Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

এবার হ্যাটট্রিকের দোরগোড়ায় অগ্নিকন্যা
হিমাংশু সিংহ

তবে কি দিল্লিতে হেরে বোধোদয় হল অমিত শাহদের? নাকি ভোট জেতার নামে ঘৃণা ছড়ানো ঠিক হয়নি বলাটা আরও বড় কোনও নাটকের মহড়ারই অংশ? বোঝা কঠিন, তুখোড় রাজনীতিকরা কোন উদ্দেশ্যে কখন কোন খেলাটা খেলেন! আর সেই তালে অসহায় জনগণকে তুর্কি নাচন নাচানো চলে অবলীলায়। তবে, রাজধানীতে এবার জিতে আপ-এর হ্যাটট্রিক আবারও প্রমাণ করল, রাজনীতির ময়দানে ‘গোলি মারো’র মতো উত্তেজক, ‘ভারত-পাকিস্তান’ বিভাজনের কথা বলে বাজিমাত করা সবসময় সম্ভব নয়। প্রশ্ন একটাই, আরএসএসের মতো মাটি কামড়ে থাকা সংগঠন যেখানে পিছনে, সেখানে ভুলটা বুঝতে এত দেরি হল কেন গেরুয়া শিবিরের? নির্বাচনী প্রচারপর্বে বাক্‌-সংস্কৃতির এই অবক্ষয় তো নতুন নয়। ঢালাও অকথা, কুকথা বলে চলেছেন ছোট থেকে বড় সব নেতাই। অবলীলায়। কারণে অকারণে। বিশেষত, বিজেপির এই রমরমার যুগে দখলের সর্বগ্রাসী নেশা যেন পেয়ে বসেছে গোটা দলটাকেই। সেই থেকেই বাড়াবাড়ির শুরু। সার্বিক বিরোধী ঐক্য যখন সোনার পাথরবাটি এবং কংগ্রেস আগাগোড়া ছন্নছাড়া নেতৃত্বের সঙ্কটে দীর্ণ, তখন আত্মবিশ্বাসী শাসক যে ক্ষমতার নেশায় ধরাকে সরা জ্ঞান করবেন তাতে আশ্চর্যের কী আছে? কিন্তু, প্রবল পরাক্রান্ত সময় বারে বারে ঘুরে এসে শাসককে শিক্ষা দেয়, সবক শেখায়। মনে করিয়ে দেয়, এই ভুল ইতিহাসের প্রতিটি বাঁকে ছড়িয়ে আছে। নিজেকে অপরাজেয় ভাবলেই জনগণ একজোট হয়ে ভোটের ময়দানে মোক্ষম শিক্ষাটি দিয়ে যায়। দিল্লির মানুষ সাম্প্রতিক নির্বাচনে মোদি-অমিত শাহকে সেই চরম শিক্ষাটাই দিল।
লোকসভা আর বিধানসভা নির্বাচন মোটেই এক নয়। দুই ভোটের প্রেক্ষিত আলাদা। সেটাও আর একবার প্রমাণ করল দিল্লির নির্বাচন। মাত্র সাত মাস আগে লোকসভা নির্বাচনে দিল্লিতে ‘সাতে সাত’ রেজাল্ট করে চোখ ধাঁধিয়ে দিয়েছিলেন নরেন্দ্র মোদি ও অমিত শাহ। বিধানসভার নিরিখে রাজধানীতে ৭০টির মধ্যে ৬৫টি আসনেই এগিয়ে ছিল বিজেপি। বাকি পাঁচটিতে এগিয়েছিল কংগ্রেস। সবা‌ই ঩ভেবেছিল, ২০১২ সালে ভারতীয় রাজনীতিতে ধূমকেতুর মতো আবির্ভাব হওয়া অরবিন্দ কেজরিওয়ালের রাজনীতির বুঝি এখানেই শেষ। বিধাতা তখন নিশ্চয় আড়াল থেকে মুচকি হেসেছিলেন। কারণ ইতিহাসই সাক্ষী, রাজনীতিতে শেষ কথা বলে কিছু হয় না। আর কেজরিওয়াল কোনও অবস্থাতেই দেশের প্রধানমন্ত্রী পদের দাবিদার ছিলেন না। তাই মোদিকে দু’হাত তুলে লোকসভায় আশীর্বাদ করা দিল্লির জনগণই বিধানসভায় দান উল্টে দিলেন। গোটা ঘটনাটা ঘটল লোকসভা ভোটের মাত্র সাত মাসের মধ্যে। গত সপ্তাহের বিধানসভার ভোটে পুরো হিসেবটাই উল্টে দিয়েছেন অরবিন্দ কেজরিওয়াল। জয়ের হ্যাটট্রিক করে আবার দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী হচ্ছেন তিনি। তাঁর জন্য রামলীলা ময়দানের শপথমঞ্চও আজ প্রস্তুত।
২০১৫-র ঐতিহাসিক জয়ের পর আবার তিনি ৭০টি আসনের মধ্যে সিংহভাগের দখল নিয়ে দিল্লির রাজ্যপাট সামলানোর ছাড়পত্র আদায় করে নিয়েছেন। আগের বার তাঁর আপ পেয়েছিল ৬৭টি আসন। আর এবার তাঁদের দখলে আগের বারের চেয়ে ৫টি আসন কম—৬২টি। পাঁচ বছরের ব্যবধানে খোদ দেশের রাজধানীতে যাবতীয় প্রতিষ্ঠান-বিরোধিতাকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে আপ-এর এই সাফল্য নিঃসন্দেহে উল্লেখযোগ্য। বিশেষ করে মোদি-অমিত শাহের সর্বগ্রাসী রাজনীতিতে বিরোধীরা যখন দিশাহারা, তখন একক ক্ষমতায় কেজরিওয়ালের এই সাফল্য নিঃসন্দেহে এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত। একইসঙ্গে এই ফল আসন্ন বিহার ও পশ্চিমবঙ্গের নির্বাচন সম্পর্কেও নিঃসন্দেহে একটা গুরুত্বপূর্ণ ইঙ্গিত দিচ্ছে। সেই দিক দিয়ে ওই দুই রাজ্যের আসন্ন নির্বাচন নরেন্দ্র মোদি নামক এক মিথের অগ্নিপরীক্ষা।
প্রথমেই আসি বিহারের কথায়। এবার বিহারের রাজনৈতিক পরিস্থিতিটা অভিনব। পশুখাদ্য কেলেঙ্কারি মামলায় লালুপ্রসাদ যাদব জেলে। তাঁর দুই পুত্র দুই মেরুর বাসিন্দা। ফলে লালু-রাবড়ির পরিবার কার্যত ছন্নছাড়া অবস্থায়। বিহারে কংগ্রেসের অবস্থাও তথৈবচ। এই পরিস্থিতিতে নীতীশ কুমারের জেডিইউ এবং বিজেপিই বিহারের প্রধান রাজনৈতিক শক্তি। বিহারের বিজেপিকে ধাক্কা দিতে পারেন একমাত্র নীতীশ কুমারই। বলা বাহুল্য, দিল্লির অভাবনীয় ফলাফলের পর বিহারে বিজেপির সঙ্গে দর কষাকষির ক্ষমতাও কয়েক গুণ বেড়ে গিয়েছে নীতীশের। একের পর এক রাজ্য হাতছাড়া হওয়ার প্রেক্ষিতে বিজেপির পক্ষে এখন কোনও অবস্থাতেই যে নীতীশকে ঝেড়ে ফেলা সম্ভব নয়, তা জেডিইউ নেতৃত্ব বিলক্ষণ জেনে গিয়েছে। তাই নীতীশের যে কোনও শর্তই অমিত শাহরা আপাতত মেনে নিতে বাধ্য। অন্যথায় বিহারও গেরুয়া শিবিরের হাতছাড়া হয়ে যাবে। তাই সব ফেলে বিরোধীদের কৌশল হবে যে কোনও মূল্যে বিজেপির সঙ্গে নীতীশের দূরত্ব তৈরি করা। আগামী কয়েকমাস তাই বিহারের রাজনীতির এই টানাপোড়েন জাতীয় রাজনীতির অন্যতম চালিকাশক্তি হয়ে উঠতে চলেছে।
