মাঝেমধ্যে মানসিক উদ্বেগের জন্য শিক্ষায় অমনোযোগী হয়ে পড়বে। গবেষণায় আগ্রহ বাড়বে। কর্মপ্রার্থীদের নানা সুযোগ আসবে। ... বিশদ
মল্লিকা রায় বসুনিয়া বলেন, বর্তমানে দেখছি যাঁরা প্রকৃত শিল্পী তাঁরা ভাতা পাচ্ছেন না। আমি ব্লক স্তরের প্রতিযোগিতায় প্রথম হয়েছি, রাজ্যে দ্বিতীয় হয়েছি। কিন্তু আমি এই ভাতা পাই না। বিডিও অফিস, পঞ্চায়েত অফিস, তথ্য সংস্কৃতি দপ্তরে বহুবার গিয়েছি। কিন্তু এরপরও আমি কোনও ভাতা পাইনি। শুধুমাত্র প্রতিশ্রুতি পেয়েছি। কিন্তু এর কোনও ফল পাইনি। তবে রেওয়াজ ছাড়িনি। আমার স্বামী মারা যাবার পর সংসার চালাতে এখন মানুষের বাড়িতে কাজ করতে হচ্ছে। একসময় বড় বড় সরকারি মেলাগুলিতেও গান করেছি। খুকশিয়া উদ্যানে সম্প্রীতি মেলা সহ নানা মেলায় গান করে মানুষের কাছে প্রচুর আশীর্বাদ পেয়েছি। কিন্তু আমার যে এই ভাতা এখন প্রয়োজন তা পাচ্ছি না। একারণে আমি ধীরে ধীরে গান করা বন্ধ করে দিচ্ছি। শিল্পীর মর্যাদা না পাওয়ায় রেডিওতে গান গাওয়া বন্ধ করে দিয়েছি।
ধূপগুড়ির বিজেপি নেতা কমলেশ সিংহ রায় বলেন, বর্তমানে রাজ্য সরকারের ঘনিষ্ঠরা গান না জানলেও শিল্পী ভাতা পাচ্ছেন। সব কিছুতে স্বজনপোষণ চলছে। যেখানে স্বার্থ আছে এই সরকার সেখানে ভাতা দেয়। এই ভাতা আর কিছু না নিজেদের ভোটব্যাঙ্ক ঠিক রাখতে এটা চালু রেখেছে। কিন্তু এর থেকে বঞ্চিত রয়েছেন মল্লিকার মতো প্রচুর গুণী ও প্রকৃত শিল্পী।
ধূপগুড়ি পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি তৃণমূলের দীনেশ মজুমদার বলেন, আমি এব্যাপারে কিছু জানি না। আমি ঘটনার কথা সবেমাত্র শুনলাম। ওই শিল্পী যাতে শীঘ্রই ভাতা পান সেজন্য আমি আমার সাধ্যমতো চেষ্টা করব। জলপাইগুড়ি জেলার তথ্য সংষ্কৃতি দপ্তরের আধিকারিক সূর্য বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ২০১৬ সাল থেকে শিল্পী ভাতার আবেদন বন্ধ রয়েছে। শিল্পী ভাতা পেতে গেলে আবেদন করতে হয়, তার জন্য অডিশন হয়। কিন্তু এখন তা বন্ধ থাকায় আবেদন জমা নেওয়া হচ্ছে না।