Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

সেনাবাহিনীও যখন রাজনীতির অস্ত্র
শান্তনু দত্তগুপ্ত

লঞ্চপ্যাড মাত্র ৫০ মিটার দূরে... অন্ধকারের মধ্যেই তাঁর চোখ দু’টো খুঁজে চলেছে... নজরে এসেও গেল দুই জঙ্গি... ছায়ার মতো সেঁটে আছে লঞ্চপ্যাডের অন্ধকারে। নাইট ভিশন গ্লাস চোখে লাগিয়ে নিশ্চিত হলেন মেজর মাইক ট্যাঙ্গো। আগেভাগে নিশ্চিত হয়ে নেওয়ার কারণ আরও ছিল তাঁর কাছে। টিম লিডার তিনি... যে ১৯ জনকে এই অপারেশনের জন্য তিনি নিজের হাতে বেছে এনেছেন, তাঁদের জীবনও তাঁরই হাতে। মেজর ট্যাঙ্গো বুঝলেন, এই দুই জঙ্গিই লঞ্চপ্যাডের রক্ষী। প্রথম গুলিটা চালালেন মেজর... তারপরই দ্বিতীয়টা। দু’টো ছায়ামূর্তিই পড়ে গেল মাটিতে। বদলার এই শুরু... পাঠানকোট, উরি... ছবির স্লাইড চলে যাচ্ছে একটার পর একটা... চোখের সামনে দিয়ে। প্রত্যেক জওয়ান, সেনা অফিসার, নিরীহ মানুষকে খুনের বদলা নেওয়ার সুযোগ এসেছে আজ। অথচ এই মেজর ট্যাঙ্গোকেই মিশনের আগে বলা হয়েছিল—অপারেশনে যাবেন? না নিরাপদে থেকে মনিটরিং? কমান্ডিং অফিসারকে মেজরের জবাব ছিল, ‘যার জন্য প্যারাস্যুট রেজিমেন্টের স্পেশাল ফোর্সে যোগ দিয়েছিলাম, আজ সেই দিন এসেছে... আর স্যার আপনি আমাকে অপশন দিচ্ছেন?’ কথা রেখেছিলেন মেজর। অধিকৃত কাশ্মীরে ঢুকে জঙ্গি ঘাঁটি গুঁড়িয়ে ফিরে এসেছিল তাঁর টিম। 
সার্জিকাল স্ট্রাইক। কথা রেখেছিল ভারতীয় সেনাবাহিনী। ভারতের সীমান্ত-পাহারায় রাতের পর রাত জাগা প্রত্যেকটি ইউনিটের কাছে। দেশের কাছে। কিন্তু দেশ কি কথা রাখল? এখানে দেশ বা রাষ্ট্র মানে শুধু ১৩০ কোটি মানুষ নয়। বরং দেশ চালানেওয়ালারা। একটা সার্জিকাল স্ট্রাইক বা একটা বালাকোটের মতো অপারেশন নিয়ে রাজনীতির কারবারিরা গত কয়েক বছর ধরে যে হারে প্রচার চালিয়ে যাচ্ছেন, তা কানে বিঁধে থাকার মতো। পাকিস্তানের বিরুদ্ধে কড়া কড়া কথাবার্তা পাবলিক ‘খায়’। আর এই তত্ত্ব বিজেপি তথা নরেন্দ্র মোদি সরকার বিলক্ষণ জানে। তাই ভোটের মুখে ভাষণে যত কথা কর্মসংস্থান নিয়ে শোনা যায়, তার থেকে অনেক অনেক বেশি শব্দ খরচ হয় দেশাত্মবোধ বা ‘পাকিস্তানকে ঘরে ঢুকে মেরে আসব’ জাতীয় প্রতিশ্রুতিতে। দুর্ভাগ্য কোথায়? যে সেনাবাহিনীকে প্রচারে ব্যবহার করে ভোট বৈতরণী পেরনোর কৌশল, তাঁদেরই প্রবল ঠান্ডা ঠেকানোর মতো উপকরণ সরকার দিতে পারছে না। আর এ কোনও বিরোধী দলের প্রচার নয়। বলছে ক্যাগের সাম্প্রতিক রিপোর্টই। উল্লেখ রয়েছে সেখানে সিয়াচেন ও লাদাখের। যে জওয়ানরা পাকিস্তান ও চীনের ওই সীমান্ত রক্ষার