Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

মমতার জলযুদ্ধ!
মৃণালকান্তি দাস

সাহিত্যিক সমরেশ মজুমদারের ‘সাতকাহন’ উপন্যাসের নায়িকা ছিলেন দীপাবলি। যাঁকে উত্তরবঙ্গের চা-বাগান থেকে বহুবার সকরিকলি মনিহারি ঘাট হয়ে স্টিমারে গঙ্গা পেরিয়ে কলকাতা আসতে হতো। কলকাতা এবং উত্তরবঙ্গের যোগসূত্র তখন অর্ধেক পথ ট্রেনে, তারপরে স্টিমারে গঙ্গা পেরিয়ে আবার অন্যপাড়ে দাঁড়িয়ে থাকা ট্রেন।
সমরেশ মজুমদার নিজেই উত্তরবঙ্গের চা-বাগান অঞ্চলের মানুষ। তাই তাঁরও বাবা-মায়ের সঙ্গে প্রথমবার কলকাতায় আসা, ওই নর্থ বেঙ্গল এক্সপ্রেস ধরে অর্ধেক পথ এসে তারপরে স্টিমারে গঙ্গা পেরিয়ে বাকি অর্ধেক পথ ট্রেনে চেপে। সমরেশ মজুমদার যখন কিশোর বয়সে কলকাতায় আসার জন্য দ্বিতীয়বার গঙ্গা পেরিয়েছিলেন, ততদিনে অবশ্য ফরাক্কা বাঁধের পরিকল্পনা শুরু হয়ে গিয়েছে। অন্যদিকে, পশ্চিমবঙ্গ সরকারের সেচ দপ্তরের এক ইঞ্জিনিয়ার কপিল ভট্টাচার্য নিজের উদ্যোগে তৈরি করে ফেলেছেন একটি গ্রাউন্ড রিপোর্ট। যে রিপোর্টের ছত্রে ছত্রে বলা হয়েছিল, কেন ওই ফরাক্কা বাঁধ ক্ষতিকারক হবে। সেদিন কেউ পাত্তা দেয়নি সেচদপ্তরের সেই ইঞ্জিনিয়ারের কথা। সেই পঞ্চাশের দশকে ফরাক্কায় বাঁধ দিলে কী কী ক্ষতি হতে পারে বলে কপিল ভট্টাচার্য যা যা ভবিষ্যদ্বাণী করে গিয়েছিলেন, প্রায় তিন-চার দশক পরে আমাদের বাস্তব অভিজ্ঞতার সঙ্গে সেসব একদম মিলে গিয়েছে।
মালদহ জেলায় ৮০ কিলোমিটার এলাকা দিয়ে বয়েছে গঙ্গা। ফরাক্কা বাঁধ চালু হওয়ার পর উজান এবং ভাটিতে শুরু হয় নদী ভাঙন। গত দু’ দশকে ভাঙনে ২৯টি মৌজা সহ বেশ কয়েক হাজার বিঘা জমি গঙ্গায় তলিয়ে গিয়েছে। বিলুপ্ত একটি গোটা গ্রাম পঞ্চায়েত—কেবি ঝাউবোনা। পঞ্চাশের দশকে কপিল ভট্টাচার্যের সন্দেহ ছিল, ব্যারেজ ডিজাইনে যে মাত্র ২৭ লক্ষ কিউসেক জল ধরা হয়েছে, তা ব্যারেজের এবং দু’পাশের বাঁধের জন্য ব্যয় কম দেখানোর জন্য। বাস্তবক্ষেত্রে বন্যার ফলে বামকূলের বাঁধ ঘুরে গঙ্গা মনিহারি, কাটিহার, মালদহের বিস্তীর্ণ জনপদ ধ্বংস করে দিতে পারে। প্রকৃতপক্ষে সেটাই হয়েছে। মালদহ জেলার বহু গ্রাম নদীগর্ভে চলে গিয়েছে। ফরাক্কা ব্যারেজ নির্মাণের পক্ষে কলকাতা বন্দরের নাব্যতা বৃদ্ধি হবে বলে যে যুক্তি দেওয়া হতো, তাও মানতে চাননি কপিল ভট্টাচার্য। তিনি সেই পঞ্চাশের দশকেই প্রশ্ন তুলেছিলেন, ফরাক্কায় ব্যারেজ বেঁধে ও ভাগীরথীকে গঙ্গার সঙ্গে একটা নতুন খালের সাহায্যে সংযুক্ত করে দিয়েই ভাগীরথীর স্বাভাবিক মজে যাওয়া আটকানো যাবে কেন? এই প্রশ্নের কোনও উত্তর কেউ দিতে পারেননি। যেসব স্বাভাবিক কারণে ভাগীরথীর উৎস মজে গিয়েছে ও গঙ্গার সঙ্গে তার সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছে, সেই সব স্বাভাবিক কারণের কোনও প্রতিকারই ফরাক্কা ব্যারেজ করতে পারবে না। সুতরাং এই পন্থায় ভাগীরথীর নাব্যতা পুনরুজ্জীবিত করে কোনও লাভ নেই।
ফরাক্কা ব্যারেজের বিরোধিতা করতে গিয়ে কপিল ভট্টাচার্য তিস্তা সহ যে সব নদী উত্তর-পূর্ব হিমালয় থেকে নেমে এসেছে, সে ব্যাপারেও লিখেছিলেন। তাঁর যুক্তি ছিল, ‘ভারতের উত্তর-পূর্ব অঞ্চলে অর্থাৎ উত্তর বিহার ও অসমের হিমালয়-নির্গত নদীগুলি দুর্দান্ত। কুশি, মহানন্দা, তিস্তা প্রভৃতি নদী কোন বছরের বন্যায় কত জল বহন করে, এতে কোন খাত দিয়ে নামবে বলা দুঃসাধ্য। হিমালয়ের এই অংশে কখনও কখনও ২-৪ ঘণ্টার মধ্যে এত বেশি বৃষ্টিপাত হয় যে, তা চিন্তারও অতীত। এই সব নদী দিয়ে হঠাৎ সেই জল নেমে এসে প্লাবনের বিপর্যয় ঘটায়। সুতরাং এইসব নদীর সম্যক পর্যবেক্ষণ করে তাদের নিয়ন্ত্রণ না হওয়া পর্যন্ত ফরাক্কায় গঙ্গা-ব্যারেজ নির্মাণে বিপুল অর্থব্যয় অত্যন্ত হঠকারী কাজ হবে।’ এটাই ছিল তাঁর ফরাক্কা বাঁধের বিরুদ্ধে জোরালো যুক্তি। ২০২৩ সালের অক্টোবর অতিবৃষ্টির কারণে তিস্তা নদীর লোনক হ্রদ ভেঙে যে হঠাৎ বন্যা আছড়ে পড়েছিল, সেই ঘটনাও বিশেষজ্ঞদের মনে করিয়ে দিয়েছিল কপিল ভট্টাচার্যের কথাগুলি। আবার, কলকাতা বন্দরের নাব্যতা বৃদ্ধির যে যুক্তি কপিল ভট্টাচার্য খণ্ডন করেছিলেন, সেটাও যে সত্য, তা প্রমাণিত হতে বেশি দেরি হয়নি। তাই কলকাতা বন্দরে এখনও বড় জাহাজ ঢুকতে পারে না। ফলে হলদিয়াতে গড়তে হয়েছিল আরও একটি বন্দর। অথচ, কোনও এক বহুল প্রচারিত বাংলা সংবাদপত্র নাকি তাঁকে দাগিয়ে দিয়েছিল ‘পাকিস্তানের চর’ বলে।
আজ এই ফরাক্কা ব্যারেজই যাবতীয় সমস্যার কেন্দ্রবিন্দু! গঙ্গার জল বণ্টন নিয়ে ১৯৯৬ সালে ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে চুক্তি হয়েছিল। সেই চুক্তির মেয়াদ শেষ হওয়ার কথা ২০২৬ সালের ১২ ডিসেম্বর। এই আবহে সম্প্রতি নয়াদিল্লিতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মধ্যে একটি বৈঠক হয়েছে। সেখানে ‘ফরাক্কা-গঙ্গা জলবণ্টন