Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

মতুয়া ভোটের লোভেই কি শান্তনুর সাত খুন মাফ!
তন্ময় মল্লিক

কেন্দ্রীয় মন্ত্রী শান্তনু ঠাকুরের বিরুদ্ধে বিজেপি নেতৃত্ব বা নরেন্দ্র মোদির সরকার কি কোনও ব্যবস্থা নেবে? দ্বিতীয়বার মন্ত্রী হওয়ার এক মাসের মধ্যেই কেন এই প্রশ্ন? কারণ তাঁর বিরুদ্ধে উঠেছে গোমাংস পাচারে মদতের গুরুতর অভিযোগ। সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্তাকে তাঁর লেখা সুপারিশপত্র নিয়ে বিজেপির অন্দরে ব্যাপক জলঘোলা হচ্ছে। শান্তনুবাবু যে চিঠিটি দিয়েছেন, সেটি অনেকের মতে গোমাংস পাচারের ‘পারমিট’। এতে সঙ্ঘঘনিষ্ঠ বিজেপি নেতারা শান্তনুবাবুর উপর বেজায় চটেছেন। তাঁরা একটা হেস্তনেস্ত চাইছেন। কিন্তু তাতে লাভ হবে না। আরএসএস যতই চাপ সৃষ্টি করুক না কেন দিল্লি বিজেপি কোনও ব্যবস্থা নেওয়ার সাহস পাবে না। শান্তনুবাবু যতদিন মতুয়াদের ‘গুরুঠাকুর’ ইমেজটা বজায় রাখতে পারবেন, ততদিন সাত খুন মাফ! 
গোমাংস কাণ্ডে একটা বিষয়ে শান্তনু ঠাকুরকে সাবাশি দিতেই হবে। তিনি গোরুর মাংস নিয়ে যাওয়ার ছাড়পত্র দেওয়ার কথা অস্বীকার করেননি। তিনি একবারও বলেননি, ওই চিঠি তাঁর নয়, অথবা বদনাম করার জন্য কেউ তাঁর লেটারহেড ব্যবহার করেছে। তবে, যে চিঠি বিএসএফ অফিসারের কাছে থাকার কথা তা বাইরে এল কী করে, সেই প্রশ্ন তিনি তুলেছেন।
কেন্দ্রীয় জাহাজ ও বন্দর রাষ্ট্রমন্ত্রীর এই প্রশ্ন তোলার মধ্যে কোনও অন্যায় নেই। বরং সেটাই তো স্বাভাবিক। তিনি কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। গোমাংস সীমান্ত পার করার সুপারিশ করেছেন কেন্দ্রীয় এজেন্সির কর্তার কাছে, যা একেবারেই ঘরের ভিতরের ব্যাপার। কিন্তু সেই চিঠি পৌঁছে গিয়েছে ‘বর্তমান’-এর হাতে। ঘরের ‘কেচ্ছা’ বাইরে বেরলে গোঁসা তো একটু হবেই।
কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর বিরুদ্ধে অভিযোগটা ঠিক কী? তিনি অশোকস্তম্ভ দেওয়া মন্ত্রীর লেটারহেডে বিএসএফ কর্তাকে একটি চিঠি দিয়েছেন। তাতে লেখা হয়েছে, স্বরূপনগরের হাকিমপুরের বাসিন্দা জিয়ারুল গাজি তিন কেজি গোরুর মাংস নিয়ে যাবেন। বিএসএফ যেন গোমাংস নিয়ে যেতে তাঁকে বাধা না দেয়। একজন কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর এই ধরনের চিঠি পাওয়ার পর তাঁকে আটকানোর সাহস বিএসএফের কোনও জওয়ানের বা অফিসারের থাকবে কি? চিঠির জোরেই ‘ইধারকা মাল উধার’ হয়ে যায়। শান্তনুবাবু নিজমুখে স্বীকার করেছেন, এই ধরনের চিঠি তিনি দিয়েই থাকেন।
তবে, যে জিয়ারুল গাজিকে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী এই চিঠি দিয়েছেন, তিনি কিন্তু মারাত্মক অভিযোগ তুলেছেন। তাঁর দাবি, বিএসএফের নাকাচেকিং থেকে বাঁচার জন্য তাঁরা এই ধরনের ‘পারমিট’ মন্ত্রীর ঘনিষ্ঠদের কাছ থেকে নেন। আর তারজন্য দিতে হয় ‘প্রণামী’। অভিযোগ সত্যি হলে মানতেই হবে, এটা ‘পরিকল্পিত পাচারে’র অঙ্গ। বাড়ির প্রয়োজনে মালপত্র নিয়ে যাওয়ার জন্য নিয়মিত কেউ টাকা দিয়ে ‘পারমিট’ কিনতে যাবে না। জিয়ারুল গাজির কথায় আরও একটি প্রশ্ন বড় হয়ে দেখা দিয়েছে, সীমান্তে পাচারের কৌশল কি বদলে গিয়েছে!
