মাঝেমধ্যে মানসিক উদ্বেগের জন্য শিক্ষায় অমনোযোগী হয়ে পড়বে। গবেষণায় আগ্রহ বাড়বে। কর্মপ্রার্থীদের নানা সুযোগ আসবে। ... বিশদ
দিনহাটার বিশিষ্ট ক্রীড়া প্রশিক্ষক অজিত বর্মন বলেন, দিনহাটাতে এত দিনেও একটি স্টেডিয়াম না হওয়া দুর্ভাগ্যজনক। খেলার জন্য উন্নত পরিকাঠামো যুক্ত কোনও মাঠ নেই। সংহতি মাঠে বছরের অধিকাংশ সময় মেলা, অনুষ্ঠান সহ বিভিন্ন রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড হয়ে থাকে। সেজন্য নিয়মিত মহকুমার ছেলেমেয়েরা অনুশীলন করতে পারে না। আমরা চাই, মহকুমার খেলোয়াড়দের কথা ভেবে দ্রুত স্টেডিয়াম গড়ে তোলা কাজ শুরু হোক।
দিনহাটা মহকুমা ক্রীড়া সংস্থার সচিব বিভূরঞ্জন সাহা বলেন, ৩২ বছরেও দিহাটার খেলাধুলোর উন্নতির জন্য একটি স্টেডিয়াম এখনও পর্যন্ত তৈরি হল না। এটা দিনহাটার মানুষের কাছে লজ্জার। এরফলে মহকুমার ছেলেমেয়েদের একাংশের মধ্যে খেলাধুলো নিয়ে অনিহা তৈরি হচ্ছে। এতে করে গোটা মহকুমার ক্রীড়াচর্চা পিছিয়ে যাচ্ছে। স্টেডিয়াম তৈরির জন্য বাম সরকারের কাছে বহুবার দরবার করা হয়েছিল। নতুন সরকারের কাছেও ওই ব্যাপারে বারবার উদ্যোগ নিতে আর্জি জানানো হয়েছে। কিন্তু এখনও কিছুই হয়নি। স্টেডিয়ামের জন্য প্রস্তাবিত ওই মাঠে এখন প্রায়ই সন্ধ্যার পর মদের আসর বসছে।
দিনহাটায় প্রস্তাবিত স্টেডিয়াম তৈরি নিয়েও রাজনৈতিক নেতাদের অভিযোগ পাল্টা অভিযোগও রয়েছে। ফরওয়ার্ড ব্লক নেতা অক্ষয় ঠাকুর বলেন, দিনহাটা জেলার সব থেকে বড় মহকুমা। বাম সরকারের আমলে দিনহাটার ক্রীড়া ক্ষেত্রে অগ্রগতির জন্য জমি কেনা হয়েছিল। কিন্তু রাজ্যের নতুন সরকার এতদিনেও স্টেডিয়াম তৈরি করতে পারেনি। তারা শুধু মেলায় মেতেছে।
দিনহাটার বিধায়ক তৃণমূল কংগ্রেসের উদয়ন গুহ বলেন, জমি কেনার পর ২৩ বছর তো বামেরাই সরকারে ছিল। তারপরেও তারা স্টেডিয়াম তৈরি করতে পারেননি। আমাদের সরকার অনেক কাজ করছে। আশা করি, স্টেডিয়ামও করে দেবে।
১৯৮৮ সালে দিনহাটা শহর সংলগ্ন পুঁটিমারিতে স্টেডিয়াম তৈরির জন্য ছ’একর জমি কেনা হয়েছিল। সেই সময় রাজ্যের যুবকল্যাণ দপ্তরের দেওয়া আর্থিক বরাদ্দে ওই জমি কেনা হয়। সরকারি নিয়ম মেনেই মহকুমা ক্রীড়া সংস্থা ও দিনহাটা-১ পঞ্চায়েত সমিতির মালিকানাধীন বলে জমিটির কাগজপত্র তৈরি হয়। তারপর প্রায় ৩২ বছর পার হয়ে গেলেও সীমানা পাঁচিল ছাড়া স্টেডিয়াম তৈরির জন্য আর একটিও ইট গাঁথা হয়নি। ফলে দিনহাটার খেলাধুলো চর্চার একমাত্র ভরসা হয়ে রয়েছে শহরের প্রাণকেন্দ্রে অবস্থিত সংহতি ময়দান। যেখানে রাজনৈতিক সভা থেকে শুরু করে বিভিন্ন অনুষ্ঠান, মেলা, পুজো হয়। যেকারণে নিয়মিত খেলাধুলো করতে ছেলেমেয়েরা সমস্যায় পড়ে।