১০ মে মুক্তি পাবে পরিচালক নন্দিতা রায়, শিবপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়ের ছবি কণ্ঠ। ছবির পোশাক পরিকল্পনার দায়িত্বে আছেন দুই কস্টিউম ডিজাইনার ও স্টাইলিস্ট অভিষেক রায়, অনুপম চট্টোপাধ্যায়। খবরে চৈতালি দত্ত।
৭ মে অক্ষয় তৃতীয়া। এই পুণ্য লগ্নে কেমন হবে সাজ? পরামর্শ দিচ্ছেন সোমা লাহিড়ী।
১. যাঁদের ত্বক স্বাভাবিক তাঁরা ৬ চামচ কলার পেস্টের সঙ্গে ২ চামচ মধু ও একটু ময়দা মিশিয়ে মুখ, গলা, ঘাড় ও হাতে লাগাতে পারেন।২. যাঁদের খুব শুষ্ক ত্বক তাঁরা ৬-৭ চামচ কলার পেস্ট, ২ চামচ দুধের সর ও একটু ময়দা মিশিয়ে লাগাবেন। চল্লিশ মিনিট রেখে ধুয়ে ফেলতে হবে। এতে ত্বক মোলায়েম ও উজ্জ্বল হবে।
উপস্থিত বুদ্ধি ও সময়োচিত সিদ্ধান্তে শত্রুদমন ও কর্মে সাফল্য। ব্যবসায় গোলযোগ। প্রিয়জনের শরীর-স্বাস্থ্যে অবনতি। উচ্চশিক্ষায় ... বিশদ
আসছে ১৪২৬। বাংলার নতুন বছরকে স্বাগত জানতে সেজে উঠুন বাংলার ঐতিহ্যবাহী তাঁতবস্ত্রে। অভিনেত্রী সৌমিলী বিশ্বাস সেজেছেন তাঁর প্রিয় বাংলার তাঁতের শাড়িতে। বর্ণনায় সোমা লাহিড়ী।
শাড়ির প্রতি আগ্রহ নাকি কমে যাচ্ছে এ প্রজন্মের মেয়েদের। বিশেষ করে মাড় দেওয়া তাঁতের শাড়ির প্রতি নাকি তাঁদের ভারী অনীহা। সহজে পরা যায় না, কুঁচি ঠিক হয় তো আঁচল ঠিক হয় না— এমন নানান অসুবিধের কথা শোনা যায় তাঁদের কণ্ঠে। অনেকে আবার শাড়ির ওজন দেখেও ঘাবড়ে যান। এ প্রজন্মের কন্যেদের এইসব অসুবিধের কথা মাথায় রেখে তাঁতশিল্পীরা বাংলার তাঁতে বেশ কিছু পরিবর্তন এনেছেন। এতে বাংলার তাঁতের ঐতিহ্য, নিজস্বতা কতটা বজায় থাকছে জানা নেই, তবে কমবয়সিরা হাত বাড়াচ্ছেন পরিবর্তিত তাঁতের শাড়িতে। এতে তাঁতশিল্পীরা খানিকটা উৎসাহ পাচ্ছেন আর তাঁত ব্যবসায়ীদেরও মুখে হাসি ফুটেছে। আমাদের আজকের মডেল সৌমিলীর পছন্দ ট্র্যাডিশনাল বাংলার তাঁত ঢাকাই। তবে পরিবর্তিত হ্যান্ডলুমেও তাঁর উৎসাহ সমান।
রেশমে জরির বুটি
প্রথম শাড়িটি ঘন সবুজ রঙের রেশম কটন। সারা জমিতে জরির বুটি— যেন লক্ষ তারার সাজে সেজেছে আকাশ। আর আঁচলে কলকার শোভা। শাড়িটি ‘ডালিয়া’ থেকে নেওয়া। কথা হচ্ছিল ডালিয়ার কর্ণধার অলোক দত্ত’র সঙ্গে। তিনি জানালেন, আজকের মেয়েদের সুবিধের কথা মনে রেখেই পিওর কটনের পাশাপাশি রেশম কটনে শাড়ি তৈরি করানো হচ্ছে। এতে শাড়ির ওজনও হালকা হচ্ছে আর গর্জিয়াস লুক আসছে। পার্টিওয়্যার এই জরিবুটি রেশম লাল, রয়্যাল ব্লু, মিডনাইট ব্লু, অরেঞ্জ, ব্ল্যাক, বটলগ্রিন ও অফ হোয়াইটে পাওয়া যাচ্ছে। আর আছে রাষ্ট্রপতি পুরস্কারপ্রাপ্ত তাঁতশিল্পী বিদ্যুৎ বসাকের তৈরি লিনেন সিল্ক। জরি পাড় ঢাকাই আঁচলের এই শাড়ির ডিজাইন সত্যিই বেশ অন্যরকম। এই শিল্পীরই তৈরি মসলিনে জরির ডুরে আঁচলে ঢাকাই নকশার শাড়িও চোখ টানবে সবার। পিওর কটন টাঙ্গাইল টিস্যু আঁচল, চান্দেরি বুটি এবারের নববর্ষ স্পেশাল। গামছা চেকের চাহিদা থাকায় ধনেখালিতে তৈরি হয়েছে গামছা চেক, শোলাপুরি চেক, আয়না চেক, ঝুরি চেক শাড়ি। মালটি কালার্ড পটাডুরেরও এবার খুব ডিমান্ড বলে জানা গেল।
হ্যান্ডলুম কনট্রাস্ট ঢাকাই
