Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

রাজস্ব-শৃঙ্খলা অক্ষুণ্ণ রেখেই জনমুখী বাজেট
দেবনারায়ণ সরকার

 
২০২১-এর বিধানসভা নির্বাচনের আগে এটাই অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্রের শেষ পূর্ণাঙ্গ বাজেট। এই বাজেট নিঃসন্দেহে জনমুখী, তবে রাজস্ব-শৃঙ্খলা (ফিসকাল ডিসিপ্লিন) যথেষ্ট বজায় রেখে জনমুখী বাজেট পেশ করলেন অমিতবাবু। প্রথমে রাজস্ব-শৃঙ্খলার প্রসঙ্গে আসা যাক।
রাজস্ব-শৃঙ্খলার প্রথম শর্ত হল, গোল্ডেন রুল। অর্থাৎ রাজস্ব ঘাটতি (রেভিনিউ ডেফিসিট) শূন্য বা উদ্বৃত্ত সৃষ্টিই হল গোল্ডেন রুলের মূল কথা। মোদ্দা কথা হল, রাজস্ব খাতে কোনও ঘাটতি চলবে না। এই বাজেটে এটা কতটুকু আনা গেল এবার সেটাই দেখা যাক।
এই বাজেট থেকে ২০১৮-১৯ অর্থবর্ষের প্রকৃত রাজস্ব ও মূলধনী খাতের সমস্ত হিসেব পাওয়া গিয়েছে। এ থেকে দেখা যাচ্ছে, ২০১৮-১৯ অর্থবর্ষের সংশোধিত বাজেটে রাজস্ব ঘাটতি ধরা হয়েছিল ৭,৫২৪ কোটি টাকা, যা ওই বছরের পশ্চিমবঙ্গের জিএসডিপির (গ্রস স্টেট ডোমেস্টিক প্রোডাক্ট) ০.৬ শতাংশ (রিজার্ভ ব্যাঙ্কের তথ্য অনুযায়ী)। বাস্তবে এটা দাঁড়িয়েছে ১০,৩৯৮ কোটি টাকা, যা ওই বছরের জিএসডিপির ০.৯ শতাংশ। ফলে, আগের তুলনায় রাজস্ব-শৃঙ্খলার অগ্রগতি ঘটেছে বলা যায়। ওই বছর রাজকোষ ঘাটতি (ফিসকাল ডেফিসিট) ধরা হয়েছিল ৩২,৪৯৭ কোটি টাকা। বাজেট তথ্য থেকে দেখা যাচ্ছে, এটাও ২ হাজার কোটি টাকা বাড়ছে। ওই বছর মূলধনী ব্যয় ধরা হয়েছিল ২৪,৪১২ কোটি টাকা। প্রকৃত মূলধনী ব্যয় দাঁড়িয়েছে ২৩,৭১৩ কোটি টাকা। ফলে, ২০১৮-১৯ অর্থবর্ষে যথেষ্ট রাজস্ব-শৃঙ্খলা অর্জন করা গিয়েছে, এটা সংশয়াতীত ভাবেই বলা যায়। এছাড়াও, রাজস্ব আদায় করা গিয়েছে লক্ষ্যমাত্রার প্রায় সমান। বাজেটে ধরা হয়েছিল প্রায় ১.৪৭ লক্ষ কোটি টাকা। প্রকৃত পক্ষে আদায় প্রায় ১.৪৬ লক্ষ কোটি টাকা। সুতরাং রাজস্ব আদায়ের ক্ষেত্রেও অনুরূপ সাফল্য সরকার দাবি করতে পারে।
এবার চলতি বছরের (২০১৯-২০) প্রেক্ষাপটে আসা যাক। চলতি বছরেও পশ্চিমবঙ্গ সরকার রাজস্ব-শৃঙ্খলার ক্ষেত্রে যথেষ্ট প্রশংসার দাবি করতে পারে। প্রথমে রাজস্ব আয়ের প্রসঙ্গে আসা যাক। বাজেটে রাজস্ব আয় ধরা হয়েছিল ১,৬৪,৩২৭ কোটি টাকা। সংশোধিত বাজেটে এটি ধরা হয়েছে ১,৬৩,২৫৯ কোটি টাকা। মোদ্দা কথা, রাজস্ব আদায় অপরিবর্তিত থাকছে। রাজস্ব ঘাটতি যদিও শূন্য ধরা হয়েছিল, সংশোধিত বাজেটে এটা দাঁড়াচ্ছে ৬,১৭১ কোটি টাকা। এটা চলতি বছরের জিডিপির ০.