Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

টুকরে টুকরে গ্যাং-ই জিতল
পি চিদম্বরম

গত ১১ ফেব্রুয়ারি লোকসভার কার্যবিবরণীতে নথিভুক্ত নিম্নলিখিত প্রশ্নোত্তরগুলি আনন্দের কারণ হতে পারত যদি না বিষয়টি বিজেপি নেতাদের (এই পঙ্‌ক্তিতে আছেন প্রধানমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এবং অন্য মন্ত্রীরাও) দুঃখের ধারাবিবরণীতে পরিণত হতো:
প্রশ্ন:
(ক) স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক, ন্যাশনাল ক্রাইম রেকর্ডস ব্যুরো (এনসিআরবি), কেন্দ্র ও রাজ্যের কোনও আইন প্রয়োগ সংস্থা, পুলিস, কেন্দ্র ও রাজ্যের কোনও ধরনের গোয়েন্দা সংস্থা প্রভৃতির মধ্যে কেউ কি ‘টুকরে টুকরে গ্যাং’ নামে কোনও সংঠগনকে চিহ্নিত এবং তালিকাভুক্ত করেছে?
(খ) ‘টুকরে টুকরে গ্যাং’—এমন একটি পরিভাষা যে ব্যবহার করা হচ্ছে, এর ভিত্তিটা কী—কেন্দ্রীয় মন্ত্রক কিংবা আইন প্রয়োগ সংস্থা অথবা গোয়েন্দা সংস্থাগুলির পক্ষ থেকে পাওয়া কোনও তথ্য?
(গ) স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক, এনসিআরবি, অথবা আইন প্রয়োগ সংস্থা অথবা গোয়েন্দা সংস্থাগুলি কি ‘টুকরে টুকরে গ্যাং’-এর অভিযুক্ত নেতাদের এবং তার সদস্যদের তালিকা তৈরি করেছে?
(ঘ)‘টুকরে টুকরে গ্যাং’-এর সদস্যদের বিরুদ্ধে প্রয়োগের মতো কোনও ফৌজদারি শাস্তির কথা (বিশেষ করে ভারতীয় দণ্ডবিধি বা আইপিসি অথবা অন্য আইনে নির্দিষ্ট) বিবেচনা করা হচ্ছে কি? স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক কিংবা অন্য কোনও আইন প্রয়োগ সংস্থা অথবা গোয়েন্দা সংস্থাগুলি কি এটা নিয়ে ভাবনাচিন্তা করছে?
(ঙ) যদি সেরকম হয়, তবে বিস্তারিত জানানো হোক।
উত্তর
(ক) থেকে (ঘ): কোনও ধরনের আইন প্রয়োগ সংস্থা এই বিষয়ে কোনও প্রকার তথ্য সরকারের গোচরে আনেনি।
দেশকে টুকরো করা হচ্ছে?
যেহেতু ২০১৯-এর মে মাসে ভোটের মাধ্যমে বিজেপিকে পুনরায় ক্ষমতায় ফেরানো হয়েছে, সেই সূত্রে দেশের অনেক মানুষকেই খাওয়ানো গিয়েছে যে, ভারত বিপদের মধ্যে রয়েছে। ভারতকে টুকরো টুকরো করার লক্ষ্যে কয়েকটি গোষ্ঠী সক্রিয়ভাবে অপকম্ম করে চলেছে। এই গোষ্ঠীগুলিকে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন ধরনের নামে দেগে দেওয়া হয়েছে—নকশাল, মাওবাদী, মুসলিম সন্ত্রাসবাদী, শহুরে নকশাল প্রভৃতি। কানহাইয়া কুমারসহ চারজন ছাত্রনেতার নামে রাষ্ট্রদ্রোহিতার মিথ্যা অভিযোগের বিরুদ্ধে জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ে (জেএনইউ) একটি বড় ছাত্রসমাবেশ হয়েছিল। ওই প্রতিবাদী ছাত্রদেরকেই ‘টুকরে টুকরে গ্যাং’ নামে দেগে দেওয়া হয়েছে। তারপর থেকে বিজেপির নীতি ও কাজের বিরোধী সকলকেই ওই তকমাটাই সেঁটে দেওয়া হচ্ছে। এই তকমা রাজনৈতিক ভাষণের ভিতরেও ঢুকে পড়েছে। দুর্ভাগ্য যে, সেটা মার্জিত রুচির বিদেশমন্ত্রী এস জয়শংকরের ভাষণেও জায়গা করে নিয়েছে।
