কালীকৃষ্ণ ঠাকুরের বাড়িতে পুজো। সেই উপলক্ষে বাড়িতে সিটি থিয়েটারের বায়না ছিল। অভিনয় দেখার জন্য দর্শকদের মধ্যে সেদিন উপস্থিত ছিলেন স্বয়ং গিরিশচন্দ্র ঘোষ। অভিনয়ের শেষে শিল্পীরা প্রণাম করছেন তাঁকে। দীঘল একটি মেয়ে, কাঁচা সোনার মতো গায়ের রং, অভিনয়ের সময়েই শোনা গিয়েছে তাঁর চড়া গলার দাপট। মেয়েটি এসে লুটিয়ে প্রণাম করলেন নাট্যাচার্যকে।
সুরজিৎ মুখোপাধ্যায়: ক্যান্সারের কথা শুনলেই আমরা আতঙ্কিত হয়ে পড়ি। তবে সম্প্রতি কয়েকটি গবেষণায় দাবি করা হয়েছে, ম্যালিগন্যান্ট টিউমার দমন বা প্রতিরোধ করার ক্ষেত্রে ব্রকোলি নাকি অনবদ্য। বিশেষত এই সব্জিতে অনেকাংশেই এড়ানো যায় স্তন ক্যান্সার।
তরুণ বয়সে ছিলেন বলিউডের পর্দাকাঁপানো অভিনেত্রী। এখন ৮২ বছর বয়সে এসে তাঁর নতুন শখ ওয়াইল্ডলাইফ ফটোগ্রাফি। তিনি ওয়াহিদা রহমান। অশীতিপর এই অভিনেত্রী এখন দাপিয়ে বেড়াচ্ছেন বনে-জঙ্গলে। এমনিতে ওয়াহিদার ছবি তোলার নেশা অবশ্য অনেক পুরনো।
মানসিক নির্যাতনে ক্ষয়ে যায় মেয়েদের মন। তবু তার বিরুদ্ধে সমাজ আজও বেশিরভাগ সময় নীরব। এ ব্যাপারে মনস্তত্ত্ববিদের মতামত জানালেন তনুশ্রী কাঞ্জিলাল মাশ্চরক।
করোনাকালে রোজগারের প্রায় সব পথই যখন বন্ধ, ঠিক তখনই বিকল্প উপায়ে রোজগার করে সংসার চালিয়েছেন গ্রামের মহিলারা। তাঁদের কথা জানাচ্ছেন কমলিনী চক্রবর্তী।
অফিসের কাজের পরিবেশ প্রায় সকলের জন্যই প্রতিদিন নতুন চ্যালেঞ্জ নিয়ে আসে। তবে অনেক অফিসে কাজের পরিবেশ এতটাই প্রতিকূল যে তার সঙ্গে অনেকেই সহজে মানিয়ে নিতে পারে না। এক গবেষণায় জানা গিয়েছে, অফিসের প্রতিকূল পরিবেশে যে নারীরা কাজ করেন, তাঁরা মা হিসেবে ভালোভাবে দায়িত্ব পালন করতে পারেন না।
বাড়িতে দুই সন্তান। তাদের সঙ্গে আবার রয়েছেন প্রেমিক। সবাইকে ছেড়ে সেজেগুজে ‘বৃক্ষ স্বামী’-র সঙ্গে প্রথম বিবাহবার্ষিকী পালন করলেন ব্রিটেনের লিভারপুল নিবাসী এক মহিলা! একটি গাছকেই স্বামীর মর্যাদা দিয়েছেন এই নারী। সহধর্মিণী হওয়ার সব দায়িত্বও পালন করছেন।
প্রবাসে ভাইফোঁটার অনেক আয়োজন। তবু বাঙালি ভাইটির মনে ভেসে ওঠে দেশে পড়ে থাকা দিদির সজল আঁখি। ভ্রাতৃদ্বিতীয়ায় প্রবাসী ভাইয়ের মঙ্গলকামনায় যে আজও দেওয়ালে ফোঁটা দেয়। ভাইফোঁটার মজাদার গল্পের মাঝেও তাই বেজে ওঠে বিসমিল্লার সানাইয়ের করুণ সুর। লিখেছেন শুভঙ্কর মুখোপাধ্যায়।
