মাঝেমধ্যে মানসিক উদ্বেগের জন্য শিক্ষায় অমনোযোগী হয়ে পড়বে। গবেষণায় আগ্রহ বাড়বে। কর্মপ্রার্থীদের নানা সুযোগ আসবে। ... বিশদ
এদিকে, করোনা আতঙ্কে জাপানি বিলাসবহুল জাহাজ ডায়মন্ড প্রিন্সেসে আটক যাত্রীদের শারীরিক পরীক্ষা করা হয়েছে। কয়েকজনের শরীরে ভাইরাসে সংক্রমিত হওয়ার লক্ষণ পাওয়া যায়নি। তাদের মধ্যে ১১ জনকে স্থলভাগে ফিরিয়ে এনে আলাদা করে রাখা হয়েছে। শুক্রবার জাপান সরকার এই তথ্য জানিয়েছে। এপ্রসঙ্গে এক আধিকারিক বলেন, স্থানীয় সময় শুক্রবার দুপুরে একটি বাসে করে ১১ জন যাত্রীকে অস্থায়ী আবাসনে নিয়ে যাওয়া হয়। বাসের চালকের জন্যও যথাযথ সুরক্ষার ব্যবস্থা করা হয়েছিল। তাঁর মাথা থেকে পা পর্যন্ত সুরক্ষিত পোশাক, চশমা ও মুখোশে ঢাকা ছিল। তবে, এভাবে আরও যাত্রীকে স্থলভাগে নিয়ে আসা হবে কি না, তা নিয়ে মুখ খুলতে চাননি ওই সরকারি আধিকারিক। অন্যদিকে, জাহাজে আটকে থাকা যাত্রীদের উদ্দেশে স্বাস্থ্যমন্ত্রকের আধিকারিক গাকু হাসিমোতো এক বিবৃতি জারি করেছেন। সেখানে বলা হয়েছে, যে সব যাত্রীর শরীরে করোনা ভাইরাস পাওয়া যাবে, তাঁদের চিকিত্সার জন্য হাসপাতালে পাঠানো হবে। এবং যাঁরা সুস্থ রয়েছেন, তাঁদের জাহাজ থেকে নামিয়ে আলাদা করে রাখার ব্যবস্থা করবে সরকার। বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, আমরা জানি অনেকেই বিষয়টি নিয়ে উদ্বিগ্ন। সরকারও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে সাধ্যমতো চেষ্টা করছে। উল্লেখ্য, ওই জাহাজে থাকা যাত্রীদের মধ্যে আক্রান্তের সংখ্যা ২১৮-তে পৌঁছেছে। অনেকেই সোশ্যাল মিডিয়ায় সাহায্যের আর্তি জানিয়েছেন।
অপরদিকে, দেশে কেউ করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়নি বলে জানিয়েছিল উত্তর কোরিয়া সরকার। কিন্তু, এর ঠিক উল্টো কথাই উঠে এসেছিল দেশের সরকারি সংবাদমাধ্যমে। সেখানে বলা হয়, ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কায় বিদেশিদের ৩০ দিন বিশেষ পর্যবেক্ষণে রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। আন্তর্জাতিক মহলের মতে, করোনা সংক্রমণের বিষয়টি চেপে রাখতে চাইছে কিম জং উনের প্রশাসন। এই পরিস্থিতিতে উত্তর কোরিয়ার দিকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিল আমেরিকা। এদিন মার্কিন বিদেশ দপ্তরের মুখপাত্র মর্গান অর্টানগাস জানান, উত্তর কোরিয়ার মানুষদের পরিস্থিতি নিয়ে আমরা উদ্বিগ্ন। বহু সংস্থা তাদের সাহায্য করতে উদ্যোগী। আমেরিকা সেই সংগঠনগুলিকে সবরকম সাহায্য জোগাবে।