বিভিন্ন গোষ্ঠী এবং মানুষের গায়ে এই তকমা সেঁটে দেওয়ার দ্রুততায় অনেকে বিভ্রান্ত হয়ে ভেবে নিচ্ছেন যে, ‘টুকরে টুকরে গ্যাং’ সত্যিই রয়েছে আর সেটা দেশের সামনে এক ভয়ংকর ও ক্রমবর্ধমান বিপদরূপেই উপস্থিত হয়েছে। এই ‘টুকরে টুকরে গ্যাং’-এর মধ্যে বিজেপির বিরোধী কাকে না ধরা হয়েছে—শিক্ষাবিদ, অর্থনীতিবিদ, লেখক, শিল্পী, ছাত্রছাত্রী, শ্রমিক সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত মানুষজন, কৃষক, বেকার যুবক-যুবতী, মহিলা, এমনকী শিশুরাও। আর অবশ্যই নাম করতে হবে বিরোধী দলগুলির নেতাদের। মহিলা ও শিশুরা হল ‘টুকরে টুকরে গ্যাং’-এ সর্বশেষ সংযোজন। নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন (সিএএ) এবং প্রস্তাবিত জাতীয় জনসংখ্যাপঞ্জির (এনপিআর) বিরুদ্ধে শাহিনবাগে প্রতিবাদ আন্দোলন গড়ে উঠতেই তাদেরকে জুড়ে দেওয়া হয়েছে। তালিকাটি রোজ লম্বা হচ্ছে।
ছকে সামান্য ভুল
দিল্লি বিধানসভার সদ্যসমাপ্ত নির্বাচনে স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী দুটি পদযাত্রায় অংশ নিয়ে ‘টুকরে টুকরে গ্যাং’-এর কথা তুলে তাদের তীব্র ভাষায় আক্রমণ করেছেন। খবরের কাগজ, টিভি চ্যানেল এবং সোশ্যাল মিডিয়া অবশ্য এই ‘গ্যাং’-এর চেহারাটা দেখিয়ে দিয়েছে। যাই হোক, ছকে সামান্য ভুল রয়ে গিয়েছে। আমরা কী দেখলাম—‘টুকরে টুকরে গ্যাং’ যাদের বলা হচ্ছে তাদের এক হাতে ভারতের জাতীয় পতাকা আর অন্য হাতে ভারতের সংবিধানের একটি কপি! এখানেই শেষ নয়, ‘টুকরে টুকরে গ্যাং’-এর সদস্যদের দরাজ গলায় মাঝে মাঝেই ধ্বনিত হচ্ছে আমাদের জাতীয় সঙ্গীত! মানুষকে যে বাগাড়ম্বর শোনানো হয়েছিল আর মানুষ স্বচক্ষে যে ছবি দেখল, তা তো মিলছে না—একেবারেই যে আলাদা! মনে হয় সব ধরনের মানুষ তাদের বিশ্বাস অনুযায়ীই সব বিশ্বাস করেছে।
মন্ত্রী মশায়ের বিবৃতিটা চমকপ্রদ। গত কয়েক মাস যাবৎ বিজেপি নেতারা যেসব অভিযোগ করলেন আর গত সপ্তাহে সংসদে মন্ত্রী মশায় যে বিবৃতি দিলেন তা তো উল্টো! এই বৈপরীত্যের ব্যাখ্যা কী—তা দেওয়ার জন্য বিজেপির কোনও নেতাই এগিয়ে আসার সাহস দেখালেন না।
