Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

সরকার দিশেহারা এবং ভীত
পি চিদম্বরম

২০২০-২১ অর্থবর্ষের বাজেট সংসদে পেশ করা হল ২০২০-র ১ ফেব্রুয়ারি। ২ ফেব্রুয়ারির খবর কাগজে এটাই শিরোনাম দখল করেছিল এবং সম্পাদকীয়ের বিষয় হয়ে উঠেছিল। কিন্তু মাত্র তার পরের দিন বাস্তবিকই কাগজগুলির প্রথম পাতা থেকে বাজেট বিষয়টি উধাও হয়ে যায়। উধাও হয়ে যায় টিভি চ্যানেলগুলি থেকেও। ব্যাপারটি সেই সিনেমার মতো—প্রথম দিন তুমুল হইচই ফেলেই হারিয়ে গেল।
বিজেপি, প্রধানমন্ত্রী এবং অর্থমন্ত্রীর উচিত নিজেদের দোষারোপ করা। যে প্রধান অর্থনৈতিক উপদেষ্টা তাঁর অর্থনৈতিক সমীক্ষায় কিছু নির্ভরযোগ্য পরামর্শ দিয়েছিলেন, বিজেপি নেতৃত্ব তাঁকে দুষতে পারেন না। প্রাক-বাজেট আলোচনায় কিছু অর্থনীতিবিদ ও বণিক শ্রেণীর নেতৃস্থানীয় ব্যক্তিত্ব প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। এঁদেরকেও দায়ী করতে পারেন না বিজেপি নেতৃত্ব। হাতের সামনে অনেক আইডিয়া বা বুদ্ধি ছিল। বাজেট নিয়ে বাজারে গুঞ্জনের ভিত্তিতে আমার ২৬ জানুয়ারির সাপ্তাহিক কলমে (‘বর্তমান’ কাগজ) দশটি সম্ভাবনার একটি তালিকা দিয়ে আন্দাজ দিয়েছিলাম যে বাজেটে অর্থমন্ত্রী কী কী করতে পারতেন।
অর্থমন্ত্রী যদি প্রধান অর্থনৈতিক উপদেষ্টা, অর্থনীতিবিদগণ এবং বণিকমহলের চাহিদার কথাগুলিতে কর্ণপাত না-করে থাকেন, তবে কী কী কারণে, নীচে সেগুলি তুলে ধরলাম:
১. সরকার অস্বীকার করায় অভ্যস্ত: এই সরকার মেনেই নিল না যে নোট বাতিল এবং ত্রুটিপূর্ণ জিএসটি তড়িঘড়ি চালু করাটা একটা ভয়ঙ্কর ভুল পদক্ষেপ ছিল। আর এই কারণেই যে ছোট ও মাঝারি শিল্প-ব্যবসা (এমএসএমই) এবং চাকরির সম্ভাবনাগুলি ধ্বংস হয়ে গিয়েছে—সরকার সেটাও মানল না। সরকার আরও স্বীকার করল না যে আর্থিক মন্দার কারণগুলি হল—রপ্তানি বাণিজ্যের নিম্নগতি, অর্থনৈতিক ক্ষেত্রগুলিতে অস্থিরতা, ঋণের জোগানে ঘাটতি, গৃহস্থের সঞ্চয় হ্রাস, ভোগ্যপণ্যের চাহিদা হ্রাস, খনি ও নির্মাণ শিল্পের ধসে পড়ার মতো অবস্থা এবং সর্বত্র অনিশ্চয়তা ও ভয়ের পরিবেশ। পরিতাপের বিষয় এই যে, অর্থনীতির এই নেতিবাচক দিকগুলি নিয়ে অর্থমন্ত্রীর বাজেট ভাষণে কোনও উচ্চবাচ্য পাওয়া গেল না।
২. অর্থনৈতিক পরিস্থিতি সম্পর্কে সরকারের মূল্যায়ন দুর্ভাগ্যজনক ভাবে ভুল: সরকার বিশ্বাস করে যে অর্থনীতির নিম্নগতিটা সময়ের আবর্তনশীলতার কারণে (সাইক্লিকাল ফ্যাক্টরস)। তারা যদি ওই কাজগুলিই আরও বেশি পরিমাণে করতে থাকে তবে অর্থনীতির ঊর্ধ্বগতি ফিরে আসবে। যেমন অর্থ সংগ্রহের কৌশল অবলম্বন, চালু কর্মসূচিগুলিতে আরও বেশি টাকা খরচ এবং নতুন নতুন কর্মসূচির ঘোষণা। অনেক অর্থনীতিবিদ মনে করছেন, অর্থনীতির নিম্নগতির মূল কারণটা হল—কাঠামোগত ত্রুটি, সাইক্লিকাল ফ্যাক্টরস নয়। আর এটাই যদি বাস্তব হয় তবে তো অর্থনীতিকে টেনে তোলার রাস্তাগুলি সরকারই কার্যত রুদ্ধ করে দিল।
