মাঝেমধ্যে মানসিক উদ্বেগের জন্য শিক্ষায় অমনোযোগী হয়ে পড়বে। গবেষণায় আগ্রহ বাড়বে। কর্মপ্রার্থীদের নানা সুযোগ আসবে। ... বিশদ
ওয়েষ্ট বেঙ্গল কেরোসিন এজেন্ট ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক দেবাশিস জোয়ারদার জানিয়েছেন, চতুর্থ কোয়ার্টারেও কোটার তেল অতিরিক্ত হয়ে যাবে বলে তাঁরা আশঙ্কা করছেন। এজেন্টদের কাছে প্রচুর কেরোসিন জমে রয়েছে। কেরোসিনের নিয়মিত মূল্যবৃদ্ধি ও রাজ্য সরকারের বণ্টন নীতির ফলে চাহিদা কমছে। প্রসঙ্গত, রাষ্ট্রায়ত্ত তেল সংস্থাগুলির কাছ থেকে কেরোসিন তুলে ডিলারদের কাছে সরবরাহ করা হয় এজেন্টদের মাধ্যমে। কোনও কোনও জেলায় এজেন্ট ও ডিলারদের মধ্যে বিগ ডিলার রয়েছেন। রাজ্যে কেরোসিনের এজেন্টের সংখ্যা প্রায় ৪৬০। কেরোসিন ডিলারদের সংগঠনের রাজ্য সভাপতি অশোক গুপ্তও জানিয়েছেন, দাম বাড়ার জন্য কেরোসিন কেনার আগ্রহ কমছে। রেশন দোকান ও খোলাবাজারের দাম এখন প্রায় কাছাকাছি চলে এসেছে। ফলে কখন ডিলারের কাছে কেরোসিন পাওয়া যাবে, আর তা লাইনে দাঁড়িয়ে কিনতে হবে, সেই অপেক্ষায় থাকতে চাইছেন না ক্রেতারা। প্রসঙ্গত, রাষ্ট্রায়ত্ত তেল সংস্থাগুলি সরাসরি খোলাবাজারে তেল সরবরাহ করে না। কিন্তু রেশন দোকানের মাধ্যমে বিক্রি হওয়া কেরোসিনের একটা অংশ ‘লিক’ হয়ে খোলাবাজারে চলে আসে। চাহিদা কমে যাওয়ায় খোলাবাজারে এখন কেরোসিনের দামও রেশনের নির্ধারিত মূল্যের কাছাকাছি চলে এসেছে। সাধারণ যে ক্রেতাদের এখন অল্প কেরোসিন পেলেই চলে যায়, তাঁরা খোলাবাজার থেকেই তা সংগ্রহ করে নিচ্ছেন।
কেন্দ্রীয় সরকারের লক্ষ্য কেরোসিনের উপর থেকে ভর্তুকি পুরোপুরি তুলে দেওয়া। এখনও লিটারে সাড়ে তিন টাকার কিছু বেশি ভর্তুকি হয় সরকারের। অশোধিত তেলের দামে খুব বেশি এদিক ওদিক না হলে আগামী এক বছরের মধ্যে কেরোসিন খাতে আর কোনও ভর্তুকি দিতে হবে না কেন্দ্রকে।
কেন্দ্রীয় সরকার গত ২০১৬ সালের জুলাই মাস থেকে কেরোসিনের দাম প্রতি মাসে বাড়িয়ে যাচ্ছে। ওই সময় রাজ্যে প্রতি লিটার কেরোসিনের দাম ছিল ২১ টাকার আশপাশে। এখন তা প্রায় দ্বিগুণ হয়ে গিয়েছে। আগামী দিনে দাম আরও বাড়লে কেরোসিনের ভবিষ্যৎ বলে যে কিছু থাকবে না, তা এজেন্টরা বুঝতে পারছেন। ফলে তাঁদের জন্য বিকল্প ব্যবস্থার দাবি উঠছে।
কেরোসিন এজেন্টদের পক্ষ থেকে রান্নার গ্যাসের ডিস্ট্রিবিউটরশিপ চাওয়া হয়েছে কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে। গোটা দেশে প্রায় ৬ হাজার কেরোসিন এজেন্ট আছেন। কেন্দ্রীয় সরকার দরিদ্র পরিবারদের জন্য রান্নার গ্যাসের প্রকল্প ‘উজ্জ্বলা’ চালু করলেও নতুন গ্যাস ডিস্ট্রিবিউটরশিপ দেয়নি। এজেন্টদের বক্তব্য, প্রায় ১০ হাজার নতুন ডিস্ট্রিবিউটরশিপ দিতে হবে এটা সরকারই বলছে। এর থেকে সহজেই কেরোসিন এজেন্টদের গ্যাসের ডিস্ট্রিবিউটরশিপ দেওয়া সম্ভব। তাঁদের প্রয়োজনীয় পরিকাঠামোও আছে। কেন্দ্রীয় সরকার এই দাবি মেনে না নিলে তাঁরা আইনি লড়াইয়ে নামবেন বলে দেবাশিসবাবু জানিয়েছেন।