খাতিরে প্রাণেরও তোয়াক্কা করেন না, তাঁদের অতি প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের অভাবের। ২০১৫-১৬ এবং ২০১৭-১৮—এই দু’বছরের রিপোর্ট পেশ হয়েছে সংসদে। তাতে দেখা যাচ্ছে, ইস্টার্ন কমান্ডে ৯ হাজার ফুট এবং নর্দার্ন কমান্ডে ৬ হাজার ফুট উচ্চতায় যে যে উপকরণ প্রয়োজন, অর্থাৎ খাবার, জুতো, কোট, ফেস মাস্ক, স্নো গগলস, স্লিপিং ব্যাগ... পর্যাপ্ত নেই কিছুই। নতুনের তো দেখাই নেই, বরং বহু ক্ষেত্রে পুরনো বা মেয়াদ ফুরিয়ে যাওয়া উপকরণ জওয়ানদের ব্যবহারের জন্য দেওয়া হয়। মজুত খাবারের অবস্থা এমন যে, হাড় কাঁপানো ঠান্ডায় ৮২ শতাংশ ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় ক্যালরির চাহিদা মেটে না। গত মার্চে এ ব্যাপারে প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের সাফাই কী ছিল? বাজেটে ঘাটতির জন্য কিছু কিছু বিষয়ে কাটছাঁট করতে হচ্ছে।
মোক্ষম যুক্তি। দেশের অর্থনীতির হাল সুবিধের নয়। উৎপাদন শিল্প ধুঁকছে, চাকরি-বাকরির হাল খারাপ। এয়ার ইন্ডিয়ার মতো রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা নিলামে চড়িয়েও খদ্দের মিলছে না। রাজস্বের হাল খারাপ... কাজেই কোষাগারে টান পড়াটা স্বাভাবিক। তাই একটু ‘কমপ্রোমাইজ’ করতে হবে সেনাবাহিনীকেও। তবে এরপরও প্রশ্ন হল, সব ক্ষেত্রে একই নিয়ম প্রযোজ্য তো? তাহলে রাষ্ট্রপতি এবং প্রধানমন্ত্রীর ‘বিশেষ বিমানে’র জন্য ৮ হাজার ৪৫৮ কোটি টাকা বরাদ্দ কেন? যে দেশে প্রত্যেক ত্রৈমাসিকে জাতীয় গড় উৎপাদন এবং মূল্যবৃদ্ধির হার রক্তচক্ষু দেখাচ্ছে, সেখানে এমন বোয়িং ৭৭৭-৩০০ইআর বিলাসিতা নয় কি? কৌতূহল হতেই পারে, কী এমন আছে এতে? কেন এত দাম? এতে রয়েছে সাংবাদিক সম্মেলনের জন্য আলাদা ঘর, মিসাইল ওয়ার্নিং সিস্টেম, সেল্‌ফ প্রোটেকশন স্যুইট এবং আরও অনেক কিছু। মানে ভারতের প্রধানমন্ত্রী এবং রাষ্ট্রপতিও এখন এয়ারফোর্স ওয়ানের মতো বিমানে চড়বেন। নিরাপত্তার খাতিরে প্রয়োজন হতেই পারে। সে নিয়ে সন্দেহ নেই। কিন্তু একটু বিবেচক মন বলছে, এখনই না হলেও চলত।
ক্যাগ রিপোর্ট প্রকাশ পাওয়ার পর যে বিবেচনাটা আরও প্রকট হয়ে দেখা দিচ্ছে। আজ সিয়াচেনে প্রচণ্ড ঠান্ডায় জমতে বসা যদি কোনও জওয়ান এই প্রশ্ন করেন, তার উত্তর রাষ্ট্রনেতারা দিতে পারবেন তো? ওই জওয়ানকে যদি নেহাতই একজন কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মী হিসেবে দেখেন, তাহলে আলাদা কথা। ভাবলেন, ওরা তো চাকরি করে। মাইনে পায়... আবার কী? তবে তেমনটা