৫ শতাংশ। গত বছরের থেকে এটা কম। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য যে, বাম আমলের শেষ বছরে (২০১০-১১) রাজস্ব ঘাটতি ছিল ওই বছরের জিএসডিপির ৩.৬ শতাংশ। ফলে, এক্ষেত্রেও যে যথেষ্ট অগ্রগতি ঘটেছে, এটাও সরকার অবশ্যই দাবি করতে পারে। রাজকোষ ঘাটতি হ্রাসের ক্ষেত্রে যথেষ্ট উন্নতি হয়েছে। বাজেটে রাজকোষ ঘাটতির পরিমাণ ধরা হয়েছিল ২৭,২৫৪ কোটি টাকা। সংশোধিত বাজেটে এটা প্রায় ৬ হাজার কোটি টাকা। জিডিপির হিসাবে রাজকোষ ঘাটতি ধরা হয়েছিল ২ শতাংশ। সংশোধিত বাজেটে সংখ্যাটি দাঁড়াচ্ছে ২.৪ শতাংশ। মূলধনী ব্যয় মোটামুটি অপরিবর্তিত রাখা গিয়েছে। ধরা হয়েছিল ২৬,৬৬৯ কোটি টাকা। সংশোধিত বাজেটে সংখ্যাটি হয়েছে ২৬,৮৭০ কোটি টাকা। তাই সার্বিকভাবে চলতি বছরে যে রাজস্ব-শৃঙ্খলার কিছুটা অগ্রগতি ঘটেছে একথা বলাই যায়।
এবার আগামী বছরের (২০২০-২১) বাজেট প্রসঙ্গ। এই বাজেটে মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ২,৫৫,৬৭৭ কোটি টাকা। চলতি অর্থবর্ষে বাজেটে অনুমিত ব্যয়ের থেকে প্রায় ৩৯ হাজার কোটি টাকা বেশি। চলতি বছরের তুলনায় আগামী বছরের মোট ব্যয় বৃদ্ধির অনুপাত ১৮ শতাংশ। রাজস্ব খাতে ব্যয় ধরা হয়েছে ১,৭৯,৩৯৮ টাকা। চলতি বছরের সংশোধিত বাজেটের থেকে প্রায় ১০ হাজার কোটি টাকা বেশি। বৃদ্ধির অনুপাত প্রায় ৬ শতাংশ। রাজস্ব আদায় চলতি বছরের সংশোধিত বাজেটের তুলনায় প্রায় ১৬ হাজার কোটি টাকা বেশি ধরা হয়েছে। সংশোধিত বাজেটে আদায় ধরা হয়েছে ১.৬৩ লক্ষ কোটি টাকা। আগামী বছরে রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা ১.৭৯ লক্ষ কোটি টাকা। এই বৃদ্ধির হারটিও প্রায় ৬ শতাংশ। অতীত অভিজ্ঞতা থেকে বলা যায়, এই লক্ষ্যমাত্রাও অর্জন করা সম্ভব।
নিজস্ব কর আদায়ের ক্ষেত্রে গত কয়েকটি বছরে যথেষ্ট সাফল্য আমরা দেখেছি। তথ্য থেকে স্পষ্ট, নিজস্ব কর রাজস্বের প্রায় ৬০ শতাংশ আসে জিএসটি থেকে এবং বাকিটা আসে রাজ্যের অন্যান্য ক্ষেত্র থেকে। সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য হল, আবগারি কর সংগ্রহ বৃদ্ধি। ২০১৫-১৬ সালে যেখানে ৪ হাজার কোটি টাকার মতো আদায় হয়েছিল, চলতি বছরে সেখানে আদায় করা গিয়েছে ১২ হাজার কোটি টাকার মতো। এটা নিজস্ব কর রাজস্বের প্রায় ১৮ শতাংশ। জিএসটি চালু হওয়ার পর বিক্রয় কর আদায় যথেষ্ট