চুক্তি’ নবীকরণের জন্য ‘যৌথ কারিগরি কমিটি’ তৈরি করা হয়েছে। কার্যত এই পদক্ষেপে দু’দেশের জলবণ্টন চুক্তি নবীকরণের প্রক্রিয়া শুরু হল বলে অনেকে মনে করছেন। আর তাতেই আপত্তি জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বলেছেন, ‘এই পদক্ষেপ আসলে বাংলাকে ভাতে মারার চক্রান্ত। রাজ্য সরকারকে এড়িয়েই এই পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে। বাংলার বুকে বাংলাকে এড়িয়ে এবং বাংলার স্বার্থ বিঘ্নিত হয় এমন কোনও কাজ করা সহজ নয়। বাংলার জল না জানিয়ে বিক্রি করে দিয়েছে। বাংলার জল বিক্রি মানে আগামী দিনে গঙ্গার ভাঙন আরও বাড়বে, বাড়িঘর ভেঙে জলের তলায় চলে যাবে। ফরাক্কার জল নিয়ে ১৯৯৬ সাল থেকে ভুগছি আমরা। যে অর্থ দেওয়ার কথা ছিল তা দেয়নি। গত দু’তিন দশকে ব্যারেজের আশপাশে পলি জমে নদীর নাব্যতা কমে চর গজিয়েছে। ড্রেজিং করেনি। ফলে কলকাতা বন্দর নষ্ট হচ্ছে। লাখ লাখ মানুষের জীবন জীবিকা জলের তলায় চলে যাচ্ছে। অথচ, সিকিমে ১৪টা হাইড্রেল পাওয়ার স্টেশন হয়েছে। সিকিম সব জল আটকে দিয়েছে। তখন কেন কিছু বলেনি। আমার জল দিতে আপত্তি নেই। কিন্তু, থাকলে তো দেব। আমি বন্ধুত্ব করতে চাই। কিন্তু, বাংলাকে বিক্রি করে দেওয়ার স্বার্থে নয়।’ জল চুক্তির সময় মুর্শিদাবাদ জেলায় ভাঙনে ক্ষতিগ্রস্তদের পুনর্বাসনে রাজ্য সরকারকে ৭০ হাজার কোটি টাকা দেওয়ার কথা ছিল কেন্দ্রের। তার কানাকড়িও তারা দেয়নি।
তথ্য বলছে, ফরাক্কা ব্যারেজে ১৯৪৯ থেকে ১৯৮৮ সাল পর্যন্ত গঙ্গায় গড় জলপ্রবাহ ছিল ১,০৭,৫১৬ কিউসেক। প্রতি বার শুখা মরশুমে কমত জলপ্রবাহ। এপ্রিল মাসের শেষে জলপ্রবাহ কমে দাঁড়াত ৬০,৯৯২ কিউসেকে। ফরাক্কার মূল ব্যারেজ থেকে জল ধুলিয়ান, সুতি, জঙ্গিপুর, লালগোলা হয়ে ঢোকে বাংলাদেশে। ফরাক্কা ব্যারেজের পাশ দিয়ে একটি খাল কেটে তার মাধ্যমে ৩৮ কিমি দূরে জঙ্গিপুরে গঙ্গার জল নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। ১৯৪৯ থেকে ১৯৮৮ সালের ওই জলপ্রবাহ ধরে ১৯৯৬ সালে বণ্টন চুক্তি হয়েছিল। তারপর কেটে গিয়েছে চার দশক। অভিযোগ, গত চার দশকে প্রতি বছর প্রায় ৮০ কোটি টন পলি ভেসে ফরাক্কা ব্যারেজের আশপাশে জমছে। তাতে ফরাক্কা ব্যারেজের জলধারণ ক্ষমতা অনেক কমেছে। আসল সমস্যা ব্যারেজের ড্রেজিং। কেন্দ্র এর জন্য একটা টাকাও খরচ করে না।