দক্ষিণপন্থী মতাদর্শে এ জিনিস মোটেই অস্বাভাবিক কিংবা চারিত্রিক ত্রুটি বলে গণ্য হয় না। দক্ষিণপন্থী নেতারা এসবে বিশ্বাসের ব্যাপারে যে কট্টর তা নিয়েও অবাক হওয়ার কিছু নেই। কেবলমাত্র দক্ষিণপন্থীরা যখনই তাদের ধর্মের রাজনীতিকরণ করে এবং ধর্মের ভিত্তিতে মানুষকে ভাগ করার অপচেষ্টা নেয়—‘আমার ধর্ম বনাম তোমার ধর্ম’ করে বেড়ায়—তখনই সংবিধান লঙ্ঘিত এবং সামাজিক ঐক্য বিঘ্নিত হয়। বিজেপি ঠিক এটাই করেছে। গত ছ’বছর ধরে সরকারে এবং অন্য সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলিতে সেই লোকগুলিকে বসিয়ে দিয়েছে, যারা নিছক ধার্মিক নয়, অসংখ্য মানুষের মনে ভয় ও অনিশ্চয়তা ছড়িয়ে দিতে তাদের ধর্মবিশ্বাসকে অস্ত্র হিসেবে যারা ব্যবহার করবে।
যেমন দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞানের অধ্যাপক নীরা চান্ধোক লিখেছেন, ‘‘সেকুলারিজম বা ধর্মনিরপেক্ষতা যেটার সঙ্গে লড়াই করে সেটা হল—ক্ষমতার রাজনীতিকরণ, ক্ষমতার পক্ষে ধর্মের আশ্রয় গ্রহণ, ধর্মীয় পরিচয়কে ক্ষমতায় রূপান্তর ... রাষ্ট্রক্ষমতা দখলে মরিয়া রাজনীতির বর্ম পরা ধর্মকে ঠেকাবার একটি চেষ্টারও নাম সেকুলারিজম। এটা অপরিহার্যই ছিল। কারণ, দেশটা ধর্মের ভিত্তিতে ভাগ হয়েছিল।’’
ধর্মের রাজনীতিকরণ এবং ধর্মনিরপেক্ষ সংবিধান অক্ষুণ্ণ রাখা—লড়াইটা এই দুইয়ের মধ্যে। লড়াই জারি রয়েছে দিল্লি, লখনউ, কলকাতা, হায়দরাবাদ, পুণে, কোচিতে ও অনেক ছোট শহরে, বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে এবং আরও নানা স্থানে। এই আন্দোলনে মাথা গলাচ্ছেন যাঁরা তাঁরা রাজনৈতিক দলগুলির চেনা মুখ নন। তাঁরা বরং একেবারে সোজা সাপটা অরাজনৈতিক মানুষজন। তাঁদের মধ্যে আছেন মহিলারা এবং তাঁদের খুদে ছেলমেয়েরা, বেশিরভাগ সময় যাঁরা বাড়ির চৌহদ্দিতেই কাটাতে অভ্যস্ত। আর যোগ দিয়েছেন রাজনীতি-বিমুখ যুব সম্প্রদায়ের অংশটা—যাঁরা পর পর গদিয়ান এই সরকারের কাজকর্মে হতাশ। শীতের কামড়, জলকামান, লাঠির আঘাত, এমনকী গুলির মতো মৃত্যুবাণকেও পরোয়া করেননি। উল্লেখ করা যায় যে, শুধু উত্তরপ্রদেশেই পুলিসের গুলি ২৩ জনের প্রাণ নিয়েছে।
দিল্লির ভোট ভারতের জন্য ‘ভিয়েতনাম আন্দোলন’ হয়ে উঠেছিল। জয়টা তাৎপর্যপূর্ণ হয়ে উঠল, যখন দিল্লির ভোটদাতারা দরাজ হাতে সমতা ও ধর্মনিরপেক্ষতার পক্ষ নিলেন। তাতে করে আমরা কী দেখলাম? বিজেপি-কথিত সেই ‘টুকরে টুকরে গ্যাং’ই বিজয়ীর হাসি হাসল। প্রার্থনা করি, তাদের সাংবিধানিক লক্ষ্য পূরণ না-হওয়া অবধি ‘টুকরে টুকরে গ্যাং’ আরও শক্তিশালী হোক।
 লেখক কেন্দ্রের প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী
স্বর্গলোকে মহাত্মা ও
গুরুদেবের সাক্ষাৎকার
সন্দীপন বিশ্বাস