কমলেও, জিএসটি বাদে রাজ্যের বিক্রয় কর আদায় হয়েছে নিজস্ব কর রাজস্ব আদায়ের প্রায় ১১ শতাংশ। এরপর স্ট্যাম্প ডিউটি এবং রেজিস্ট্রেশন ফি বাবদ আদায়ের পরিমাণ নিজস্ব কর রাজস্ব আদায়ের প্রায় ৯ শতাংশ। মোটামুটি বাজেটের লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী, রাজস্ব আদায় মোটামুটি অপরিবর্তিত রয়েছে। এটা অবশ্যই প্রশংসনীয়।
ঋণ নিঃসন্দেহে এক বড় সমস্যা। রিজার্ভ ব্যাঙ্কের তথ্য অনুযায়ী, ২০২০-র ৩১ মার্চ পর্যন্ত পশ্চিমবঙ্গে মোট ঋণের পরিমাণ ৪.৩৭ লক্ষ কোটি টাকা। এটা পশ্চিমবঙ্গের জিএসডিপির ৩২.৬ শতাংশ। মোট ঋণ উত্তরপ্রদেশ ও মহারাষ্ট্রে আরও বেশি। উত্তরপ্রদেশে মোট ঋণ ৬.০২ লক্ষ কোটি টাকা, যা ওই রাজ্যের জিএসডিপির ৩৮.১ শতাংশ। পাঞ্জাবের ক্ষেত্রে ঋণ ৩৯.৯ শতাংশ। ঋণ মূলধনী খাতে ব্যয়িত হলে এটা তেমন ক্ষতিকর নয়। কারণ, এই ঋণ সম্পদ সৃষ্টিতে ব্যয় হয়, যা পরবর্তী বছরগুলিতে আরও সম্পদ সৃষ্টি করে। পশ্চিমবঙ্গের ক্ষেত্রে দেখা যাচ্ছে, রাজস্ব ঘাটতি উল্লেখযোগ্য হারে কমছে। এটা পুরো শূন্যে নামিয়ে আনাই সরকারের মূল লক্ষ্য। দেখা যাচ্ছে, পশ্চিমবঙ্গ সরকার যে ঋণ নিচ্ছে তার সিংহভাগটাই ব্যয় হচ্ছে মূলধনী খাতে। ২০১৭-১৮, ২০১৮-১৯ ও ২০১৯-২০ অর্থবর্ষে দেখা যাচ্ছে, মোট ঋণের ৭০-৭৫ শতাংশ অর্থ মূলধনী খাতে ব্যয় হচ্ছে। তবে, এটা সত্য যে অতীতের ঋণের বোঝা ক্রমশ বাড়ছে। এবারে প্রায় ৬০ হাজার কোটি টাকা কেন্দ্রকে ঋণ বাবদ পরিশোধ করতে হবে। রা঩জ্যের ঘাড়ে এই বিশাল ঋণের বোঝা লাঘব করার বিষয়ে কেন্দ্রকেও আন্তরিকভাবে ভাবতে হবে।
এবারের বাজেটে বেশকিছু জনমুখী কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়েছে। তফসিলি জাতির প্রবীণ নাগরিকদের জন্য আগামী অর্থবর্ষ থেকেই পেনশন প্রকল্প চালু করা হচ্ছে। এই শ্রেণীর ষাটোর্ধ্ব পুরুষ-মহিলা উভয়েই মাসে মাসে ১০০০ টাকা করে পেনশন পাবেন। এজন্য বরাদ্দ করা হয়েছে ২৫০০ কোটি টাকা। এর ফলে পিছিয়ে পড়া সম্প্রদায়ের ২১ লক্ষ প্রবীণ মানুষ বিশেষভাবে উপকৃত হবেন। একইভাবে তফসিলি উপজাতি বা আদিবাসীদের জন্য ‘জয় জওহর’ প্রকল্প ঘোষণা করা হয়েছে। এর মাধ্যমে ৪ লক্ষ গরিব আদিবাসী পরিবার উপকৃত হবে। এজন্য বরাদ্দ হয়েছে ৫০০ কোটি টাকা। সামাজিক সুরক্ষা প্রকল্পে দেড় কোটি অসংগঠিত ক্ষেত্রের শ্রমিকদের জন্য বাড়তি সুরাহার কথা ঘোষণা করল সরকার। এই সরকারি পিএফ প্রকল্পে প্রিমিয়াম বাবদ শ্রমিককে প্রতি মাসে ২৫ টাকা দিতে হতো। এরপর সরকারের অংশ হিসেবে যোগ হতো আরও ৩০ টাকা। এবার থেকে এই মোট ৫৫ টাকাই রাজ্য সরকার দেবে। শ্রমিককে এই বাবদ এক পয়সাও দিতে হবে না। অর্থাৎ ওই শ্রমিকরা নিখরচায় এই পিএফ প্রকল্পের পুরো সুবিধা ভোগ করতে পারবেন।