কিন্তু, এই মুহূর্তে সব ছাপিয়ে বিজেপি নেতৃত্বের কাছে বৃহত্তম চ্যালেঞ্জ পশ্চিমবঙ্গে মা-মাটি-মানুষের নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে তুল্যমূল্য লড়াই গড়ে তোলা। তার জন্য টাকাপয়সা, পেশিশক্তির ব্যবহার ইতিমধ্যেই বাড়াতে শুরু করেছে বিজেপি নেতৃত্ব। ত্রিপুরায় বামপন্থীদের রাজ্যপাট খতম করতে বিগত নির্বাচনে অর্থ ও পেশি শক্তির মরিয়া ব্যবহার দেখেছে দেশ। গত লোকসভা ভোটে পশ্চিমবঙ্গেও তার অন্যথা হয়নি। গ্রামেগঞ্জে আছড়ে পড়েছে মোদির প্রচার। উড়েছে টাকা। সেই সুবাদেই রাজ্যের ১৮টি লোকসভা আসনে জিতে তৃণমূলকে সে যাত্রায় বড় ধাক্কা দিয়েছিল নরেন্দ্র মোদির দল। লোকসভা ভোটের ফলের নিরিখে ১২৬টি বিধানসভা আসনে গেরুয়া দলের লিড রয়েছে। কিন্তু, তারপরই অহঙ্কার আর গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে দীর্ণ হয়ে জেলায় জেলায় অনেকটাই মাটি হারিয়েছে বিজেপি। তার উপর দোসর হয়েছে এনআরসি। গত দু’মাসে এনআরসির চাপে মানুষ গেরুয়া দলের থেকে অনেকটাই নিজেকে দূরে সরিয়ে নিয়েছে। নিজদেশে পরবাসী হওয়ার তীব্র আতঙ্ক এখনও সীমান্ত লাগোয়া জেলার মানুষজনের মনে চেপে বসে আছে। দিল্লির মতোই এই বঙ্গেও গত সাত মাসে গঙ্গা দিয়ে অনেক জল বয়ে গিয়েছে। যে উত্তরবঙ্গে বিজেপি লোকসভা নির্বাচনে বড় সাফল্য পেয়েছিল সেখানেই এনআরসি, এনপিআর ও সিএএ-র সাঁড়াশি আক্রমণে মানুষ দিশাহারা। ফলে আস্থা-বিশ্বাস নিমেষে বদলে গিয়েছে আক্রোশে। সদ্য সমাপ্ত উপনির্বাচনে বিজেপিকে হারিয়ে সেই প্রতিশোধ ইতিমধ্যেই কড়ায়গণ্ডায় তুলে নেওয়া শুরু করেছে উত্তরবঙ্গের মানুষ। উত্তরবঙ্গ এবং রাজ্যের সীমান্তবর্তী জেলাগুলিতে এনআরসি আচমকাই বড় ইস্যু হয়ে বিজেপির জনভিত্তিকেই ধ্বংস করতে উদ্যত। নরেন্দ্র মোদি এবং অমিত শাহের পক্ষে উচিত হবে এনআরসি ও সিএএ প্রত্যাহারের কথা অবিলম্বে ঘোষণা করা। তা না হলে গেরুয়া শিবিরের এই বিদ্বেষ ও বিভাজনের রাজনীতি জননেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে ফুৎকারে উড়ে যেতে বাধ্য।
কেজরিওয়াল দেখিয়ে দিয়েছেন, তথাকথিত রাজনীতির বাইরে গিয়েও জনগণের মন কীভাবে জিততে হয়। মহল্লা ক্লিনিক, মহিলাদের জন্য বিনা পয়সায় বাসে চলাচলের সুবিধা, বস্তির ভিতরেও বিশ্বমানের স্কুল স্থাপন, গরিবদের জন্য বিনা পয়সায় বিদ্যুৎ ও পানীয় জল প্রভৃতি আম আদমির প্রয়োজনীয় পরিষেবা পৌঁছে দিয়ে তিনি গোটা দিল্লির মন জয় করেছেন। কেজরিওয়ালের এই সদর্থক ভূমিকার জন্যই বিজেপির তথাকথিত ‘ওস্তাদের মার’ও এ যাত্রায় মাঠেই মারা গেল! শেষ মুহূর্তে কলোনিগুলির নিঃশর্ত মালিকানা প্রদান করেও বিশেষ লাভ হল না মোদির। আজীবন লড়াই করে আসা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জনগণের মন বোঝার দৌড়ে কেজরিওয়ালের চেয়েও যে অনেক এগিয়ে, তা বলা মোটেই অতিশয়োক্তি হবে না। বাংলার অগ্নিকন্যার লড়াই ও সংগ্রামের ইতিহাসও আরও বিস্তৃত। সিপিএম নামক এক ভয়ঙ্কর সাংগঠনিক শক্তির দলকে তিনি খড়কুটোর মতো উড়িয়ে দিতে পেরেছেন শুধুমাত্র প্রবল সাহস আর ইচ্ছাশক্তির জোরে। প্রায় একদশক আগের পরিবর্তনের সেই কাণ্ডারী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ই আজ এরাজ্যের সফল প্রশাসক, সবার আস্থা ও ভরসার জায়গা। গত প্রায় ন’বছরে তৃণমূল নেত্রী রাজ্যের সর্বস্তরের গরিব খেটেখাওয়া সাধারণ মানুষের জন্যে একের পর এক কর্মসূচি গ্রহণ করেছেন—কখনও কন্যাশ্রী, কখনও যুবশ্রী, রূপশ্রী, সবুজসাথী, খাদ্যসাথী, স্বাস্থ্যসাথী প্রভৃতি। স্কুলের ছেলেমেয়েদের দেওয়া হয়েছে সাইকেল, বইখাতা, স্কলারশিপ-সহ অনেক কিছু। বিভাজন নয়, বিদ্বেষ নয়, তাঁর এই জনমুখী রাজনীতিই আজ এরাজ্যের প্রধান চালিকাশক্তি।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের রাজনীতির সবচেয়ে বড় বৈশিষ্ট্য হল, সর্বদা তিনি মানুষকে সঙ্গে নিয়ে মানুষের জন্য রাজনীতিটা করেন। আর এই তাড়না থেকেই অবহেলিত উত্তরবঙ্গে তিনি যেমন বার বার ছুটে গিয়েছেন, তেমনি জঙ্গলমহলেও গরিব পরিবারগুলিকে ২ টাকা কেজি দরে চাল দেওয়ার যুগান্তকারী পদক্ষেপ করেছেন। গ্রাম ও গরিবের দিকে তাকানোর পরিণামে শহর-নগরও কোনওভাবে অবহেলিত হয়নি তাঁর সরকারের আমলে। তার বড় প্রমাণ কলকাতা। কলকাতা তাঁর আমলে যেভাবে সেজে উঠেছে তা অভূতপূর্ব। সবচেয়ে বড় কথা, বাঙালির আবেগ, বাঙালির মনন ও সংস্কৃতির সঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের যোগ যতটা নিবিড়, বিরোধীপক্ষের আর একজনও নেতানেত্রীরই তা নেই। রাজ্যে পুরভোট আসন্ন। তার এক বছরের মধ্যেই বিধানসভা ভোটের ঢাকে কাঠি পড়বে। কার্যত পুর ও বিধানসভার ভোটকে কেন্দ্র করে বাংলা এক বিরাট লড়াইয়ের সন্ধিক্ষণে দাঁড়িয়ে। বলতে দ্বিধা নেই, এখনও পর্যন্ত এই যুদ্ধে অনেক এগিয়ে মা মাটি মানুষের নেত্রী। ২০১১, ২০১৬ এবং ২০২১ পরপর তিনবার। বাংলার অগ্নিকন্যার সেই অনবদ্য হ্যাটট্রিক দেখার জন্যই প্রহর গুনছে রাজ্যের মানুষ। 
16th  February, 2020
টুকরে টুকরে গ্যাং-ই জিতল
পি চিদম্বরম

