মাঝেমধ্যে মানসিক উদ্বেগের জন্য শিক্ষায় অমনোযোগী হয়ে পড়বে। গবেষণায় আগ্রহ বাড়বে। কর্মপ্রার্থীদের নানা সুযোগ আসবে। ... বিশদ
দীর্ঘদিন পাইপলাইনে নজরদারি না থাকা, বহু বছররে পুরনো পাইপলাইনের বদল না করার মতো নানাবিধ কারণে হাওড়ার বিভিন্ন এলাকায় পানীয় জলে সংক্রমণ মাঝেমাঝেই ঘটছে। উত্তর হাওড়ার পর দক্ষিণ হাওড়ার শিবপুর বি গার্ডেন এলাকার নস্করপাড়া এলাকায় এমন দূষিত পানীয় জল নিয়ে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। হাওড়ায় পানীয় জলের এই সমস্যা আসন্ন পুরভোটে বিরোধীদের কাছে বড় ইস্যু হয়ে উঠবে বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।
নস্করপাড়া এলাকার বাসিন্দা কৃষ্ণা খাঁ, মতি প্রসাদরা বলেন, গত চার-পাঁচদিন ধরে আমাদের এলাকায় কোথাও না কোথাও জলে এসব বেরচ্ছে। কাকে বলব, সেটাই বুঝে উঠতে পারছি না। মতি প্রসাদ বলেন, ওই জল ধরার সময় আমরা কলের মুখে কাপড় বেঁধে দিচ্ছি। তবে ওইসব বেরতে দেখার পর আর ওই জল খেতে পারছি না। শৌচকাজ বা হাত-পা ধোয়ার জন্য ওই জল ধরছি। তিনি আরও বলেন, প্রত্যেকদিন জল কিনে খাওয়ার মতো আর্থিক অবস্থা আমাদের নেই। প্রশাসন অবিলম্বে না নজর দিলে সমস্যা বেড়ে যাবে।
কয়েকদিন আগে লিলুয়া, সালকিয়া এলাকায় পানীয় জলের সমস্যা নিয়ে হইচই বেঁধেছিল। পেটের সমস্যা নিয়ে স্থানীয় সত্যবালা আইডি হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন শতাধিক মানুষ। জলে দুর্গন্ধ এবং ঘোলাটে ও লালচে জলের অভিযোগ ওঠে। পুরসভার কর্তা জানিয়েছিলেন, পানীয় জলের উৎস থেকে ওই এলাকার পুরো পাইপলাইন পরীক্ষা করে কোথায় সমস্যা হচ্ছে, তা খোঁজা হবে ও ব্যবস্থা নেওয়া হবে। নতুন করে অবশ্য ওই অঞ্চলে সংক্রমণের খবর আসেনি। তবে নস্করপাড়া এলাকায় যেভাবে জলের সঙ্গে কেন্নো ও বিছে বেরিয়েছে, তাতে ওই এলাকার পাইপলাইনও কোথাও ফেটেছে বা ছিদ্র হয়েছে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। হাওড়া পুরসভার প্রশাসক বিজিন কৃষ্ণা বলেন, লিলুয়ার দিকের পাইপলাইন আর নস্করপাড়ার জল সরবরাহকারী পাইপলাইন আলাদা। আমরা অভিযোগ পেয়ে নস্করপাড়া থেকে জল নিয়ে সঙ্গে সঙ্গেই বিশেষজ্ঞদের পাঠিয়েছি। পরীক্ষা করে দেখা হচ্ছে, পাইপলাইন কোথাও ফেটেছে বা ছিদ্র হয়েছে কি না। নিকাশিনালার সঙ্গে কোথাও পানীয় জলের পাইপলাইনের জল মিশে যাচ্ছে কি না, তাও পরীক্ষা করে দেখা হচ্ছে। বিষয়টি নিয়ে হাওড়ার প্রাক্তন মেয়র ডাঃ রথীন চক্রবর্তী বলেন, পুরবোর্ড না থাকায় নজরদারির অভাব তো রয়েছেই। জলের উৎস থেকে এই সমস্যা হতে পারে না। পাইপলাইনে কোথাও সমস্যা হয়েছে। তবে বিরোধীদের এসব ইস্যু করার জায়গা নেই। জেলা সিপিএম সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য সুমিত্র অধিকারী বলেন, এসব দেখেই তো বুঝতে পারছেন, কেমন পরিষেবা দিচ্ছে পুরসভা। রক্ষণাবেক্ষণে চূড়ান্ত ব্যর্থ প্রশাসন। রাজনৈতিক চাপ দিয়ে প্রশাসককেও কাজ করতে দেওয়া হচ্ছে না।