চা শিল্পের জন্য ঘোষণা করা হয়েছে দুটি প্রকল্প। একটির নাম ‘চা সুন্দরী’। গৃহহীন চা বাগান শ্রমিকদের বাসস্থান নির্মাণের প্রকল্প এটা। তিন লক্ষ চা শ্রমিকদের গৃহ নির্মাণের জন্য ৫০০ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। দ্বিতীয়টি হল চা শিল্পে দু’বছরের জন্য কৃষি আয়কর ছাড় দেওয়া হবে। বিদ্যুতের ক্ষেত্রেও অভূতপূর্ব ছাড়ের কথা ঘোষণা করা হয়েছে। যেসব গরিব পরিবার তিন মাসে ৭৫ ইউনিট পর্যন্ত বিদ্যুৎ খরচ করে তাদের আর বিদ্যুৎ বিল মেটানোর চিন্তা করতে হবে না। সরকারই এটা বহন করবে। সরকারের হিসাব হল, সারা রাজ্যের ৩৫ লক্ষ পরিবার উপকৃত হবে। এই বাজেটে এই বাবদ ২০০ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। সহজ শর্তে ঋণদানের জন্য বেকার যুবক-যুবতীদের জন্য ‘কর্মসাথী’ প্রকল্প ঘোষণা করা হল। প্রতি বছর ১ লক্ষ হিসাবে আগামী তিন বছরে মোট ৩ লক্ষ বেকার যুবক-যুবতীকে ঋণদানের মাধ্যমে স্বাবলম্বী করার লক্ষ্য সরকার স্থির করল। মাঝারি ও ছোট শিল্পের প্রসারের জন্য ১০০টি নতুন এমএসএমই হাব গড়ে তোলার কথা ঘোষণা করা হল। এজন্য বরাদ্দ করা হল ২০০ কোটি টাকা। ওই একই শিল্পক্ষেত্রের জন্য ‘বাংলাশ্রী’ উৎসাহ প্রকল্প ঘোষণা করল সরকার। এই বাজেটের আর একটি গুরুত্বপূর্ণ দিক হল, কর বিবাদ নিষ্পত্তির জন্য বেশকিছু ছাড় প্রদান। এছাড়া জমি বাড়ি প্রভৃতি সম্পত্তির একত্রীকরণ রেজিস্ট্রেশনের জন্য স্ট্যাম্প ডিউটিতে ছাড় ঘোষণা করা হল। দিতে হতো সম্পত্তির মূল্যের ৫-৭ শতাংশ, সেটা কমিয়ে করা হল ০.৫ শতাংশ। তবে, এর ঊর্ধ্বসীমা ৩ লক্ষ টাকার মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকবে।
সার্বিকভাবে এই বাজেটকে জনমুখীই বলব। তবে, বাজেট বরাদ্দ ক্ষমতার মধ্যেই সীমাবদ্ধ আছে। অন্যদিকে, রাজস্ব-শৃঙ্খলার শর্ত অনেকটাই পালিত হয়েছে চলতি বাজেটে। মোদ্দা কথা, রাজস্ব-শৃঙ্খলার মধ্যে থেকেই জনমুখী বাজেট পেশ করল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জনদরদি সরকার।
 লেখক প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন অধ্যাপক
 