 গত ১১ ফেব্রুয়ারি লোকসভার কার্যবিবরণীতে নথিভুক্ত নিম্নলিখিত প্রশ্নোত্তরগুলি আনন্দের কারণ হতে পারত যদি না বিষয়টি বিজেপি নেতাদের (এই পঙ্‌ক্তিতে আছেন প্রধানমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এবং অন্য মন্ত্রীরাও) দুঃখের ধারাবিবরণীতে পরিণত হতো: বিশদ

স্বর্গলোকে মহাত্মা ও
গুরুদেবের সাক্ষাৎকার
সন্দীপন বিশ্বাস

 অনেকদিন পর আবার দেখা হল মহাত্মা এবং গুরুদেবের। মর্ত্যে দু’জনের প্রথম সাক্ষাৎ ঘটেছিল শান্তিনিকেতনে ১৯১৫ সালে আজকের দিনে অর্থাৎ ১৭ ফেব্রুয়ারি। তারপর বেশ কয়েকবার তাঁদের দেখা হয়েছিল। কবিগুরু সবরমতী আশ্রমে গিয়েছিলেন ১৯২০ সালে। বিশদ

শাহিনবাগে যেসব কথা জানানো হয়নি

 ‘যত্র নার্যস্তু পূজ্যন্তে রমন্তে তত্র দেবতাঃ’, যেখানে মহিলারা পূজিতা হন সেখানেই ভগবান অবস্থান করেন। ভারতবর্ষের মানুষ হাজার বছর ধরে এই শ্লোক আবৃত্তি করে এসেছে। গত একমাসের বেশি সময় ধরে দিল্লির শাহিনবাগে শিশু থেকে বৃদ্ধা বিভিন্ন বয়সের মহিলাদের কষ্ট দেওয়া হয়েছে। বিশদ

15th  February, 2020
মাফলার ম্যানের দিল্লি জয়
মৃণালকান্তি দাস 

ঠেকে শিখেছেন তিনি। ‌‌‌‌পদস্থ আমলা থেকে রাজনীতিক এবং প্রশাসক হিসেবে পরিণত হয়েছেন। বুঝেছেন, এ দেশের আমআদমি বাড়ির কাছে ভালো স্কুল, কলেজ, হাসপাতাল চান। বাড়ির মেয়েদের নিরাপত্তা নিয়েই তাঁদের উদ্বেগ। 
বিশদ

14th  February, 2020
রাজনীতির কাছে মানুষের চাহিদাটাই
বদলে দিল দিল্লির এই ভোট-সংস্কৃতি
হারাধন চৌধুরী

 প্রতিমা গড়ে পুজো করা আর ভগবানকে লাভ করা এক নয়। প্রতিমা সাজিয়ে পুজো যে-কেউ করতে পারে। কিন্তু, ভগবান লাভ? মানুষ চিরদিন মনে করে এসেছে, সে শুধু সাচ্চা সাধকের পক্ষেই সম্ভব। কিন্তু, ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণ এসে একেবারে অন্যকথা বললেন।
বিশদ

13th  February, 2020
সেনাবাহিনীও যখন রাজনীতির অস্ত্র
শান্তনু দত্তগুপ্ত

লঞ্চপ্যাড মাত্র ৫০ মিটার দূরে... অন্ধকারের মধ্যেই তাঁর চোখ দু’টো খুঁজে চলেছে... নজরে এসেও গেল দুই জঙ্গি... ছায়ার মতো সেঁটে আছে লঞ্চপ্যাডের অন্ধকারে। নাইট ভিশন গ্লাস চোখে লাগিয়ে নিশ্চিত হলেন মেজর মাইক ট্যাঙ্গো। আগেভাগে নিশ্চিত হয়ে নেওয়ার কারণ আরও ছিল তাঁর কাছে।
বিশদ