 অনেকদিন পর আবার দেখা হল মহাত্মা এবং গুরুদেবের। মর্ত্যে দু’জনের প্রথম সাক্ষাৎ ঘটেছিল শান্তিনিকেতনে ১৯১৫ সালে আজকের দিনে অর্থাৎ ১৭ ফেব্রুয়ারি। তারপর বেশ কয়েকবার তাঁদের দেখা হয়েছিল। কবিগুরু সবরমতী আশ্রমে গিয়েছিলেন ১৯২০ সালে। বিশদ

এবার হ্যাটট্রিকের দোরগোড়ায় অগ্নিকন্যা
হিমাংশু সিংহ

তবে কি দিল্লিতে হেরে বোধোদয় হল অমিত শাহদের? নাকি ভোট জেতার নামে ঘৃণা ছড়ানো ঠিক হয়নি বলাটা আরও বড় কোনও নাটকের মহড়ারই অংশ? বোঝা কঠিন, তুখোড় রাজনীতিকরা কোন উদ্দেশ্যে কখন কোন খেলাটা খেলেন! আর সেই তালে অসহায় জনগণকে তুর্কি নাচন নাচানো চলে অবলীলায়। 
বিশদ

16th  February, 2020
শাহিনবাগে যেসব কথা জানানো হয়নি

 ‘যত্র নার্যস্তু পূজ্যন্তে রমন্তে তত্র দেবতাঃ’, যেখানে মহিলারা পূজিতা হন সেখানেই ভগবান অবস্থান করেন। ভারতবর্ষের মানুষ হাজার বছর ধরে এই শ্লোক আবৃত্তি করে এসেছে। গত একমাসের বেশি সময় ধরে দিল্লির শাহিনবাগে শিশু থেকে বৃদ্ধা বিভিন্ন বয়সের মহিলাদের কষ্ট দেওয়া হয়েছে। বিশদ

15th  February, 2020
মাফলার ম্যানের দিল্লি জয়
মৃণালকান্তি দাস 

ঠেকে শিখেছেন তিনি। ‌‌‌‌পদস্থ আমলা থেকে রাজনীতিক এবং প্রশাসক হিসেবে পরিণত হয়েছেন। বুঝেছেন, এ দেশের আমআদমি বাড়ির কাছে ভালো স্কুল, কলেজ, হাসপাতাল চান। বাড়ির মেয়েদের নিরাপত্তা নিয়েই তাঁদের উদ্বেগ। 
বিশদ

14th  February, 2020
রাজনীতির কাছে মানুষের চাহিদাটাই
বদলে দিল দিল্লির এই ভোট-সংস্কৃতি
হারাধন চৌধুরী

 প্রতিমা গড়ে পুজো করা আর ভগবানকে লাভ করা এক নয়। প্রতিমা সাজিয়ে পুজো যে-কেউ করতে পারে। কিন্তু, ভগবান লাভ? মানুষ চিরদিন মনে করে এসেছে, সে শুধু সাচ্চা সাধকের পক্ষেই সম্ভব। কিন্তু, ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণ এসে একেবারে অন্যকথা বললেন।
বিশদ

13th  February, 2020
সেনাবাহিনীও যখন রাজনীতির অস্ত্র
শান্তনু দত্তগুপ্ত

লঞ্চপ্যাড মাত্র ৫০ মিটার দূরে... অন্ধকারের মধ্যেই তাঁর চোখ দু’টো খুঁজে চলেছে... নজরে এসেও গেল দুই জঙ্গি... ছায়ার মতো সেঁটে আছে লঞ্চপ্যাডের অন্ধকারে। নাইট ভিশন গ্লাস চোখে লাগিয়ে নিশ্চিত হলেন মেজর মাইক ট্যাঙ্গো। আগেভাগে নিশ্চিত হয়ে নেওয়ার কারণ আরও ছিল তাঁর কাছে।
বিশদ