৩. ঘুরে দাঁড়ানোর অন্তরায় সরকারের মতার্শগত প্রবণতা: সরকারের আস্থা সংরক্ষণবাদ, আমদানির বিকল্প এবং ‘শক্তিশালী রুপি’র মতো কিছু সেকেলে দর্শনে। এই সরকার বহির্বাণিজ্যের বহুবিধ লাভালাভে বিশ্বাস করে না এবং রপ্তানি বাণিজ্যে জোয়ার আনার জন্য যে ধরনের উদ্যোগ দরকার সেটাও এরা ছেড়েছুড়ে দিয়েছে। এরা আঁকড়ে ধরেছে আমদানি শুল্ক বাড়িয়ে চলার মতো বিপরীত বুদ্ধি। রুপি বা ভারতীয় মুদ্রা যে একটা যুক্তিগ্রাহ্য ‘লেভেল’ খুঁজে নেবে, সেটাও এরা চায় না। ভুল মতাদর্শের কারণে সুরাহার সূত্র খুঁজে পেতে সরকার পিছিয়ে পড়ছে।
৪. সরকার ও বাণিজ্যের মধ্যে গড়ে ওঠা ভয়ানক অবিশ্বাসের বাতাবরণ ছেড়ে বেরতে নারাজ সরকার: অনেকগুলি অর্থনৈতিক আইনকে সরকার ফৌজদারি অপরাধে রূপান্তরিত করে দিয়েছে। কর আদায় বিভাগ এবং তদন্তকারী সংস্থাগুলির ছোটখাটো অফিসারদেরও হাতে বিশেষ ক্ষমতা অর্পণ করা হয়েছে। কর সংগ্রহের কাজটিকে বস্তুত কর-সন্ত্রাসে (ট্যাক্স টেররিজম) রূপান্তরিত করে ফেলা হয়েছে। এই প্রসঙ্গে বিখ্যাত ভারতীয় ব্যবসায়ী ভি জি সিদ্ধার্থের দুর্ভাগ্যের কথাটি স্মরণ করা যেতে পারে। সরকারের দাবি অনু্যায়ী কর প্রদানের যে পদ্ধতি চালু করা হয়েছে সেটা চূড়ান্ত হয়রানি ছাড়া কিছু নয়। অর্থমন্ত্রী তাঁর বাজেট ভাষণে করদাতাদের অধিকার বিষয়ে যে ‘চার্টার’-এর কথা ঘোষণা করেছেন, সেটি থেকে মানুষের মনে সংশয়-সন্দেহ দানা বেঁধেছে। কিছু সরকারি কর্তৃপক্ষ ও এজেন্সিকে যে অন্যায় খবরদারি করার ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে, আমরা জানি। তাই করদাতাদের মনে প্রশ্ন জেগেছে, তাহলে সোজাসুজি এটাই প্রত্যাহার করা হল না কেন?
৫. সরকার নিজেকে একটি অযোগ্য ‘ম্যানেজার’ বলে প্রতিপন্ন করেছে: বিমুদ্রাকরণ থেকে জিএসটি, স্বচ্ছ ভারত মিশন থেকে বাড়ি বাড়ি বিদ্যুৎ পৌঁছে দেওয়ার প্রকল্প রূপায়ণ, উজ্জ্বলা যোজনা (সবার বাড়িতে রান্নার গ্যাসের সংযোগ) থেকে উদয় (উজ্জ্বল ডিসকম অ্যাসুরেন্স যোজনা) প্রভৃতি প্রতিটি কেন্দ্রীয় কর্মসূচিতে মারাত্মক সব গলদ রয়েছে। দুর্ভাগ্য এই যে, সরকার একটি ‘ইকো চেম্বার’-এ বাস করে এবং মন ভোলানো মেকি কথাবার্তাগুলোই শোনে। তাই এই সমস্ত কর্মসূচিতে বিপুল টাকা খরচ করেও সন্তোষজনক ফল মেলে না। প্রকল্পগুলি আরও ভালোভাবে রূপায়ণের কিংবা ফলাফল সম্পর্কে নির্ভেজাল রিপোর্ট দেওয়ার ক্ষমতা প্রশাসন-যন্ত্রের নেই।