11th  February, 2020
টুকরে টুকরে গ্যাং-ই জিতল
পি চিদম্বরম

 গত ১১ ফেব্রুয়ারি লোকসভার কার্যবিবরণীতে নথিভুক্ত নিম্নলিখিত প্রশ্নোত্তরগুলি আনন্দের কারণ হতে পারত যদি না বিষয়টি বিজেপি নেতাদের (এই পঙ্‌ক্তিতে আছেন প্রধানমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এবং অন্য মন্ত্রীরাও) দুঃখের ধারাবিবরণীতে পরিণত হতো: বিশদ

স্বর্গলোকে মহাত্মা ও
গুরুদেবের সাক্ষাৎকার
সন্দীপন বিশ্বাস

 অনেকদিন পর আবার দেখা হল মহাত্মা এবং গুরুদেবের। মর্ত্যে দু’জনের প্রথম সাক্ষাৎ ঘটেছিল শান্তিনিকেতনে ১৯১৫ সালে আজকের দিনে অর্থাৎ ১৭ ফেব্রুয়ারি। তারপর বেশ কয়েকবার তাঁদের দেখা হয়েছিল। কবিগুরু সবরমতী আশ্রমে গিয়েছিলেন ১৯২০ সালে। বিশদ

এবার হ্যাটট্রিকের দোরগোড়ায় অগ্নিকন্যা
হিমাংশু সিংহ

তবে কি দিল্লিতে হেরে বোধোদয় হল অমিত শাহদের? নাকি ভোট জেতার নামে ঘৃণা ছড়ানো ঠিক হয়নি বলাটা আরও বড় কোনও নাটকের মহড়ারই অংশ? বোঝা কঠিন, তুখোড় রাজনীতিকরা কোন উদ্দেশ্যে কখন কোন খেলাটা খেলেন! আর সেই তালে অসহায় জনগণকে তুর্কি নাচন নাচানো চলে অবলীলায়। 
বিশদ

16th  February, 2020
শাহিনবাগে যেসব কথা জানানো হয়নি

 ‘যত্র নার্যস্তু পূজ্যন্তে রমন্তে তত্র দেবতাঃ’, যেখানে মহিলারা পূজিতা হন সেখানেই ভগবান অবস্থান করেন। ভারতবর্ষের মানুষ হাজার বছর ধরে এই শ্লোক আবৃত্তি করে এসেছে। গত একমাসের বেশি সময় ধরে দিল্লির শাহিনবাগে শিশু থেকে বৃদ্ধা বিভিন্ন বয়সের মহিলাদের কষ্ট দেওয়া হয়েছে। বিশদ

15th  February, 2020
মাফলার ম্যানের দিল্লি জয়
মৃণালকান্তি দাস 

ঠেকে শিখেছেন তিনি। ‌‌‌‌পদস্থ আমলা থেকে রাজনীতিক এবং প্রশাসক হিসেবে পরিণত হয়েছেন। বুঝেছেন, এ দেশের আমআদমি বাড়ির কাছে ভালো স্কুল, কলেজ, হাসপাতাল চান। বাড়ির মেয়েদের নিরাপত্তা নিয়েই তাঁদের উদ্বেগ। 
বিশদ

14th  February, 2020
রাজনীতির কাছে মানুষের চাহিদাটাই
বদলে দিল দিল্লির এই ভোট-সংস্কৃতি
হারাধন চৌধুরী

 প্রতিমা গড়ে পুজো করা আর ভগবানকে লাভ করা এক নয়। প্রতিমা সাজিয়ে পুজো যে-কেউ করতে পারে। কিন্তু, ভগবান লাভ? মানুষ চিরদিন মনে করে এসেছে, সে শুধু সাচ্চা সাধকের পক্ষেই সম্ভব। কিন্তু, ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণ এসে একেবারে অন্যকথা বললেন।
বিশদ