11th  February, 2020
রাজস্ব-শৃঙ্খলা অক্ষুণ্ণ রেখেই জনমুখী বাজেট
দেবনারায়ণ সরকার

২০২১-এর বিধানসভা নির্বাচনের আগে এটাই অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্রের শেষ পূর্ণাঙ্গ বাজেট। এই বাজেট নিঃসন্দেহে জনমুখী, তবে রাজস্ব-শৃঙ্খলা (ফিসকাল ডিসিপ্লিন) যথেষ্ট বজায় রেখে জনমুখী বাজেট পেশ করলেন অমিতবাবু। প্রথমে রাজস্ব-শৃঙ্খলার প্রসঙ্গে আসা যাক। বিশদ

11th  February, 2020
মানুষ কী চায়, বুঝিয়ে দেবে দিল্লির ভোটের ফল
সন্দীপন বিশ্বাস

বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় তাঁর ‘বাহুবল ও বাক্যবল’ নিবন্ধে দুই প্রকার বলের প্রভূত ব্যাখ্যা করেছেন। যদিও তিনি বলেছেন, বাহুবল পশুর বল এবং বাক্যবল মানুষের বল, তা সত্ত্বেও মনুষ্য সমাজে বাহুবলের প্রয়োগ অনবরত দেখা যায়। মানুষের বল সমাজ গঠনে কখনও কখনও নিশ্চয়ই কাজে লাগে। কিন্তু দেখা যায় বেশিরভাগ ক্ষেত্রে মানুষ আপন স্বার্থে এই বাহুবলকে ব্যবহার করে। 
বিশদ

10th  February, 2020
সরকার দিশেহারা এবং ভীত
পি চিদম্বরম

অর্থমন্ত্রী বাধ্য হয়েছেন সরকারি ব্যয় নামক একমাত্র ‘ইঞ্জিন’-এর উপর আস্থা রাখতে। কিন্তু এই ইঞ্জিনটাও যে জ্বালানি সঙ্কটে ভুগছে এবং নড়বড়ে রাজকোষের ভূতের ছায়াটিও পড়ছে সরকারের উপর! তীব্র বেকারত্ব এবং ব্যাপক হারে ছোট ও মাঝারি শিল্প-ব্যবসা চৌপাট হয়ে যাওয়ার মতো দুটি ভয়ঙ্কর ইস্যুও অস্বীকার করেছেন অর্থমন্ত্রী। সাম্প্রতিককালে ভারতের অর্থনীতিকে সবচেয়ে কঠিন যে চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে হয়েছে সেটা হল—স্বঘোষিত শক্তিমান এবং নির্ণায়ক (ডিসিসিভ) সরকার—যে সরকার নিজেকে দিশেহারা এবং ভীত বলেই প্রতিপন্ন করেছে।
বিশদ

10th  February, 2020
প্রবীণ নাগরিকদের জ্বলন্ত সমস্যাগুলির
দিকে সরকার এবার একটু নজর দিক
হিমাংশু সিংহ

 অধিকাংশ পরিবারেই এখন শিক্ষান্তে ছেলেমেয়েরা চাকরির জন্য বাইরে চলে যাচ্ছে, তাই বৃদ্ধাবাসের প্রয়োজনীয়তাও বাড়ছে। একাকীত্ব বৃদ্ধ-বৃদ্ধাদের সবচেয়ে বড় অসুখ। এই একাকীত্ব থেকেই হাজারো মানসিক রোগেরও জন্ম হয়। নিকট আত্মীয় এবং ছেলেমেয়েও বাইরে, আবার অন্যদিকে, সঞ্চয়ের উপর ক্রমাগত সুদ কমে যাওয়ায় আয়ও নিম্নমুখী। এই সাঁড়াশি আক্রমণ বৃদ্ধ-বৃদ্ধাদের পক্ষে সামলে ওঠা দুষ্কর হয়ে পড়ছে। তার উপর যদি কোনও কঠিন রোগ দেহে বাসা বাঁধে তাহলে তো রক্ষে নেই!
বিশদ

