উপস্থিত বুদ্ধি ও সময়োচিত সিদ্ধান্তে শত্রুদমন ও কর্মে সাফল্য। ব্যবসায় গোলযোগ। প্রিয়জনের শরীর-স্বাস্থ্যে অবনতি। উচ্চশিক্ষায় ... বিশদ
এই ছবি ‘গুপ্তধনের সন্ধানে’ ছবিটির সিক্যুয়াল হলেও যেখানে গুপ্তধনের সন্ধানে ছবিটি শেষ হয়েছে সেখান থেকে এই ছবি শুরু হবে না। এই ছবিতে পুরনো চরিত্রদের অনস্ক্রিন উত্তরণ হবে আরও নতুন নতুন শেডস চরিত্রে সংযোজিত হবে। আগে চরিত্ররা যা পারত না তা পারবে। যেটা জানত না সেটা জানবে। চরিত্রগুলো বর্ধিত হয়ে এগিয়ে যাবে। চেনা চরিত্রগুলিতে মজার পরত খুঁজে পাবেন দর্শকরা। এবারের গল্পের ব্যাকড্রপ দুর্গাপুজো। বাঙালির চেনা দুর্গাপুজোর অচেনা দিক ছবিতে পাওয়া যেতে পারে। বাঙালির চেনা ইতিহাসের অচেনা দিকই এই ফ্রাঞ্চাইজির অন্যতম মজা। যেখান থেকে দুর্গেশগড়ের সূত্রপাত এবং দুর্গাপুজোর অবতারণা। সোনাদা, আবির, ঝিনুক এই তিনজন অতি পরিচিত পারিবারিক গণ্ডির মধ্যে থেকেই গুপ্তধনের সন্ধানে যায়। এদের পারস্পরিক সম্পর্ক যেমন ছিল তেমনই থাকবে, সেখান থেকেই নতুনের সন্ধান। আবির ঝিনুকের মিষ্টি সম্পর্ককে ধরেই ওদের সম্পর্ক আরেক ধাপ এগতে পারে এই গল্পে। ওদের সোনাদার সঙ্গে মজার সম্পর্ক আরেক ধাপ এগিয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। সোনাদার গোয়েন্দাগিরির কোনও ইচ্ছে না থাকলেও ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে রহস্যের জালে জড়িয়ে পড়েন। সোনাদা হলেন বাঙালি পরিবারের এমন এক সোনার টুকরো ছেলে যার কথা সর্বক্ষণ উদাহরণ দেওয়া হয়, গল্প সম্পর্কে এমনটাই মন্তব্য পরিচালক ধ্রুব বন্দ্যোপাধ্যায়ের। এর থেকেই এই মুহূর্তে পরিচালক ছবির গল্প বলতে নারাজ।
ছবিতে সোনাদা, আবির, ঝিনুকের চরিত্রে অভিনয় করেছেন আবির চট্টোপাধ্যায়, অর্জুন চক্রবর্তী ও ইশা সাহা। অন্য শিল্পীরা হলেন লিলি চক্রবর্তী, কৌশিক সেন, জুন মালিয়া, খরাজ মুখোপাধ্যায়, দেবযানী চট্টোপাধ্যায়, কমলেশ্বর মুখোপাধ্যায়, অরিন্দম শীল প্রমুখ। পরিচালক অনিন্দ্য চট্টোপাধ্যায়কে গুরুত্বপূর্ণ একটি চরিত্রে অভিনয় করতে দেখা যাবে।