13th  February, 2020
সেনাবাহিনীও যখন রাজনীতির অস্ত্র
শান্তনু দত্তগুপ্ত

লঞ্চপ্যাড মাত্র ৫০ মিটার দূরে... অন্ধকারের মধ্যেই তাঁর চোখ দু’টো খুঁজে চলেছে... নজরে এসেও গেল দুই জঙ্গি... ছায়ার মতো সেঁটে আছে লঞ্চপ্যাডের অন্ধকারে। নাইট ভিশন গ্লাস চোখে লাগিয়ে নিশ্চিত হলেন মেজর মাইক ট্যাঙ্গো। আগেভাগে নিশ্চিত হয়ে নেওয়ার কারণ আরও ছিল তাঁর কাছে।
বিশদ

11th  February, 2020
মানুষ কী চায়, বুঝিয়ে দেবে দিল্লির ভোটের ফল
সন্দীপন বিশ্বাস

বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় তাঁর ‘বাহুবল ও বাক্যবল’ নিবন্ধে দুই প্রকার বলের প্রভূত ব্যাখ্যা করেছেন। যদিও তিনি বলেছেন, বাহুবল পশুর বল এবং বাক্যবল মানুষের বল, তা সত্ত্বেও মনুষ্য সমাজে বাহুবলের প্রয়োগ অনবরত দেখা যায়। মানুষের বল সমাজ গঠনে কখনও কখনও নিশ্চয়ই কাজে লাগে। কিন্তু দেখা যায় বেশিরভাগ ক্ষেত্রে মানুষ আপন স্বার্থে এই বাহুবলকে ব্যবহার করে। 
বিশদ

10th  February, 2020
সরকার দিশেহারা এবং ভীত
পি চিদম্বরম

অর্থমন্ত্রী বাধ্য হয়েছেন সরকারি ব্যয় নামক একমাত্র ‘ইঞ্জিন’-এর উপর আস্থা রাখতে। কিন্তু এই ইঞ্জিনটাও যে জ্বালানি সঙ্কটে ভুগছে এবং নড়বড়ে রাজকোষের ভূতের ছায়াটিও পড়ছে সরকারের উপর! তীব্র বেকারত্ব এবং ব্যাপক হারে ছোট ও মাঝারি শিল্প-ব্যবসা চৌপাট হয়ে যাওয়ার মতো দুটি ভয়ঙ্কর ইস্যুও অস্বীকার করেছেন অর্থমন্ত্রী। সাম্প্রতিককালে ভারতের অর্থনীতিকে সবচেয়ে কঠিন যে চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে হয়েছে সেটা হল—স্বঘোষিত শক্তিমান এবং নির্ণায়ক (ডিসিসিভ) সরকার—যে সরকার নিজেকে দিশেহারা এবং ভীত বলেই প্রতিপন্ন করেছে।
বিশদ

10th  February, 2020
প্রবীণ নাগরিকদের জ্বলন্ত সমস্যাগুলির
দিকে সরকার এবার একটু নজর দিক
হিমাংশু সিংহ

 অধিকাংশ পরিবারেই এখন শিক্ষান্তে ছেলেমেয়েরা চাকরির জন্য বাইরে চলে যাচ্ছে, তাই বৃদ্ধাবাসের প্রয়োজনীয়তাও বাড়ছে। একাকীত্ব বৃদ্ধ-বৃদ্ধাদের সবচেয়ে বড় অসুখ। এই একাকীত্ব থেকেই হাজারো মানসিক রোগেরও জন্ম হয়। নিকট আত্মীয় এবং ছেলেমেয়েও বাইরে, আবার অন্যদিকে, সঞ্চয়ের উপর ক্রমাগত সুদ কমে যাওয়ায় আয়ও নিম্নমুখী। এই সাঁড়াশি আক্রমণ বৃদ্ধ-বৃদ্ধাদের পক্ষে সামলে ওঠা দুষ্কর হয়ে পড়ছে। তার উপর যদি কোনও কঠিন রোগ দেহে বাসা বাঁধে তাহলে তো রক্ষে নেই!
বিশদ