মনে করলে কিন্তু ভোটের অস্ত্র হিসেবে সেনাবাহিনীকে ব্যবহারের আগে এক মুহূর্ত হলেও ভাবতে হবে। যদিও তা হবে না। বরং মুখ বন্ধ করে দেওয়া হবে তেজবাহাদুর যাদবদের। বিএসএফ জওয়ান... সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সাইটে অভিযোগ করেছিলেন খাবার নিয়ে। অভিযোগ ছিল, অত্যন্ত নিম্নমানের খাবার দেওয়া হয় তাঁদের। কখনও কখনও খালি পেটেই দিন কাটে। তদন্তে তাঁকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়। বলা হয়, মিথ্যা অভিযোগ এনে বাহিনীর ভাবমূর্তি নষ্ট করার চেষ্টা করেছেন তিনি। তাই শাস্তিস্বরূপ তেজবাহাদুরকে সাসপেন্ড করা হয়। হয়তো মিথ্যা অভিযোগই করেছিলেন বিএসএফের ওই জওয়ান। তিনি যা দাবি করেছিলেন, বিষয়টা মোটেও তেমন নয়। দেশের মানুষ বছর তিনেক আগের ওই ঘটনা হয়তো ভুলেও গিয়েছিল। ফের কিন্তু মনে পড়ল। সৌজন্যে অবশ্যই এই ক্যাগ রিপোর্ট। আবার একটা কৌতূহল পোকার মতো নড়েচড়ে উঠছে, অভিযোগ যা হয়, তার কিছু কিছু সত্যি নয় তো?
এই উত্তর দেওয়ার দায় সরকারের। দেশের নিরাপত্তার স্তম্ভ হিসেবে এক একজন জওয়ান, মেজর, কমান্ডার সীমান্ত আগলে রাখেন। বানচাল করেন জঙ্গি অনুপ্রবেশের ছক, বুকে গুলি নিয়ে নিশ্চিত করেন সাধারণ ভারতবাসীর নিরাপত্তা। অথচ, নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্র বা পর্যাপ্ত খাবার ছাড়াই তাঁদের ডিউটি করতে হয়। দিনের পর দিন। আর তারপরও কিন্তু তাঁরা কর্তব্যে অবিচল থাকেন। নীরবে। মেজর ট্যাঙ্গো তাই বলতে পারেন, ‘আমরা যখন অপারেশনে থাকি না, তখন তারই প্রস্তুতি নিই... সেটাই আমাদের কাজ। উদ্দেশ্য।’
সেনাবাহিনী কখনও ভোটের হাতিয়ার হতে পারে না। চাকরি তাঁরা করেন ঠিকই... কিন্তু তাঁদের সমান প্রতিকূলতা কাউকে সহ্য করতে হয় না। আইডেন্টিটি কার্ড হাতে ধরিয়েই তাঁদের ঠেলে দেওয়া হয় গুলি খাওয়ার জন্য।
পুঞ্চ সীমান্তের বাঙ্কারে ঘণ্টার পর ঘণ্টা একজন যখন এসএলআরে চোখ রেখে বসে থাকেন, তাঁর পরিবার বসে থাকে প্রার্থনায়... মানুষটা শুধু যেন বেঁচে থাকে। কোটি কোটি সাধারণ মানুষের মাঝে অসাধারণ কেউ থাকলে তা ভারতীয় বাহিনীর প্রত্যেক সদস্য। তাঁদের কমপ্রোমাইজ করতে বাধ্য করার আগে একবার-দু’বার নয়, একশোবার ভাবা উচিত। একে অপরের কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে লড়াইয়ের সময় তাঁরা জাত, ধর্ম দেখেন না। একটাই শব্দ তাঁদের মনে আসে... ভারত।
যে দেশে ধর্মীয় বিভাজন চলে না। চলতে পারে না।
11th  February, 2020
টুকরে টুকরে গ্যাং-ই জিতল
পি চিদম্বরম

