Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

হতাশার ভোটে রক্তাক্ত ট্রাম্প!
মৃণালকান্তি দাস

সিক্রেট সার্ভিসের সদস্যরা ঘিরে রেখে তাঁকে মঞ্চ থেকে সরিয়ে নিচ্ছেন, তাঁর মুখের উপর রক্ত গড়িয়ে পড়ছে, এর মধ্যে মুষ্টিবদ্ধ হাত তুলে স্লোগান তোলা অদম্য ট্রাম্পের ছবি শুধু ঐতিহাসিক নয়, মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের গতিপথও উল্টে দিতে পারে। 
রক্তাক্ত ট্রাম্পের মুষ্টিবদ্ধ হাত তোলার ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেছিলেন ছেলে এরিক ট্রাম্প। ছবির ক্যাপশনে লেখা, ‘এই যোদ্ধাকেই আমেরিকার প্রয়োজন।’ আমেরিকার রাজনীতিতে এমন একটি ঘটনা নিয়ে এরই মধ্যে যে লড়াইয়ের সূচনা হয়েছে, তা আগামীতে আরও কুৎসিত রূপ নেবে বলেই ধারণা করা যায়। আর এটাই এই নির্বাচনের প্রচারের ধরন বদলে দেবে। ট্রাম্প নিজেকে একজন ‘ভিকটিম’ হিসেবেই উপস্থাপন করতে চাইবেন, যাতে তাঁর 
প্রতি সহানুভূতি বাড়ে। নিজেকে ‘প্রায়-শহিদ’ হয়ে যাওয়া একজন বলে হাজির করতে চাইবেন। ফলে এই একটা ঘটনায় ডেমোক্র্যাটদের মাথায় যেন আকাশ ভেঙে পড়েছে!
এই হতাশা অবশ্য হঠাৎ করে আসেনি। দিন কয়েক আগে এক সকালবেলা ডেমোক্রেটিক পার্টির এক সোর্সকে মেসেজ পাঠিয়েছিলেন শার্লট। আমেরিকার প্রেসিডেন্ট নির্বাচন নিয়ে কথা বলতে চান। উত্তর এল, ‘Death is better than this।’ মেসেজ দেখে ঘাবড়ে গিয়েছিলেন টাইম ম্যাগাজিনের প্রখ্যাত সাংবাদিক শার্লট অল্টার।
আসলে আমেরিকার বাতাসে কান পাতলেই এখন এই হতাশা আর আশঙ্কার কথা শোনা যাচ্ছে। সর্বত্র আলোচনার বিষয় সেই একই—‘এটা কী ভোট হচ্ছে? আমরা তো আবার একই কাজ করতে চলেছি?’ ভোট দিতে হবে— এই চিন্তায় দেশের মানুষ এখন ভয়ে কাতর। সমীক্ষায় প্রতি ১০ জনে চারজন প্রাপ্তবয়স্ক মার্কিন নাগরিক বলেছেন, এই নির্বাচন হবে ‘ভয়ঙ্কর’। কেউ কেউ আবার বলছেন, এই ভোট ‘ক্লান্তিকর’, ‘হতাশাব্যঞ্জক’, ‘গতানুগতিক’। দলের কর্মীরাও ক্লান্ত। স্বেচ্ছাসেবীরা পা ঘষছেন। পাঠক-শ্রোতা-দর্শকরা আর রাজনৈতিক খবরে আগ্রহ পাচ্ছেন না। জনপ্রিয় টিভি চ্যানেলে রাজনৈতিক খবরের চাহিদায় ভাটা পড়ে গিয়েছে। আসলে সবারই মোহভঙ্গ ঘটেছে। আর এটাই এই নির্বাচনের থিম।