09th  February, 2020
বিখ্যাত ফুলব্রাইট বৃত্তির সাত দশক 
অ্যাডাম জে গ্রোৎস্কি

জে উইলিয়াম ফুলব্রাইট। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রাক্তন সিনেটর। বিখ্যাত ফুলব্রাইট বৃত্তিটা চালু হয় তাঁরই নামে। এটি একটি শিক্ষামূলক এক্সচেঞ্জ প্রোগ্রাম। সাত দশক আগে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও ভারত যৌথ উদ্যোগে এই ফেলোশিপ চালু করে। দ্য প্রাইস অফ এমপায়ার। জে ডব্লু ফুলব্রাইটের প্রবন্ধসংগ্রহের শিরোনাম।  
বিশদ

08th  February, 2020
পুরভোটেই ঠিক হবে রাজ্য-রাজনীতির অভিমুখ 
তন্ময় মল্লিক

যে কোনও রাজনৈতিক দলের কাছে নির্বাচন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আর সেই নির্বাচন বিধানসভা ভোটের মুখে হলে তা আক্ষরিক অর্থেই রাজনৈতিক দলগুলির জন্য অ্যাসিড টেস্ট। তবে, রাজ্যের শতাধিক পুরসভার ভোট শুধু রাজনৈতিক দলগুলির অ্যাসিড টেস্টই নয়, এই নির্বাচন ঠিক করে দেবে রাজ্য রাজনীতির অভিমুখ।  
বিশদ

08th  February, 2020
একনজরে
হ্যামিলটন, ১৬ ফেব্রুয়ারি: নিউজিল্যান্ডের কাছে একদিনের সিরিজে হোয়াইটওয়াশের ধাক্কা ভারতীয় দল যে ধীরে ধীরে কাটিয়ে উঠছে, তা বিরাট কোহলিদের দেখলেই বোঝা সম্ভব। ২১ ফেব্রুয়ারি শুরু ...

নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: দাবিদাওয়ার মধ্যে কয়েকটি মিটলেও, বেতন নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ কিছু দাবি এখনও অনিশ্চিত। এমনই অভিযোগ অধ্যাপকদের। রবিবার ওয়েস্ট বেঙ্গল গভর্নমেন্ট কলেজ টিচার্স অ্যাসোসিয়েশনের ৪৮তম বার্ষিক সম্মেলনে তা নিয়েই সরব হলেন তাঁরা।  ...

সংবাদদাতা, লালবাগ: শনিবার রাতে নবগ্রাম থানার পলসণ্ডায় ৩৪নম্বর জাতীয় সড়কের পাশে দাঁড়িয়ে থাকা একটি ট্রাকে আগুন লাগায় চাঞ্চল্য ছড়ায়। প্রথমে স্থানীয়রা আগুন নেভানোর চেষ্টা করেন। পরে খবর পেয়ে বহরমপুর থেকে দমকলের দু’টি ইঞ্জিন এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনলেও ট্রাকে থাকা সমস্ত ...

সংবাদদাতা, রায়গঞ্জ: শুধু লুট করাই নয়, পুলিসের নাগালের বাইরে থাকতে প্রমাণ লোপাটে টার্গেটকে খুন করাও উদ্দেশ্য থাকে হাইওয়ে গ্যাংয়ের। কাউকে একবার টার্গেট করলে কিভাবে তার উপর হামলা চালানো যায়, সেব্যাপারে রীতিমতো আঁটঘাট বেঁধে তবেই ‘অপারেশন’ চালানো হয় বলেও জানা গিয়েছে।  ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

মাঝেমধ্যে মানসিক উদ্বেগের জন্য শিক্ষায় অমনোযোগী হয়ে পড়বে। গবেষণায় আগ্রহ বাড়বে। কর্মপ্রার্থীদের নানা সুযোগ আসবে। ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৮৯৯: কবি জীবনানন্দ দাশের জন্ম
১৯৬৩: আমেরিকান বাস্কেটবল খেলোয়াড় ও অভিনেতা মাইকেল জর্ডনের জন্ম
১৯৮৭ - ভারতীয় কার্টুনিস্ট অসীম ত্রিবেদীর জন্ম।
২০০৯: সঙ্গীত শিল্পী মালবিকা কাননের মৃত্যু 



