মাঝেমধ্যে মানসিক উদ্বেগের জন্য শিক্ষায় অমনোযোগী হয়ে পড়বে। গবেষণায় আগ্রহ বাড়বে। কর্মপ্রার্থীদের নানা সুযোগ আসবে। ... বিশদ
বসন্ত এসে গেছে। আকাশে বাতাসে আনন্দের হিল্লোল। ফাল্গুনে বিয়ের দিনগুলোয় নেমন্তন্ন লেগেই থাকে। সঙ্গে আছে ম্যারেজ অ্যানিভার্সারির পার্টি, জন্মদিনের সান্ধ্য আড্ডা আর ভালোবাসার মানুষটির সঙ্গে ইটিং আউটের মজা। অনুষ্ঠান যাই হোক না কেন বসন্ত সন্ধ্যার সাজে চাই রং আর আলোর অয়োজন।
কনট্রাস্ট পাড় আর জরি এমব্রয়ডারি
প্রথম ছবিতে আমাদের মডেল অঙ্গনা পরেছে নীল কটন সিল্ক শাড়ি। রানি আর কমলার স্যাটিন বর্ডার শাড়িটিকে আরও জমকালো করে তুলেছে। তবে শাড়িটির প্রধান ইউএসপি হল জমিতে ছড়ানো সূক্ষ্ম জরি এমব্রয়ডারি আর জরি আচল। এটি গড়িয়াহাটের ‘সুন্দরী’ থেকে নেওয়া। সুন্দরীর কর্ণধার গৌরব আগরওয়াল জানালেন, এই মুহূর্তে হালকা সিল্ক, তসর, জর্জেট ও শিফনের স্প্রিং কালেকশন হাজির তাঁর স্টোরে।
কাতান সিল্কে জরি বর্ডার
বসন্ত মানেই রং আর রং। উজ্জ্বল হলুদ কাতান সিল্ক শাড়িটি যেন রাধাচূড়ার কথা মনে করিয়ে দেয়। রানিরঙা জরির বর্ডার আর জরির আঁচলে শাড়িটি যেন রাজরানির মতো ঐশ্বর্যময়। শাড়িটি ‘শীর্ষা’জ কালেকশন’ থেকে নেওয়া। ডিজাইনার শম্পা জানালেন, তিনি বেনারস থেকে এই ধরনের কাতান সিল্ক শাড়ি এনেছেন। রং ও ডিজাইন এক্সক্লুসিভ। যে কোনও উৎসব অনুষ্ঠানে পরার জন্য খুব ভালো।
দক্ষিণী সিল্কে জরির কারুকাজ
তৃতীয় শাড়িটি দক্ষিণ ভারতের জমকালো সিল্ক। চওড়া স্ট্রাইপের ডিজাইনে জরির কারুকাজ শাড়িটিতে অন্য মাত্রা যোগ করেছে। সঙ্গে সঙ্গত করেছে জরির জমজমাট আঁচল। শাড়িটি ‘দেবশ্রী’জ-এর। ডিজাইনার দেবশ্রী দাস বললেন, তিনি সবসময়েই ডিজাইনে নতুনত্ব আনার চেষ্টা করেন। তাই দক্ষিণ ভারতের কাঞ্জিভরম শিল্পীদের দিয়ে নিজের ডিজাইনে এই শাড়ি তৈরি করিয়েছেন। বেশিরভাগই তৈরি হয়েছে খুব উজ্জ্বল রঙে। তবে অফ হোয়াইটে লাল-সবুজ কম্বিনেশনও আছে।
ম্যাট জরি মিনাকারি বেনারসি
যাঁরা জমকালো সাজে সাজতে চান অথচ একটু সোবার কিছু খোঁজেন তাঁদের জন্য চতুর্থ শাড়িটি পারফেক্ট। একেবারে মিনাকারি গয়নার আদলে শাড়িশিল্পী বুনেছেন বেনারসিটি। জরিও ম্যাটফিনিশড। শাড়িটি ‘প্রিয়গোপাল বিষয়ী’ থেকে নেওয়া। শোরুমের তরফে সৌম্যবাবু জানালেন, বসন্তে বিয়ের ভরা মরশুম। শুধু কনে নয়, বাড়ির সকলেও কেনেন মনের মতো কয়েকটি শাড়ি। তাঁরা এই ধরনের মিনাকারি বেনারসি শাড়িতে হাত বাড়াতে পারেন।