 গত ১১ ফেব্রুয়ারি লোকসভার কার্যবিবরণীতে নথিভুক্ত নিম্নলিখিত প্রশ্নোত্তরগুলি আনন্দের কারণ হতে পারত যদি না বিষয়টি বিজেপি নেতাদের (এই পঙ্‌ক্তিতে আছেন প্রধানমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এবং অন্য মন্ত্রীরাও) দুঃখের ধারাবিবরণীতে পরিণত হতো: বিশদ

স্বর্গলোকে মহাত্মা ও
গুরুদেবের সাক্ষাৎকার
সন্দীপন বিশ্বাস

 অনেকদিন পর আবার দেখা হল মহাত্মা এবং গুরুদেবের। মর্ত্যে দু’জনের প্রথম সাক্ষাৎ ঘটেছিল শান্তিনিকেতনে ১৯১৫ সালে আজকের দিনে অর্থাৎ ১৭ ফেব্রুয়ারি। তারপর বেশ কয়েকবার তাঁদের দেখা হয়েছিল। কবিগুরু সবরমতী আশ্রমে গিয়েছিলেন ১৯২০ সালে। বিশদ

এবার হ্যাটট্রিকের দোরগোড়ায় অগ্নিকন্যা
হিমাংশু সিংহ

তবে কি দিল্লিতে হেরে বোধোদয় হল অমিত শাহদের? নাকি ভোট জেতার নামে ঘৃণা ছড়ানো ঠিক হয়নি বলাটা আরও বড় কোনও নাটকের মহড়ারই অংশ? বোঝা কঠিন, তুখোড় রাজনীতিকরা কোন উদ্দেশ্যে কখন কোন খেলাটা খেলেন! আর সেই তালে অসহায় জনগণকে তুর্কি নাচন নাচানো চলে অবলীলায়। 
বিশদ

16th  February, 2020
শাহিনবাগে যেসব কথা জানানো হয়নি

 ‘যত্র নার্যস্তু পূজ্যন্তে রমন্তে তত্র দেবতাঃ’, যেখানে মহিলারা পূজিতা হন সেখানেই ভগবান অবস্থান করেন। ভারতবর্ষের মানুষ হাজার বছর ধরে এই শ্লোক আবৃত্তি করে এসেছে। গত একমাসের বেশি সময় ধরে দিল্লির শাহিনবাগে শিশু থেকে বৃদ্ধা বিভিন্ন বয়সের মহিলাদের কষ্ট দেওয়া হয়েছে। বিশদ

15th  February, 2020
মাফলার ম্যানের দিল্লি জয়
মৃণালকান্তি দাস 

ঠেকে শিখেছেন তিনি। ‌‌‌‌পদস্থ আমলা থেকে রাজনীতিক এবং প্রশাসক হিসেবে পরিণত হয়েছেন। বুঝেছেন, এ দেশের আমআদমি বাড়ির কাছে ভালো স্কুল, কলেজ, হাসপাতাল চান। বাড়ির মেয়েদের নিরাপত্তা নিয়েই তাঁদের উদ্বেগ। 
বিশদ

14th  February, 2020
রাজনীতির কাছে মানুষের চাহিদাটাই
বদলে দিল দিল্লির এই ভোট-সংস্কৃতি
হারাধন চৌধুরী

 প্রতিমা গড়ে পুজো করা আর ভগবানকে লাভ করা এক নয়। প্রতিমা সাজিয়ে পুজো যে-কেউ করতে পারে। কিন্তু, ভগবান লাভ? মানুষ চিরদিন মনে করে এসেছে, সে শুধু সাচ্চা সাধকের পক্ষেই সম্ভব। কিন্তু, ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণ এসে একেবারে অন্যকথা বললেন।
বিশদ