09th  February, 2020
বিখ্যাত ফুলব্রাইট বৃত্তির সাত দশক 
অ্যাডাম জে গ্রোৎস্কি

জে উইলিয়াম ফুলব্রাইট। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রাক্তন সিনেটর। বিখ্যাত ফুলব্রাইট বৃত্তিটা চালু হয় তাঁরই নামে। এটি একটি শিক্ষামূলক এক্সচেঞ্জ প্রোগ্রাম। সাত দশক আগে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও ভারত যৌথ উদ্যোগে এই ফেলোশিপ চালু করে। দ্য প্রাইস অফ এমপায়ার। জে ডব্লু ফুলব্রাইটের প্রবন্ধসংগ্রহের শিরোনাম।  
বিশদ

08th  February, 2020
পুরভোটেই ঠিক হবে রাজ্য-রাজনীতির অভিমুখ 
তন্ময় মল্লিক

যে কোনও রাজনৈতিক দলের কাছে নির্বাচন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আর সেই নির্বাচন বিধানসভা ভোটের মুখে হলে তা আক্ষরিক অর্থেই রাজনৈতিক দলগুলির জন্য অ্যাসিড টেস্ট। তবে, রাজ্যের শতাধিক পুরসভার ভোট শুধু রাজনৈতিক দলগুলির অ্যাসিড টেস্টই নয়, এই নির্বাচন ঠিক করে দেবে রাজ্য রাজনীতির অভিমুখ।  
বিশদ

08th  February, 2020
একনজরে
নিউ ইয়র্ক, ১৬ ফেব্রুয়ারি (এএফপি): কানেক্টিকাটের একটি নাইটক্লাবে গুলিচালনার ঘটনায় প্রাণ হারালেন একজন। আহতের সংখ্যা চার। রবিবার ভোরে ‘ম্যাজেস্টিক লাউঞ্জ’-এর ক্লাবে এক অজ্ঞাতপরিচয় দুষ্কৃতী এই হামলা চালায় বলে পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে।   ...

হ্যামিলটন, ১৬ ফেব্রুয়ারি: নিউজিল্যান্ডের কাছে একদিনের সিরিজে হোয়াইটওয়াশের ধাক্কা ভারতীয় দল যে ধীরে ধীরে কাটিয়ে উঠছে, তা বিরাট কোহলিদের দেখলেই বোঝা সম্ভব। ২১ ফেব্রুয়ারি শুরু ...

হায়দরাবাদ, ১৬ ফেব্রুয়ারি (পিটিআই): ‘ফিসকাল রেসপনসিবিলিটি অ্যান্ড বাজেট ম্যানেজমেন্ট’ (এফআরবিএম) মেনে বাজেট পেশ করা হয়েছে। তাই রাজস্ব ঘাটতির লক্ষ্যমাত্রা স্থির করতে সেই আইন লঙ্ঘন করা হয়নি। যাবতীয় জল্পনা, বিতর্কে জল ঢেলে রবিবার এমনটাই জানালেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন।  ...

সংবাদদাতা, রায়গঞ্জ: শুধু লুট করাই নয়, পুলিসের নাগালের বাইরে থাকতে প্রমাণ লোপাটে টার্গেটকে খুন করাও উদ্দেশ্য থাকে হাইওয়ে গ্যাংয়ের। কাউকে একবার টার্গেট করলে কিভাবে তার উপর হামলা চালানো যায়, সেব্যাপারে রীতিমতো আঁটঘাট বেঁধে তবেই ‘অপারেশন’ চালানো হয় বলেও জানা গিয়েছে।  ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

মাঝেমধ্যে মানসিক উদ্বেগের জন্য শিক্ষায় অমনোযোগী হয়ে পড়বে। গবেষণায় আগ্রহ বাড়বে। কর্মপ্রার্থীদের নানা সুযোগ আসবে। ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৮৯৯: কবি জীবনানন্দ দাশের জন্ম
১৯৬৩: আমেরিকান বাস্কেটবল খেলোয়াড় ও অভিনেতা মাইকেল জর্ডনের জন্ম
১৯৮৭ - ভারতীয় কার্টুনিস্ট অসীম ত্রিবেদীর জন্ম।
২০০৯: সঙ্গীত শিল্পী মালবিকা কাননের মৃত্যু 