জলবণ্টন চুক্তি মোতাবেক, জানুয়ারি ও ফেব্রুয়ারি মাসে প্রতিদিন ৪০ হাজার কিউসেক করে জল পায় ভারত। ফরাক্কা ব্যারেজ থেকে ফিডার ক্যানাল হয়ে কলকাতা বন্দরে যায় সেই জল। অবশিষ্ট জল মূল ব্যারেজ হয়ে যায় বাংলাদেশে। তবে মার্চ-এপ্রিলে নদীতে জল কমতে শুরু করলে সমস্যা বাড়ে। চুক্তি অনুযায়ী, মার্চ মাসে ২০ দিন বাংলাদেশে ৩৫ হাজার কিউসেক করে জল যায়। পরবর্তী ১০ দিন ভারত পায় একই পরিমাণ জল। এপ্রিলে উল্টো। ওই মাসে ভারত ২০ দিন পায় ৩৫ হাজার কিউসেক জল। বাংলাদেশ শেষ ১০ দিন পায় একই পরিমাণ জল। বাকি সময় নদীতে যে জলপ্রবাহ থাকবে, তা পাবে দু’দেশই। জানা গিয়েছে, ২০১৬ সালে জল বণ্টন চুক্তির ফলে ফিডার ক্যানালে জলপ্রবাহ অনেক কমে গিয়েছিল। সেই সময় পাশের এনটিপিসি-তে ২,১০০ মেগাওয়াটের ৬টি বিদ্যুৎ ইউনিট জলাভাবে বন্ধ করে দিতে হয়েছিল। ওই ঘটনা থেকে শিক্ষা নিয়ে বর্তমানে এনটিপিসি নিজেরা আলাদা ইনটেক ক্যানাল তৈরি করে জল আগে থেকে ধরে রাখার ব্যবস্থা করেছে। অন্য দিকে, মূল ব্যারেজের জলপ্রবাহ তলানিতে ঠেকার ফলে গঙ্গা এবং পদ্মা জুড়ে গ্রীষ্মকালে প্রচুর চর গজিয়ে উঠেছে। গঙ্গার জল সরবরাহের উপর নির্ভরশীল বহু এলাকার বাসিন্দাও ওই সময় তীব্র জলকষ্টে ভোগেন। আবার প্রতি বছর ৩১ মে চুক্তি শেষ হতেই ব্যারেজে আছড়ে পড়ে জলস্রোত। সেই জলের তোড়ে ধুলিয়ান, সুতি, জঙ্গিপুর, লালগোলার বহু গ্রাম ভাঙনের কবলে পড়ে।
শুধু তাই-ই নয়, প্রায় আট বছর আগে ফরাক্কা ব্যারেজ থেকে ঠিক ২০০ কিলোমিটার দক্ষিণে পাংশায় পদ্মা নদীর উপর হাসিনা সরকার বাঁধ নির্মাণে উদ্যোগী হওয়ায় আপত্তি তুলেছিল পশ্চিমবঙ্গ সরকার। দু’দেশের উপর দিয়ে প্রবাহিত জলঙ্গি এবং মাথাভাঙা নদী ইতিমধ্যেই পদ্মার সঙ্গে সংযোগ হারিয়ে ফেলেছে বলে জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। বলেছেন, ‘এর ফলে সুন্দরবনে মিষ্টি জলের প্রবাহ ব্যাহত হয়েছে।’ তাঁর অভিযোগ, চীনকে দিয়ে ড্যাম (জলাধার) বানিয়েছে বাংলাদেশ। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সাফ কথা, জল অত্যন্ত মূল্যবান। প্রাণধারণের রসদ নিয়ে কোনও সমঝোতা করতে আমরা প্রস্তুত নই। অতএব, লড়াই-আন্দোলন একমাত্র পথ।
বাংলার মানুষ জানতে চায়, মমতার জলযুদ্ধে বঙ্গ বিজেপির খগেন মুর্মুরা কোন দিকে— পশ্চিমবঙ্গ নাকি বাংলাদেশ?
11th  July, 2024
রাজ্যপালের কাছে রাজ্যবাসীর আশা রাখা অন্যায়?
শান্তনু দত্তগুপ্ত

রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোসের মাসিক বেতন কত? সাড়ে তিন লক্ষ টাকা। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির থেকেও বেশি। তাও তিনি রাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে উপাচার্য নিয়োগে গা করেন না। সুপ্রিম কোর্ট বারবার নির্দেশ দিলেও কিছুতে নাকি বাংলার প্রশাসনিক প্রধানের সঙ্গে তাঁর মত মেলে না। 
বিশদ

নির্মলার বাজেট এবারও কি হতাশ করবে?
পি চিদম্বরম

অর্থনীতির অন্য শুভাকাঙ্ক্ষীদের মতো, আমিও বার্ষিক কেন্দ্রীয় বাজেটের প্রাক্কালে সবসময় পড়াশোনার পাশাপাশি মতামত দিই এবং লেখালিখিও করি। তবে, বেশিরভাগ বাজেটের দিনেই সংসদ ভবন ছেড়ে আসতে হয় একরাশ হতাশা নিয়েই। বিশদ

22nd  July, 2024
আবেগের নাম ২১ জুলাই
হিমাংশু সিংহ

একুশে জুলাইয়ের বয়স তৃণমূলের চেয়ে পাঁচ বছর বেশি। কিন্তু বয়সে কী আসে যায়। দেখতে দেখতে স্বাধীনতা-উত্তর বাংলায় রাজনীতির প্রধান চালিকাশক্তিতে পরিণত আজকের শহিদ দিবসটি। ২১ জুলাই শুনলেই সুন্দরবন থেকে পাহাড়, কাকদ্বীপ থেকে কোচবিহারের মানুষ আছড়ে পড়ে কলকাতার রাজপথে। বিশদ

21st  July, 2024
২১ জুলাই এবার অনেক নেতারও ‘শহিদ দিবস’
তন্ময় মল্লিক

‘লোকসভা নির্বাচনে কম আসন পেলেও রাজ্যে ৬৯টি পুরসভায় আমরা এগিয়ে।’ কথাগুলি বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের। নির্বাচনে ভরাডুবির পর হতোদ্যম দলীয় কর্মী-সমর্থকদের চাঙ্গা করতে গেলে হতাশার গাদা থেকে খুঁজে বের করতে হয় সাফল্যের ছুঁচ। বিশদ

20th  July, 2024
ট্রাম্প টার্গেট: কিশোর মন বোঝা জরুরি
সমৃদ্ধ দত্ত

আমেরিকার ২০ বছরের এক তরুণের মনের হদিশ এতদিন ধরে কিন্তু কেউ পায়নি। তার স্কুলের প্রাক্তন সহপাঠী, প্রতিবেশী, অভিভাবক সকলেই প্রবল বিস্মিত। এরকম কাজ এই ছেলেটি কীভাবে করতে পারে? আজ পেনসিলভেনিয়ার এক কান্ট্রিসাইডে ঘটে যাওয়া ওই রোমহর্ষক ঘটনা নিয়ে উত্তেজনাপূর্ণ আলোচনা অনেক দূরে আমাদের ঘরে ঘরেও হয়তো হচ্ছে।
বিশদ

19th  July, 2024
হতাশার ভোটে রক্তাক্ত ট্রাম্প!
মৃণালকান্তি দাস

সিক্রেট সার্ভিসের সদস্যরা ঘিরে রেখে তাঁকে মঞ্চ থেকে সরিয়ে নিচ্ছেন, তাঁর মুখের উপর রক্ত গড়িয়ে পড়ছে, এর মধ্যে মুষ্টিবদ্ধ হাত তুলে স্লোগান তোলা অদম্য ট্রাম্পের ছবি শুধু ঐতিহাসিক নয়, মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের গতিপথও উল্টে দিতে পারে।  বিশদ