আজ দীপান্বিতা কালীপুজো। ঘরে ঘরে দীপালিকার প্রদীপ। মন্দির, ঘরবাড়ি, অফিস-আদালত থেকে সর্বত্র বিদ্যুৎ আলোর বিচিত্র রোশনাই। দীপাবলির আলোর ঝর্ণায় মাতৃমন্ত্রে উজ্জীবিত হবে দেশের মানুষ। কার্তিক মাসের অমাবস্যায় অনুষ্ঠিত এই প্রাচীন লোকোৎসব শুধু বাংলায় নয় দেশের বিভিন্ন প্রান্তে সংগঠিত হয়ে থাকে। এই সর্বভারতীয় উৎসবের রূপ বিভিন্ন, বৈশিষ্ট্যমণ্ডিত ও সমন্বয়ধর্মিতায় অনুস্যূত। সামাজিক জীবনে প্রতিপালিত। দীপান্বিতায় দীপসমূহকে মালিকার মতো সারি সারি ভাবে সজ্জিত করে প্রজ্বলিত করার নামই ‘দীপাবলি’। আতসবাজি ও পটকার শব্দ যুক্ত হয়ে এই মহাতিথির রাতটি এক প্রাণবন্ত উৎসবে পরিগণিত হয়। এই দীপান্বিতার অপভ্রংশ হল ‘দেওয়ালি’।
নিপীড়িত মেয়েদের পাশে থাকার কাজটি তিনি করে আসছেন গত ২৫ বছর ধরে। স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা ‘স্বয়ম’-এর ডিরেক্টর অনুরাধা কাপুর সম্প্রতি তাঁর কাজের জন্য আমন্ত্রিত হয়েছিলেন কেবিসি-তে। তাঁর অভিজ্ঞতা শুনলেন অন্বেষা দত্ত।
আজ নবনীতা দেবসেনের প্রয়াণ দিবস। তাঁর হাতে গড়া ‘সই’-এর অন্যতম সদস্য বিনতা রায়চৌধুরীর স্মরণে ধরা দিলেন এক বহুমুখী নবনীতা। যিনি নতুন আলোর সন্ধানে মেয়েদের হাত ধরে এগিয়ে নিয়ে গিয়েছেন।
সম্পত্তিজনিত মামলা-মোকদ্দমায় সাফল্য প্রাপ্তি। কর্মে দায়িত্ব বৃদ্ধিতে মানসিক চাপবৃদ্ধি। খেলাধূলায় সাফল্যের স্বীকৃতি। শত্রুর মোকাবিলায় সতর্কতার ... বিশদ
নুন আনতে পান্তা ফুরোয় সংসারে। অতি কায়ক্লেশে ছেলেমেয়েদের মুখে অন্ন জোগাতে হিমশিম অবস্থা। তবু দারিদ্রের সঙ্গে লড়াই করে কাঙ্ক্ষিত সাফল্য ছিনিয়ে নিতে বদ্ধপরিকর আটাশ ছোঁয়া অ্যাথলিট বুল্টি রায়। তারকেশ্বরের ১০ নং ওয়ার্ডের জয়কৃষ্ণবাজার বটতলার এই পরিশ্রমী, জেদি মেয়েটি একসময় জাঙ্গিপাড়া ব্লকের রায়পুর গ্রামের প্রাথমিক ও উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ে পড়াকালীন ১০০ মিটার ২০০ মিটার ও ৪০০ মিটার দৌড়ে ও হাইজাম্পে প্রথম স্থান পেয়ে এসেছে। সেটা ২০০১ সাল। স্থানীয় ক্রীড়াপ্রেমীদের চোখে পড়ে যান তখনই। তারপর জাঙ্গিপাড়ার অজগ্রাম থেকে তারকেশ্বর কোচিং সেন্টারের কোচ শিবপ্রসাদ ধাড়ার তত্ত্বাবধানে প্রশিক্ষণ নেওয়া শুরু। চালচুলোহীন ভাঙা ঘরটায় শংসাপত্র ও মেডেলের ছড়াছড়ি। সেগুলো অযত্নে কালে কালে নষ্ট হয়ে যেতে বসেছে। ট্রফিগুলো ধুলোয় গড়াগড়ি।
