মাঝেমধ্যে মানসিক উদ্বেগের জন্য শিক্ষায় অমনোযোগী হয়ে পড়বে। গবেষণায় আগ্রহ বাড়বে। কর্মপ্রার্থীদের নানা সুযোগ আসবে। ... বিশদ
জামিয়া মিলিয়া ইসলামিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়াদের উপর ‘পুলিসি হামলা’র প্রতিবাদে এবং সিএএ-এনআরসি-এনপিআর প্রত্যাহারের দাবিতে গত দু’মাস ধরে গুরুত্বপূর্ণ কালিন্দীকুঞ্জ রোড অবরুদ্ধ করে অবস্থানে বসেছেন শাহিনবাগের মহিলারা। এবং সেইদিন থেকেই কার্যত যুদ্ধক্ষেত্র হয়ে রয়েছে গোটা এলাকা। আজও মিছিল আটকানোর পর যাতে কোনওরকম অপ্রীতিকর পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে না হয়, সেই কারণে পুলিসে পুলিসে ছেয়ে ফেলা হয়েছিল গোটা চত্বর। মজুত ছিল আধা সামরিক বাহিনীর জওয়ান, র্যা ফ, দাঙ্গা প্রতিরোধকারী পুলিস। কাঁদানে গ্যাসের শেল হাতেও উপস্থিত ছিলেন পুলিসকর্মীরা। অবস্থান মঞ্চ থেকে মূল রাস্তা পর্যন্ত তৈরি করা হয়েছিল চারটি ব্যারিকেড। উত্তেজনা বিশেষ না ছড়ালেও অবস্থান মঞ্চে ফিরে গিয়ে ‘হাল্লা বোল’ আওয়াজ তুলেছেন প্রতিবাদীরা। তৈরি করেছেন ইন্ডিয়া গেটের রেপ্লিকা। গ্যাস বেলুনে সিএএ এবং মোদি বিরোধী স্লোগান লিখে উড়িয়ে দিয়েছেন দেদার।
কেন মিছিল করতে দেওয়া হল না শাহিনবাগকে? ঘটনাস্থলে দাঁড়িয়েই দক্ষিণ-পূর্ব দিল্লির ডেপুটি কমিশনার অব পুলিস রাজেন্দ্রপ্রসাদ মীনা বলেন, ‘মিছিলের জন্য যে আবেদন আমরা পেয়েছি, তা যথাযথ ছিল না। নিয়ম মেনে তা করা হয়নি। একসঙ্গে পাঁচ হাজারের বেশি বিক্ষোভকারীকে তো আর রাজপথে মিছিল করে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বাড়িতে যাওয়ার অনুমোদন দেওয়া যায় না। আমরা ওঁদের প্রতিনিধি দলের সদস্যদের নাম জানাতে বলেছি। ওঁরা তা দিতে পারেননি। প্রক্রিয়া মেনে আবেদন করা হলে নিশ্চই বিবেচনা করে দেখা হবে।’ এর জবাবে দৃশ্যতই ক্ষুব্ধ শাহিনবাগের ‘দাদি’রা জানিয়েছেন, তাঁদের বিক্ষোভে কোনও নেতা নেই। তাই প্রতিনিধি দল থাকাও সম্ভব নয়। সকলেই একসঙ্গে অমিত শাহের বাড়িতে যাবেন।’ জামিয়া নগর শাহিনবাগের বিক্ষোভকারীদের অন্যতম মহম্মদ দিলশাদ, আশু খানরা বলেছেন, ‘আমরা অত্যন্ত শান্তিপূর্ণভাবেই মিছিল করতে চেয়েছিলাম। পুলিস তারও অনুমোদন দিল না।’ এরপরেও শাহিনবাগের সিএএ বিরোধী বিক্ষোভ চলবে বলেই জানিয়েছেন তাঁরা।