13th  February, 2020
রাজস্ব-শৃঙ্খলা অক্ষুণ্ণ রেখেই জনমুখী বাজেট
দেবনারায়ণ সরকার

২০২১-এর বিধানসভা নির্বাচনের আগে এটাই অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্রের শেষ পূর্ণাঙ্গ বাজেট। এই বাজেট নিঃসন্দেহে জনমুখী, তবে রাজস্ব-শৃঙ্খলা (ফিসকাল ডিসিপ্লিন) যথেষ্ট বজায় রেখে জনমুখী বাজেট পেশ করলেন অমিতবাবু। প্রথমে রাজস্ব-শৃঙ্খলার প্রসঙ্গে আসা যাক। বিশদ

11th  February, 2020
মানুষ কী চায়, বুঝিয়ে দেবে দিল্লির ভোটের ফল
সন্দীপন বিশ্বাস

বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় তাঁর ‘বাহুবল ও বাক্যবল’ নিবন্ধে দুই প্রকার বলের প্রভূত ব্যাখ্যা করেছেন। যদিও তিনি বলেছেন, বাহুবল পশুর বল এবং বাক্যবল মানুষের বল, তা সত্ত্বেও মনুষ্য সমাজে বাহুবলের প্রয়োগ অনবরত দেখা যায়। মানুষের বল সমাজ গঠনে কখনও কখনও নিশ্চয়ই কাজে লাগে। কিন্তু দেখা যায় বেশিরভাগ ক্ষেত্রে মানুষ আপন স্বার্থে এই বাহুবলকে ব্যবহার করে। 
বিশদ

10th  February, 2020
সরকার দিশেহারা এবং ভীত
পি চিদম্বরম

অর্থমন্ত্রী বাধ্য হয়েছেন সরকারি ব্যয় নামক একমাত্র ‘ইঞ্জিন’-এর উপর আস্থা রাখতে। কিন্তু এই ইঞ্জিনটাও যে জ্বালানি সঙ্কটে ভুগছে এবং নড়বড়ে রাজকোষের ভূতের ছায়াটিও পড়ছে সরকারের উপর! তীব্র বেকারত্ব এবং ব্যাপক হারে ছোট ও মাঝারি শিল্প-ব্যবসা চৌপাট হয়ে যাওয়ার মতো দুটি ভয়ঙ্কর ইস্যুও অস্বীকার করেছেন অর্থমন্ত্রী। সাম্প্রতিককালে ভারতের অর্থনীতিকে সবচেয়ে কঠিন যে চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে হয়েছে সেটা হল—স্বঘোষিত শক্তিমান এবং নির্ণায়ক (ডিসিসিভ) সরকার—যে সরকার নিজেকে দিশেহারা এবং ভীত বলেই প্রতিপন্ন করেছে।
বিশদ

10th  February, 2020
প্রবীণ নাগরিকদের জ্বলন্ত সমস্যাগুলির
দিকে সরকার এবার একটু নজর দিক
হিমাংশু সিংহ

 অধিকাংশ পরিবারেই এখন শিক্ষান্তে ছেলেমেয়েরা চাকরির জন্য বাইরে চলে যাচ্ছে, তাই বৃদ্ধাবাসের প্রয়োজনীয়তাও বাড়ছে। একাকীত্ব বৃদ্ধ-বৃদ্ধাদের সবচেয়ে বড় অসুখ। এই একাকীত্ব থেকেই হাজারো মানসিক রোগেরও জন্ম হয়। নিকট আত্মীয় এবং ছেলেমেয়েও বাইরে, আবার অন্যদিকে, সঞ্চয়ের উপর ক্রমাগত সুদ কমে যাওয়ায় আয়ও নিম্নমুখী। এই সাঁড়াশি আক্রমণ বৃদ্ধ-বৃদ্ধাদের পক্ষে সামলে ওঠা দুষ্কর হয়ে পড়ছে। তার উপর যদি কোনও কঠিন রোগ দেহে বাসা বাঁধে তাহলে তো রক্ষে নেই!
বিশদ

