষয়ে যায় মেয়েদের মন। তবু তার বিরুদ্ধে সমাজ আজও বেশিরভাগ সময় নীরব। এ ব্যাপারে মনস্তত্ত্ববিদের মতামত জানালেন তনুশ্রী কাঞ্জিলাল মাশ্চরক। বিশদ

28th  November, 2020
সংসার বাঁচাতে
মেয়েদের লড়াই

করোনাকালে রোজগারের প্রায় সব পথই যখন বন্ধ, ঠিক তখনই বিকল্প উপায়ে রোজগার করে সংসার চালিয়েছেন গ্রামের মহিলারা। তাঁদের কথা জানাচ্ছেন কমলিনী চক্রবর্তী। বিশদ

21st  November, 2020
অফিসের প্রতিকূল পরিবেশ
মাতৃত্বের জন্য ক্ষতিকর

অফিসের কাজের পরিবেশ প্রায় সকলের জন্যই প্রতিদিন নতুন চ্যালেঞ্জ নিয়ে আসে। তবে অনেক অফিসে কাজের পরিবেশ এতটাই প্রতিকূল যে তার সঙ্গে অনেকেই সহজে মানিয়ে নিতে পারে না। এক গবেষণায় জানা গিয়েছে, অফিসের প্রতিকূল পরিবেশে যে নারীরা কাজ করেন, তাঁরা মা হিসেবে ভালোভাবে দায়িত্ব পালন করতে পারেন না। বিশদ

21st  November, 2020
গাছকে স্বামীর মর্যাদা 
দিয়েছেন যে নারী!

বাড়িতে দুই সন্তান। তাদের সঙ্গে আবার রয়েছেন প্রেমিক। সবাইকে ছেড়ে সেজেগুজে ‘বৃক্ষ স্বামী’-র সঙ্গে প্রথম বিবাহবার্ষিকী পালন করলেন ব্রিটেনের লিভারপুল নিবাসী এক মহিলা! একটি গাছকেই স্বামীর মর্যাদা দিয়েছেন এই নারী। সহধর্মিণী হওয়ার সব দায়িত্বও পালন করছেন। বিশদ

21st  November, 2020
সাফল্যের পরেও
চাকরি পাব না? 

নুন আনতে পান্তা ফুরোয় সংসারে। অতি কায়ক্লেশে ছেলেমেয়েদের মুখে অন্ন জোগাতে হিমশিম অবস্থা। তবু দারিদ্রের সঙ্গে লড়াই করে কাঙ্ক্ষিত সাফল্য ছিনিয়ে নিতে বদ্ধপরিকর আটাশ ছোঁয়া অ্যাথলিট বুল্টি রায়। বিশদ

21st  November, 2020
প্রবাসে আমি দিদি ধরেছি

 প্রবাসে ভাইফোঁটার অনেক আয়োজন। তবু বাঙালি ভাইটির মনে ভেসে ওঠে দেশে পড়ে থাকা দিদির সজল আঁখি। ভ্রাতৃদ্বিতীয়ায় প্রবাসী ভাইয়ের মঙ্গলকামনায় যে আজও দেওয়ালে ফোঁটা দেয়। ভাইফোঁটার মজাদার গল্পের মাঝেও তাই বেজে ওঠে বিসমিল্লার সানাইয়ের করুণ সুর। লিখেছেন শুভঙ্কর মুখোপাধ্যায়। বিশদ

14th  November, 2020
সমন্বিতা দীপান্বিতা

আজ দীপান্বিতা কালীপুজো। ঘরে ঘরে দীপালিকার প্রদীপ। মন্দির, ঘরবাড়ি, অফিস-আদালত থেকে সর্বত্র বিদ্যুৎ আলোর বিচিত্র রোশনাই। দীপাবলির আলোর ঝর্ণায় মাতৃমন্ত্রে উজ্জীবিত হবে দেশের মানুষ। কার্তিক মাসের অমাবস্যায় অনুষ্ঠিত এই প্রাচীন লোকোৎসব শুধু বাংলায় নয় দেশের বিভিন্ন প্রান্তে সংগঠিত হয়ে থাকে। এই সর্বভারতীয় উৎসবের রূপ বিভিন্ন, বৈশিষ্ট্যমণ্ডিত ও সমন্বয়ধর্মিতায় অনুস্যূত। সামাজিক জীবনে প্রতিপালিত। দীপান্বিতায় দীপসমূহকে মালিকার মতো সারি সারি ভাবে সজ্জিত করে প্রজ্বলিত করার নামই ‘দীপাবলি’। আতসবাজি ও পটকার শব্দ যুক্ত হয়ে এই মহাতিথির রাতটি এক প্রাণবন্ত উৎসবে পরিগণিত হয়। এই দীপান্বিতার অপভ্রংশ হল ‘দেওয়ালি’। বিশদ

