উপস্থিত বুদ্ধি ও সময়োচিত সিদ্ধান্তে শত্রুদমন ও কর্মে সাফল্য। ব্যবসায় গোলযোগ। প্রিয়জনের শরীর-স্বাস্থ্যে অবনতি। উচ্চশিক্ষায় ... বিশদ
অনেকের গলায়, হাঁটু, কনুইতে কালো ছোপ দেখা যায়। বিশেষত যাঁদের ড্রাই স্কিন হয় তাঁদের স্কিন কোনওকিছুর সঙ্গে ঘষা খেতে খেতে এরকম কালো ছোপ হয়ে যায়। সেইক্ষেত্রে সেই জায়গায় মধুর সঙ্গে লেবুর রস মিশিয়ে রোজ লাগানো যায় বা এক টুকরো লেবুর মধ্যে কয়েক ফোঁটা মধু ফেলে ১৫-২০ মিনিট ঘষা যায় তবে উধাও হয়ে যাবে কালো দাগ। এছাড়া ৩ ভাগ গোলাপ জলের সঙ্গে ১ ভাগ গ্লিসারিন (৩:১) মিশিয়ে তা ত্বকের ওপরের কালো ছোপের জায়গায় যদি নিয়মিত লাগানো যায় তবে ধীরে ধীরে পরিষ্কার হতে থাকবে। এমনকী এই পদ্ধতির মাধ্যমে ট্যান, পিগমেনটেশন, বয়সের ছোপ সবই ধীরে ধীরে দূর হয়ে গিয়ে ত্বক উজ্জ্বল হবে। অ্যাকনে থেকে যে দাগ থেকে যায় তাও দূর হবে লেবুর রসে। কারণ লেবুর রসে আছে ‘এল অ্যাসকরবিক অ্যাসিড’ যা ন্যাচরাল অ্যাসট্রিনজেন্ট। এটি অ্যাকনের চিকিৎসায় খুব ভালো কাজ করে এবং ভিটামিন সি থাকার জন্য স্বাস্থ্যোজ্জ্বল ত্বকের কোষ তৈরিতে সাহায্য করে। যাঁদের ড্রাই স্কিন তারা অ্যাকনের দাগের উপর ঠান্ডা দুধ বা গোলাপ জলের সঙ্গে লেবুর রস মিশিয়ে তুলোয় করে নিয়ে লাগান ও কিছুক্ষণ রেখে ধুয়ে ফেলুন। এতে ড্রাই স্কিনের পিগমেনটেশন, ছোপও দূর হয়। প্রেগনেন্সি ও ডেলিভারির সময় অনেকেরই স্ট্রেচমার্ক হয় এই স্ট্রেচমার্ক সহজে দূর করাও যায় না। তাই স্ট্রেচমার্ক পড়ার আগে থেকেই নিয়মিত শরীরের যত্ন নিতে হবে। লেবুর রস ও শশার রস সমান পরিমাণে মিশিয়ে তা স্ট্রেচমার্কের ওপর নিয়মিত লাগিয়ে হালকা গরম জলে ধুয়ে নিলে খুব তাড়াতাড়ি স্ট্রেচমার্ক উধাও হবে। যদি ড্রাই স্কিন হয় তবে অবশ্যই এই মিশ্রণের সঙ্গে আমন্ড অয়েল, অলিভ অয়েল, কোকোনাট অয়েল মিশিয়ে ওই জায়গায় ঘষতে হবে। এতে ত্বকের শুষ্কতা কমবে।
ফাটা ঠোঁট সৌন্দর্যের মাইনাস পয়েন্ট। তাই ঠোঁট ফাটলে তা ঠিক করে ঠোঁট নরম রাখার জন্য গরম জলে লেবুর স্লাইস ফেলে দিন বা গরম জলের সঙ্গে লেবুর রস ভালো করে মিশিয়ে ঠোঁটে লাগিয়ে রেখে দিন। শুকিয়ে গেলে তুলো দিয়ে আস্তে আস্তে ঘষে ঠোঁটের ডেডস্কিনগুলো তুলে ফেলুন। এতে ঠোঁট নরম হবে। তারপর ঠোঁটে লিপবাম বা একফোঁটা মধু বা গ্লিসারিন বা দুধের