11th  February, 2020
রাজস্ব-শৃঙ্খলা অক্ষুণ্ণ রেখেই জনমুখী বাজেট
দেবনারায়ণ সরকার

২০২১-এর বিধানসভা নির্বাচনের আগে এটাই অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্রের শেষ পূর্ণাঙ্গ বাজেট। এই বাজেট নিঃসন্দেহে জনমুখী, তবে রাজস্ব-শৃঙ্খলা (ফিসকাল ডিসিপ্লিন) যথেষ্ট বজায় রেখে জনমুখী বাজেট পেশ করলেন অমিতবাবু। প্রথমে রাজস্ব-শৃঙ্খলার প্রসঙ্গে আসা যাক। বিশদ

11th  February, 2020
মানুষ কী চায়, বুঝিয়ে দেবে দিল্লির ভোটের ফল
সন্দীপন বিশ্বাস

বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় তাঁর ‘বাহুবল ও বাক্যবল’ নিবন্ধে দুই প্রকার বলের প্রভূত ব্যাখ্যা করেছেন। যদিও তিনি বলেছেন, বাহুবল পশুর বল এবং বাক্যবল মানুষের বল, তা সত্ত্বেও মনুষ্য সমাজে বাহুবলের প্রয়োগ অনবরত দেখা যায়। মানুষের বল সমাজ গঠনে কখনও কখনও নিশ্চয়ই কাজে লাগে। কিন্তু দেখা যায় বেশিরভাগ ক্ষেত্রে মানুষ আপন স্বার্থে এই বাহুবলকে ব্যবহার করে। 
বিশদ

10th  February, 2020
সরকার দিশেহারা এবং ভীত
পি চিদম্বরম

অর্থমন্ত্রী বাধ্য হয়েছেন সরকারি ব্যয় নামক একমাত্র ‘ইঞ্জিন’-এর উপর আস্থা রাখতে। কিন্তু এই ইঞ্জিনটাও যে জ্বালানি সঙ্কটে ভুগছে এবং নড়বড়ে রাজকোষের ভূতের ছায়াটিও পড়ছে সরকারের উপর! তীব্র বেকারত্ব এবং ব্যাপক হারে ছোট ও মাঝারি শিল্প-ব্যবসা চৌপাট হয়ে যাওয়ার মতো দুটি ভয়ঙ্কর ইস্যুও অস্বীকার করেছেন অর্থমন্ত্রী। সাম্প্রতিককালে ভারতের অর্থনীতিকে সবচেয়ে কঠিন যে চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে হয়েছে সেটা হল—স্বঘোষিত শক্তিমান এবং নির্ণায়ক (ডিসিসিভ) সরকার—যে সরকার নিজেকে দিশেহারা এবং ভীত বলেই প্রতিপন্ন করেছে।
বিশদ

10th  February, 2020
প্রবীণ নাগরিকদের জ্বলন্ত সমস্যাগুলির
দিকে সরকার এবার একটু নজর দিক
হিমাংশু সিংহ

 অধিকাংশ পরিবারেই এখন শিক্ষান্তে ছেলেমেয়েরা চাকরির জন্য বাইরে চলে যাচ্ছে, তাই বৃদ্ধাবাসের প্রয়োজনীয়তাও বাড়ছে। একাকীত্ব বৃদ্ধ-বৃদ্ধাদের সবচেয়ে বড় অসুখ। এই একাকীত্ব থেকেই হাজারো মানসিক রোগেরও জন্ম হয়। নিকট আত্মীয় এবং ছেলেমেয়েও বাইরে, আবার অন্যদিকে, সঞ্চয়ের উপর ক্রমাগত সুদ কমে যাওয়ায় আয়ও নিম্নমুখী। এই সাঁড়াশি আক্রমণ বৃদ্ধ-বৃদ্ধাদের পক্ষে সামলে ওঠা দুষ্কর হয়ে পড়ছে। তার উপর যদি কোনও কঠিন রোগ দেহে বাসা বাঁধে তাহলে তো রক্ষে নেই!
বিশদ