09th  February, 2020
বিখ্যাত ফুলব্রাইট বৃত্তির সাত দশক 
অ্যাডাম জে গ্রোৎস্কি

জে উইলিয়াম ফুলব্রাইট। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রাক্তন সিনেটর। বিখ্যাত ফুলব্রাইট বৃত্তিটা চালু হয় তাঁরই নামে। এটি একটি শিক্ষামূলক এক্সচেঞ্জ প্রোগ্রাম। সাত দশক আগে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও ভারত যৌথ উদ্যোগে এই ফেলোশিপ চালু করে। দ্য প্রাইস অফ এমপায়ার। জে ডব্লু ফুলব্রাইটের প্রবন্ধসংগ্রহের শিরোনাম।  
বিশদ

08th  February, 2020
পুরভোটেই ঠিক হবে রাজ্য-রাজনীতির অভিমুখ 
তন্ময় মল্লিক

যে কোনও রাজনৈতিক দলের কাছে নির্বাচন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আর সেই নির্বাচন বিধানসভা ভোটের মুখে হলে তা আক্ষরিক অর্থেই রাজনৈতিক দলগুলির জন্য অ্যাসিড টেস্ট। তবে, রাজ্যের শতাধিক পুরসভার ভোট শুধু রাজনৈতিক দলগুলির অ্যাসিড টেস্টই নয়, এই নির্বাচন ঠিক করে দেবে রাজ্য রাজনীতির অভিমুখ।  
বিশদ

08th  February, 2020
একনজরে
সংবাদদাতা, রায়গঞ্জ: শুধু লুট করাই নয়, পুলিসের নাগালের বাইরে থাকতে প্রমাণ লোপাটে টার্গেটকে খুন করাও উদ্দেশ্য থাকে হাইওয়ে গ্যাংয়ের। কাউকে একবার টার্গেট করলে কিভাবে তার উপর হামলা চালানো যায়, সেব্যাপারে রীতিমতো আঁটঘাট বেঁধে তবেই ‘অপারেশন’ চালানো হয় বলেও জানা গিয়েছে।  ...

নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: দাবিদাওয়ার মধ্যে কয়েকটি মিটলেও, বেতন নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ কিছু দাবি এখনও অনিশ্চিত। এমনই অভিযোগ অধ্যাপকদের। রবিবার ওয়েস্ট বেঙ্গল গভর্নমেন্ট কলেজ টিচার্স অ্যাসোসিয়েশনের ৪৮তম বার্ষিক সম্মেলনে তা নিয়েই সরব হলেন তাঁরা।  ...

হ্যামিলটন, ১৬ ফেব্রুয়ারি: নিউজিল্যান্ডের কাছে একদিনের সিরিজে হোয়াইটওয়াশের ধাক্কা ভারতীয় দল যে ধীরে ধীরে কাটিয়ে উঠছে, তা বিরাট কোহলিদের দেখলেই বোঝা সম্ভব। ২১ ফেব্রুয়ারি শুরু ...

হায়দরাবাদ, ১৬ ফেব্রুয়ারি (পিটিআই): ‘ফিসকাল রেসপনসিবিলিটি অ্যান্ড বাজেট ম্যানেজমেন্ট’ (এফআরবিএম) মেনে বাজেট পেশ করা হয়েছে। তাই রাজস্ব ঘাটতির লক্ষ্যমাত্রা স্থির করতে সেই আইন লঙ্ঘন করা হয়নি। যাবতীয় জল্পনা, বিতর্কে জল ঢেলে রবিবার এমনটাই জানালেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন।  ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

মাঝেমধ্যে মানসিক উদ্বেগের জন্য শিক্ষায় অমনোযোগী হয়ে পড়বে। গবেষণায় আগ্রহ বাড়বে। কর্মপ্রার্থীদের নানা সুযোগ আসবে। ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৮৯৯: কবি জীবনানন্দ দাশের জন্ম
১৯৬৩: আমেরিকান বাস্কেটবল খেলোয়াড় ও অভিনেতা মাইকেল জর্ডনের জন্ম
১৯৮৭ - ভারতীয় কার্টুনিস্ট অসীম ত্রিবেদীর জন্ম।
২০০৯: সঙ্গীত শিল্পী মালবিকা কাননের মৃত্যু 