তবু নিজের কাজ থামাননি তিনি। স্কুলের পরে রাজ্য ও আন্তর্জাতিক স্তরে বুল্টি অংশ নিয়েছেন। সাফল্য পেয়েছেন সেখানেও। তারপর প্র্যাকটিসে যাওয়া আসার সুবাদে রেলপথে সন্তোষ রায় নামের এক হকারের সঙ্গে পরিচয়। সেই সময়ে প্র্যাকটিসে গুরুত্ব কমিয়ে খেলায় কিছুটা অমনোযোগী হয়েছিলেন বুল্টি। নিজেই বলেছেন সেটা। ২০১০ সালে সন্তোষকে জীবনসঙ্গী হিসেবে বেছে নেওয়া। এখন এক মেয়ে ও এক ছেলে নিয়ে সংসার বেড়েছে। বেড়েছে চাপও। মেয়ে বিন্দিয়া চতুর্থ শ্রেণীতে ও ছেলে শিবশঙ্কর দ্বিতীয় শ্রেণীতে পড়ে। অসহায় পুত্র-কন্যা ও স্বামীর মুখের দিকে তাকিয়ে বুল্টি আবার ময়দানে ফিরেছেন। ফের সাফল্য তাঁকে ছুটিয়ে নিয়ে বেড়ায়।
যেখানেই গিয়েছেন, সেখানেই প্রথম স্থান। এভাবেই নিজেকে নতুন করে ফিরে পাওয়া। এখন তারকেশ্বর স্কুল মাঠে নিজেই দু’বেলা প্র্যাকটিসে মগ্ন থাকেন। তাঁর কোচ শিবপ্রসাদবাবু অসুস্থ। বুল্টির ইচ্ছে অলিম্পিকে পাড়ি দেওয়া। তাই নিজেকে গড়ে তুলতে তৎপর ও একাগ্র তিনি। সন্তোষ তাঁর স্ত্রীর অনমনীয় মনোভাবে বিস্মিত হয়ে যান। সাফল্যে গর্বিত তো বটেই!
বুল্টির একচিলতে ছোট্ট ভাড়া ঘরে বসে কথা হচ্ছিল। সংসারে অভাব তাঁর নিত্যসঙ্গী। তিনি নিজস্ব ঘর চান, যেখানে সপরিবার সুখে-শান্তিতে বসবাস করতে পারেন। ইতিমধ্যে মুক্ত বিদ্যালয় থেকে মাধ্যমিকে উত্তীর্ণ হয়েছেন। কঠোর অনুশীলনে মনোবল আরও বাড়িয়ে তুলতে চান। বুল্টি জানিয়েছেন, রায়পুর প্রাথমিক স্কুলে পড়াকালীন ২০০১ সালে প্রাথমিক ও নিম্নবুনিয়াদি বিদ্যালয়ের অষ্টাদশ বার্ষিক রাজ্য ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় বালিকা বিভাগে লং জাম্পে প্রথম হন। ওই বছরই আরও বেশ কিছু প্রতিযোগিতায় প্রথম হয়েছিলেন তিনি। পরের বছর ১৪ ডিসেম্বর রহিমপুর নবগ্রাম ক্রীড়াঙ্গনে অনুষ্ঠিত হুগলি জেলা প্রাথমিক ও নিম্নবুনিয়াদি বিদ্যালয়ের বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় ২০০ মিটার দৌড়ে ফের প্রথম হন। একই বছরে এসেছে আরও সাফল্য।
২০০৩ সালে ৮ জানুয়ারি জাঙ্গিপাড়া ডিএনহাই স্কুল মাঠে অনুষ্ঠিত ২৪তম হুগলি জেলা প্রাথমিক ও নিম্ন বুনিয়াদি বিদ্যালয়ের বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় ২০০ মিটার ও ১০০ মিটার দৌড়, দু’বিভাগেই প্রথম স্থান পেয়েছিলেন। ২০০৬ সালের ২ ও ৩ জানুয়ারি পশ্চিমবঙ্গ স্কুল স্পোর্টস অ্যাসোসিয়েশনের উদ্যোগে যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে অনুষ্ঠিত ২০০ মিটার ও ৪০০ মিটার দৌড়ে প্রথম স্থান ও ১০০ মিটার দৌড়ে দ্বিতীয় স্থান লাভ করেন বুল্টি। সে বছরই স্কুল গেমস ফেডারেশন অব ইন্ডিয়ার ৫১তম জাতীয় স্কুল গেমসে মহারাষ্ট্রের পুণেতে ২২-২৫ জানুয়ারি ১০০ মিটার ২০০ মিটার ও ৪০০ মিটার রিলে— তিন বিভাগেই বুল্টি প্রথম হন। এভাবেই তাঁর সাফল্যের খতিয়ান এগিয়েছে।