তাই অবাক হচ্ছি না যে, অর্থমন্ত্রী একটি নিষ্প্রভ বাজেট, জিডিপির নিম্ন বৃদ্ধি (নমিনাল) এবং কর-রাজস্ব সম্পর্কে আশাবাদ-বিচ্যুতিই মেনে নিয়েছেন। যখন নমিনাল জিডিপির বৃদ্ধির হার ১০ শতাংশ ধরা হচ্ছে, ঠিক তখনই মোট কর-রাজস্ব বৃদ্ধির হার ১২ শতাংশ ধরাটা অস্বাভাবিক। এছাড়া, অনুমিত রাজস্ব ভালো-মন্দ মিলিয়ে অনেকগুলি কর্মসূচির মধ্যে বরাদ্দ করে দেওয়া হয়ে গিয়েছে। তার ফলে সমস্যা যেটা হয়েছে, গরিবের হাতে নিশ্চিতরূপে পয়সার জোগান দ্রুত বাড়ানোর মতো কর্মসূচিগুলিতে বাড়তি অর্থ বরাদ্দ করার সুযোগ আর বিশেষ থাকলই না। ১০০ দিনের কাজের প্রকল্প (এমজিএনআরইজিএ), মিড-ডে মিল, খাদ্যে ভর্তুকি, পিএম কিষান সম্মান প্রভৃতি কর্মসূচিতে চলতি বছরে অব্যবহৃত অর্থ কিংবা আগামী বছরে বরাদ্দ কাটছাঁট দেখার পর গ্রামীণ সমাজে আয় বা গৃহস্থের ভোগব্যয় বৃদ্ধির আশা করতে পারছি না।
একেবারে নীচের ভাগের আয়করদাতাদের জন্য তথাকথিত করছাড় ঘোষণা—কর কাঠামটিকে বিশৃঙ্খল করে দিয়েছে এবং বিভ্রান্তির সৃষ্টি করেছে। ৪০ হাজার কোটি টাকার অনুমিত সুরাহা (বেনিফিট) কিন্তু নিশ্চিত নয়। তার উপর আয়কর দাতাদের মন জয় করার পক্ষেও অঙ্কটা যৎসামান্য।
বেসরকারি লগ্নিতে জোয়ার আনার মতো কোনও ‘ইনসেনটিভ’ এই বাজেটে ঘোষণা করা হয়নি। ডিভিডেন্ড ডিস্ট্রিবিউশন ট্যাক্স (ডিডিটি) তুলে দিলেও কোম্পানির ঘাড়ে-চেপে-থাকা করের বোঝা শেয়ারহোল্ডারদের মধ্যে বিশেষ কিছু বণ্টিত হয়নি। পাশাপাশি, এটাও বলব যে—যখন ম্যানুফ্যাকচারিং সেক্টরে মোট ক্ষমতার ৭০ শতাংশ ব্যবহৃত হচ্ছে, তাপবিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষেত্রের ব্যবহার হচ্ছে মাত্র ৫৫ শতাংশ—তখন নতুন লগ্নি আসার আশা বড়ই ক্ষীণ।
সব মিলিয়ে দেখা যাচ্ছে যে, ক্ষীণ-চাহিদা ও বিনিয়োগ-আকাল অর্থনীতির প্রয়োজনের দিকগুলি নিয়ে অর্থমন্ত্রী কিছুই বলেননি। রপ্তানি বৃদ্ধিতে মদত দিতে পারলে কিন্তু অনেক সুফল মেলে। এটাকেও তিনি তারিফ করেননি। তিনি বাধ্য হয়েছেন সরকারি ব্যয় নামক একমাত্র ‘ইঞ্জিন’-এর উপর আস্থা রাখতে। কিন্তু এই ইঞ্জিনটাও যে জ্বালানি সঙ্কটে ভুগছে এবং নড়বড়ে রাজকোষের (ফিসকাল ইনস্টেবিলিটি) ভূতের ছায়াটিও পড়ছে সরকারের উপর! তীব্র বেকারত্ব এবং ব্যাপক হারে ছোট ও মাঝারি শিল্প-ব্যবসা চৌপাট হয়ে যাওয়ার মতো দুটি ভয়ঙ্কর ইস্যুও অস্বীকার করেছেন অর্থমন্ত্রী।
সাম্প্রতিককালে ভারতের অর্থনীতিকে সবচেয়ে কঠিন যে চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে হয়েছে সেটা হল—স্বঘোষিত শক্তিমান এবং নির্ণায়ক (ডিসিসিভ) সরকার—যে সরকার নিজেকে দিশেহারা এবং ভীত বলেই প্রতিপন্ন করেছে।
লেখক কেন্দ্রের প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী। মতামত ব্যক্তিগত  
10th  February, 2020
টুকরে টুকরে গ্যাং-ই জিতল
পি চিদম্বরম

 গত ১১ ফেব্রুয়ারি লোকসভার কার্যবিবরণীতে নথিভুক্ত নিম্নলিখিত প্রশ্নোত্তরগুলি আনন্দের কারণ হতে পারত যদি না বিষয়টি বিজেপি নেতাদের (এই পঙ্‌ক্তিতে আছেন প্রধানমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এবং অন্য মন্ত্রীরাও) দুঃখের ধারাবিবরণীতে পরিণত হতো: বিশদ

স্বর্গলোকে মহাত্মা ও
গুরুদেবের সাক্ষাৎকার
সন্দীপন বিশ্বাস

 অনেকদিন পর আবার দেখা হল মহাত্মা এবং গুরুদেবের। মর্ত্যে দু’জনের প্রথম সাক্ষাৎ ঘটেছিল শান্তিনিকেতনে ১৯১৫ সালে আজকের দিনে অর্থাৎ ১৭ ফেব্রুয়ারি। তারপর বেশ কয়েকবার তাঁদের দেখা হয়েছিল। কবিগুরু সবরমতী আশ্রমে গিয়েছিলেন ১৯২০ সালে। বিশদ

এবার হ্যাটট্রিকের দোরগোড়ায় অগ্নিকন্যা
হিমাংশু সিংহ

তবে কি দিল্লিতে হেরে বোধোদয় হল অমিত শাহদের? নাকি ভোট জেতার নামে ঘৃণা ছড়ানো ঠিক হয়নি বলাটা আরও বড় কোনও নাটকের মহড়ারই অংশ? বোঝা কঠিন, তুখোড় রাজনীতিকরা কোন উদ্দেশ্যে কখন কোন খেলাটা খেলেন! আর সেই তালে অসহায় জনগণকে তুর্কি নাচন নাচানো চলে অবলীলায়। 
বিশদ

16th  February, 2020
শাহিনবাগে যেসব কথা জানানো হয়নি

 ‘যত্র নার্যস্তু পূজ্যন্তে রমন্তে তত্র দেবতাঃ’, যেখানে মহিলারা পূজিতা হন সেখানেই ভগবান অবস্থান করেন। ভারতবর্ষের মানুষ হাজার বছর ধরে এই শ্লোক আবৃত্তি করে এসেছে। গত একমাসের বেশি সময় ধরে দিল্লির শাহিনবাগে শিশু থেকে বৃদ্ধা বিভিন্ন বয়সের মহিলাদের কষ্ট দেওয়া হয়েছে। বিশদ

15th  February, 2020
মাফলার ম্যানের দিল্লি জয়
মৃণালকান্তি দাস 

ঠেকে শিখেছেন তিনি। ‌‌‌‌পদস্থ আমলা থেকে রাজনীতিক এবং প্রশাসক হিসেবে পরিণত হয়েছেন। বুঝেছেন, এ দেশের আমআদমি বাড়ির কাছে ভালো স্কুল, কলেজ, হাসপাতাল চান। বাড়ির মেয়েদের নিরাপত্তা নিয়েই তাঁদের উদ্বেগ। 
বিশদ

14th  February, 2020
রাজনীতির কাছে মানুষের চাহিদাটাই
বদলে দিল দিল্লির এই ভোট-সংস্কৃতি
হারাধন চৌধুরী

 প্রতিমা গড়ে পুজো করা আর ভগবানকে লাভ করা এক নয়। প্রতিমা সাজিয়ে পুজো যে-কেউ করতে পারে। কিন্তু, ভগবান লাভ? মানুষ চিরদিন মনে করে এসেছে, সে শুধু সাচ্চা সাধকের পক্ষেই সম্ভব। কিন্তু, ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণ এসে একেবারে অন্যকথা বললেন।
বিশদ

13th  February, 2020
সেনাবাহিনীও যখন রাজনীতির অস্ত্র
শান্তনু দত্তগুপ্ত

লঞ্চপ্যাড মাত্র ৫০ মিটার দূরে... অন্ধকারের মধ্যেই তাঁর চোখ দু’টো খুঁজে চলেছে... নজরে এসেও গেল দুই জঙ্গি... ছায়ার মতো সেঁটে আছে লঞ্চপ্যাডের অন্ধকারে। নাইট ভিশন গ্লাস চোখে লাগিয়ে নিশ্চিত হলেন মেজর মাইক ট্যাঙ্গো। আগেভাগে নিশ্চিত হয়ে নেওয়ার কারণ আরও ছিল তাঁর কাছে।
বিশদ

11th  February, 2020
রাজস্ব-শৃঙ্খলা অক্ষুণ্ণ রেখেই জনমুখী বাজেট
দেবনারায়ণ সরকার

২০২১-এর বিধানসভা নির্বাচনের আগে এটাই অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্রের শেষ পূর্ণাঙ্গ বাজেট। এই বাজেট নিঃসন্দেহে জনমুখী, তবে রাজস্ব-শৃঙ্খলা (ফিসকাল ডিসিপ্লিন) যথেষ্ট বজায় রেখে জনমুখী বাজেট পেশ করলেন অমিতবাবু। প্রথমে রাজস্ব-শৃঙ্খলার প্রসঙ্গে আসা যাক। বিশদ

11th  February, 2020
মানুষ কী চায়, বুঝিয়ে দেবে দিল্লির ভোটের ফল
সন্দীপন বিশ্বাস

বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় তাঁর ‘বাহুবল ও বাক্যবল’ নিবন্ধে দুই প্রকার বলের প্রভূত ব্যাখ্যা করেছেন। যদিও তিনি বলেছেন, বাহুবল পশুর বল এবং বাক্যবল মানুষের বল, তা সত্ত্বেও মনুষ্য সমাজে বাহুবলের প্রয়োগ অনবরত দেখা যায়। মানুষের বল সমাজ গঠনে কখনও কখনও নিশ্চয়ই কাজে লাগে। কিন্তু দেখা যায় বেশিরভাগ ক্ষেত্রে মানুষ আপন স্বার্থে এই বাহুবলকে ব্যবহার করে। 
বিশদ

10th  February, 2020
প্রবীণ নাগরিকদের জ্বলন্ত সমস্যাগুলির
দিকে সরকার এবার একটু নজর দিক
হিমাংশু সিংহ

 অধিকাংশ পরিবারেই এখন শিক্ষান্তে ছেলেমেয়েরা চাকরির জন্য বাইরে চলে যাচ্ছে, তাই বৃদ্ধাবাসের প্রয়োজনীয়তাও বাড়ছে। একাকীত্ব বৃদ্ধ-বৃদ্ধাদের সবচেয়ে বড় অসুখ। এই একাকীত্ব থেকেই হাজারো মানসিক রোগেরও জন্ম হয়। নিকট আত্মীয় এবং ছেলেমেয়েও বাইরে, আবার অন্যদিকে, সঞ্চয়ের উপর ক্রমাগত সুদ কমে যাওয়ায় আয়ও নিম্নমুখী। এই সাঁড়াশি আক্রমণ বৃদ্ধ-বৃদ্ধাদের পক্ষে সামলে ওঠা দুষ্কর হয়ে পড়ছে। তার উপর যদি কোনও কঠিন রোগ দেহে বাসা বাঁধে তাহলে তো রক্ষে নেই!
বিশদ

09th  February, 2020
বিখ্যাত ফুলব্রাইট বৃত্তির সাত দশক 
অ্যাডাম জে গ্রোৎস্কি

জে উইলিয়াম ফুলব্রাইট। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রাক্তন সিনেটর। বিখ্যাত ফুলব্রাইট বৃত্তিটা চালু হয় তাঁরই নামে। এটি একটি শিক্ষামূলক এক্সচেঞ্জ প্রোগ্রাম। সাত দশক আগে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও ভারত যৌথ উদ্যোগে এই ফেলোশিপ চালু করে। দ্য প্রাইস অফ এমপায়ার। জে ডব্লু ফুলব্রাইটের প্রবন্ধসংগ্রহের শিরোনাম।  
বিশদ

08th  February, 2020
পুরভোটেই ঠিক হবে রাজ্য-রাজনীতির অভিমুখ 
তন্ময় মল্লিক

যে কোনও রাজনৈতিক দলের কাছে নির্বাচন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আর সেই নির্বাচন বিধানসভা ভোটের মুখে হলে তা আক্ষরিক অর্থেই রাজনৈতিক দলগুলির জন্য অ্যাসিড টেস্ট। তবে, রাজ্যের শতাধিক পুরসভার ভোট শুধু রাজনৈতিক দলগুলির অ্যাসিড টেস্টই নয়, এই নির্বাচন ঠিক করে দেবে রাজ্য রাজনীতির অভিমুখ।  
বিশদ

08th  February, 2020
একনজরে
সংবাদদাতা, লালবাগ: শনিবার রাতে নবগ্রাম থানার পলসণ্ডায় ৩৪নম্বর জাতীয় সড়কের পাশে দাঁড়িয়ে থাকা একটি ট্রাকে আগুন লাগায় চাঞ্চল্য ছড়ায়। প্রথমে স্থানীয়রা আগুন নেভানোর চেষ্টা করেন। পরে খবর পেয়ে বহরমপুর থেকে দমকলের দু’টি ইঞ্জিন এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনলেও ট্রাকে থাকা সমস্ত ...

হ্যামিলটন, ১৬ ফেব্রুয়ারি: নিউজিল্যান্ডের কাছে একদিনের সিরিজে হোয়াইটওয়াশের ধাক্কা ভারতীয় দল যে ধীরে ধীরে কাটিয়ে উঠছে, তা বিরাট কোহলিদের দেখলেই বোঝা সম্ভব। ২১ ফেব্রুয়ারি শুরু ...

হায়দরাবাদ, ১৬ ফেব্রুয়ারি (পিটিআই): ‘ফিসকাল রেসপনসিবিলিটি অ্যান্ড বাজেট ম্যানেজমেন্ট’ (এফআরবিএম) মেনে বাজেট পেশ করা হয়েছে। তাই রাজস্ব ঘাটতির লক্ষ্যমাত্রা স্থির করতে সেই আইন লঙ্ঘন করা হয়নি। যাবতীয় জল্পনা, বিতর্কে জল ঢেলে রবিবার এমনটাই জানালেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন।  ...

সংবাদদাতা, রায়গঞ্জ: শুধু লুট করাই নয়, পুলিসের নাগালের বাইরে থাকতে প্রমাণ লোপাটে টার্গেটকে খুন করাও উদ্দেশ্য থাকে হাইওয়ে গ্যাংয়ের। কাউকে একবার টার্গেট করলে কিভাবে তার উপর হামলা চালানো যায়, সেব্যাপারে রীতিমতো আঁটঘাট বেঁধে তবেই ‘অপারেশন’ চালানো হয় বলেও জানা গিয়েছে।  ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

মাঝেমধ্যে মানসিক উদ্বেগের জন্য শিক্ষায় অমনোযোগী হয়ে পড়বে। গবেষণায় আগ্রহ বাড়বে। কর্মপ্রার্থীদের নানা সুযোগ আসবে। ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৮৯৯: কবি জীবনানন্দ দাশের জন্ম
১৯৬৩: আমেরিকান বাস্কেটবল খেলোয়াড় ও অভিনেতা মাইকেল জর্ডনের জন্ম
১৯৮৭ - ভারতীয় কার্টুনিস্ট অসীম ত্রিবেদীর জন্ম।
২০০৯: সঙ্গীত শিল্পী মালবিকা কাননের মৃত্যু 



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৭০.৪৯ টাকা ৭২.১৯ টাকা
পাউন্ড ৯১.৪৩ টাকা ৯৪.৭১ টাকা
ইউরো ৭৫.৮৫ টাকা ৭৮.৮০ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
15th  February, 2020
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৪১,৬০৫ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৩৯,৪৭৫ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৪০,০৭০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৪৬,৫০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৪৬,৬০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]
16th  February, 2020

দিন পঞ্জিকা

৪ ফাল্গুন ১৪২৬, ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২০, সোমবার, (মাঘ কৃষ্ণপক্ষ) নবমী ২১/১ দিবা ২/৩৬। জ্যেষ্ঠা ৫৭/৩৩ শেষরাত্রি ৫/১৪। সূ উ ৬/১১/৩৯, অ ৫/২৯/৩৯, অমৃতযোগ দিবা ৭/৪২ মধ্যে পুনঃ ১০/৪৩ গতে ১২/৫৮ মধ্যে। রাত্রি ৬/২০ গতে ৮/৫৮ মধ্যে পুনঃ ১১/২৫ গতে ২/৪৯ মধ্যে। বারবেলা ৭/৩৬ গতে ৯/১ মধ্যে পুনঃ ২/৪০ গতে ৪/৫ মধ্যে। কালরাত্রি ১০/১৫ গতে ১১/৫১ মধ্যে।
৪ ফাল্গুন ১৪২৬, ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২০, সোমবার, নবমী ৩১/৪০/৩৫ রাত্রি ৬/৫৪/৫৬। অনুরাধা ৮/১/৪০ দিবা ৯/২৭/২২। সূ উ ৬/১৪/৪২, অ ৫/২৮/৫৮। অমৃতযোগ দিবা ৭/৩২ মধ্যে ও ১০/৩৮ গতে ১২/৫৮ মধ্যে এবং রাত্রি ৬/২৭ গতে ৮/৫৫ মধ্যে ও ১১/২৩ গতে ২/৪১ মধ্যে। কালবেলা ৭/৩৮/৫৯ গতে ৯/৩/১৬ মধ্যে। কালরাত্রি ১০/১৬/৭ গতে ১১/৫১/৫০ মধ্যে।
 ২২ জমাদিয়স সানি

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
আজকের রাশিফল  
মেষ: কর্মপ্রার্থীদের নানা সুযোগ আসবে। বৃষ: পুরোনো সম্পর্ক থাকলে তা আবার নতুন ...বিশদ

07:11:04 PM

ইতিহাসে আজকের দিনে  
১৮৯৯: কবি জীবনানন্দ দাশের জন্ম১৯৬৩: আমেরিকান বাস্কেটবল খেলোয়াড় ও অভিনেতা ...বিশদ

07:03:20 PM

স্ত্রীর সাহায্যে তরুণীকে ধর্ষণের অভিযোগ, ধৃত দম্পতি 
বাঘাযতীনে স্ত্রীর সাহায্যে বছর ২২-এর এক তরুণীকে ধর্ষণের অভিযোগ। অভিযুক্ত ...বিশদ

07:34:00 PM

পাকিস্তানের কোয়েটায় বিস্ফোরণ, মৃত কমপক্ষে ৭, জখম ২০

06:58:00 PM

মত্ত অবস্থায় পুলকার চালানোর অভিযোগে আটক চালক 
পোলবায় পুলকার দুর্ঘটনার পর নড়েচড়ে বসেছে প্রশাসন। রাজ্যজুড়ে পুলকার আটকে ...বিশদ

05:58:22 PM

নির্ভয়াকাণ্ডের দোষীদের ফাঁসি ৩ মার্চ
নতুন করে ফের নির্ভয়াকাণ্ডের দোষীদের ফাঁসির দিনক্ষণ ঘোষণা হল। আগামী ...বিশদ

04:22:33 PM