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৭০.৪৯ টাকা ৭২.১৯ টাকা
পাউন্ড ৯১.৪৩ টাকা ৯৪.৭১ টাকা
ইউরো ৭৫.৮৫ টাকা ৭৮.৮০ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
15th  February, 2020
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৪১,৬০৫ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৩৯,৪৭৫ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৪০,০৭০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৪৬,৫০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৪৬,৬০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]
16th  February, 2020

দিন পঞ্জিকা

৪ ফাল্গুন ১৪২৬, ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২০, সোমবার, (মাঘ কৃষ্ণপক্ষ) নবমী ২১/১ দিবা ২/৩৬। জ্যেষ্ঠা ৫৭/৩৩ শেষরাত্রি ৫/১৪। সূ উ ৬/১১/৩৯, অ ৫/২৯/৩৯, অমৃতযোগ দিবা ৭/৪২ মধ্যে পুনঃ ১০/৪৩ গতে ১২/৫৮ মধ্যে। রাত্রি ৬/২০ গতে ৮/৫৮ মধ্যে পুনঃ ১১/২৫ গতে ২/৪৯ মধ্যে। বারবেলা ৭/৩৬ গতে ৯/১ মধ্যে পুনঃ ২/৪০ গতে ৪/৫ মধ্যে। কালরাত্রি ১০/১৫ গতে ১১/৫১ মধ্যে।
৪ ফাল্গুন ১৪২৬, ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২০, সোমবার, নবমী ৩১/৪০/৩৫ রাত্রি ৬/৫৪/৫৬। অনুরাধা ৮/১/৪০ দিবা ৯/২৭/২২। সূ উ ৬/১৪/৪২, অ ৫/২৮/৫৮। অমৃতযোগ দিবা ৭/৩২ মধ্যে ও ১০/৩৮ গতে ১২/৫৮ মধ্যে এবং রাত্রি ৬/২৭ গতে ৮/৫৫ মধ্যে ও ১১/২৩ গতে ২/৪১ মধ্যে। কালবেলা ৭/৩৮/৫৯ গতে ৯/৩/১৬ মধ্যে। কালরাত্রি ১০/১৬/৭ গতে ১১/৫১/৫০ মধ্যে।
 ২২ জমাদিয়স সানি

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
আজকের রাশিফল  
মেষ: কর্মপ্রার্থীদের নানা সুযোগ আসবে। বৃষ: পুরোনো সম্পর্ক থাকলে তা আবার নতুন ...বিশদ

07:11:04 PM

ইতিহাসে আজকের দিনে  
১৮৯৯: কবি জীবনানন্দ দাশের জন্ম১৯৬৩: আমেরিকান বাস্কেটবল খেলোয়াড় ও অভিনেতা ...বিশদ

07:03:20 PM

স্ত্রীর সাহায্যে তরুণীকে ধর্ষণের অভিযোগ, ধৃত দম্পতি 
বাঘাযতীনে স্ত্রীর সাহায্যে বছর ২২-এর এক তরুণীকে ধর্ষণের অভিযোগ। অভিযুক্ত ...বিশদ

07:34:00 PM

পাকিস্তানের কোয়েটায় বিস্ফোরণ, মৃত কমপক্ষে ৭, জখম ২০

06:58:00 PM

মত্ত অবস্থায় পুলকার চালানোর অভিযোগে আটক চালক 
পোলবায় পুলকার দুর্ঘটনার পর নড়েচড়ে বসেছে প্রশাসন। রাজ্যজুড়ে পুলকার আটকে ...বিশদ

05:58:22 PM

নির্ভয়াকাণ্ডের দোষীদের ফাঁসি ৩ মার্চ
নতুন করে ফের নির্ভয়াকাণ্ডের দোষীদের ফাঁসির দিনক্ষণ ঘোষণা হল। আগামী ...বিশদ

04:22:33 PM