ছবির কেন্দ্রীয় চরিত্রদের সাজপোশাক সম্পর্কে কসটিউম ডিজাইনার অভিষেক রায়ের থেকে জানা গেল যে গুপ্তধনের সন্ধানে ছবিতে দেখা গিয়েছে যে সোনাদা অর্থাৎ আবির চট্টোপাধ্যায় সদ্য বিদেশ থেকে শেকড়ের টানে কলকাতায় এসেছেন। তিনি অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটির ইতিহাসের একজন অধ্যাপক। ফলে পোশাকে একটা সীমাবদ্ধতা ছিল। কিন্তু সোনাদার ফ্রাঞ্চাইজির দ্বিতীয় এই ছবিতে দেখা যাবে যে তিনি যাদবপুরে একটি কলেজে পড়ান। সেই সময়ে অর্থাৎ কলেজে যাওয়ার সময় তিনি লাইট বেজ, গ্রে কালারের স্যুট পরেন। বাঁহাতে লেদার ব্যান্ডের বড় ডায়ালের ঘড়ি, পায়ে থাকবে নর্মাল ব্রাউন রংয়ের শ্যু। তবে কলেজের বাইরে লিনেন শার্ট, প্যান্ট অথবা চিনোজে দেখা যাবে। আবার ঘরের দৃশ্যে ট্র্যাক প্যান্টের সঙ্গে ভি নেক লাইনের সিঙ্গল কালারের টিশার্টে তিনি নিজেকে ধরা দেবেন। তবে এই গল্প যেহেতু দুর্গাপুজো কেন্দ্রিক তাই সোনাদা, আবির ও ঝিনুককে ইন্ডিয়ান লুকে দেখা যাবে। দুর্গেশগড়ে গিয়ে সাধারণত সোনাদাকে লিনেন শার্ট ও চিনোজ বা ট্রাউজার্সে দেখা গেলেও দুর্গাপুজোর ষষ্ঠী ও অষ্টমীর দিনে ইন্ডিয়ান লুকে তিনি ধরা দেবেন। এই দুই দিন তিনি অফ হোয়াইট চুড়িদারের সঙ্গে ব্রাউন ও হোয়াইট সিঙ্গল কালারের রাউন্ড নেকলাইনের সাইড বোতাম দেওয়া পাঞ্জাবি পরেছেন। পায়ে থাকবে স্যান্ডেল। সারা ছবিতে তাঁকে একেবারে নর্মাল হেয়ার স্টাইলে দেখা যাবে। তবে ক্লাইম্যাক্স দৃশ্যে তাঁর অফ হোয়াইট চিনোজ শার্টের ওপর বেজ কালারের ব্লেজার ডার্ক বেজ কালারের চিনোজ প্যান্ট এবং পায়ে ক্যামেল ব্রাউন রংয়ের হাই-অ্যাঙ্কেল বুটস থাকবে। তবে আবির ওরফে অর্জুন চক্রবর্তীকে একেবারে ক্যাজুয়াল লুকে দেখা যাবে। যদিও তিনি একজন উকিল। বেশিরভাগ দৃশ্যে ট্র্যাকপ্যান্টের সঙ্গে টি-শার্ট পরেছেন। ঘরের দৃশ্যে জগার্সের দৃশ্যে তিনি ওভারল্যাপিং পাঞ্জাবি পরেছেন। এছাড়া ক্লাইম্যাক্স দৃশ্যে রাউন্ড নেকলাইনের টিশার্টের ওপর হুডি জ্যাকেট ট্র্যাকপ্যান্ট ও স্পোর্টস শ্যুতে দেখা যাবে। ওঁর পোশাকের কালার প্যালেট ইয়ালো অকার, মেরুনিশ ইত্যাদি।