শান্তনুবাবুর ‘পারমিট’ চিঠি নিয়ে হইচই হতেই কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক নাকি নড়েচড়ে বসেছে। শুরু করেছে তদন্ত। বিএসএফের কাছ থেকে বিষয়টি নিয়ে জানতে চাওয়া হয়েছে। এই চিঠি যে শান্তনুবাবু দিয়েছেন, সেটা তিনি নিজেই ‘অন ক্যামেরা’ স্বীকার করেছেন। ফলে তদন্ত চিঠির সত্যতা যাচাই নিয়ে নয়। সেক্ষেত্রে তদন্তে বাকি থাকে একটাই বিষয়, শান্তনু ঠাকুরের মুখে কালি লেপার সাহসটা দেখাল কে? উদ্দেশ্য, ঘরশত্রু বিভীষণকে খুঁজে বের করা।
ইধারকা মাল উধার করার ‘পারমিট’ দেওয়া, নাগরিকত্বের কথা বলে মতুয়া কার্ড দেওয়ার মতো কাজগুলি শান্তনু ঠাকুরের কাছে জলভাত। নাগরিকত্ব আইন চালু হওয়ার আগে তিনি দাবি করেছিলেন, মতুয়া কার্ড করলেই নাগরিকত্ব পাওয়া যাবে। তাঁর সেই ঘোষণায় অনেকে মতুয়া কার্ড নেওয়ার জন্য ঠাকুরবাড়িতে লাইন দিয়েছিলেন। তখন টাকার বিনিময়ে মতুয়া কার্ড বিক্রির অভিযোগও উঠেছিল। তবে কার্ড নিতে অনাগ্রহী মতুয়াদের কেন্দ্রীয় রাষ্ট্রমন্ত্রী এই বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন, ‘তৃণমূল কংগ্রেসের লোকজনকে নাগরিকত্ব দেব না। তারপর ওদের খ্যামটা নাচ দেখাব।’ ভাবা যায়?
শান্তনু ঠাকুরের কথাবার্তায় ও কাজে বহু বিতর্ক হয়েছে। কিন্তু দল তাঁর বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নেয়নি। এমনকী, সতর্ক করার সাহস দেখায়নি। অবশ্য এবার তাঁকে ঘিরে যে বিতর্ক তৈরি হয়েছে, তার সঙ্গে বিজেপির মতাদর্শগত সংঘাত চরম। বিজেপির তাবড় তাবড় নেতা গো-সেবাকে পুণ্য অর্জনের পথ বলেই মনে করেন। অথচ সেই দলের মন্ত্রীই দিচ্ছেন গোরুর মাংস পাচারের পারমিট!  
কে গোরুর মাংস খাবেন, কে খাবেন না, সেটা একান্তই তাঁর ব্যক্তিগত ব্যাপার। সে ব্যাপারে কাউকে বাধ্য করা বা তা থেকে বিরত করলে সেটা হবে তাঁর মৌলিক অধিকারে হস্তক্ষেপ। তা সত্ত্বেও এই ভারতবর্ষের বুকে কখনও ফ্রিজে গো-মাংস রাখার কারণে, কখনওবা গোরুর মাংস নিয়ে যাওয়ার ‘অপরাধে’ নৃশংসভাবে পিটিয়ে মারা হয়েছে। এই জাতীয় প্রতিটি ঘটনার পিছনে থাকে বিজেপির মদত অথবা উগ্র হিন্দুবাদীদের উস্কানি। 