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৭০.৪৯ টাকা ৭২.১৯ টাকা
পাউন্ড ৯১.৪৩ টাকা ৯৪.৭১ টাকা
ইউরো ৭৫.৮৫ টাকা ৭৮.৮০ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
15th  February, 2020
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৪১,৬০৫ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৩৯,৪৭৫ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৪০,০৭০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৪৬,৫০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৪৬,৬০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]
16th  February, 2020

দিন পঞ্জিকা

৪ ফাল্গুন ১৪২৬, ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২০, সোমবার, (মাঘ কৃষ্ণপক্ষ) নবমী ২১/১ দিবা ২/৩৬। জ্যেষ্ঠা ৫৭/৩৩ শেষরাত্রি ৫/১৪। সূ উ ৬/১১/৩৯, অ ৫/২৯/৩৯, অমৃতযোগ দিবা ৭/৪২ মধ্যে পুনঃ ১০/৪৩ গতে ১২/৫৮ মধ্যে। রাত্রি ৬/২০ গতে ৮/৫৮ মধ্যে পুনঃ ১১/২৫ গতে ২/৪৯ মধ্যে। বারবেলা ৭/৩৬ গতে ৯/১ মধ্যে পুনঃ ২/৪০ গতে ৪/৫ মধ্যে। কালরাত্রি ১০/১৫ গতে ১১/৫১ মধ্যে।
৪ ফাল্গুন ১৪২৬, ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২০, সোমবার, নবমী ৩১/৪০/৩৫ রাত্রি ৬/৫৪/৫৬। অনুরাধা ৮/১/৪০ দিবা ৯/২৭/২২। সূ উ ৬/১৪/৪২, অ ৫/২৮/৫৮। অমৃতযোগ দিবা ৭/৩২ মধ্যে ও ১০/৩৮ গতে ১২/৫৮ মধ্যে এবং রাত্রি ৬/২৭ গতে ৮/৫৫ মধ্যে ও ১১/২৩ গতে ২/৪১ মধ্যে। কালবেলা ৭/৩৮/৫৯ গতে ৯/৩/১৬ মধ্যে। কালরাত্রি ১০/১৬/৭ গতে ১১/৫১/৫০ মধ্যে।
 ২২ জমাদিয়স সানি

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
আজকের রাশিফল  
মেষ: কর্মপ্রার্থীদের নানা সুযোগ আসবে। বৃষ: পুরোনো সম্পর্ক থাকলে তা আবার নতুন ...বিশদ

07:11:04 PM

ইতিহাসে আজকের দিনে  
১৮৯৯: কবি জীবনানন্দ দাশের জন্ম১৯৬৩: আমেরিকান বাস্কেটবল খেলোয়াড় ও অভিনেতা ...বিশদ

07:03:20 PM

স্ত্রীর সাহায্যে তরুণীকে ধর্ষণের অভিযোগ, ধৃত দম্পতি 
বাঘাযতীনে স্ত্রীর সাহায্যে বছর ২২-এর এক তরুণীকে ধর্ষণের অভিযোগ। অভিযুক্ত ...বিশদ

07:34:00 PM

পাকিস্তানের কোয়েটায় বিস্ফোরণ, মৃত কমপক্ষে ৭, জখম ২০

06:58:00 PM

মত্ত অবস্থায় পুলকার চালানোর অভিযোগে আটক চালক 
পোলবায় পুলকার দুর্ঘটনার পর নড়েচড়ে বসেছে প্রশাসন। রাজ্যজুড়ে পুলকার আটকে ...বিশদ

05:58:22 PM

নির্ভয়াকাণ্ডের দোষীদের ফাঁসি ৩ মার্চ
নতুন করে ফের নির্ভয়াকাণ্ডের দোষীদের ফাঁসির দিনক্ষণ ঘোষণা হল। আগামী ...বিশদ

04:22:33 PM