09th  February, 2020
বিখ্যাত ফুলব্রাইট বৃত্তির সাত দশক 
অ্যাডাম জে গ্রোৎস্কি

জে উইলিয়াম ফুলব্রাইট। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রাক্তন সিনেটর। বিখ্যাত ফুলব্রাইট বৃত্তিটা চালু হয় তাঁরই নামে। এটি একটি শিক্ষামূলক এক্সচেঞ্জ প্রোগ্রাম। সাত দশক আগে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও ভারত যৌথ উদ্যোগে এই ফেলোশিপ চালু করে। দ্য প্রাইস অফ এমপায়ার। জে ডব্লু ফুলব্রাইটের প্রবন্ধসংগ্রহের শিরোনাম।  
বিশদ

08th  February, 2020
পুরভোটেই ঠিক হবে রাজ্য-রাজনীতির অভিমুখ 
তন্ময় মল্লিক

যে কোনও রাজনৈতিক দলের কাছে নির্বাচন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আর সেই নির্বাচন বিধানসভা ভোটের মুখে হলে তা আক্ষরিক অর্থেই রাজনৈতিক দলগুলির জন্য অ্যাসিড টেস্ট। তবে, রাজ্যের শতাধিক পুরসভার ভোট শুধু রাজনৈতিক দলগুলির অ্যাসিড টেস্টই নয়, এই নির্বাচন ঠিক করে দেবে রাজ্য রাজনীতির অভিমুখ।  
বিশদ

08th  February, 2020
একনজরে
সংবাদদাতা, রায়গঞ্জ: শুধু লুট করাই নয়, পুলিসের নাগালের বাইরে থাকতে প্রমাণ লোপাটে টার্গেটকে খুন করাও উদ্দেশ্য থাকে হাইওয়ে গ্যাংয়ের। কাউকে একবার টার্গেট করলে কিভাবে তার উপর হামলা চালানো যায়, সেব্যাপারে রীতিমতো আঁটঘাট বেঁধে তবেই ‘অপারেশন’ চালানো হয় বলেও জানা গিয়েছে।  ...

সংবাদদাতা, লালবাগ: শনিবার রাতে নবগ্রাম থানার পলসণ্ডায় ৩৪নম্বর জাতীয় সড়কের পাশে দাঁড়িয়ে থাকা একটি ট্রাকে আগুন লাগায় চাঞ্চল্য ছড়ায়। প্রথমে স্থানীয়রা আগুন নেভানোর চেষ্টা করেন। পরে খবর পেয়ে বহরমপুর থেকে দমকলের দু’টি ইঞ্জিন এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনলেও ট্রাকে থাকা সমস্ত ...

নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: দাবিদাওয়ার মধ্যে কয়েকটি মিটলেও, বেতন নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ কিছু দাবি এখনও অনিশ্চিত। এমনই অভিযোগ অধ্যাপকদের। রবিবার ওয়েস্ট বেঙ্গল গভর্নমেন্ট কলেজ টিচার্স অ্যাসোসিয়েশনের ৪৮তম বার্ষিক সম্মেলনে তা নিয়েই সরব হলেন তাঁরা।  ...

হ্যামিলটন, ১৬ ফেব্রুয়ারি: নিউজিল্যান্ডের কাছে একদিনের সিরিজে হোয়াইটওয়াশের ধাক্কা ভারতীয় দল যে ধীরে ধীরে কাটিয়ে উঠছে, তা বিরাট কোহলিদের দেখলেই বোঝা সম্ভব। ২১ ফেব্রুয়ারি শুরু ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

মাঝেমধ্যে মানসিক উদ্বেগের জন্য শিক্ষায় অমনোযোগী হয়ে পড়বে। গবেষণায় আগ্রহ বাড়বে। কর্মপ্রার্থীদের নানা সুযোগ আসবে। ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৮৯৯: কবি জীবনানন্দ দাশের জন্ম
১৯৬৩: আমেরিকান বাস্কেটবল খেলোয়াড় ও অভিনেতা মাইকেল জর্ডনের জন্ম
১৯৮৭ - ভারতীয় কার্টুনিস্ট অসীম ত্রিবেদীর জন্ম।
২০০৯: সঙ্গীত শিল্পী মালবিকা কাননের মৃত্যু 