18th  July, 2024
সংবিধান প্রীতির সংসদীয় প্রতিযোগিতা
হারাধন চৌধুরী

বিখ্যাত রাষ্ট্রবিজ্ঞানী, হিউম্যারিস্ট স্টিফেন লিকক বলেছিলেন, প্রবাদগুলো নতুন করে লেখা উচিত। কারণ এগুলো প্রাসঙ্গিকতা হারিয়েছে। এমনকী, কিছু প্রবাদ সাম্প্রতিক বাস্তবের বিপরীত ব্যাখ্যাই বহন করছে বিশদ

17th  July, 2024
উপ নির্বাচন ও কিছু মিলে যাওয়া অঙ্ক
শান্তনু দত্তগুপ্ত

দ্রবণকে ব্যাখ্যা করতে গেলে তিনটি ধরন পাওয়া যায়—অসমপৃক্ত, সম্পৃক্ত, আর অতিপৃক্ত। নিছক স্কুলজীবনের বৈজ্ঞানিক শিক্ষা। কিন্তু অবলীলায় একে দৈনন্দিন জীবন, সমাজ এবং রাজনীতিতে চালিয়ে দেওয়া যায়। অতিপৃক্ত শব্দটিকে জীবনের সঙ্গে খাপ খাওয়ালে বলা যেতেই পারে, জল গলার উপর উঠে গিয়েছে।
  বিশদ

16th  July, 2024
নয়া তিন আইন নিয়ে প্রশ্নের উত্তর দেবেন কে?
পি চিদম্বরম

একটি বিতর্কের পরে যেখানে বিরোধীরা সংসদের উভয় কক্ষ (সঙ্গত কারণে) বয়কট করল, সেখানেই ভারতীয় দণ্ডবিধি, ১৮৬০, ফৌজদারি কার্যবিধি, ১৯৭৩ এবং ভারতীয় সাক্ষ্য আইন, ১৮৭২ প্রতিস্থাপন (এবং পুনঃপ্রণয়ন) করার জন্য তিনটি বিল পাস করা হল।
বিশদ

15th  July, 2024
বাজেটের আগে মোদি মস্কোয় কেন?
হিমাংশু সিংহ

কথায় কথায় বলেন, নেহরু যুগের সব খারাপ। সেই কারণে দেরি না করে দ্রুত কংগ্রেস জমানার যাবতীয় নিশান মুছে ফেলাই যে তাঁর অগ্রাধিকার, তা বারে বারে বুঝিয়ে দিয়েছেন। অথচ তৃতীয়বার প্রধানমন্ত্রী পদে শপথ নেওয়ার একমাসের মধ্যে নেহরু-ইন্দিরা যুগের বিদেশ নীতির পদাঙ্ক অনুসরণ করেই হইচই ফেলে দিলেন তিনি, নরেন্দ্র মোদি।
বিশদ

14th  July, 2024
মতুয়া ভোটের লোভেই কি শান্তনুর সাত খুন মাফ!
তন্ময় মল্লিক

কেন্দ্রীয় মন্ত্রী শান্তনু ঠাকুরের বিরুদ্ধে বিজেপি নেতৃত্ব বা নরেন্দ্র মোদির সরকার কি কোনও ব্যবস্থা নেবে? দ্বিতীয়বার মন্ত্রী হওয়ার এক মাসের মধ্যেই কেন এই প্রশ্ন? কারণ তাঁর বিরুদ্ধে উঠেছে গোমাংস পাচারে মদতের গুরুতর অভিযোগ। সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্তাকে তাঁর লেখা সুপারিশপত্র নিয়ে বিজেপির অন্দরে ব্যাপক জলঘোলা হচ্ছে।
বিশদ

13th  July, 2024
ট্যাক্স সন্ত্রাস: জনতার কষ্টার্জিত অর্থ যায় কোথায়?
সমৃদ্ধ দত্ত

আমরা বেতন, ব্যবসা অথবা স্বাভাবিক পেশার বাইরে কোনও অতিরিক্ত কাজ করে কিছু বেশি রোজগার করলাম। সেই টাকার একাংশ সরকার ট্যাক্স নেবে। ট্যাক্স কেটে নেওয়ার পর যে টাকা বেঁচে থাকবে, সেটা পুরোটাই তো আমাদের জীবনযাপনের জন্য থাকার কথা। বিশদ

12th  July, 2024
একনজরে
আলু নিয়ে ব্যবসায়ীদের ফাটকাবাজি বন্ধ করতে এবার পদক্ষেপ নিল রাজ্য। চাষিদের থেকে আলু কিনে তা ন্যায্যমূল্যে স্বনির্ভর গোষ্ঠীগুলিকে দিয়ে বিক্রির সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য সরকার। ...

