মাঝেমধ্যে মানসিক উদ্বেগের জন্য শিক্ষায় অমনোযোগী হয়ে পড়বে। গবেষণায় আগ্রহ বাড়বে। কর্মপ্রার্থীদের নানা সুযোগ আসবে। ... বিশদ
জাপান উপকূলে আটকে থাকা ডায়মন্ড প্রিন্সেস নামে জাহাজটিতে সব মিলিয়ে ৩ হাজার ৭১১ জন রয়েছেন। তাঁদের মধ্যে ১৩৮ জন ভারতীয়। এই ভারতীয়দের মধ্যে জাহাজকর্মী ১৩২ জন, ৬ জন যাত্রী। চলতি মাসের গোড়ার দিকে জাহাজটি জাপানে পৌঁছেছিল। রবিবার সরকারি সূত্রে জানানো হয়েছে, আটকে থাকা জাহাজটিতে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৩৫৫। আক্রান্তদের মধ্যে পাঁচজন ভারতীয়। এর আগে এদিন টোকিওর ভারতীয় দূতাবাসের ট্যুইটে বলা হয়, করোনা সংক্রমণ নির্ণয়ের চূড়ান্ত পরীক্ষা শুরু হবে ১৭ ফেব্রুয়ারি, অর্থাৎ সোমবার থেকে। বেশ কয়েকদিন ধরে এই পরীক্ষা চলবে। আমাদের আশা, ভারতীয় নাগরিকদের পরীক্ষার ফল নেগেটিভ আসবে। যাতে তাঁরা দেশে ফিরে আসতে পারেন, সম্ভাব্য সব সাহায্যের জন্য টোকিওর ভারতীয় দূতাবাস প্রস্তুত রয়েছে।
গতকাল দূতাবাসের তরফে জানানো হয়েছিল, জাহাজে করোনা আক্রান্ত তিন ভারতীয়ের স্বাস্থ্যের উন্নতি হচ্ছে। যদিও এদিন আরও দুই ভারতীয়ের শরীরে করোনা ভাইরাসের হদিশ মিলল। দূতাবাসের বক্তব্য, জাহাজটিকে বিচ্ছিন্ন রাখার মেয়াদ শেষ হওয়া মাত্র যাতে সেখান থেকে ভারতীয় নাগরিকদের উদ্ধারের প্রক্রিয়া শুরু করা যায়, সেজন্য সব প্রচেষ্টা করা হচ্ছে। এজন্য জাপান সরকার ও জাহাজটির পরিচালন সংস্থার সঙ্গে আলোচনাও চলছে। জাহাজে থাকা ভারতীয়দের ইমেল পাঠিয়ে সব ধরনের সাহায্যের আশ্বাস দেওয়া হয়েছে ভারতীয় দূতাবাসের তরফে। জাহাজের ভারতীয়রা যাতে জাপান সরকারের জারি করা স্বাস্থ্য সংক্রান্ত সব নির্দেশিকা মেনে চলেন, সেই অনুরোধও করা হয়েছে।
জাপানে আটকে থাকা নাগরিকদের সাহায্যের পাশাপাশি করোনায় বিধ্বস্ত চীনেরও পাশে দাঁড়াচ্ছে ভারত। চীনের মানুষের পাশে থাকতে শীঘ্রই চিকিৎসা সংক্রান্ত বিভিন্ন সামগ্রী পাঠাতে চলেছে ভারত। রবিবার একথা জানিয়েছেন বেজিংয়ে নিযুক্ত ভারতীয় রাষ্ট্রদূত বিক্রম মিস্ত্রি। করোনা মহামারী মোকাবিলায় চীনের মানুষের লড়াইকে কুর্নিশ জানান তিনি। পাশাপাশি বলেন, এই কঠিন সময়ে বন্ধুত্বের হাত বাড়িয়ে শীঘ্রই ভারত থেকে চিকিৎসা সংক্রান্ত সামগ্রী পাঠানো হচ্ছে।