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৭০.৪৯ টাকা ৭২.১৯ টাকা
পাউন্ড ৯১.৪৩ টাকা ৯৪.৭১ টাকা
ইউরো ৭৫.৮৫ টাকা ৭৮.৮০ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
15th  February, 2020
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৪১,৬০৫ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৩৯,৪৭৫ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৪০,০৭০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৪৬,৫০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৪৬,৬০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]
16th  February, 2020

দিন পঞ্জিকা

৪ ফাল্গুন ১৪২৬, ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২০, সোমবার, (মাঘ কৃষ্ণপক্ষ) নবমী ২১/১ দিবা ২/৩৬। জ্যেষ্ঠা ৫৭/৩৩ শেষরাত্রি ৫/১৪। সূ উ ৬/১১/৩৯, অ ৫/২৯/৩৯, অমৃতযোগ দিবা ৭/৪২ মধ্যে পুনঃ ১০/৪৩ গতে ১২/৫৮ মধ্যে। রাত্রি ৬/২০ গতে ৮/৫৮ মধ্যে পুনঃ ১১/২৫ গতে ২/৪৯ মধ্যে। বারবেলা ৭/৩৬ গতে ৯/১ মধ্যে পুনঃ ২/৪০ গতে ৪/৫ মধ্যে। কালরাত্রি ১০/১৫ গতে ১১/৫১ মধ্যে।
৪ ফাল্গুন ১৪২৬, ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২০, সোমবার, নবমী ৩১/৪০/৩৫ রাত্রি ৬/৫৪/৫৬। অনুরাধা ৮/১/৪০ দিবা ৯/২৭/২২। সূ উ ৬/১৪/৪২, অ ৫/২৮/৫৮। অমৃতযোগ দিবা ৭/৩২ মধ্যে ও ১০/৩৮ গতে ১২/৫৮ মধ্যে এবং রাত্রি ৬/২৭ গতে ৮/৫৫ মধ্যে ও ১১/২৩ গতে ২/৪১ মধ্যে। কালবেলা ৭/৩৮/৫৯ গতে ৯/৩/১৬ মধ্যে। কালরাত্রি ১০/১৬/৭ গতে ১১/৫১/৫০ মধ্যে।
 ২২ জমাদিয়স সানি

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
আজকের রাশিফল  
মেষ: কর্মপ্রার্থীদের নানা সুযোগ আসবে। বৃষ: পুরোনো সম্পর্ক থাকলে তা আবার নতুন ...বিশদ

07:11:04 PM

ইতিহাসে আজকের দিনে  
১৮৯৯: কবি জীবনানন্দ দাশের জন্ম১৯৬৩: আমেরিকান বাস্কেটবল খেলোয়াড় ও অভিনেতা ...বিশদ

07:03:20 PM

স্ত্রীর সাহায্যে তরুণীকে ধর্ষণের অভিযোগ, ধৃত দম্পতি 
বাঘাযতীনে স্ত্রীর সাহায্যে বছর ২২-এর এক তরুণীকে ধর্ষণের অভিযোগ। অভিযুক্ত ...বিশদ

07:34:00 PM

পাকিস্তানের কোয়েটায় বিস্ফোরণ, মৃত কমপক্ষে ৭, জখম ২০

06:58:00 PM

মত্ত অবস্থায় পুলকার চালানোর অভিযোগে আটক চালক 
পোলবায় পুলকার দুর্ঘটনার পর নড়েচড়ে বসেছে প্রশাসন। রাজ্যজুড়ে পুলকার আটকে ...বিশদ

05:58:22 PM

নির্ভয়াকাণ্ডের দোষীদের ফাঁসি ৩ মার্চ
নতুন করে ফের নির্ভয়াকাণ্ডের দোষীদের ফাঁসির দিনক্ষণ ঘোষণা হল। আগামী ...বিশদ

04:22:33 PM