উপস্থিত বুদ্ধি ও সময়োচিত সিদ্ধান্তে শত্রুদমন ও কর্মে সাফল্য। ব্যবসায় গোলযোগ। প্রিয়জনের শরীর-স্বাস্থ্যে অবনতি। উচ্চশিক্ষায় ... বিশদ
বৈশাখের মাঝদুপুরে রোদের আগুন গায়ে মেখে স্টুডিওতে পা রাখলেন মিস ইন্ডিয়া আর্থ ২০০২ রেশমী ঘোষ। আমাদের কলকাতার মেয়ে, অত্যন্ত কাছের মানুষ রেশমী। এতগুলো বছর মুম্বইয়ের ফ্যাশন দুনিয়া এবং টেলি-ইন্ডাস্ট্রিতে দাপিয়ে কাজ করেছেন রেশমী। ‘কিঁউ কি শঁাস ভি কভি বহু থি’ মেগা ধারাবাহিক দিয়ে তাঁর অভিনয়ে যাত্রা শুরু হয়েছিল। চল্লিশটিরও বেশি টেলি শো করেছেন, র্যাম্প কাঁপিয়ে ফ্যাশন শো’য়ে হেঁটেছেন একশো’রও বেশি, অ্যাঙ্কারিং করেছেন প্রচুর। সম্প্রতি ‘মাতা কি চৌকি’ ধারাবাহিকটির কাজ শেষ করে এসেছেন কলকাতায়।
ফোটোশ্যুটের ফাঁকে কথা হচ্ছিল রেশমীর সঙ্গে। বললেন, প্রবাসে তো বহু বছর কাটালাম। এবার একটু কলকাতায় থাকতে চাই। বাংলায় কিছু কাজ করতে চাই।
লম্বা ছিপছিপে কৃষ্ণকলিকে হয়তো আমরা খুব শিগগিরই দেখতে পাব কোনও বাংলা ছবিতে বা ধারাবাহিকে।
রেশমীর প্রিয় রং লাল। যতবার মুম্বইতে রেশমীর ফোটো শ্যুট করেছি ততবারই রেশমী আবদার করেছেন ‘একটা লাল শাড়ি চাই কিন্তু’। এবারও তার অন্যথা হয়নি। আমাদের সামার কালেকশন থেকে লাল টুকটুকে কটন বালুচরি শাড়িটি তুলে নিয়ে মুচকি হেসে রেশমীর দুষ্টু মন্তব্য ‘এই শাড়িটা নিশ্চয়ই আমার জন্যে’।
প্রথম শাড়িটি উজ্জ্বল হলুদ রঙের বাংলার তাঁত। সারা জমিতে জরির সরু স্ট্রাইপ। তাঁতে ব্লকপ্রিন্টের সঙ্গে অ্যাপ্লিক সুন্দর মিশিয়েছেন ডিজাইনার। শাড়িটি ‘স্বস্তিকা বুটিক’ থেকে নেওয়া। এখানে সুতির শাড়ির স্টক খুব ভালো। তাঁত, মলমল ও হ্যান্ডলুম শাড়িকে একটু অন্য ধরনের প্রিন্ট, পেন্টিং, অ্যাপ্লিক ও এমব্রয়ডারিতে সাজিয়েছেন ডিজাইনার। অফিস ওয়্যার, পার্টিওয়্যার দুইই পাবেন পছন্দ মতো।
দ্বিতীয় শাড়িটি রেশমীর পছন্দের লাল রঙের কটন বালুচরি। গরমে কোনও উৎসব অনুষ্ঠানে বা নেমন্তন্নে যেতে সিল্ক তসরে হাত বাড়ানোর কথা তো ভাবা যায় না। সেক্ষেত্রে এই ধরনের কটন বালুচরি পরতে পারেন। শাড়িটি ‘সিমায়া’ থেকে নেওয়া। এখানে সামার কালেকশনে কটন এবং সফট সামার সিল্কে প্রচুর নতুন ডিজাইন এসেছে। শুধু লাল, নীল, সবুজ, হলুদই নয়, সোবার আর্থ কালার ও সুইট প্যাস্টেল শেডের সামারি লুক শাড়িও পাবেন। প্রত্যেকটিই উইভিংয়ের জাদুতে অভিনব।
তৃতীয় শাড়িটি কটন হ্যান্ডলুম। তাঁতের আনারকলি ডুরে গঙ্গা-যমুনা পাড়ের শাড়িকে সফট হ্যান্ডলুমে বুনেছেন তাঁতশিল্পী। লাল-কালো চওড়া পাড় শাড়িটিকে গর্জিয়াস লুক দিয়েছে। দিনের বেলার কোনও অনুষ্ঠানে যেতে এমন শাড়ি পরতে পারেন। শাড়িটি ‘সুরুচি বুটিক’ থেকে নেওয়া। ডিজাইনার জানালেন, প্রচণ্ড দাবদাহের দিনে প্রত্যেকেই চান নরম সুতির শাড়ি। তাই এই ধরনের শাড়ি তাঁতশিল্পীদের দিয়ে স্পেশালি তৈরি করিয়েছেন তিনি।
চতুর্থ শাড়িটি মালটি কালার্ড মহাপাড় বাংলাদেশি তাঁত। পাড়ের রঙের সঙ্গে রং মিশিয়ে হ্যান্ড পেন্টিং করা হয়েছে শাড়ির জমিনে। শাড়িটি ‘রিঙ্কু’জ বুটিকের।