ঝিনুক অর্থাৎ ইশা সাহা যেহেতু খুবই সিম্পল তাই তাঁকে স্ট্রেট কাটের মতো দেখতে পালাজোর সঙ্গে স্ট্রেট কুর্তিতে দেখা যাবে। সঙ্গে শোভিত হবে পিওর সিলভার জুয়েলারিতে। গলায় থাকবে স্কার্ফ। পুজোর দৃশ্যে অর্থাৎ ষষ্ঠী থেকে অষ্টমী পর্যন্ত তাঁকে ধনেখালি, লিনেন, হ্যান্ডলুম ও কটন প্লেন সিঙ্গল কালারের শাড়িতে দেখা যাবে। কোনও শাড়িতে রয়েছে সলিড বর্ডার, আবার রেড হোয়াইট কালার কম্বিনেশনের শাড়ির বর্ডারে রয়েছে সোনালী ও লালের কারিকুরি। তবে শাড়ির সঙ্গে কন্ট্রাস্টে রাউন্ডনেক প্রিন্টেড ব্লাউজ তিনি পরেছেন। আবার কিছু ক্ষেত্রে এমব্রয়ডারড ব্লাউজও তাঁকে পরানো হয়েছে। এছাড়া মেরুন গোল্ডেন একটি চান্দেরি শাড়িতেও তাঁকে দেখা যাবে। বেশিরভাগ দৃশ্যে পিওর সিলভার জুয়েলারি পরলেও একটি দৃশ্যে সোনার গয়নায় তিনি ধরা দেবেন। নো মেকআপ লুকের সঙ্গে তিনি খোলা চুলে তাঁকে দেখা যাবে। এছাড়া ক্লাইম্যাক্স দৃশ্যে তাঁকে গ্রে কালারের ডেনিমের সঙ্গে মেরুন স্প্যাগেটি তার ওপর গ্রে কালারের টেক্সচার শর্ট জ্যাকেট এবং পায়ে ওয়েজ হিলে দেখা যাবে।
জুন মালিয়া পুরনো দিনের বালুচরী, তাঞ্চই বেনারসি, গরদ ইত্যাদি শাড়ির সঙ্গে গা ভর্তি সোনার গয়না পরেছেন। অন্যদিকে আবার দেবযানী চট্টোপাধ্যায়কে জড়োয়া ও সোনার গয়নার সঙ্গে বোটনেক এমব্রয়ডারি ব্লাউজের সঙ্গে রকমারি শাড়ি নানা স্টাইলে পরতে দেখা যাবে।
ছবির জন্য মহিলা চরিত্রদের সোনা ও সিলভার গয়না স্পনসর করেছে অঞ্জলি জুয়েলার্স। শাড়ি বাইলুম ছাড়া বেশিরভাগ অঞ্জলি শপিং মল থেকে নেওয়া।
অনিন্দ্য চট্টোপাধ্যায়কে সরু পাড়ের ধুতির সঙ্গে আড়ি কাজের পাঞ্জাবিতে দেখা যাবে। খরাজ মুখোপাধ্যায় তসর, মটকা পাঞ্জাবি-পাজামা পরেছেন। অরিন্দম শীলকে পাঞ্জাবি, জহরকোট ও পাজামায় দেখা যাবে। তবে কমলেশ্বর মুখোপাধ্যায় ফ্যাব ইন্ডিয়ার পাজামা-পাঞ্জাবি পরেছেন।
ছবির চরিত্রদের অনেক পোশাক অভিষেক নিজে তৈরি করেছেন। ছবিতে একটি বিশেষ চরিত্রে ডিজাইনার অভিষেক রায়কে অভিনয় করতে দেখা যাবে। যেখানে তাঁর তৈরি ও ডিজাইন করা গ্রে, ব্রাউন, ব্ল্যাক কালারের লিনেন কটনের পাঠান স্যুটে তিনি ধরা দেবেন।
কাহিনী ও সংলাপ শুভেন্দু দাশমুন্সি। চিত্রনাট ধ্রুব বন্দ্যোপাধ্যায়, শুভেন্দু দাশমুন্সি। ক্যামেরায় সৌমিক হালদার। সম্পাদনা সঞ্জীব দত্ত। সুরকার পণ্ডিত বিক্রম ঘোষ। শিল্প নির্দেশনা তন্ময় চক্রবর্তী। কলকাতা ও ঝাড়গ্রামে ছবির শ্যুটিং হয়েছে। প্রযোজক শ্রীকান্ত মোহতা, মহেন্দ্র সোনি।