14th  November, 2020
মেয়েদের ওপর হিংসা
নয়, বার্তা ক্যুইজ মঞ্চে 

নিপীড়িত মেয়েদের পাশে থাকার কাজটি তিনি করে আসছেন গত ২৫ বছর ধরে। স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা ‘স্বয়ম’-এর ডিরেক্টর অনুরাধা কাপুর সম্প্রতি তাঁর কাজের জন্য আমন্ত্রিত হয়েছিলেন কেবিসি-তে। তাঁর অভিজ্ঞতা শুনলেন অন্বেষা দত্ত। বিশদ

07th  November, 2020
একের পাশে অন্য,
তবে বাঁচবে মেয়েরা 

‘এক মহিলা যদি অন্য মহিলার পাশে না দাঁড়ান, তাহলে তাঁর ঠাঁই হয় নরকে।’ কোনও এক বইয়ে লাইনটা পড়েছিলেন ‘স্টেট লিগাল সার্ভিসেস অথরিটি’র মেম্বার সেক্রেটারি দুর্গা খৈতান। মহিলাদের ক্ষমতায়ন নিয়ে তাঁর সঙ্গে আলোচনায় অন্বেষা দত্ত। 
বিশদ

31st  October, 2020
বছরটাই একেবারে এলোমেলো
কাটছে: অঙ্কিতা মজুমদার পাল 

‘গত বছর জানুয়ারি মাসে আমার সঙ্গে সৌমিত্র পালের বিয়ে হয়। অামাদের ছিল ‘অ্যারেঞ্জড লাভ’। একটি ম্যাট্রিমোনিয়াল সাইটে আমাদের আলাপ। সেও এক গল্পই বটে, ক্রমশ প্রকাশ্য। আমার শ্বশুরবাড়ি গৌহাটিতে। লকডাউনের ঠিক আগে আমরা গৌহাটি এসে আটকে যাই। প্রথমদিকে বেশ লাগছিল। 
বিশদ

31st  October, 2020
সন্তান জন্ম দেওয়ার আধ ঘণ্টা পরেই
পরীক্ষা দিলেন ইথিওপিয়ার মহিলা 

ইথিওপিয়ায় এক মহিলা সন্তান জন্ম দেওয়ার ৩০ মিনিটের মাথায় হাসপাতালের বিছানায় বসেই দশম শ্রেণির পরীক্ষায় অংশ নিয়েছেন। পশ্চিম ইথিওপিয়ার মেতু অঞ্চলে ২১ বছর বয়সি এই নারীর নাম আলমাজ ডেরেস। 
বিশদ

31st  October, 2020
একনজরে
সীমান্তে পাচার রুখতে আরও কঠোর হচ্ছে কেন্দ্রীয় সরকার। ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে সীমান্ত বরাবর কোথাও যেন কাঁটাতারবিহীন এলাকা না থাকে, তা নিশ্চিত করার উদ্যোগ নেওয়া শুরু হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। দুই দেশের সীমান্তের মধ্যে কাঁটাতার নেই মালদহের যে সব সীমান্তে, ...

উম-পুন পরবর্তী ক্ষতিপূরণে দুর্নীতির যাবতীয় অভিযোগের তদন্ত করবে কম্পট্রোলার অ্যান্ড অডিটার জেনারেল অব ইন্ডিয়া (ক্যাগ)। কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি থোট্টাথিল বি রাধাকৃষ্ণাণ ও অরিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়ের ডিভিশন বেঞ্চ মঙ্গলবার তিন মাসের মধ্যে তদন্তসাপেক্ষে ক্যাগকে রিপোর্ট দাখিল করতে বলেছে। ...

কৃষক বিক্ষোভের আঁচ ছড়াল দেশান্তরেও। কেন্দ্রীয় কৃষি আইনের বিরুদ্ধে আন্দোলন নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করলেন কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো। বিক্ষোভরত ‘রোদে পোড়া, তামাটে’ মানুষগুলোর পরিবার ও বন্ধুদের জন্য চিন্তিত বলে জানিয়েছেন তিনি। ...

