মাঝেমধ্যে মানসিক উদ্বেগের জন্য শিক্ষায় অমনোযোগী হয়ে পড়বে। গবেষণায় আগ্রহ বাড়বে। কর্মপ্রার্থীদের নানা সুযোগ আসবে। ... বিশদ
মাধ্যমিক পরীক্ষার আগে প্রধান বিষয় হল ছাত্রছাত্রীরা যেন কোনওভাবেই চাপ না নেয়। সকলকেই এটা বুঝতে হবে যে সারা বছর ধরে যে পড়াশুনা ছাত্রছাত্রীরা করেছে, তার উপরেই রেজাল্ট নির্ভর করবে। পরীক্ষার এক-দু’দিন বা এক সপ্তাহ আগের পড়াশুনার উপর রেজাল্ট নির্ভর করে না।
এই সময়ে হাল্কা খাওয়া-দাওয়া করতে হবে। ভাজা জাতীয় খাবার, বিরিয়ানি, চিলি চিকেন বা বাইরের জাংক ফুড না খাওয়াই ভালো। জল বেশি করে খেতে হবে। একই সঙ্গে ধোঁয়া, ধুলো বা দূষণকে এড়িয়ে চলতে হবে। পরীক্ষার আগে ঠিক সময়ে ঘুমানোটা জরুরি। ঘুম কম হলে অনকে সময়ে চাপ তৈরি হয়। পরীক্ষার আগে ঘুম ঠিক না হলে অনেক সময়ে মেমোরি ফেল করে। তাহলে কিন্তু পরীক্ষার ক্ষেত্রে সমস্যা হতে পারে। পরীক্ষার আগের রাতে যেন সাত থেকে আট ঘণ্টা ঘুম হয়। যদি ছোটখাট কোনও সমস্যা পরীক্ষার আগে হয় তাহলে নিজেরা ওষুধ না খেয়ে ডাক্তারবাবুর পরামর্শ নেওয়া উচিত।
এসময়ে বাইরের কাটা ফল খাওয়া উচিত নয়। বাড়ির হাল্কা রান্না খাওয়া উচিত। অভিভাবকরা যেন ছেলেমেয়েদের বেশি চাপ না দেন। পরীক্ষা দিয়ে ফিরে আাসার পরেই এই পরীক্ষা কেমন হল, ওই পরীক্ষা কেমন হল এসব জিজ্ঞাসা না করাই উচিত। অন্যদের সঙ্গে তুলনা করা উচিত নয়। আশপাশের কে কী রকম পরীক্ষা দিয়েছে তার সঙ্গে তুলনা করে চাপ নেওয়া ঠিক নয়। এক্ষেত্রে বেশি চিন্তা করলে পরের পরীক্ষা খারাপ হতে পারে।
যেকোনও পরীক্ষার আগেই একটা চাপ থাকে। সেটা আমাদের শরীর অ্যাডজাস্ট করে নিতে সক্ষম। সেটার জন্য আলাদা করে কিছু করার নেই। তবে উল্টোপাল্টা খাবার থেকে ফল-সব্জি প্রভৃতি খাওয়ার উপরে জোর দেওয়া যেতে পারে। ওষুধের দোকান থেকে কোনও অ্যান্টি ডিপ্রেশন ওষুধ কিনে খেয়ে নিলাম, এমনটা যেন না হয়।