মাঝেমধ্যে মানসিক উদ্বেগের জন্য শিক্ষায় অমনোযোগী হয়ে পড়বে। গবেষণায় আগ্রহ বাড়বে। কর্মপ্রার্থীদের নানা সুযোগ আসবে। ... বিশদ
ড: উত্তম মজুমদার: সারা বছর ধরে পড়া বইয়ের বিভিন্ন প্রশ্নের খুঁটিনাটি উত্তর একটি নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে পরীক্ষার খাতায় লিখে শেষ করতে হয়। তাই খুব গুছিয়ে উত্তর সাজানো প্রয়োজন। এরজন্য মানসিক একটা চাপ পরীক্ষার্থীদের থাকেই। সেজন্য রাতে ঘুম ঠিকঠাক হওয়া দরকার। এই সময়ে রাতের খাওয়ার হালকা খাওয়া উচিত। অনেকেই আছে, বই নিয়েই সারাদিন বসে থাকে। বাইরে বের হতেই চায় না। আমি তাদের বলব, সকালবেলা ঘুম থেকে উঠে পারলে ৩০ মিনিট হেঁটে আস। একটানা বইয়ের পাতায় মুখ গুঁজে না থেকে, একটু গান শুনে নাও। পরীক্ষা আছে, মনের মধ্যে এটা সবমসয়ে গেঁথে রাখলে টেনশন বাড়বে, এটাই স্বাভাবিক। পড়ার সময়ে যেটা বেশি গুরুত্বপূর্ণ লাইন মনে হবে, তার নীচে পেন বা পেন্সিল দিয়ে দাগ কেটে রাখ। পরীক্ষার আগে সকালে ওসব একবার করে দেখে নিলেও টেনশন মুক্ত থাকা যায়।
পাশাপাশি অভিভাবকদের বলব, সন্তান ঠিকমতো ঘুমাচ্ছে কি না আপনাকে খেয়াল রাখতে হবে। সন্তানকে সময় দিন। সবসময়েই ‘পড় পড়’ বলে অযথা ওকে চাপে রাখবেন না। ছেলেমেয়েকে বলতে হবে, ভালো প্রস্তুতি নিয়েছিস। তোর ভালো রেজাল্ট হবেই। এভাবে প্রশংসা করে ওকে উৎসাহিত করতে হবে। কথায় কথায় প্রতিযোগিতার মধ্যে ফেলে দিলে সন্তান পরীক্ষার আগে বিচলিত হয়ে যায়।