গত এক মাসে পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় সহায়ক মূল্যে ৬ কোটি ৩৭ লক্ষ ৫৫ হাজার টাকার ধান কেনা হয়েছে। গত ২ নভেম্বর থেকে রাজ্যজুড়ে সহায়ক মূল্যে ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

সম্পত্তিজনিত মামলা-মোকদ্দমায় সাফল্য প্রাপ্তি। কর্মে দায়িত্ব বৃদ্ধিতে মানসিক চাপবৃদ্ধি। খেলাধূলায়  সাফল্যের স্বীকৃতি। শত্রুর মোকাবিলায় সতর্কতার ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৯৭৬: কিউবার প্রেসিডেন্ট হলেন ফিদেল কাস্ত্রো
১৯৮৪: ভোপাল গ্যাস দুর্ঘটনায় কমপক্ষে আড়াই হাজার মানুষের মৃত্যু
১৯৮৮: পাকিস্তানের প্রথম মহিলা প্রধানমন্ত্রী হলেন বেনজির ভুট্টো
১৯৮৯: ভারতের সপ্তম প্রধানমন্ত্রী হলেন ভিপিসিং 



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৭৩.১৭ টাকা ৭৪.৮৮ টাকা
পাউন্ড ৯৭.২১ টাকা ১০০.৬৪ টাকা
ইউরো ৮৬.৯৬ টাকা ৯০.১২ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৪৮,৯৮০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৪৬,৪৭০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৪৭,১৭০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৬০,৯০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৬১,০০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

১৬ অগ্রহায়ণ, ১৪২৭, বুধবার, ২ ডিসেম্বর ২০২০, দ্বিতীয়া ৩০/৪৪ সন্ধ্যা ৬/২৩। মৃগশিরা নক্ষত্র ১১/২২ দিবা ১০/৩৮। সূর্যোদয় ৬/৪/৪৩, সূর্যাস্ত ৪/৪৭/২৫। অমৃতযোগ দিবা ৬/৪৬ মধ্যে পুনঃ ৭/২৯ গতে ৮/১২ মধ্যে পুনঃ ১০/২১ গতে ১২/৩০ মধ্যে। রাত্রি ৫/৪০ গতে ৬/৩৩ মধ্যে পুনঃ ৮/২০ গতে ৩/২৫ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ দিবা ৬/৪৬ গতে ৭/২৯ মধ্যে পুনঃ ১/১৩ গতে ৩/২২ মধ্যে। বারবেলা ৮/৪৫ গতে ১০/৫ মধ্যে পুনঃ ১১/২৬ গতে ১২/৪৭ মধ্যে। কালরাত্রি ২/৪৫ গতে ৪/২৫ মধ্যে। 
 ১৬ অগ্রহায়ণ, ১৪২৭, বুধবার, ২ ডিসেম্বর ২০২০, দ্বিতীয়া সন্ধ্যা ৫/৪। মৃগশিরা নক্ষত্র দিবা ১০/২৪। সূর্যোদয় ৬/৬, সূর্যাস্ত ৪/৪৮। অমৃতযোগ দিবা ৬/৫৬ মধ্যে ও ৭/৩৮ গতে ৮/২০ মধ্যে ও ১০/২৮ গতে ১২/৩৫ মধ্যে এবং রাত্রি ৫/৪৩ গতে ৬/৩৬ মধ্যে ও ৮/২৫ গতে ৩/৩২ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ দিবা ৬/৫৬ গতে ৭/৩৮ মধ্যে ও ১/১৭ গতে ৩/২৪ মধ্যে। কালবেলা ৮/৪৬ গতে ১০/৭ মধ্যে ও ১১/২৭ গতে ১২/৪৭ মধ্যে। কালরাত্রি ২/৪৬ গতে ৪/২৬ মধ্যে। 
১৬ রবিয়ল সানি।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
আপনার আজকের দিনটি
মেষ: সম্পত্তিজনিত মামলা-মোকদ্দমায় সাফল্য প্রাপ্তি। বৃষ: নানা উপায়ে অর্থপ্রাপ্তির সুযোগ। ...বিশদ

04:29:40 PM

ইতিহাসে আজকের দিনে
  ১৯৭৬: কিউবার প্রেসিডেন্ট হলেন ফিদেল কাস্ত্রো ১৯৮৪: ভোপাল গ্যাস ...বিশদ

04:28:18 PM

আইএসএল: হায়দরাবাদ ও জামশেদপুরের ম্যাচ ১-১ গোলে ড্র

09:33:58 PM

জিএসটি ফাঁকি: কলকাতা সহ রাজ্যের ১০৪টি ময়দা মিলে হানা আধিকারিকদের

06:29:00 PM

তৃতীয় একদিনের ম্যাচে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে ১৩ রানে জয়ী ভারত

05:15:15 PM

কোভ্যাক্সিনের পরীক্ষামূলক প্রয়োগ: টিকা নিতে নাইসেডে ফিরহাদ হাকিম

04:15:35 PM