মাঝেমধ্যে মানসিক উদ্বেগের জন্য শিক্ষায় অমনোযোগী হয়ে পড়বে। গবেষণায় আগ্রহ বাড়বে। কর্মপ্রার্থীদের নানা সুযোগ আসবে। ... বিশদ
সেনায় মহিলা নেতৃত্বের বিষয়টি নিয়ে মামলার শুনানি চলাকালীন আদালত জানিয়েছে, মহিলাদের শারীরবৃত্তীয় বৈশিষ্ট্যগুলির সঙ্গে তাঁদের অধিকারের কোনও সম্পর্ক নেই। প্রয়োজনে মানসিকতার পরিবর্তন করতে হবে। কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে শীর্ষ আদালতকে জানানো হয় যে, সেনাবাহিনীকে নেতৃত্বে দেবেন কোনও মহিলা সেই মানসিকতা এখনও তৈরি হয়নি ভারতীয় সেনার মধ্যে। সরকার পক্ষের আইনজীবী আজ এই মামলার শুনানিতে বলেন, এদেশে এখনও যুদ্ধক্ষেত্রে মহিলাদের নেতৃত্ব দেওয়ার বিষয়টা উপযুক্ত নয়। রণক্ষেত্রে মহিলাদের কমান্ডিং অফিসার হিসেবে মেনে নেওয়ার ব্যাপারেও জওয়ানরা প্রস্তুত নন। অন্যদিকে, মাতৃত্বকালীন ছুটি থেকে শুরু করে নানা অসুবিধা রয়েছে মহিলাদের। কেন্দ্রের এই যুক্তিকে বৈষম্যমূলক ও বিরক্তিকর আখ্যা দিয়ে সুপ্রিম কোর্ট বলেছে এবার সময় হয়েছে এই ধরনের ‘চিরাচরিত ভাবনা’ থেকে বেরিয়ে আসার। তবেই সেনাবাহিনীতে মহিলা-পুরুষ এই বৈষম্য দূর হবে। কমান্ডিং অফিসার শুধু নয়, সেনাবাহিনীর অন্যান্য পদেও মহিলাদের নিয়োগের ক্ষেত্রে কোনও সমস্যা থাকা উচিত নয়।
সেনাবাহিনীর শর্ট সার্ভিস কমিশনে (এসএসসি) ১৪ বছর চাকরি করা মহিলাদের স্থায়ী কমিশনের বিকল্প দেওয়া হবে কিনা, এই প্রসঙ্গও ওঠে আদালতে। সে প্রসঙ্গে শীর্ষ আদালত জানিয়েছে, এসএসসিতে ১৪ বছরের চাকরির সময়কালে সীমাবদ্ধ রাখা নয়, সকল মহিলা অফিসারকে স্থায়ী কমিশন দিতে হবে।