পুলিসি ধরপাকড় কিছুটা কমতেই ফের শুরু হয়েছে চোরাই কয়লা কারবার। দুবরাজপুরের ঘাট গোপালপুর গ্রামই এখন চোরাই কয়লার প্রধান স্টক পয়েন্ট। সেখান থেকে বাইকে করে কয়লা ...

সোমবার থেকে সংসদে বাজেট অধিবেশন শুরু হয়েছে। অধিবেশনের প্রথম দিনেই বাগনান থেকে শ্যামপুর পর্যন্ত রেললাইন চালুর দাবি জানালেন উলুবেড়িয়ার সাংসদ সাজদা আহমেদ। ...

বাংলাদেশের অশান্তির প্রভাব পড়েছে এপারের বাণিজ্যে। ওপারে সৃষ্টি হওয়া অচলাবস্থার জেরে মালদহের ব্যবসায়ীরা ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছেন। গত এক সপ্তাহ ধরেই পণ্য পরিবহণে বিঘ্ন ঘটছিল। রবি ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

পারিবারিক সম্পত্তি সংক্রান্ত আইনি কর্মে ব্যস্ততা। ব্যবসা সম্প্রসারণে অতিরিক্ত অর্থ বিনিয়োগের পরিকল্পনা। ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৮২৯- আমেরিকাতে টাইপরাইটারের পূর্বসুরী টাইপোগ্রাফার পেটেন্ট করেন উইলিয়াম অস্টিন বার্ড
১৮৪৩ - সাহিত্যিক, সাংবাদিক ও বাগ্মী রায়বাহাদুর কালীপ্রসন্ন ঘোষের জন্ম
১৮৫৬- স্বাধীনতা সংগ্রামী বাল গঙ্গাধর তিলকের জন্ম
১৮৮১ - আন্তর্জাতিক ক্রীড়া সংস্থাগুলির মধ্যে সবচেয়ে পুরাতন আন্তর্জাতিক জিমন্যাস্টিক ফেডারেশন প্রতিষ্ঠিত 
১৮৯৩ - কলকাতায় বঙ্গীয় সাহিত্য পরিষদ পূর্বতন বেঙ্গল একাডেমি অব লিটারেচার স্থাপিত
১৮৯৫- চিত্রশিল্পী মুকুল দের জন্ম
১৮৯৮ - বিশিষ্ট বাঙালি কথাসাহিত্যিক তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায়ের জন্ম
১৯০৬ - চন্দ্রশেখর আজাদ, ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনের বিপ্লবী
১৯২৭ - সালের এই দিনে ইন্ডিয়ান ব্রডকাস্টিং কোম্পানি বোম্বাইয়ে ভারতের প্রথম বেতার সম্প্রচার শুরু করে
১৯৩৩ - ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনের সশস্ত্র বিপ্লবী ও আইনজীবী যতীন্দ্রমোহন সেনগুপ্তের মৃত্যু
১৯৩৪ – পশ্চিমবঙ্গের প্রাক্তন রাজ্যপাল এম কে নারায়ণনের জন্ম
১৯৪৭ – বলিউড অভিনেতা মোহন আগাসের জন্ম
১৯৪৭ – বিশিষ্ট বেহালা বাদক এল সুব্রহ্মণমের জন্ম
১৯৪৯ -  দক্ষিণ আফ্রিকান ক্রিকেটার ক্লাইভ রাইসের জন্ম
১৯৫৩ - ইংল্যান্ডের প্রাক্তন ক্রিকেটার গ্রাহাম গুচের জন্ম
১৯৭৩ – সঙ্গীত পরিচালক তথা সঙ্গীত শিল্পী হিমেশ রেশমিয়ার জন্ম
১৯৯৫- হেল-বপ ধূমকেতু আবিস্কার হয়, পরের বছরের গোড়ায় সেটি খালি চোখে দৃশ্যমান হয়
২০০৪- অভিনেতা মেহমুদের মৃত্যু
২০১২- আই এন এ’ যোদ্ধা লক্ষ্মী সায়গলের মৃত্যু
২০১৮ - মঞ্চ ও চলচ্চিত্রাভিনেত্রী বাসবী নন্দীর মৃত্যু