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৭০.৪৯ টাকা ৭২.১৯ টাকা
পাউন্ড ৯১.৪৩ টাকা ৯৪.৭১ টাকা
ইউরো ৭৫.৮৫ টাকা ৭৮.৮০ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
15th  February, 2020
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৪১,৬০৫ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৩৯,৪৭৫ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৪০,০৭০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৪৬,৫০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৪৬,৬০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]
16th  February, 2020

দিন পঞ্জিকা

৪ ফাল্গুন ১৪২৬, ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২০, সোমবার, (মাঘ কৃষ্ণপক্ষ) নবমী ২১/১ দিবা ২/৩৬। জ্যেষ্ঠা ৫৭/৩৩ শেষরাত্রি ৫/১৪। সূ উ ৬/১১/৩৯, অ ৫/২৯/৩৯, অমৃতযোগ দিবা ৭/৪২ মধ্যে পুনঃ ১০/৪৩ গতে ১২/৫৮ মধ্যে। রাত্রি ৬/২০ গতে ৮/৫৮ মধ্যে পুনঃ ১১/২৫ গতে ২/৪৯ মধ্যে। বারবেলা ৭/৩৬ গতে ৯/১ মধ্যে পুনঃ ২/৪০ গতে ৪/৫ মধ্যে। কালরাত্রি ১০/১৫ গতে ১১/৫১ মধ্যে।
৪ ফাল্গুন ১৪২৬, ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২০, সোমবার, নবমী ৩১/৪০/৩৫ রাত্রি ৬/৫৪/৫৬। অনুরাধা ৮/১/৪০ দিবা ৯/২৭/২২। সূ উ ৬/১৪/৪২, অ ৫/২৮/৫৮। অমৃতযোগ দিবা ৭/৩২ মধ্যে ও ১০/৩৮ গতে ১২/৫৮ মধ্যে এবং রাত্রি ৬/২৭ গতে ৮/৫৫ মধ্যে ও ১১/২৩ গতে ২/৪১ মধ্যে। কালবেলা ৭/৩৮/৫৯ গতে ৯/৩/১৬ মধ্যে। কালরাত্রি ১০/১৬/৭ গতে ১১/৫১/৫০ মধ্যে।
 ২২ জমাদিয়স সানি

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
আজকের রাশিফল  
মেষ: কর্মপ্রার্থীদের নানা সুযোগ আসবে। বৃষ: পুরোনো সম্পর্ক থাকলে তা আবার নতুন ...বিশদ

07:11:04 PM

ইতিহাসে আজকের দিনে  
১৮৯৯: কবি জীবনানন্দ দাশের জন্ম১৯৬৩: আমেরিকান বাস্কেটবল খেলোয়াড় ও অভিনেতা ...বিশদ

07:03:20 PM

স্ত্রীর সাহায্যে তরুণীকে ধর্ষণের অভিযোগ, ধৃত দম্পতি 
বাঘাযতীনে স্ত্রীর সাহায্যে বছর ২২-এর এক তরুণীকে ধর্ষণের অভিযোগ। অভিযুক্ত ...বিশদ

07:34:00 PM

পাকিস্তানের কোয়েটায় বিস্ফোরণ, মৃত কমপক্ষে ৭, জখম ২০

06:58:00 PM

মত্ত অবস্থায় পুলকার চালানোর অভিযোগে আটক চালক 
পোলবায় পুলকার দুর্ঘটনার পর নড়েচড়ে বসেছে প্রশাসন। রাজ্যজুড়ে পুলকার আটকে ...বিশদ

05:58:22 PM

নির্ভয়াকাণ্ডের দোষীদের ফাঁসি ৩ মার্চ
নতুন করে ফের নির্ভয়াকাণ্ডের দোষীদের ফাঁসির দিনক্ষণ ঘোষণা হল। আগামী ...বিশদ

04:22:33 PM