সঙ্গে গোলাপের পাপড়ি চটকে ঠোঁটে লাগালে ঠোঁটের সৌন্দর্য অনেকটাই বেড়ে যাবে। সুন্দর হাসি মানুষকে খুবই আকৃষ্ট করে। যদি ওই সময় আপনার হলদে ছোপের দাঁতগুলো বাইরে বেরিয়ে আসে তাহলে কী লজ্জার ব্যাপার হবে বলুন তো! ডাক্তারের কাছে গিয়ে বেশি টাকা খরচ করে দাঁতের পালিশ করার থেকে বাড়িতেই অল্প সময়ে ন্যূনতম খরচায় হলুদ দাঁত সাদা করতে ব্যবহার করতে পারেন লেবুর রসের সঙ্গে একটু নুন ও সর্ষের তেল। এটি দাঁতে একটু ঘষে নিলে কিছুদিনের মধ্যে সাদা দাঁত ফিরে পাবেন। আমাদের শরীরের ওপেন ছিদ্রগুলোতে সিবাম জমে গিয়ে তা বাইরের অক্সিজেনের সঙ্গে মিশে অক্সিডাইজড হয়ে কালো কালো ছোপ হয় যা ব্ল্যাকহেডস নামে পরিচিত। ব্ল্যাকহেডস পরিষ্কার করার জন্য এক চামচ লেবুর জলের সঙ্গে চামচ বেকিং সোডা ও অলিভ অয়েল মিশিয়ে সেই জায়গায় ঘষলে ব্ল্যাকহেডস উঠে যাবে। অ্যান্টি-এজিং অর্থাৎ ত্বকের যৌবনতা ধরে রাখার জন্য এই পদ্ধতিটি কাজে দেবে। শরীরে ফ্রি র্যাডিকলস থাকলে রিঙ্কল, লাইন পড়ে ও আমাদের কোষকে ক্ষতিগ্রস্ত করে তাই এগুলো দূর করার জন্য টোনার হিসাবে লেবুর রস ও জল মিশিয়ে অয়েলি স্কিনে লাগালে কাজে দেবে। আর ড্রাই স্কিনের জন্য টোনার হবে গোলাপ জলের সঙ্গে লেবুর রস। এটি ফ্রিজে রেখে নিয়মিত ব্যবহার করলে ত্বকের উজ্জ্বলতা ফিরে আসবে। লেবুর রসে ভিটামিন সি এবং লুটেন থাকায় অ্যান্টি অক্সিডেন্টের কাজ ভালো হয়। যাঁদের নখে কোনও কারণে বা মশলা বাটতে বাটতে হলদে ছোপ পড়ে গেছে তারা লেবু নখে কিছুক্ষণ ঘষে হাতটিকে হালকা গরম জল করে তার মধ্যে অলিভ অয়েল ও শ্যাম্পু মিশিয়ে হাত ডুবিয়ে রাখুন। এর ফলে হলদে ছোপও চলে যাবে এবং ঘরোয়া পদ্ধতিতে হাতের ম্যানিকিওরও হয়ে যাবে। লেবুর রসে ভিটামিন সি, বি এবং ফলিক অ্যাসিড থাকায় চুলের জন্য বেশ উপকারী। একটা অর্ধেক লেবুর রসের সঙ্গে জল মিশিয়ে তা স্ক্যাল্পে ভালো করে মাসাজ করলে চুলের গোড়া শক্ত হবে, চুল পড়া কমে নতুন চুল গজাবে এবং স্ক্যাল্পের ইনফেকশন, খুশকি কমে যাবে। এছাড়া নতুন চুল গজানোর জন্য ক্যাস্টর অয়েল বা অলিভ অয়েল গরম করে তার সঙ্গে লেবুর রস ও চামচ লেমন এসেনসিসাল অয়েল মিশিয়ে কিছুক্ষণ মাসাজ করতে হবে। তারপর চুল ধুয়ে নিন। চুল ধোয়ার সময় একদম শেষে জলের সঙ্গে লেবুর রস মিশিয়ে তা চুলের ওপর দিয়ে ঢেলে চুল ধুয়ে নিন।