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮২.৮৫ টাকা ৮৪.৫৯ টাকা
পাউন্ড ১০৬.৪৩ টাকা ১০৯.৯৫ টাকা
ইউরো ৮৯.৬৩ টাকা ৯২.৭৮ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৭৩,৭৫০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৭৪,১৫০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৭০,৫০০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৮৮,৯০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৮৯,০০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

৭ শ্রাবণ, ১৪৩১, মঙ্গলবার, ২৩ জুলাই, ২০২৪। দ্বিতীয়া ১৩/১০ দিবা ১০/২৪। ধনিষ্ঠা নক্ষত্র ৩৭/৫৫ রাত্রি ৮/১৮। সূর্যোদয় ৫/৮/০, সূর্যাস্ত ৬/১৭/৫৯। অমৃতযোগ দিবা ৭/৪৬ গতে ১০/২৪ মধ্যে পুনঃ ১/২ গতে ২/৪৮ মধ্যে পুনঃ ৩/৪০ গতে ৫/২৬ মধ্যে। রাত্রি ৭/১ মধ্যে পুনঃ ৯/১১ গতে ১১/২১ মধ্যে পুনঃ ১/৩১ গতে ২/৫৮ মধ্যে। বারবেলা ৬/৪৭ গতে ৮/২৫ মধ্যে পুনঃ ১/২২ গতে ৩/১ ম঩ধ্যে। কালরাত্রি ৭/৩৯ গতে ৯/০ মধ্যে। 
৭ শ্রাবণ, ১৪৩১, মঙ্গলবার, ২৩ জুলাই, ২০২৪। দ্বিতীয়া দিবা ১২/৪৭। ধনিষ্ঠা নক্ষত্র রাত্রি ১১/৪২। সূর্যোদয় ৫/৬, সূর্যাস্ত ৬/২১। অমৃতযোগ দিবা ৭/৫০ গতে ১০/২৪ মধ্যে ও ১২/৫৮ গতে ২/৪১ মধ্যে ও ৩/৩২ গতে ৫/১৫ মধ্যে এবং রাত্রি ৬/৫১ মধ্যে ও ৯/৫ গতে ১১/১৯ মধ্যে ও ১/৩৩ গতে ৩/২ মধ্যে। বারবেলা ৬/৪৬ গতে ৮/২৫ মধ্যে ও ১/২৩ গতে ৩/৩ মধ্যে। কালরাত্রি ৭/৪২ গতে ৯/৩ মধ্যে।
১৬ মহরম।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
নিট-ইউজি প্রশ্নপত্র ফাঁস মামলা: পুনরায় পরীক্ষার নির্দেশ দিল না সুপ্রিম কোর্ট

05:18:38 PM

কলকাতা লিগ: ক্যালকাটা পুলিস ক্লাব ও মোহন বাগানের ম্যাচ ড্র, স্কোর ১-১

05:10:49 PM

বক্তব্য শেষ করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়

05:02:23 PM

১৫ অক্টোবর দুর্গাপুজোর কার্নিভ্যাল: মমতা

04:58:39 PM

আগামী বছরে পুজো কমিটিগুলিকে ১ লক্ষ টাকা করে আর্থিক অনুদান দেওয়া হবে, ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রীর

04:58:18 PM

চলতি বছরে পুজো কমিটিগুলিকে ৮৫ হাজার টাকা আর্থিক অনুদান, ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রীর

04:56:43 PM