চলতি বছরে উত্তরপাড়া নেতাজি সুভাষ ক্লাবের উদ্যোগে নেতাজির ১২৩তম জন্মজয়ন্তীতে বাঁকুড়ার কোতুলপুরে অনুষ্ঠিত ম্যারাথন রেসে বুল্টি প্রথম হন। বিভিন্ন বেসরকারি সংগঠনের আয়োজিত এমন ম্যারাথন দৌড়ে অংশ নিয়ে বুল্টি সামান্য আর্থিক পুরস্কার পান। সংসার কিছুটা চলে। তবে সেটা সাময়িক। এত সাফল্যের পরেও তারকেশ্বর পুর কর্তৃপক্ষ ও স্থানীয় কাউন্সিলার তাঁকে ন্যূনতম সম্মান জানানোর প্রয়োজন মনে করেননি বলে বুল্টির অভিযোগ। তাঁর দাবি, যে কোনও একটা চাকরি যাতে অভাবী সংসারের হাল ধরা যায় ও কচি ছেলেমেয়েদের মুখে একটু হাসি ফোটানো যায়। বুল্টি শুধু ভাবেন, তিনি রাজ্যের-দেশের সম্মানের জন্য প্রাণপাত করছেন, বিনিময়ে একটা চাকরি কি খুব বেশি? দেশের সরকার বাহাদুর তো খেলোয়াড়দের সাফল্যের নিরিখে চাকরি দেয়। তার বেলায় সেটা কি হবে না?
যাঁরা বুল্টিকে চেনেন, তাঁরা জানেন আগামী দিনে তাঁর সাফল্য তাঁকে আরও এগিয়ে নিয়ে যাবে। আর্থিকভাবে আর একটু ভরসা কি বুল্টি পেতে পারেন না?
বিদ্যুৎ ভৌমিক
তবু নিজের কাজ থামাননি তিনি। স্কুলের পরে রাজ্য ও আন্তর্জাতিক স্তরে বুল্টি অংশ নিয়েছেন। সাফল্য পেয়েছেন সেখানেও। তারপর প্র্যাকটিসে যাওয়া আসার সুবাদে রেলপথে সন্তোষ রায় নামের এক হকারের সঙ্গে পরিচয়। সেই সময়ে প্র্যাকটিসে গুরুত্ব কমিয়ে খেলায় কিছুটা অমনোযোগী হয়েছিলেন বুল্টি। নিজেই বলেছেন সেটা। ২০১০ সালে সন্তোষকে জীবনসঙ্গী হিসেবে বেছে নেওয়া। এখন এক মেয়ে ও এক ছেলে নিয়ে সংসার বেড়েছে। বেড়েছে চাপও। মেয়ে বিন্দিয়া চতুর্থ শ্রেণীতে ও ছেলে শিবশঙ্কর দ্বিতীয় শ্রেণীতে পড়ে। অসহায় পুত্র-কন্যা ও স্বামীর মুখের দিকে তাকিয়ে বুল্টি আবার ময়দানে ফিরেছেন। ফের সাফল্য তাঁকে ছুটিয়ে নিয়ে বেড়ায়।
যেখানেই গিয়েছেন, সেখানেই প্রথম স্থান। এভাবেই নিজেকে নতুন করে ফিরে পাওয়া। এখন তারকেশ্বর স্কুল মাঠে নিজেই দু’বেলা প্র্যাকটিসে মগ্ন থাকেন। তাঁর কোচ শিবপ্রসাদবাবু অসুস্থ। বুল্টির ইচ্ছে অলিম্পিকে পাড়ি দেওয়া। তাই নিজেকে গড়ে তুলতে তৎপর ও একাগ্র তিনি। সন্তোষ তাঁর স্ত্রীর অনমনীয় মনোভাবে বিস্মিত হয়ে যান। সাফল্যে গর্বিত তো বটেই!