বিভিন্ন সমীক্ষার তথ্য বলছে, ট্রাম্পের কাছে বাইডেন পরাজিত হবেন। ২০২০ সালেও এমন হয়নি। ওই সময় ভোটারদের অংশগ্রহণের হার ছিল সবচেয়ে বেশি। অল্পের জন্যই রক্ষা পেয়েছিলেন বাইডেন। এবার ট্রাম্প রাউন্ড টু-তে খেলতে নেমেছেন। অনুজ্জ্বল জোট, ভোটের ফ্যাকাশে ফল এবং সমর্থকদের মধ্যে গেঁড়ে বসা ধারণা যে, প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব পালনে বাইডেন অনুপযুক্ত। বাইডেন এই ম্যাচে নেমেছেন খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে। লরি গোল্ডম্যান ট্রাম্পকে হারাতে আট বছর ধরে কাজ করছেন। ‘ফেমস অ্যান্ড ডেমস’ এর প্রতিষ্ঠাতা গোল্ডম্যান মিশিগানে ডেমোক্র্যাটদের পক্ষে সদস্য সংগ্রহ, প্রার্থীদের জন্য তহবিল সংগ্রহের কাজ করেছেন। সেই গোল্ডম্যান বলছেন, ‘আমরা আমেরিকার রাজনীতি নামে একটা নিষ্ক্রিয় প্রতিষ্ঠানে আটকা পড়েছি। এই পরিস্থিতির উন্নতির কোনও সুযোগ নেই। এখন নিজেকে প্রশ্ন করি, ‘এত কিছু কেন করেছি? সপ্তাহান্তে এই যে এত এত মানুষকে ফোন করে উদ্বুদ্ধ করার চেষ্টা, স্কুলের পরে তহবিল সংগ্রহ, বৃষ্টি আর বরফ উপেক্ষা করে প্রচার চালানো, সন্তানদের বঞ্চিত করা—কী লাভ হল?’ ট্রাম্পের বিরুদ্ধে আন্দোলন গড়ে তুলতে যাঁরা টাকাপয়সা দিতেন, তাঁরাও এখন আর টাকা খরচ করতে চাইছেন না। হতাশা আর হতাশা!
ইজরায়েল-হামাস যুদ্ধ বাইডেনের নড়বড়ে জোটকে আরও দুর্বল করেছে। তরুণ ও প্রগতিশীল ভোটারদের মনে বাইডেনকে নিয়ে সন্দেহ রয়েছে। অথচ, ২০২০ সালে এই ভোটাররাই ট্রাম্পকে পরাজিত করতেই ভোটকেন্দ্রে গিয়েছিলেন। এখন তাঁরা বলছেন, ডেমোক্র্যাটদের ধারা এমন নয়। রিপাবলিকানরা হয়তো এভাবে চলতে পারে। এসবই ২০১৬ সালের কথা মনে করিয়ে দিচ্ছে। ওই সময় অনলাইনে হিলারি ক্লিনটনকে নিয়ে যা-ই বলা হতো, সঙ্গে সঙ্গে আক্রমণ শুরু হয়ে যেত। জো বাইডেনের অবস্থাও এখন একই।
অবস্থা এমন যে, ভোট বিতর্কের মঞ্চে জো বাইডেন কী বলেছেন, সেটা বড় ব্যাপার ছিল না, তিনি কীভাবে বলেছেন, সেটাই মুখ্য বিষয় হয়ে উঠেছে। তাঁর গলার স্বর ছিল খুব দুর্বল। বারবার তিনি কথার খেই হারিয়ে ফেলেছেন। তিনি কী বিষয়ে কথা বলছেন, তা–ও বারবার ভুলে যাচ্ছিলেন। তাঁকে অতি বার্ধক্যজর্জর দুর্বল মানুষ মনে হয়েছে। ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে প্রথম টিভি বিতর্কে অংশ নেওয়ার পর বাইডেন এমনই বিব্রতকর ও বিপর্যয়কর অবস্থার মুখে পড়েছিলেন। বিতর্কের পর মিত্র ও শত্রু উভয় শিবির থেকে উত্তপ্ত সমালোচনার ঝড় বাইডেনের সাদা চুলের মাথার উপর দিয়ে বয়ে গিয়েছে। ট্রাম্প শিবির বলছে, টিভি বিতর্কে বাইডেনের লক্ষ্য ছিল একটাই। ৮১ বছর বয়সে এসেও তিনি যে দ্বিতীয় মেয়াদে প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব পালনের জন্য শারীরিকভাবে ঠিক আছেন, সেটা প্রমাণ করা। তাতে তিনি সম্পূর্ণ ব্যর্থ। রিপাবলিকানদের এই ধারণায় অনেক আমেরিকানই একমত। তবে বিতর্কে ট্রাম্পের কাছে বাইডেনের ধরাশায়ী হওয়ার বিষয়টি দোদুল্যমান ভোটারদের কতটা প্রভাবিত করবে, তা এখনও স্পষ্ট নয়। অনেকেই বলছেন, বাইডেনকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা থেকে সরিয়ে দেওয়া জরুরি হয়ে পড়েছে। তবে প্রচণ্ড আত্মগৌরবে ভুগতে থাকা একগুঁয়ে বাইডেনকে বসিয়ে দেওয়ার যেকোনও চাপ তিনি প্রতিহত করবেন। তিনি কিছুতেই প্রতিদ্বন্দ্বিতা থেকে সরে দাঁড়াবেন না। এটা তিনি জানিয়েও দিয়েছেন। ডেমোক্র্যাটদের প্রথম সারির নেতারা যে মুখ ফুটে বাইডেনকে সরে দাঁড়াতে বলবেন, সেটিও কারও পক্ষে সম্ভব নয়। আমেরিকার জন্য এটা নিঃসন্দেহে তীব্র নির্বাচনী সঙ্কটের একটি মুহূর্ত। তবে বাইডেন ও ডেমোক্র্যাটদের পুনর্নির্বাচনের আশাকে কবর দেওয়ার আগে বিশ্বের একটু বিরতি নেওয়া ও গভীর শ্বাস নেওয়া উচিত।
ব্রিটিশ দৈনিক ‘দ্য গার্ডিয়ান’-এর কলামিস্ট সাইমন টিসডাল লিখছেন, বিতর্কের গোলমালের মধ্যে ট্রাম্পের নিজের জঘন্য পারফরম্যান্সও ঢাকা পড়ছিল। তাঁকে যতটা না প্রেসিডেন্টের মতো দেখাচ্ছিল, তার চেয়ে বেশি দেখাচ্ছিল শিকারির মতো। তাঁকে যতটা না প্রার্থী মনে হচ্ছিল, তার চেয়ে বেশি ঘৃণ্য উৎপীড়ক মনে হচ্ছিল। তিনি অবলীলায় একের পর এক মিথ্যা বলে গিয়েছেন। তাঁর কাছে সব নীতিই হল কুসংস্কার। মানুষটি যে কত বিপজ্জনক, তার সময়োপযোগী অনুস্মারক হয়ে রইল এই বিতর্ক। ট্রাম্পের আক্রমণ ও আঘাতগুলি বাস্তব-বিবর্জিত ভিত্তিহীন বিশ্বাসের উপর দাঁড়িয়ে ছিল। তিনি দাবি করেন, বাইডেন দুর্নীতিগ্রস্ত এবং চীনের কাছ থেকে তিনি নাকি অর্থ নিয়েছেন। কিন্তু এ কথার সমর্থনে তিনি কোনও প্রমাণ হাজির করেননি। ট্রাম্প বলেছেন, অবৈধ অভিবাসীদের ঢেউ ‘আমাদের নাগরিকদের উপর আছড়ে পড়ছে এবং আমাদের হত্যা করছে’। এই কথাও ভিত্তিহীন ও অযৌক্তিক। ট্রাম্পের সবচেয়ে হাস্যকর বক্তব্য ছিল, বাইডেন নাকি রাশিয়াকে ইউক্রেনে হামলা চালাতে ‘উৎসাহিত’ করেছিলেন। অথচ, সবাই জানেন, ট্রাম্পই ভ্লাদিমির পুতিনের প্রশংসা করে থাকেন। সবাই জানেন, ট্রাম্প পুতিনের মতোই স্বৈরশাসক হতে চান। তিনি ইতিমধ্যে ঘোষণা করেছেন, নির্বাচিত হলে একদিনের জন্য হলেও তিনি ‘ডিক্টেটর’ হবেন। সব রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বীকে তিনি কাঠগড়ায় দাঁড় করাবেন। বাইডেন এই তালিকার বাইরে নন।
২০২০ সালে ট্রাম্প পরাজিত হওয়ার পর উদারপন্থীদের মধ্যে স্বস্তি নেমে এসেছিল। কিন্তু সমীক্ষা বলছে, ট্রাম্পের ফিরে আসা সময়ের অপেক্ষা। ট্রাম্পের ফিরে আসার প্রকৃত বিপদ সম্পর্কে বুঝতে হলে তাঁর হোয়াইট হাউসে থাকাকালীন সবচেয়ে বেশি সময় ধরে তাঁর চিফ অব স্টাফের দায়িত্ব পালন করা জন কেলির সাক্ষ্য তুলে ধরা যেতে পারে। কেলি তাঁর প্রাক্তন বস ট্রাম্প সম্পর্কে বলেছেন, ‘আমেরিকা কীসের উপর ভিত্তি করে দাঁড়িয়ে রয়েছে, সেই সম্পর্কে তাঁর কোনও ধারণাই নেই। তিনি স্বৈরাচারী ও খুনি স্বৈরশাসকদের প্রশংসা করেন এবং আমাদের গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠান, আমাদের সংবিধান ও আইনের শাসনের প্রতি তাঁর অবজ্ঞা ছাড়া আর কিছুই নেই।’
সেই ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে প্রথম বিতর্কে ব্যর্থ হওয়ার পর জো বাইডেনকে মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর দাবি ক্রমে জোরালো হচ্ছে। প্রথমে সেই দাবি তুলেছিলেন ডেমোক্র্যাটিক প্রচারকরা, তারপর ডেমোক্র্যাটিক সমর্থক কলাম লেখকেরা। এখন দলের নির্বাচিত প্রতিনিধিরাও আওয়াজ তোলা শুরু করেছেন। বাইডেনের সম্ভাব্য বিকল্প হিসেবে একাধিক প্রার্থীর নাম শোনা যাচ্ছে। এর অধিকাংশই কোনও না কোনও অঙ্গরাজ্যের ডেমোক্র্যাটিক গভর্নর। যেমন, ক্যালিফোর্নিয়ার গেভিন ন্যুসাম ও মিশিগানের গ্রেচেন হুইটমার। এমনকী মিশেল ওবামার নামও শোনা যাচ্ছে। তালিকায় ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিসের নামও। সমীক্ষা অনুযায়ী, এই মুহূর্তে ট্রাম্প বাইডেনের তুলনায় ৬ পয়েন্টে এগিয়ে (৪৯:৪৩)। ব্যাটলগ্রাউন্ড হিসেবে পরিচিত গুরুত্বপূর্ণ সাতটি অঙ্গরাজ্যের পাঁচটিতেই তিনি বাইডেনের তুলনায় ৫ থেকে ১২ পয়েন্ট এগিয়ে। অন্যদিকে ট্রাম্প ও কমলার মুখোমুখি লড়াইয়ে তাঁদের ব্যবধান মাত্র ২ শতাংশ (ট্রাম্প ৪৭, কমলা ৪৫)। নিউ ইয়র্ক টাইমস লিখেছে, নিজের ‘ইগো’কে প্রাধান্য না দিয়ে বাইডেন দেশের গণতান্ত্রিক ভবিষ্যৎ বিবেচনায় রেখে সরে দাঁড়াবেন— সেটাই কাম্য। ডেমোক্র্যাটরাও আশা করছেন, বালিতে মাথা গুঁজে না রেখে তিনি দেওয়ালের লিখন পড়বেন।
বাইডেনকে এগিয়ে আসতে হলে নভেম্বরের মধ্যে ছোটখাটো কোনও অলৌকিক ঘটনা ঘটাতে হবে। 
তবে এটা স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে, বাইডেনের বিকল্প ‘ভয়ঙ্কর’। এক মার্কিন নাগরিক যেমন বলেছেন, ভোটারদের এখন একজন বৃদ্ধ ও একজন বাটপার— এই দু’জনের মধ্যেই একজনকে বেছে নিতে হবে। এটাই ভয়ঙ্কর!
18th  July, 2024
রাজ্যপালের কাছে রাজ্যবাসীর আশা রাখা অন্যায়?
শান্তনু দত্তগুপ্ত

রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোসের মাসিক বেতন কত? সাড়ে তিন লক্ষ টাকা। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির থেকেও বেশি। তাও তিনি রাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে উপাচার্য নিয়োগে গা করেন না। সুপ্রিম কোর্ট বারবার নির্দেশ দিলেও কিছুতে নাকি বাংলার প্রশাসনিক প্রধানের সঙ্গে তাঁর মত মেলে না। 
বিশদ

নির্মলার বাজেট এবারও কি হতাশ করবে?
পি চিদম্বরম

অর্থনীতির অন্য শুভাকাঙ্ক্ষীদের মতো, আমিও বার্ষিক কেন্দ্রীয় বাজেটের প্রাক্কালে সবসময় পড়াশোনার পাশাপাশি মতামত দিই এবং লেখালিখিও করি। তবে, বেশিরভাগ বাজেটের দিনেই সংসদ ভবন ছেড়ে আসতে হয় একরাশ হতাশা নিয়েই। বিশদ

22nd  July, 2024
আবেগের নাম ২১ জুলাই
হিমাংশু সিংহ

একুশে জুলাইয়ের বয়স তৃণমূলের চেয়ে পাঁচ বছর বেশি। কিন্তু বয়সে কী আসে যায়। দেখতে দেখতে স্বাধীনতা-উত্তর বাংলায় রাজনীতির প্রধান চালিকাশক্তিতে পরিণত আজকের শহিদ দিবসটি। ২১ জুলাই শুনলেই সুন্দরবন থেকে পাহাড়, কাকদ্বীপ থেকে কোচবিহারের মানুষ আছড়ে পড়ে কলকাতার রাজপথে। বিশদ

21st  July, 2024
২১ জুলাই এবার অনেক নেতারও ‘শহিদ দিবস’
তন্ময় মল্লিক

‘লোকসভা নির্বাচনে কম আসন পেলেও রাজ্যে ৬৯টি পুরসভায় আমরা এগিয়ে।’ কথাগুলি বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের। নির্বাচনে ভরাডুবির পর হতোদ্যম দলীয় কর্মী-সমর্থকদের চাঙ্গা করতে গেলে হতাশার গাদা থেকে খুঁজে বের করতে হয় সাফল্যের ছুঁচ। বিশদ

20th  July, 2024
ট্রাম্প টার্গেট: কিশোর মন বোঝা জরুরি
সমৃদ্ধ দত্ত

আমেরিকার ২০ বছরের এক তরুণের মনের হদিশ এতদিন ধরে কিন্তু কেউ পায়নি। তার স্কুলের প্রাক্তন সহপাঠী, প্রতিবেশী, অভিভাবক সকলেই প্রবল বিস্মিত। এরকম কাজ এই ছেলেটি কীভাবে করতে পারে? আজ পেনসিলভেনিয়ার এক কান্ট্রিসাইডে ঘটে যাওয়া ওই রোমহর্ষক ঘটনা নিয়ে উত্তেজনাপূর্ণ আলোচনা অনেক দূরে আমাদের ঘরে ঘরেও হয়তো হচ্ছে।
বিশদ

19th  July, 2024
সংবিধান প্রীতির সংসদীয় প্রতিযোগিতা
হারাধন চৌধুরী

বিখ্যাত রাষ্ট্রবিজ্ঞানী, হিউম্যারিস্ট স্টিফেন লিকক বলেছিলেন, প্রবাদগুলো নতুন করে লেখা উচিত। কারণ এগুলো প্রাসঙ্গিকতা হারিয়েছে। এমনকী, কিছু প্রবাদ সাম্প্রতিক বাস্তবের বিপরীত ব্যাখ্যাই বহন করছে বিশদ

17th  July, 2024
উপ নির্বাচন ও কিছু মিলে যাওয়া অঙ্ক
শান্তনু দত্তগুপ্ত

দ্রবণকে ব্যাখ্যা করতে গেলে তিনটি ধরন পাওয়া যায়—অসমপৃক্ত, সম্পৃক্ত, আর অতিপৃক্ত। নিছক স্কুলজীবনের বৈজ্ঞানিক শিক্ষা। কিন্তু অবলীলায় একে দৈনন্দিন জীবন, সমাজ এবং রাজনীতিতে চালিয়ে দেওয়া যায়। অতিপৃক্ত শব্দটিকে জীবনের সঙ্গে খাপ খাওয়ালে বলা যেতেই পারে, জল গলার উপর উঠে গিয়েছে।
  বিশদ

16th  July, 2024
নয়া তিন আইন নিয়ে প্রশ্নের উত্তর দেবেন কে?
পি চিদম্বরম

একটি বিতর্কের পরে যেখানে বিরোধীরা সংসদের উভয় কক্ষ (সঙ্গত কারণে) বয়কট করল, সেখানেই ভারতীয় দণ্ডবিধি, ১৮৬০, ফৌজদারি কার্যবিধি, ১৯৭৩ এবং ভারতীয় সাক্ষ্য আইন, ১৮৭২ প্রতিস্থাপন (এবং পুনঃপ্রণয়ন) করার জন্য তিনটি বিল পাস করা হল।
বিশদ

15th  July, 2024
বাজেটের আগে মোদি মস্কোয় কেন?
হিমাংশু সিংহ

কথায় কথায় বলেন, নেহরু যুগের সব খারাপ। সেই কারণে দেরি না করে দ্রুত কংগ্রেস জমানার যাবতীয় নিশান মুছে ফেলাই যে তাঁর অগ্রাধিকার, তা বারে বারে বুঝিয়ে দিয়েছেন। অথচ তৃতীয়বার প্রধানমন্ত্রী পদে শপথ নেওয়ার একমাসের মধ্যে নেহরু-ইন্দিরা যুগের বিদেশ নীতির পদাঙ্ক অনুসরণ করেই হইচই ফেলে দিলেন তিনি, নরেন্দ্র মোদি।
বিশদ

14th  July, 2024
মতুয়া ভোটের লোভেই কি শান্তনুর সাত খুন মাফ!
তন্ময় মল্লিক

কেন্দ্রীয় মন্ত্রী শান্তনু ঠাকুরের বিরুদ্ধে বিজেপি নেতৃত্ব বা নরেন্দ্র মোদির সরকার কি কোনও ব্যবস্থা নেবে? দ্বিতীয়বার মন্ত্রী হওয়ার এক মাসের মধ্যেই কেন এই প্রশ্ন? কারণ তাঁর বিরুদ্ধে উঠেছে গোমাংস পাচারে মদতের গুরুতর অভিযোগ। সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্তাকে তাঁর লেখা সুপারিশপত্র নিয়ে বিজেপির অন্দরে ব্যাপক জলঘোলা হচ্ছে।
বিশদ

13th  July, 2024
ট্যাক্স সন্ত্রাস: জনতার কষ্টার্জিত অর্থ যায় কোথায়?
সমৃদ্ধ দত্ত

আমরা বেতন, ব্যবসা অথবা স্বাভাবিক পেশার বাইরে কোনও অতিরিক্ত কাজ করে কিছু বেশি রোজগার করলাম। সেই টাকার একাংশ সরকার ট্যাক্স নেবে। ট্যাক্স কেটে নেওয়ার পর যে টাকা বেঁচে থাকবে, সেটা পুরোটাই তো আমাদের জীবনযাপনের জন্য থাকার কথা। বিশদ

12th  July, 2024
মমতার জলযুদ্ধ!
মৃণালকান্তি দাস

সাহিত্যিক সমরেশ মজুমদারের ‘সাতকাহন’ উপন্যাসের নায়িকা ছিলেন দীপাবলি। যাঁকে উত্তরবঙ্গের চা-বাগান থেকে বহুবার সকরিকলি মনিহারি ঘাট হয়ে স্টিমারে গঙ্গা পেরিয়ে কলকাতা আসতে হতো। কলকাতা এবং উত্তরবঙ্গের যোগসূত্র তখন অর্ধেক পথ ট্রেনে, তারপরে স্টিমারে গঙ্গা পেরিয়ে আবার অন্যপাড়ে দাঁড়িয়ে থাকা ট্রেন। বিশদ

11th  July, 2024
একনজরে
দুবাই পুলিস গ্রেপ্তার করেছে পাক সঙ্গীতশিল্পী রাহাত ফতে আলি খানকে। সোমবার পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যমে এমনই খবর ছড়িয়ে পড়েছিল। ...

সোমবার থেকে সংসদে বাজেট অধিবেশন শুরু হয়েছে। অধিবেশনের প্রথম দিনেই বাগনান থেকে শ্যামপুর পর্যন্ত রেললাইন চালুর দাবি জানালেন উলুবেড়িয়ার সাংসদ সাজদা আহমেদ। ...

আলু নিয়ে ব্যবসায়ীদের ফাটকাবাজি বন্ধ করতে এবার পদক্ষেপ নিল রাজ্য। চাষিদের থেকে আলু কিনে তা ন্যায্যমূল্যে স্বনির্ভর গোষ্ঠীগুলিকে দিয়ে বিক্রির সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য সরকার। ...

বাংলাদেশের অশান্তির প্রভাব পড়েছে এপারের বাণিজ্যে। ওপারে সৃষ্টি হওয়া অচলাবস্থার জেরে মালদহের ব্যবসায়ীরা ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছেন। গত এক সপ্তাহ ধরেই পণ্য পরিবহণে বিঘ্ন ঘটছিল। রবি ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

পারিবারিক সম্পত্তি সংক্রান্ত আইনি কর্মে ব্যস্ততা। ব্যবসা সম্প্রসারণে অতিরিক্ত অর্থ বিনিয়োগের পরিকল্পনা। ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৮২৯- আমেরিকাতে টাইপরাইটারের পূর্বসুরী টাইপোগ্রাফার পেটেন্ট করেন উইলিয়াম অস্টিন বার্ড
১৮৪৩ - সাহিত্যিক, সাংবাদিক ও বাগ্মী রায়বাহাদুর কালীপ্রসন্ন ঘোষের জন্ম
১৮৫৬- স্বাধীনতা সংগ্রামী বাল গঙ্গাধর তিলকের জন্ম
১৮৮১ - আন্তর্জাতিক ক্রীড়া সংস্থাগুলির মধ্যে সবচেয়ে পুরাতন আন্তর্জাতিক জিমন্যাস্টিক ফেডারেশন প্রতিষ্ঠিত 
১৮৯৩ - কলকাতায় বঙ্গীয় সাহিত্য পরিষদ পূর্বতন বেঙ্গল একাডেমি অব লিটারেচার স্থাপিত
১৮৯৫- চিত্রশিল্পী মুকুল দের জন্ম
১৮৯৮ - বিশিষ্ট বাঙালি কথাসাহিত্যিক তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায়ের জন্ম
১৯০৬ - চন্দ্রশেখর আজাদ, ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনের বিপ্লবী
১৯২৭ - সালের এই দিনে ইন্ডিয়ান ব্রডকাস্টিং কোম্পানি বোম্বাইয়ে ভারতের প্রথম বেতার সম্প্রচার শুরু করে
১৯৩৩ - ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনের সশস্ত্র বিপ্লবী ও আইনজীবী যতীন্দ্রমোহন সেনগুপ্তের মৃত্যু
১৯৩৪ – পশ্চিমবঙ্গের প্রাক্তন রাজ্যপাল এম কে নারায়ণনের জন্ম
১৯৪৭ – বলিউড অভিনেতা মোহন আগাসের জন্ম
১৯৪৭ – বিশিষ্ট বেহালা বাদক এল সুব্রহ্মণমের জন্ম
১৯৪৯ -  দক্ষিণ আফ্রিকান ক্রিকেটার ক্লাইভ রাইসের জন্ম
১৯৫৩ - ইংল্যান্ডের প্রাক্তন ক্রিকেটার গ্রাহাম গুচের জন্ম
১৯৭৩ – সঙ্গীত পরিচালক তথা সঙ্গীত শিল্পী হিমেশ রেশমিয়ার জন্ম
১৯৯৫- হেল-বপ ধূমকেতু আবিস্কার হয়, পরের বছরের গোড়ায় সেটি খালি চোখে দৃশ্যমান হয়
২০০৪- অভিনেতা মেহমুদের মৃত্যু
২০১২- আই এন এ’ যোদ্ধা লক্ষ্মী সায়গলের মৃত্যু
২০১৮ - মঞ্চ ও চলচ্চিত্রাভিনেত্রী বাসবী নন্দীর মৃত্যু



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮২.৮৫ টাকা ৮৪.৫৯ টাকা
পাউন্ড ১০৬.৪৩ টাকা ১০৯.৯৫ টাকা
ইউরো ৮৯.৬৩ টাকা ৯২.৭৮ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৭৩,৭৫০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৭৪,১৫০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৭০,৫০০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৮৮,৯০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৮৯,০০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

৭ শ্রাবণ, ১৪৩১, মঙ্গলবার, ২৩ জুলাই, ২০২৪। দ্বিতীয়া ১৩/১০ দিবা ১০/২৪। ধনিষ্ঠা নক্ষত্র ৩৭/৫৫ রাত্রি ৮/১৮। সূর্যোদয় ৫/৮/০, সূর্যাস্ত ৬/১৭/৫৯। অমৃতযোগ দিবা ৭/৪৬ গতে ১০/২৪ মধ্যে পুনঃ ১/২ গতে ২/৪৮ মধ্যে পুনঃ ৩/৪০ গতে ৫/২৬ মধ্যে। রাত্রি ৭/১ মধ্যে পুনঃ ৯/১১ গতে ১১/২১ মধ্যে পুনঃ ১/৩১ গতে ২/৫৮ মধ্যে। বারবেলা ৬/৪৭ গতে ৮/২৫ মধ্যে পুনঃ ১/২২ গতে ৩/১ ম঩ধ্যে। কালরাত্রি ৭/৩৯ গতে ৯/০ মধ্যে। 
৭ শ্রাবণ, ১৪৩১, মঙ্গলবার, ২৩ জুলাই, ২০২৪। দ্বিতীয়া দিবা ১২/৪৭। ধনিষ্ঠা নক্ষত্র রাত্রি ১১/৪২। সূর্যোদয় ৫/৬, সূর্যাস্ত ৬/২১। অমৃতযোগ দিবা ৭/৫০ গতে ১০/২৪ মধ্যে ও ১২/৫৮ গতে ২/৪১ মধ্যে ও ৩/৩২ গতে ৫/১৫ মধ্যে এবং রাত্রি ৬/৫১ মধ্যে ও ৯/৫ গতে ১১/১৯ মধ্যে ও ১/৩৩ গতে ৩/২ মধ্যে। বারবেলা ৬/৪৬ গতে ৮/২৫ মধ্যে ও ১/২৩ গতে ৩/৩ মধ্যে। কালরাত্রি ৭/৪২ গতে ৯/৩ মধ্যে।
১৬ মহরম।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
নিট-ইউজি প্রশ্নপত্র ফাঁস মামলা: পুনরায় পরীক্ষার নির্দেশ দিল না সুপ্রিম কোর্ট

05:18:38 PM

কলকাতা লিগ: ক্যালকাটা পুলিস ক্লাব ও মোহন বাগানের ম্যাচ ড্র, স্কোর ১-১

05:10:49 PM

বক্তব্য শেষ করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়

05:02:23 PM

১৫ অক্টোবর দুর্গাপুজোর কার্নিভ্যাল: মমতা

04:58:39 PM

আগামী বছরে পুজো কমিটিগুলিকে ১ লক্ষ টাকা করে আর্থিক অনুদান দেওয়া হবে, ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রীর

04:58:18 PM

চলতি বছরে পুজো কমিটিগুলিকে ৮৫ হাজার টাকা আর্থিক অনুদান, ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রীর

04:56:43 PM