এহেন বিজেপি দলের কেন্দ্রীয় মন্ত্রী গোরুর মাংস নির্বিঘ্নে সীমান্ত পার করিয়ে দেওয়ার সুপারিশ করেছেন। তা সত্ত্বেও শান্তনুবাবুর বিরুদ্ধে টুঁ শব্দ করেনি বিজেপি নেতৃত্ব। তবে, ক্ষোভে ফুঁসছে আরএসএস। তাদের বক্তব্য, গোরু আমাদের ‘দ্বিতীয় মা’। মাতৃদুগ্ধ ছাড়া একজন শিশু বড় হয় গোরুর দুধ খেয়ে। সন্তান প্রসবের সময় মা মারা গেলে শিশুর জীবন বাঁচায় গোরুর দুধ। তাই গোরু আমাদের কাছে ‘গোমাতা’। আমরা হিন্দুরা গোরুকে দেবতাজ্ঞানে পুজো করি। সেই গোরুর মাংস সীমান্তে নাকাচেকিংয়ে না আটকানোর সুপারিশ করেছেন বিজেপির মন্ত্রী। শান্তনুবাবু যদি চাল, ডাল, এমনকী কাশির সিরাপ ছেড়ে দেওয়ার সুপারিশ করতেন তাহলেও আমাদের বলার একটা জায়গা থাকত। আমরা বলতে পারতাম, কাঁটাতারের ওপারে বসবাসকারী পরিবারের জরুরি প্রয়োজনে তিনি এই সুপারিশ করেছেন। কিন্তু গোমাংসের ‘পারমিট’ দেওয়ার পক্ষে আমরা কী সাফাই দেব?
বি঩জেপি এবার আড়াইশো টপকাতে না পারায় নরেন্দ্র মোদি ও অমিত শাহরা বেশ চাপে রয়েছেন। একদিকে শরিকি চাপ, অন্যদিকে সরকারের উপর আরএসএস-এর প্রভাব বৃদ্ধির চেষ্টা। গেরুয়া শিবিরের খবর, গোরুর মাংসের পারমিট ইস্যুতেও আরএসএস চেপে ধরতে চাইছে। কিন্তু তাতেও খুব একটা সুবিধে হবে না। কারণ অভিজ্ঞতা বলছে, দিল্লি বিজেপি বারেবারে শান্তনু ঠাকুরের চাপের কাছেই নতি স্বীকার করেছে। সে দাদা সুব্রত ঠাকুরের বিধানসভার টিকিটই হোক বা নাগরিকত্ব ইস্যু। 
কেন্দ্রীয় সরকার পাঁচ বছর আগে সিএএ আইন করলেও তা কার্যকর করার জায়গায় ছিল না। কিন্তু শান্তনু ঠাকুর এক কর্মিসভায় ঘোষণা করে দিয়েছিলেন, লোকসভা ভোটের আগেই সিএএ লাগু হবে। দিল্লির বিজেপি নেতারা মুখে যত আসনই দাবি করুন না কেন, বাংলায় যে দলের অবস্থা ভালো নয়, সেটা তাঁরা জানতেন। তার উপর শান্তনু ঠাকুর বেঁকে বসলে আম ও ছালা দু’-ই যেত। তাই কোনও প্রস্তুতি ছাড়াই কেন্দ্রীয় সরকার তড়িঘড়ি সিএএ চালু করে দিয়েছে। এর পরিণতি কী হবে, এদেশে আসা সকল মতুয়া নাগরিকত্ব পাবেন কি না, তা এখনও স্পষ্ট নয়। কিন্তু নামকা ওয়াস্তে সিএএ লাগু করিয়ে শান্তনু ঠাকুর ভোটটা করিয়ে নিয়েছেন।
এরাজ্যে ১২জন সাংসদের মধ্যে কে কে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভায় স্থান পাবেন, তা নিয়ে বিজেপিতে জোর চর্চা ছিল। লক্ষ্যে পৌঁছনোর জন্য তদ্বিরে খামতি ছিল না। সংসদীয় রাজনীতিতে অভিজ্ঞতার নিরিখে বঙ্গ বিজেপিতে সৌমিত্র খাঁয়ের ধারেকাছে কেউ নেই। একবার বিধায়ক, তিনবারের সাংসদ। মন্ত্রিত্ব না পেলে তিনি বেসুরো হওয়ার ইঙ্গিতও দিয়েছিলেন। কিন্তু তাতেও চিঁড়ে ভেজেনি। অথচ প্রথম থেকেই মন্ত্রিত্ব নিয়ে নিশ্চিন্তে ছিলেন শান্তনু ঠাকুর। কারণ তিনি হরিচাঁদ ঠাকুরের উত্তরাধিকারী। গেরুয়া শিবিরের বিশ্বাস, তাঁর জন্যই মতুয়া প্রভাবিত আসনে ভালো ফল করে বিজেপি। এই মিথ যতদিন বজায় থাকবে ততদিন তাঁর কেশাগ্র স্পর্শ করার সাহস বিজেপির কারও হবে না। উল্টে নরেন্দ্র মোদির মাগ্গিগন্ডার সংসারে তাঁর তোয়াজ বাড়বে। তাই শান্তনু ঠাকুর বিজেপি সাংসদ হয়েও গোরুর মাংস ‘পাচারে’র পারমিটে সই করেন নির্দ্বিধায়। আর সে-কথা বলেনও বুক ফুলিয়েই।
13th  July, 2024
রাজ্যপালের কাছে রাজ্যবাসীর আশা রাখা অন্যায়?
শান্তনু দত্তগুপ্ত

রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোসের মাসিক বেতন কত? সাড়ে তিন লক্ষ টাকা। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির থেকেও বেশি। তাও তিনি রাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে উপাচার্য নিয়োগে গা করেন না। সুপ্রিম কোর্ট বারবার নির্দেশ দিলেও কিছুতে নাকি বাংলার প্রশাসনিক প্রধানের সঙ্গে তাঁর মত মেলে না। 
বিশদ

নির্মলার বাজেট এবারও কি হতাশ করবে?
পি চিদম্বরম

অর্থনীতির অন্য শুভাকাঙ্ক্ষীদের মতো, আমিও বার্ষিক কেন্দ্রীয় বাজেটের প্রাক্কালে সবসময় পড়াশোনার পাশাপাশি মতামত দিই এবং লেখালিখিও করি। তবে, বেশিরভাগ বাজেটের দিনেই সংসদ ভবন ছেড়ে আসতে হয় একরাশ হতাশা নিয়েই। বিশদ

22nd  July, 2024
আবেগের নাম ২১ জুলাই
হিমাংশু সিংহ

একুশে জুলাইয়ের বয়স তৃণমূলের চেয়ে পাঁচ বছর বেশি। কিন্তু বয়সে কী আসে যায়। দেখতে দেখতে স্বাধীনতা-উত্তর বাংলায় রাজনীতির প্রধান চালিকাশক্তিতে পরিণত আজকের শহিদ দিবসটি। ২১ জুলাই শুনলেই সুন্দরবন থেকে পাহাড়, কাকদ্বীপ থেকে কোচবিহারের মানুষ আছড়ে পড়ে কলকাতার রাজপথে। বিশদ

21st  July, 2024
২১ জুলাই এবার অনেক নেতারও ‘শহিদ দিবস’
তন্ময় মল্লিক

‘লোকসভা নির্বাচনে কম আসন পেলেও রাজ্যে ৬৯টি পুরসভায় আমরা এগিয়ে।’ কথাগুলি বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের। নির্বাচনে ভরাডুবির পর হতোদ্যম দলীয় কর্মী-সমর্থকদের চাঙ্গা করতে গেলে হতাশার গাদা থেকে খুঁজে বের করতে হয় সাফল্যের ছুঁচ। বিশদ

20th  July, 2024
ট্রাম্প টার্গেট: কিশোর মন বোঝা জরুরি
সমৃদ্ধ দত্ত

আমেরিকার ২০ বছরের এক তরুণের মনের হদিশ এতদিন ধরে কিন্তু কেউ পায়নি। তার স্কুলের প্রাক্তন সহপাঠী, প্রতিবেশী, অভিভাবক সকলেই প্রবল বিস্মিত। এরকম কাজ এই ছেলেটি কীভাবে করতে পারে? আজ পেনসিলভেনিয়ার এক কান্ট্রিসাইডে ঘটে যাওয়া ওই রোমহর্ষক ঘটনা নিয়ে উত্তেজনাপূর্ণ আলোচনা অনেক দূরে আমাদের ঘরে ঘরেও হয়তো হচ্ছে।
বিশদ

19th  July, 2024
হতাশার ভোটে রক্তাক্ত ট্রাম্প!
মৃণালকান্তি দাস

সিক্রেট সার্ভিসের সদস্যরা ঘিরে রেখে তাঁকে মঞ্চ থেকে সরিয়ে নিচ্ছেন, তাঁর মুখের উপর রক্ত গড়িয়ে পড়ছে, এর মধ্যে মুষ্টিবদ্ধ হাত তুলে স্লোগান তোলা অদম্য ট্রাম্পের ছবি শুধু ঐতিহাসিক নয়, মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের গতিপথও উল্টে দিতে পারে।  বিশদ

18th  July, 2024
সংবিধান প্রীতির সংসদীয় প্রতিযোগিতা
হারাধন চৌধুরী

বিখ্যাত রাষ্ট্রবিজ্ঞানী, হিউম্যারিস্ট স্টিফেন লিকক বলেছিলেন, প্রবাদগুলো নতুন করে লেখা উচিত। কারণ এগুলো প্রাসঙ্গিকতা হারিয়েছে। এমনকী, কিছু প্রবাদ সাম্প্রতিক বাস্তবের বিপরীত ব্যাখ্যাই বহন করছে বিশদ

17th  July, 2024
উপ নির্বাচন ও কিছু মিলে যাওয়া অঙ্ক
শান্তনু দত্তগুপ্ত

দ্রবণকে ব্যাখ্যা করতে গেলে তিনটি ধরন পাওয়া যায়—অসমপৃক্ত, সম্পