Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

রাজনীতির কাছে মানুষের চাহিদাটাই
বদলে দিল দিল্লির এই ভোট-সংস্কৃতি
হারাধন চৌধুরী

প্রতিমা গড়ে পুজো করা আর ভগবানকে লাভ করা এক নয়। প্রতিমা সাজিয়ে পুজো যে-কেউ করতে পারে। কিন্তু, ভগবান লাভ? মানুষ চিরদিন মনে করে এসেছে, সে শুধু সাচ্চা সাধকের পক্ষেই সম্ভব। কিন্তু, ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণ এসে একেবারে অন্যকথা বললেন। আর এইকথাটি তিনি ঘুরিয়ে ফিরিয়ে অনেকবারই বলেছেন। ১৮৮৩ সালে ১৫ জুনের কিছু কথা শোনা যাক। দশহরাতে দক্ষিণেশ্বরে ভক্তরা ঠাকুরকে দেখতে এসেছেন। ঠাকুরের কাছে এক ভক্তের প্রশ্ন ছিল—‘‘গৃহস্থাশ্রমে কি ভগবান লাভ হয়?’’ জবাব দিতে গিয়ে ঠাকুর তাঁর এক অসুখের চিকিৎসা প্রসঙ্গ তুললেন। কবিরাজ তাঁকে ‘জল’ খেতে বারণ করেছিলেন! ঠাকুর বললেন—‘‘সকলে মনে করলে, জল না খেয়ে কেমন করে আমি থাকব। আমি রোখ কল্লুম আর জল খাব না। ‘পরমহংস’! আমি তো পাতিহাঁস নই—রাজহাঁস! দুধ খাব।’’ সহজ কথা এই যে, ঠাকুর গৃহীদেরও আশ্বস্ত করেছেন। বুঝিয়ে দিয়েছেন, সংসারের মধ্যে থেকেও আমরা ভগবানকে পেতে পারি। অর্থাৎ সংসারের ভিতরে অসার বস্তুগুলিকে আলাদা করার টেকনিক শিখে নিতে পারলেই ভগবান নামক সার বস্তুকে লাভের আনন্দ আমরা পেতেই পারি।
শতাধিক বছর আগের কথাটি মনে পড়ে যাচ্ছে দিল্লি রাজ্য বিধানসভা ভোটের প্রসঙ্গে। ঠাকুরের কথাটিকে প্রাসঙ্গিক করে তুলেছেন আম আদমি পার্টির (আপ) মুখ অরবিন্দ কেজরিওয়াল। তিনি তৃতীয়বারের জন্য মুখ্যমন্ত্রীর কুর্সি নিশ্চিত করলেন। কেজরিওয়াল শুধু সরকার গড়ার ছাত্রপত্র জোগাড় করলেন না—ভারতকে এক অভিনব রাজনীতি উপহার দেওয়ার কৃতিত্ব দাবি করার উচ্চতায় নিয়ে গেলেন নিজেকে। দিল্লির সঙ্গে অন্য রাজ্যগুলির মূলগত তফাত হল—এখানে মুখ্যমন্ত্রীর হাতে রাজ্যের স্বরাষ্ট্র দপ্তর বলে কিছু নেই। সেটি কেন্দ্রের কুক্ষিগত। অর্থাৎ নিজস্ব পুলিসকে ব্যবহার করার কোনও সুবিধা কেজরিওয়াল পান না। রাজ্য বিধানসভার ভোট অনুষ্ঠানের যাবতীয় দায়-দায়িত্ব ক্ষমতা অধিকার সরকারিভাবে জাতীয় নির্বাচন কমিশনের উপর ন্যস্ত। তবু, রাজ্যের সাধারণ প্রশাসন ও পুলিসের উপর বিশেষভাবে নির্ভর করার বিকল্প কমিশনের সামনে নেই। ভোটের সময় অল্প কিছুদিনের জন্য রাজ্যের প্রশাসন ও পুলিস কমিশনের অধীন হয়ে যায় বটে, কিন্তু ভোট মিটতেই তাদের পুরনো মালিকের অধীন হতেই হয়। তাই বেশিরভাগ সময়ই রাজ্য প্রশাসন ও পুলিসের নিরপেক্ষতা নিয়ে গুরুতর প্রশ্ন ওঠে। ভারতের মাটিতে এই ট্রাডিশন ভাঙতে আগ্রহী রাজনৈতিক দলের দেখা এখনও অবধি মেলেনি।
অন্যদিকে, ইভিএমে গৃহীত দিল্লির এই ভোটের স্বচ্ছতা নিয়ে কারও মনে বিন্দুমাত্র সংশয় সন্দেহ নেই। আমরা দেখলাম, মোট আসনের ৯০ শতাংশই দখল করেছে দিল্লি রাজ্যের শাসক দল আপ। কিন্তু, কেন্দ্রের শাসক দল বিজেপি দিল্লি রাজ্যের ক্ষমতা দখলের জন্য এবার মরিয়া ছিল। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ-সহ তাদের জাতীয় স্তরের সমস্ত হেভিওয়েট নেতাকে নামিয়েছিল। তার পরেও বিজেপি ‘পুওর সেকেন্ড’! ৭০-এর মধ্যে মাত্র ৮! তাদের একমাত্র সান্ত্বনা—ভোটের হার এবং আসন সংখ্যা ২০১৫ সালের বিধানসভা ভোটের নিরিখে কিছুটা বেড়েছে। কিন্তু, তাদের এবারের লড়াইটা মোটেই দু’নম্বর হওয়ার লক্ষ্যে ছিল না। বরং, জয় ছাড়া আর কিছুই ভাবেনি মোদি-শাহদের দল। পরাজয়ের স্রোতে বাঁধ দেওয়ার জন্য এটা ভীষণ জরুরি ছিল। গত দু’বছরে ১১টি রাজ্যে বিধানসভার ভোট নেওয়া হয়েছে। তার মধ্যে হরিয়ানা ও অরুণাচলের মতো দুটি ছোট রাজ্য মুখরক্ষা করলেও, বাদবাকি ৯টিতে সরকার গড়তে ব্যর্থ হয়েছে ‘মোদি ম্যাজিক’! দিল্লিটা হাতে পেলে মহারাষ্ট্র ও ঝাড়খণ্ডের ক্ষতে সামান্য প্রলেপ দিতে পারতেন মোদিজিরা। কিন্তু, সেই সুযোগ কেড়ে নিলেন কেজরিওয়াল।
বিজেপিকে আশার আলো দেখিয়েছিল ২০১৯-এর লোকসভা ভোটের রেজাল্ট—দিল্লিতে সাতে সাত! ওই রেজাল্টের অন্তরে আরও লেখা ছিল—৭০টি বিধানসভার মধ্যে ৬৫টিতে এগিয়ে! অতএব, পায় কে? কেজরিওয়ালকে রামধাক্কা দেওয়াটা কেবল সময়ের অপেক্ষা।
কিন্তু, মানুষ ভাবে এক আর হয় আর-এক। কারণ, ভাবনার ভিতরেও যে ভাবনা থাকে—লোকসভা এবং বিধানসভা ভোটের সময় একই ভোটার যে বিপরীত আচরণ করে থাকেন! গত দুটি লোকসভা এবং দুটি বিধানসভার ভোটের রেজাল্ট অন্তত তাই বলছে। যে-মানুষ লোকসভায় আন্তরিকভাবে মোদিকে চেয়েছেন, সেই মানুষটাই বিধানসভায় চেয়েছেন কেজরিওয়ালকে! বিজেপি নেতৃত্ব মানুষের এই চাহিদা বুঝতে এবং তাদেরকে প্রভাবিত করতে যার পর নাই ব্যর্থ হয়েছে।
বিজেপি জয়ের জন্য হাতিয়ার করেছিল তাদের পুরনো অস্ত্রগুলিই—পাকিস্তান জুজু, দেশপ্রেম, রামমন্দির, ধর্মীয় বিভাজন এবং বাহুপ্রদর্শন ও বিরোধীদের নামে কুৎসা। ব্যক্তি কেজরিওয়ালকে নিয়েও আলতু-ফালতু অভিযোগ করেছিল বিজেপি। অন্যদিকে, কেজরিওয়াল এবার হেঁটেছেন একেবারে নতুন এক পথে। তিনি নিখাদ এক উন্নয়নের তরি ভাসিয়েছিলেন। যে-উন্নয়নের মূল কথা হল কোয়ালিটি লাইফ। সুস্থ-সবল-সুন্দর ভাবে বাঁচা। যে-বেঁচে থাকার মধ্যে শুধু আনন্দ খুঁজে নেওয়া যায়—দিনগত পাপক্ষয়ের চেনা যন্ত্রণার ধারণা থেকে সরে আসা। তাই তাঁর ‘২৮ পয়েন্ট গ্যারান্টি কার্ড’-এর ১ নম্বরে জায়গা করে নিয়েছিল দিল্লির ভয়াবহ দূষণ থেকে মানুষকে ধীরে ধীরে মুক্তি দেওয়ার আশ্বাস। ‘দূষণ’ নামক সত্যটা যে-দেশে শুধুমাত্র পরিবেশকর্মী নামক কিছু মানুষের (যাঁরা ঘরের খেয়ে বনের মোষ তাড়িয়ে আনন্দ পান বলে ভাবা হয়) সাবজেক্ট হয়ে রয়েছে, সেই দেশে কেজরিওয়াল দূষণকে ভোট কেনার মুদ্রা করে তুলেছেন! নিঃসন্দেহে এ এক অমিত সাহসী পদক্ষেপ। পরিস্রুত পানীয় জল, চিকিৎসা, বিদ্যুৎ, রেশন, পরিবহণ, কর্মরত অবস্থায় মৃত সাফাইকর্মীর পরিবারকে ক্ষতিপূরণ, প্রবীণ নাগরিকদের তীর্থযাত্রা এবং শিক্ষার প্রসার বিষয়ে কেজরিওয়ালের ভাবনাগুলি অভূতপূর্ব! বিশেষ করে স্কুলশিক্ষার উন্নতির বিষয়ে তাঁর সরকারের পদক্ষেপ অনেক নামী বেসরকারি স্কুলের কপালে দুশ্চিন্তার ভাঁজ ফেলে দিয়েছে। যে-কাজগুলি কয়েক দশক আগে বামেদের করে দেখানোর কথা ছিল, সেটাই করে চলেছেন আপ কাণ্ডারী। বামেদের যা চিন্তাতেও আসেনি—সেসবও তিনি ভাবছেন করছেন।
পাশাপাশি দেখা যাচ্ছে, সস্তা রাজনীতির সমস্ত চেনা পথ কেজরিওয়াল সযত্নে পরিহার করেছেন। নরেন্দ্র মোদির তীব্র বিরোধী হওয়া সত্ত্বেও ইমরান খানের বাজে কথার জবাব দিতে গিয়ে দেশের প্রধানমন্ত্রীকে সমর্থন করতে কুণ্ঠিত হননি কেজরিওয়াল। ৩৭০ ধারা বাতিলে সম্মতি জানিয়েও নাগরিকত্ব (সংশোধিত) আইনের বিরোধিতা করেছেন বলিষ্ঠভাবে। এই রাজনীতিক আবার জেএনইউ, জামিয়া মিলিয়া এবং শাহিনবাগ আন্দোলনের গড্ডলিকাতেও ভাসেননি। কুৎসা করা দূরে থাক, ভোটের প্রচারে একবারও বিজেপি নেতাদের নামে গরমাগরম কিছু বলেননি। বরং দেশপ্রেমে আস্থা রেখে একইসঙ্গে ‘ভারত মাতা কি জয়’ ও ‘ইনকিলাব জিন্দাবাদ’ বলে চলেছেন দরাজ গলায়। মোদ্দা কথা, উন্নয়নের ইস্যু চাপা পড়ে যায় এমন একটাও লুজ বল তিনি খেলেননি। বাজে না বকে এবং ‘ভোট করানো’র অসৎ পথ পরিহার করেও যে বিপুল জয় হাসিল করা সম্ভব—ভারতের মাটিতে কেজরিওয়ালের আগে হাতেকলমে কেউ দেখাতে পেরেছেন বলে শুনিনি। এমনকী বিপুল জয়েও মাথা ঘুরে যায়নি তাঁর। জয় যেন তাঁকে আরও সংযত করেছে। জয়ের প্রকাশেও দলীয় কর্মীদের মনে করিয়ে দিয়েছেন নির্বাচনী প্রতিশ্রুতিরক্ষার কথা। তাঁর নির্দেশ—বিজয় উৎসবে একটিও বাজি ফাটবে না!
ভারতের রাজনীতির পরতে পরতে মিথ্যাচার আর দুর্নীতি। এসব ঢাকতে রাজনীতির ভাষা আত্মস্থ করে নিয়েছে কুবাক্যসমূহ—ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণ কথিত দুধের মধ্যে মিশে থাকা জলের মতোই। এবারের ভোটে অরবিন্দ কেজরিওয়াল দেখিয়ে দিয়েছেন—জলটুকু সরিয়ে খাঁটি দুধটুকুই গ্রহণের সহজ কৌশলটি। তাঁকে ঠাকুরের দেখানো পথের পথিক ভাবতে একটুও কষ্ট হচ্ছে না। এই পন্থায় ক্ষমতার কুর্সিকে কোনোভাবে মলিন বলে মনে হচ্ছে না—মনে হচ্ছে শিবজ্ঞানে জীবসেবার একটি শ্রেষ্ঠ উপায়। দিল্লিতে সদ্য প্রতিষ্ঠিত অভিনব ভোট-সংস্কৃতি বিহার, বাংলা, কেরল, তামিলনাড়ু, অসম ও পুদুচেরি বিধানসভা ভোটের আগে শুধু বিজেপিকেই চাপে ফেলল না—চাপে পড়ে গেল সারা দেশের রাজনীতি। ভারতীয় রাজনীতির কাছে মানুষের চাহিদাটাই বদলে যেতে পারে এবার।
13th  February, 2020
টুকরে টুকরে গ্যাং-ই জিতল
পি চিদম্বরম

 গত ১১ ফেব্রুয়ারি লোকসভার কার্যবিবরণীতে নথিভুক্ত নিম্নলিখিত প্রশ্নোত্তরগুলি আনন্দের কারণ হতে পারত যদি না বিষয়টি বিজেপি নেতাদের (এই পঙ্‌ক্তিতে আছেন প্রধানমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এবং অন্য মন্ত্রীরাও) দুঃখের ধারাবিবরণীতে পরিণত হতো: বিশদ

স্বর্গলোকে মহাত্মা ও
গুরুদেবের সাক্ষাৎকার
সন্দীপন বিশ্বাস

 অনেকদিন পর আবার দেখা হল মহাত্মা এবং গুরুদেবের। মর্ত্যে দু’জনের প্রথম সাক্ষাৎ ঘটেছিল শান্তিনিকেতনে ১৯১৫ সালে আজকের দিনে অর্থাৎ ১৭ ফেব্রুয়ারি। তারপর বেশ কয়েকবার তাঁদের দেখা হয়েছিল। কবিগুরু সবরমতী আশ্রমে গিয়েছিলেন ১৯২০ সালে। বিশদ

এবার হ্যাটট্রিকের দোরগোড়ায় অগ্নিকন্যা
হিমাংশু সিংহ

তবে কি দিল্লিতে হেরে বোধোদয় হল অমিত শাহদের? নাকি ভোট জেতার নামে ঘৃণা ছড়ানো ঠিক হয়নি বলাটা আরও বড় কোনও নাটকের মহড়ারই অংশ? বোঝা কঠিন, তুখোড় রাজনীতিকরা কোন উদ্দেশ্যে কখন কোন খেলাটা খেলেন! আর সেই তালে অসহায় জনগণকে তুর্কি নাচন নাচানো চলে অবলীলায়। 
বিশদ

16th  February, 2020
শাহিনবাগে যেসব কথা জানানো হয়নি

 ‘যত্র নার্যস্তু পূজ্যন্তে রমন্তে তত্র দেবতাঃ’, যেখানে মহিলারা পূজিতা হন সেখানেই ভগবান অবস্থান করেন। ভারতবর্ষের মানুষ হাজার বছর ধরে এই শ্লোক আবৃত্তি করে এসেছে। গত একমাসের বেশি সময় ধরে দিল্লির শাহিনবাগে শিশু থেকে বৃদ্ধা বিভিন্ন বয়সের মহিলাদের কষ্ট দেওয়া হয়েছে। বিশদ

15th  February, 2020
মাফলার ম্যানের দিল্লি জয়
মৃণালকান্তি দাস 

ঠেকে শিখেছেন তিনি। ‌‌‌‌পদস্থ আমলা থেকে রাজনীতিক এবং প্রশাসক হিসেবে পরিণত হয়েছেন। বুঝেছেন, এ দেশের আমআদমি বাড়ির কাছে ভালো স্কুল, কলেজ, হাসপাতাল চান। বাড়ির মেয়েদের নিরাপত্তা নিয়েই তাঁদের উদ্বেগ। 
বিশদ

14th  February, 2020
সেনাবাহিনীও যখন রাজনীতির অস্ত্র
শান্তনু দত্তগুপ্ত

লঞ্চপ্যাড মাত্র ৫০ মিটার দূরে... অন্ধকারের মধ্যেই তাঁর চোখ দু’টো খুঁজে চলেছে... নজরে এসেও গেল দুই জঙ্গি... ছায়ার মতো সেঁটে আছে লঞ্চপ্যাডের অন্ধকারে। নাইট ভিশন গ্লাস চোখে লাগিয়ে নিশ্চিত হলেন মেজর মাইক ট্যাঙ্গো। আগেভাগে নিশ্চিত হয়ে নেওয়ার কারণ আরও ছিল তাঁর কাছে।
বিশদ

11th  February, 2020
রাজস্ব-শৃঙ্খলা অক্ষুণ্ণ রেখেই জনমুখী বাজেট
দেবনারায়ণ সরকার

২০২১-এর বিধানসভা নির্বাচনের আগে এটাই অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্রের শেষ পূর্ণাঙ্গ বাজেট। এই বাজেট নিঃসন্দেহে জনমুখী, তবে রাজস্ব-শৃঙ্খলা (ফিসকাল ডিসিপ্লিন) যথেষ্ট বজায় রেখে জনমুখী বাজেট পেশ করলেন অমিতবাবু। প্রথমে রাজস্ব-শৃঙ্খলার প্রসঙ্গে আসা যাক। বিশদ

11th  February, 2020
মানুষ কী চায়, বুঝিয়ে দেবে দিল্লির ভোটের ফল
সন্দীপন বিশ্বাস

বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় তাঁর ‘বাহুবল ও বাক্যবল’ নিবন্ধে দুই প্রকার বলের প্রভূত ব্যাখ্যা করেছেন। যদিও তিনি বলেছেন, বাহুবল পশুর বল এবং বাক্যবল মানুষের বল, তা সত্ত্বেও মনুষ্য সমাজে বাহুবলের প্রয়োগ অনবরত দেখা যায়। মানুষের বল সমাজ গঠনে কখনও কখনও নিশ্চয়ই কাজে লাগে। কিন্তু দেখা যায় বেশিরভাগ ক্ষেত্রে মানুষ আপন স্বার্থে এই বাহুবলকে ব্যবহার করে। 
বিশদ

10th  February, 2020
সরকার দিশেহারা এবং ভীত
পি চিদম্বরম

অর্থমন্ত্রী বাধ্য হয়েছেন সরকারি ব্যয় নামক একমাত্র ‘ইঞ্জিন’-এর উপর আস্থা রাখতে। কিন্তু এই ইঞ্জিনটাও যে জ্বালানি সঙ্কটে ভুগছে এবং নড়বড়ে রাজকোষের ভূতের ছায়াটিও পড়ছে সরকারের উপর! তীব্র বেকারত্ব এবং ব্যাপক হারে ছোট ও মাঝারি শিল্প-ব্যবসা চৌপাট হয়ে যাওয়ার মতো দুটি ভয়ঙ্কর ইস্যুও অস্বীকার করেছেন অর্থমন্ত্রী। সাম্প্রতিককালে ভারতের অর্থনীতিকে সবচেয়ে কঠিন যে চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে হয়েছে সেটা হল—স্বঘোষিত শক্তিমান এবং নির্ণায়ক (ডিসিসিভ) সরকার—যে সরকার নিজেকে দিশেহারা এবং ভীত বলেই প্রতিপন্ন করেছে।
বিশদ

10th  February, 2020
প্রবীণ নাগরিকদের জ্বলন্ত সমস্যাগুলির
দিকে সরকার এবার একটু নজর দিক
হিমাংশু সিংহ

 অধিকাংশ পরিবারেই এখন শিক্ষান্তে ছেলেমেয়েরা চাকরির জন্য বাইরে চলে যাচ্ছে, তাই বৃদ্ধাবাসের প্রয়োজনীয়তাও বাড়ছে। একাকীত্ব বৃদ্ধ-বৃদ্ধাদের সবচেয়ে বড় অসুখ। এই একাকীত্ব থেকেই হাজারো মানসিক রোগেরও জন্ম হয়। নিকট আত্মীয় এবং ছেলেমেয়েও বাইরে, আবার অন্যদিকে, সঞ্চয়ের উপর ক্রমাগত সুদ কমে যাওয়ায় আয়ও নিম্নমুখী। এই সাঁড়াশি আক্রমণ বৃদ্ধ-বৃদ্ধাদের পক্ষে সামলে ওঠা দুষ্কর হয়ে পড়ছে। তার উপর যদি কোনও কঠিন রোগ দেহে বাসা বাঁধে তাহলে তো রক্ষে নেই!
বিশদ

09th  February, 2020
বিখ্যাত ফুলব্রাইট বৃত্তির সাত দশক 
অ্যাডাম জে গ্রোৎস্কি

জে উইলিয়াম ফুলব্রাইট। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রাক্তন সিনেটর। বিখ্যাত ফুলব্রাইট বৃত্তিটা চালু হয় তাঁরই নামে। এটি একটি শিক্ষামূলক এক্সচেঞ্জ প্রোগ্রাম। সাত দশক আগে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও ভারত যৌথ উদ্যোগে এই ফেলোশিপ চালু করে। দ্য প্রাইস অফ এমপায়ার। জে ডব্লু ফুলব্রাইটের প্রবন্ধসংগ্রহের শিরোনাম।  
বিশদ

08th  February, 2020
পুরভোটেই ঠিক হবে রাজ্য-রাজনীতির অভিমুখ 
তন্ময় মল্লিক

যে কোনও রাজনৈতিক দলের কাছে নির্বাচন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আর সেই নির্বাচন বিধানসভা ভোটের মুখে হলে তা আক্ষরিক অর্থেই রাজনৈতিক দলগুলির জন্য অ্যাসিড টেস্ট। তবে, রাজ্যের শতাধিক পুরসভার ভোট শুধু রাজনৈতিক দলগুলির অ্যাসিড টেস্টই নয়, এই নির্বাচন ঠিক করে দেবে রাজ্য রাজনীতির অভিমুখ।  
বিশদ

08th  February, 2020
একনজরে
হ্যামিলটন, ১৬ ফেব্রুয়ারি: নিউজিল্যান্ডের কাছে একদিনের সিরিজে হোয়াইটওয়াশের ধাক্কা ভারতীয় দল যে ধীরে ধীরে কাটিয়ে উঠছে, তা বিরাট কোহলিদের দেখলেই বোঝা সম্ভব। ২১ ফেব্রুয়ারি শুরু ...

নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: দাবিদাওয়ার মধ্যে কয়েকটি মিটলেও, বেতন নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ কিছু দাবি এখনও অনিশ্চিত। এমনই অভিযোগ অধ্যাপকদের। রবিবার ওয়েস্ট বেঙ্গল গভর্নমেন্ট কলেজ টিচার্স অ্যাসোসিয়েশনের ৪৮তম বার্ষিক সম্মেলনে তা নিয়েই সরব হলেন তাঁরা।  ...

সংবাদদাতা, রায়গঞ্জ: শুধু লুট করাই নয়, পুলিসের নাগালের বাইরে থাকতে প্রমাণ লোপাটে টার্গেটকে খুন করাও উদ্দেশ্য থাকে হাইওয়ে গ্যাংয়ের। কাউকে একবার টার্গেট করলে কিভাবে তার উপর হামলা চালানো যায়, সেব্যাপারে রীতিমতো আঁটঘাট বেঁধে তবেই ‘অপারেশন’ চালানো হয় বলেও জানা গিয়েছে।  ...

নিউ ইয়র্ক, ১৬ ফেব্রুয়ারি (এএফপি): কানেক্টিকাটের একটি নাইটক্লাবে গুলিচালনার ঘটনায় প্রাণ হারালেন একজন। আহতের সংখ্যা চার। রবিবার ভোরে ‘ম্যাজেস্টিক লাউঞ্জ’-এর ক্লাবে এক অজ্ঞাতপরিচয় দুষ্কৃতী এই হামলা চালায় বলে পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে।   ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

মাঝেমধ্যে মানসিক উদ্বেগের জন্য শিক্ষায় অমনোযোগী হয়ে পড়বে। গবেষণায় আগ্রহ বাড়বে। কর্মপ্রার্থীদের নানা সুযোগ আসবে। ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৮৯৯: কবি জীবনানন্দ দাশের জন্ম
১৯৬৩: আমেরিকান বাস্কেটবল খেলোয়াড় ও অভিনেতা মাইকেল জর্ডনের জন্ম
১৯৮৭ - ভারতীয় কার্টুনিস্ট অসীম ত্রিবেদীর জন্ম।
২০০৯: সঙ্গীত শিল্পী মালবিকা কাননের মৃত্যু 



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৭০.৪৯ টাকা ৭২.১৯ টাকা
পাউন্ড ৯১.৪৩ টাকা ৯৪.৭১ টাকা
ইউরো ৭৫.৮৫ টাকা ৭৮.৮০ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
15th  February, 2020
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৪১,৬০৫ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৩৯,৪৭৫ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৪০,০৭০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৪৬,৫০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৪৬,৬০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]
16th  February, 2020

দিন পঞ্জিকা

৪ ফাল্গুন ১৪২৬, ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২০, সোমবার, (মাঘ কৃষ্ণপক্ষ) নবমী ২১/১ দিবা ২/৩৬। জ্যেষ্ঠা ৫৭/৩৩ শেষরাত্রি ৫/১৪। সূ উ ৬/১১/৩৯, অ ৫/২৯/৩৯, অমৃতযোগ দিবা ৭/৪২ মধ্যে পুনঃ ১০/৪৩ গতে ১২/৫৮ মধ্যে। রাত্রি ৬/২০ গতে ৮/৫৮ মধ্যে পুনঃ ১১/২৫ গতে ২/৪৯ মধ্যে। বারবেলা ৭/৩৬ গতে ৯/১ মধ্যে পুনঃ ২/৪০ গতে ৪/৫ মধ্যে। কালরাত্রি ১০/১৫ গতে ১১/৫১ মধ্যে।
৪ ফাল্গুন ১৪২৬, ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২০, সোমবার, নবমী ৩১/৪০/৩৫ রাত্রি ৬/৫৪/৫৬। অনুরাধা ৮/১/৪০ দিবা ৯/২৭/২২। সূ উ ৬/১৪/৪২, অ ৫/২৮/৫৮। অমৃতযোগ দিবা ৭/৩২ মধ্যে ও ১০/৩৮ গতে ১২/৫৮ মধ্যে এবং রাত্রি ৬/২৭ গতে ৮/৫৫ মধ্যে ও ১১/২৩ গতে ২/৪১ মধ্যে। কালবেলা ৭/৩৮/৫৯ গতে ৯/৩/১৬ মধ্যে। কালরাত্রি ১০/১৬/৭ গতে ১১/৫১/৫০ মধ্যে।
 ২২ জমাদিয়স সানি

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
আজকের রাশিফল  
মেষ: কর্মপ্রার্থীদের নানা সুযোগ আসবে। বৃষ: পুরোনো সম্পর্ক থাকলে তা আবার নতুন ...বিশদ

07:11:04 PM

ইতিহাসে আজকের দিনে  
১৮৯৯: কবি জীবনানন্দ দাশের জন্ম১৯৬৩: আমেরিকান বাস্কেটবল খেলোয়াড় ও অভিনেতা ...বিশদ

07:03:20 PM

স্ত্রীর সাহায্যে তরুণীকে ধর্ষণের অভিযোগ, ধৃত দম্পতি 
বাঘাযতীনে স্ত্রীর সাহায্যে বছর ২২-এর এক তরুণীকে ধর্ষণের অভিযোগ। অভিযুক্ত ...বিশদ

07:34:00 PM

পাকিস্তানের কোয়েটায় বিস্ফোরণ, মৃত কমপক্ষে ৭, জখম ২০

06:58:00 PM

মত্ত অবস্থায় পুলকার চালানোর অভিযোগে আটক চালক 
পোলবায় পুলকার দুর্ঘটনার পর নড়েচড়ে বসেছে প্রশাসন। রাজ্যজুড়ে পুলকার আটকে ...বিশদ

05:58:22 PM

নির্ভয়াকাণ্ডের দোষীদের ফাঁসি ৩ মার্চ
নতুন করে ফের নির্ভয়াকাণ্ডের দোষীদের ফাঁসির দিনক্ষণ ঘোষণা হল। আগামী ...বিশদ

04:22:33 PM