নীচে বটলগ্রিন আর ম্যাজেন্টা রঙের কম্বিনেশনে তৈরি হ্যান্ডলুম শাড়িটি কোনও উৎসব অনুষ্ঠানে পরার জন্য বেশ ভালো। শাড়িটি ‘আরএমজিসি বসাক’ থেকে নেওয়া। সংস্থার কর্ণধার নিজেই রাষ্ট্রপতি পুরস্কারপ্রাপ্ত তাঁতশিল্পী গৌরাঙ্গ বসাক। তাঁর কাছেও শোনা গেল এখন অধিকাংশ ক্রেতাই চান হালকা আর নরম শাড়ি। তাই ট্র্যাডিশনাল বাংলার তাঁত আর বুনতে চাইছেন না তাঁতশিল্পীরাও। বদলে মিক্সড মেটেরিয়ালের হ্যান্ডলুম এখন বাজার দখল করছে। এই শাড়ি বুনতেও কম পরিশ্রম হয়। মাড় দিয়ে পালিশ করার হ্যাপা নেই। রেশম বা জরির সুতোর কাজ করলে দেখতেও জমকালো হয়। আর আছে লিনেনে টেম্পল পাড় শাড়ি। দেখতে খুব সুন্দর। তবে চওড়া পাড় টাঙ্গাইলও নববর্ষের সময় অনেকে কেনেন। তাই এতে বেশ কিছু নতুন নকশা করানো হয়েছে।
মাঠা পাড়, নকশা আঁচল
পিওর ফুলিয়া টাঙ্গাইলের মতো লাবণ্য অন্য কোনও শাড়িতে নেই। বললেন ‘আশা স্টোরস’-এর কর্ণধার অজয় দত্ত। তাই এখনও পুরনো ঐতিহ্যকে ঝেড়ে ফেলতে পারেননি তিনি। নীচের ডানদিকে ছবিতে সৌমিলী পরেছেন এইরকম ঐতিহ্যময় টাঙ্গাইল। তুঁতে নীল আর সবুজের মাঠা ডুরে চওড়া পাড়, জমিনে খড়কে ডুরে আর আঁচলে রেশম ঢাকাই নকশায় ফুটে উঠেছে ফুলেল-লতা। আশা স্টোরসে এই ধরনের পিওর কটন ফুলিয়া টাঙ্গাইলের খুব ভালো স্টক রয়েছে। সুতির ঢাকাইয়ে হাতে বোনা নকশা আর মুগার ধাক্কা পাড় শাড়িও এবারের নতুন সংযোজন। ফুলিয়ায় বর্ষীয়ান তাঁতশিল্পীর তৈরি পদ্ম বুটি হ্যান্ডলুম দেখলেই হাত বাড়াতে মন চাইবে। এতে রংও আছে কুড়িটি। সফট ঢাকাইতেও প্রচুর রঙের কম্বিনেশন ও নতুন ডিজাইন হয়েছে আবার। হ্যান্ডলুমে কটকি স্ট্রাইপ, কটকি আঁচলও নতুনত্বের দাবিদার।
ঢাকাইয়ে
ফুললতা পাড়
বাংলার ঢাকাইয়ের একটা অন্যরকম সৌন্দর্য আছে। বাংলাদেশের জামদানির সঙ্গে মিল থাকলেও কারুকাজের নকশায় এখানকার ঢাকাই আলাদা অনেকটাই। মাঝখানের জল সবুজ রঙের ঢাকাইটি এক্সক্লুসিভ। এটি ‘আরাধনা’ থেকে নেওয়া। কথা হচ্ছিল ‘আরাধনা’র কর্ণধার সপ্তর্ষি সাহার সঙ্গে। সপ্তর্ষি জানালেন, তিনি সবসময় নতুন নকশা তৈরিতে সাহায্য করেন তাঁতশিল্পীদের। এখন তাঁতশিল্পীরাও অনেক আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করতে শিখেছেন। কম্পিউটারে রং আর নকশার কম্বিনেশন করতে পারেন তাঁরা। তাই একটি শাড়ি বুনলে কেমন গেটআপ হবে তা বুঝেই কাজে হাত দিতে পারেন। সুতোর ক্ষেত্রেও এখন নানারকম অপশন আছে। পিওর কটন সুতোর সঙ্গে মিক্সড কটন সুতোর মিশেলে হালকা ওজনের শাড়ি তৈরি করা যাচ্ছে। সৌমিলীর পরনের ঢাকাইটির বুটি এবং বর্ডার দুই-ই অভিনব। এটি আরাধনার নববর্ষ স্পেশাল। এছাড়া মুগার মহাপাড় টাঙ্গাইল, খাদি কটনে ইক্কত পাড়, খাদি কটনে সেলফ চেক, হ্যান্ডলুম মটকায় টেম্পল পাড় এবারের নতুন নকশা।
মসলিনে জমকালো জরি
বসন্তের শেষবেলায় গাঢ় গোলাপির দিকে হাত বাড়াতে চাইলেন সৌমিলী। বললেন, নীল আর গোলাপির এমন মিশেল সচরাচর দেখা যায় না মসলিনে। ওপরের এই শাড়িটি মসলিন ঢাকাই। ‘শ্রীদুর্গা স্টোরস’ থেকে নেওয়া। এখানে মসলিন ঢাকাই, সফট ঢাকাই, রেশম ঢাকাই, হ্যান্ডলুম ঢাকাই ও ঢাকাই টাঙ্গাইলের প্রচুর স্টক পাবেন। ডিজাইনে শুধু নয়, রঙের মিশেলে নতুনত্ব পাবেন প্রতিটি ঢাকাইয়ে।