বুল্টির একচিলতে ছোট্ট ভাড়া ঘরে বসে কথা হচ্ছিল। সংসারে অভাব তাঁর নিত্যসঙ্গী। তিনি নিজস্ব ঘর চান, যেখানে সপরিবার সুখে-শান্তিতে বসবাস করতে পারেন। ইতিমধ্যে মুক্ত বিদ্যালয় থেকে মাধ্যমিকে উত্তীর্ণ হয়েছেন। কঠোর অনুশীলনে মনোবল আরও বাড়িয়ে তুলতে চান। বুল্টি জানিয়েছেন, রায়পুর প্রাথমিক স্কুলে পড়াকালীন ২০০১ সালে প্রাথমিক ও নিম্নবুনিয়াদি বিদ্যালয়ের অষ্টাদশ বার্ষিক রাজ্য ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় বালিকা বিভাগে লং জাম্পে প্রথম হন। ওই বছরই আরও বেশ কিছু প্রতিযোগিতায় প্রথম হয়েছিলেন তিনি। পরের বছর ১৪ ডিসেম্বর রহিমপুর নবগ্রাম ক্রীড়াঙ্গনে অনুষ্ঠিত হুগলি জেলা প্রাথমিক ও নিম্নবুনিয়াদি বিদ্যালয়ের বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় ২০০ মিটার দৌড়ে ফের প্রথম হন। একই বছরে এসেছে আরও সাফল্য।
২০০৩ সালে ৮ জানুয়ারি জাঙ্গিপাড়া ডিএনহাই স্কুল মাঠে অনুষ্ঠিত ২৪তম হুগলি জেলা প্রাথমিক ও নিম্ন বুনিয়াদি বিদ্যালয়ের বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় ২০০ মিটার ও ১০০ মিটার দৌড়, দু’বিভাগেই প্রথম স্থান পেয়েছিলেন। ২০০৬ সালের ২ ও ৩ জানুয়ারি পশ্চিমবঙ্গ স্কুল স্পোর্টস অ্যাসোসিয়েশনের উদ্যোগে যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে অনুষ্ঠিত ২০০ মিটার ও ৪০০ মিটার দৌড়ে প্রথম স্থান ও ১০০ মিটার দৌড়ে দ্বিতীয় স্থান লাভ করেন বুল্টি। সে বছরই স্কুল গেমস ফেডারেশন অব ইন্ডিয়ার ৫১তম জাতীয় স্কুল গেমসে মহারাষ্ট্রের পুণেতে ২২-২৫ জানুয়ারি ১০০ মিটার ২০০ মিটার ও ৪০০ মিটার রিলে— তিন বিভাগেই বুল্টি প্রথম হন। এভাবেই তাঁর সাফল্যের খতিয়ান এগিয়েছে।
চলতি বছরে উত্তরপাড়া নেতাজি সুভাষ ক্লাবের উদ্যোগে নেতাজির ১২৩তম জন্মজয়ন্তীতে বাঁকুড়ার কোতুলপুরে অনুষ্ঠিত ম্যারাথন রেসে বুল্টি প্রথম হন। বিভিন্ন বেসরকারি সংগঠনের আয়োজিত এমন ম্যারাথন দৌড়ে অংশ নিয়ে বুল্টি সামান্য আর্থিক পুরস্কার পান। সংসার কিছুটা চলে। তবে সেটা সাময়িক। এত সাফল্যের পরেও তারকেশ্বর পুর কর্তৃপক্ষ ও স্থানীয় কাউন্সিলার তাঁকে ন্যূনতম সম্মান জানানোর প্রয়োজন মনে করেননি বলে বুল্টির অভিযোগ। তাঁর দাবি, যে কোনও একটা চাকরি যাতে অভাবী সংসারের হাল ধরা যায় ও কচি ছেলেমেয়েদের মুখে একটু হাসি ফোটানো যায়। বুল্টি শুধু ভাবেন, তিনি রাজ্যের-দেশের সম্মানের জন্য প্রাণপাত করছেন, বিনিময়ে একটা চাকরি কি খুব বেশি? দেশের সরকার বাহাদুর তো খেলোয়াড়দের সাফল্যের নিরিখে চাকরি দেয়। তার বেলায় সেটা কি হবে না?
যাঁরা বুল্টিকে চেনেন, তাঁরা জানেন আগামী দিনে তাঁর সাফল্য তাঁকে আরও এগিয়ে নিয়ে যাবে। আর্থিকভাবে আর একটু ভরসা কি বুল্টি পেতে পারেন না?
বিদ্যুৎ ভৌমিক
