মাঝেমধ্যে মানসিক উদ্বেগের জন্য শিক্ষায় অমনোযোগী হয়ে পড়বে। গবেষণায় আগ্রহ বাড়বে। কর্মপ্রার্থীদের নানা সুযোগ আসবে। ... বিশদ
কী এই চ্যালেঞ্জ? পোশাকি নাম ‘রম্পক্র্যানিওস’। স্প্যানিশ এই শব্দের ইংরেজি তর্জমা করলে দাঁড়ায় ‘স্কালব্রেকার’। সার দিয়ে দাঁড়িয়ে থাকবে তিন ব্যক্তি। মাঝের জন হাই জাম্প দেবে। এরপর ওই ব্যক্তি মাটি ছোঁয়ার আগে পাশে থাকা দু’জন তাঁর দু’পায়ে লাথি মারবে। অর্থাৎ চিৎপাত হয়ে মাটিতে পড়বে চ্যালেঞ্জ নেওয়া ওই ব্যক্তি। ফলে কোমর, মাথায় গুরুতর আঘাত পেতে পারে সে। ইতিমধ্যেই এই চ্যালেঞ্জের বহু ভিডিও হোয়াটসঅ্যাপের মতো সাইটগুলিতে ছড়িয়ে পড়েছে। যদিও ভারত থেকে এ ধরনের কোনও ভিডিও এখনও পর্যন্ত পাওয়া যায়নি।
বহু স্কুলপড়ুয়া ইতিমধ্যে এই চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করেছে। ফল? হাড় ভেঙে, মারাত্মক চোট পেয়ে তাদের অনেকে হাসপাতালের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন। প্রথম সারির এক সংবাদমাধ্যমের রিপোর্টে এমনই ভয়াবহ তথ্য উঠে এসেছে। খেলার ছলে মারণ এই চ্যালেঞ্জ নিয়ে ইতিমধ্যেই সতর্কতা জারি করেছে ইউরোপের বহু স্কুল। চিকিৎসকরাও সতর্ক করে দিয়ে বলেছেন, এই স্কালব্রেকার চ্যালেঞ্জে ভেঙে যেতে পারে হাঁটু, গোড়ালি, কোমর এবং অন্যান্য জয়েন্টের হাড়। এমনকী, ছিঁড়ে যেতে পারে দেহের গুরুত্বপূর্ণ লিগামেন্টও। আর ভাগ্য খারাপ থাকলে মাথার খুলি ভেঙে মৃত্যু অবধারিত।
সাম্প্রতিক অতীতে আউটলেট, ব্রাইট আই, ফ্ল্যাশ চ্যালেঞ্জ ছড়িয়ে পড়েছে। আউটলেট চ্যালেঞ্জে ইলেক্ট্রিক্যাল প্লাগে আলতো করে লাগানো থাকা স্মার্টফোনের চার্জার পয়েন্টের ফাঁক দিয়ে ধাতব কয়েন ফেলতে হয়। কয়েনের মাধ্যমে নেগেটিভ, পজিটিভ জুড়ে গেলেই ভয়ঙ্কর স্পার্ক হবে। এমনকী, ঘরে আগুনও লেগে যেতে পারে। ব্রাইট আই চ্যালেঞ্জের লক্ষ্য হাল্কা রঙিন চোখ। সেজন্য চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করা ব্যক্তিকে জেলি, হাত ধোয়ার লিক্যুইড সাবান, ব্লিচ এবং দাড়ি কামানোর ক্রিম নিতে বলা হয়। সেগুলি একটি চেন লাগানো ব্যাগে (জিপলক) ভরে চোখের সামনে এক মিনিট ধরে থাকতে হবে। ফল, ওই ব্যক্তির চোখ হাল্কা রঙিন দেখাবে। একইভাবে ফ্ল্যাশ চ্যালেঞ্জ হল, চোখের মধ্যে সরাসরি জোরালো আলো ফেলা। আউটলেটে যেখানে শক ও আগুন লাগার আশঙ্কা থাকে, সেখানে ব্রাইট আই এবং ফ্ল্যাশ চ্যালেঞ্জে নষ্ট হয়ে যেতে পারে চোখ।