পরিবারের সদস্যদের পারস্পরিক মতান্তর, কলহে মনে হতাশা। কাজকর্ম ভালো হবে। আয় বাড়বে। ... বিশদ
নিজের সার্বিক যত্ন নবীন প্রজন্মের কাছে ভালো থাকার অন্যতম শর্ত। নিজেকে সাজিয়ে তুলতে পেশাদারদের সাহায্য নেন তাঁরা। কিন্তু সময়ের অভাবে বাড়িতেও হয় রূপচর্চা। মুখের অনেক অংশের অবাঞ্ছিত রোম অস্বস্তি তৈরি করে। ঘরোয়া পদ্ধতিতে তা তুলে ফেলার পরামর্শ দিলেন রূপ বিশেষজ্ঞ পায়েল ভট্টাচার্য।
• দুধে অনেক ময়েশ্চার থাকে, এ তো সকলেরই জানা। দুধ ত্বক পরিষ্কারও করে। দু’চামচ দুধ হাল্কা গরম করে নিন। তাতে এক চিমটে হলুদ এবং এক চামচ মধু দিয়ে পেস্ট বানিয়ে ত্বকে লাগিয়ে রেখে ১৫ মিনিট পর পিল অফ মাস্কের মতো তুলে ফেলুন।
• ডিম সকলের বাড়িতেই থাকে। ডিমের সাদা অংশ, মধু এবং পাতিলেবুর রসের মিশ্রণে তৈরি পাতলা প্রলেপও ত্বকে ১৫ মিনিট লাগিয়ে পিল অফ মাস্কের মতো তুলে ফেলুন।
• চালের গুঁড়ো, বেসন এবং হলুদ ২ চামচ দুধের সঙ্গে ভালো করে মিশিয়ে প্যাক তৈরি করুন। তা মুখে লাগিয়ে তুলো বা রুমাল দিয়ে মুছে ফেললে ফেসিয়াল হেয়ার উঠে যাবে।
• এক চামচ মধু, দু’চামচ চিনি এবং জল একসঙ্গে মিশিয়ে নিন। ৩০ সেকেন্ডের জন্য এই মিশ্রণ মাইক্রোওয়েভে দিয়ে নিতে পারেন। মুখের যে জায়গায় অবাঞ্ছিত রোম রয়েছে, সেখানে এই মিশ্রণ লাগিয়ে তার উপর সুতির এক টুকরো কাপড় দিন। প্যাক ঠান্ডা হলে পিল অফ মাস্কের মতো টেনে তুলে দিন।
• ২ চামচ বেসন, ২ চামচ গোলাপ জল ১ ফোঁটা পাতিলেবুর রস একসঙ্গে মিশিয়ে মুখে লাগিয়ে রাখতে পারেন। শুকিয়ে গেলে হাল্কা ঘষে তুলে দিন।
• পাকা পেঁপের পেস্ট তৈরি করে তার সঙ্গে ১ টেবিল চামচ হলুদ মিশিয়ে মুখে লাগান। সুতির কাপড় ভিজিয়ে তার উপর লাগান। শুকিয়ে গেলে টেনে তুলে ফেলুন।
• ২ টেবিল চামচ ওটমিলের সঙ্গে পাকা কলা মিশিয়ে তৈরি প্যাক মুখে লাগিয়ে ১৫ মিনিট মাসাজ করুন। শুকিয়ে গেলে হাল্কা ঘষে জল দিয়ে ধুয়ে ত্বকে ময়েশ্চারাইজার লাগিয়ে নিন।
পায়েল জানালেন, এই কাজে ব্যবহার করতে পারেন আনফ্লেভার্ড জিলেটিন। এই পাউডার দু’চামচ নিয়ে মুখে লাগিয়ে তুলে ফেলতে পারেন। এতে প্রচুর অ্যামাইনো অ্যাসিড থাকে। তাতে ত্বকের বলিরেখা দূর হয়। সবকিছুরই ভালো এবং মন্দ দুই-ই থাকে। ওয়্যাক্স করলে মুখের ট্যান চলে যায়। উজ্জ্বল, মসৃণ ত্বক পাওয়া যায়। কিন্তু দীর্ঘদিন ধরে ওয়্যাক্স করলে ত্বকের ইলাস্টিসিটি নষ্ট হয়ে যায়, বলিরেখা দেখা যায়। ত্বক সেনসিটিভ হয়ে যায়। ত্বকে পিগমেন্টেশন আসার সম্ভাবনা থাকে। পায়েল সতর্ক করলেন, বাজারচলতি অনেক ওয়্যাক্সিং স্ট্রিপ পাওয়া যায়। তাতে ক্ষতিকর রাসায়নিক থাকে। এতে ব্রণ হতে পারে। একান্ত ওয়্যাক্স করতেই হলে স্কিন থেরাপিস্টের পরামর্শ নিন। নতুবা প্রাকৃতিক উপাদান অর্থাৎ ঘরোয়া পদ্ধতিতেই ভরসা রাখা শ্রেয়।