মাঝেমধ্যে মানসিক উদ্বেগের জন্য শিক্ষায় অমনোযোগী হয়ে পড়বে। গবেষণায় আগ্রহ বাড়বে। কর্মপ্রার্থীদের নানা সুযোগ আসবে। ... বিশদ
প্রসঙ্গত, গোপন সূত্রে খবর পেয়ে পুলিস শনিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টা নাগাদ ফালাকাটার সুভাষপল্লি রেলগেট পেড়িয়ে কুঞ্জনগর যাওয়ার রাস্তায় একটি বিলাসবহুল গাড়ি আটক করে। ওই গাড়ি থেকেই পুলিস এই বিপুল পরিমাণ টাকা সহ সাতজনকে গ্রেপ্তার করে। পরে ধৃতদের টানা জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিস রাতের দিকে কোচবিহার শহরের দু’টি বিলাসবহুল হোটেল হানা দিয়ে বাকি পাঁচজনকে ধরে।
ডুয়ার্সে এই প্রথমবার বিপুল পরিমাণ জাল নোট উদ্ধারের ঘটনায় ব্যবসায়ী ও সাধারণ মানুষের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়েছে। জাল নোটের কারবারিরা মালদহকে এড়িয়ে ভুটান বা ভারত-ভুটান আন্তর্জাতিক সীমান্তের জয়গাঁকে নতুন রুট হিসেবে বাছছে কি না এই প্রশ্ন অবশ্য এড়িয়ে যান আলিপুরদুয়ারের পুলিস সুপার অমিতাভ মাইতি।
পুলিস সুপার বলেন, রবিবার ধৃতদের আদালতে পাঠানো হয়। জাল নোটের কারবারিরা মালদহকে বাদ দিয়ে এবার নতুন রুট বাছছে কি না এবিষয়ে কোনও মন্তব্য করব না। তবে ধৃতরা জাল নোট কোথায় পেল তা বিস্তারিত তদন্তের জন্য আমাদের একটি টিম হায়দরাবাদে যাবে। সেখান থেকে কিছু তথ্য মিলবে বলে আমরা আশাবাদী। তদন্তের পরেই সবটা পরিষ্কার হবে।
পুলিস জানিয়েছে, ধৃতরা হল প্রদীপ গুনান, জীবন কুমার, ডোরা বানু, কানাইলাল হালদার, সুদীপ কর্মকার ও শ্যামল হালদার। এরমধ্যে প্রথম তিনজনের বাড়ি তেলেঙ্গানাতে। শেষের তিনজনের বাড়ি এরাজ্যের সোনারপুর ও কসবায়। বাকি ছ’ জনের বাড়ি কর্ণাটকে। তবে বাকি ছ’জনের নাম পুলিস তদন্তের স্বার্থে জানায়নি।
এদিন ধৃত ১২ জনকেই পুলিস আলিপুরদুয়ার আদালতে তোলে। পুলিস জানিয়েছে, এরমধ্যে হায়দরাবাদ ও কলকাতার বাসিন্দা ছ’জনকে আদালত ১২ দিনের পুলিস হেফাজতে পাঠিয়েছে। কর্ণাটকের বাসিন্দা বাকি ছ’জনকে আদালত ১৪ দিনের জেল হেফাজতে পাঠিয়েছে।
পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, শনিবার সন্ধ্যায় ফালাকাটার সুভাষপল্লি রেলগেট পেড়িয়ে কুঞ্জনগর যাওয়ার রাস্তার দিকে জাল নোট সহ দুষ্কৃতীরা একটি বিলাসবহুল গাড়িতে করে যাচ্ছিল। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে ফালাকাটা থানার পুলিস গাড়িটিকে পিছু নিয়ে আটক করে। তারা ওই বিপুল পরিমাণ জাল নোট সহ প্রথমে সাতজনকে গ্রেপ্তার করে। ওই বিপুল পরিমাণ টাকা বড় বড় ব্যাগে ভরে রাখা হয়েছিল। সাতজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করে পরে কোচবিহার থেকে বাকি পাঁচজনকে পুলিস গ্রেপ্তার করে।
পরে পুলিস উদ্ধার হওয়া জাল নোটগুলি ব্যাঙ্কের বিশেষজ্ঞদের কাছে পাঠায়। পুলিস জানিয়েছে, ব্যাঙ্কের বিশেষজ্ঞরা প্রাথমিকভাবে তাদের জানিয়ে দিয়েছে উদ্ধার হওয়া ২০০০ টাকার নোটগুলি সবই জাল।
তবে এই জাল নোট দুষ্কৃতীরা কোথা থেকে পেল, কি উদ্দেশ্যে কোথায় পাচার করার পরিকল্পনা করতে চাইছিল সেবিষয় জানতেই পুলিসের টিম হায়দরাবাদে যাচ্ছে। জাল নোটের কারবারিরা জয়গাঁ বা ভুটানকে জাল নোটের নতুন রুট হিসেবে ব্যবহার করছে কি না গোয়েন্দারা এখন সেটাও খতিয়ে দেখছে। তাই জাল নোট উদ্ধার এবং অভিযুক্তদের একাংশ ধরা পড়ায় গোয়েন্দা গোটা বিষয়টিকে হালকাভাবে নিচ্ছে না।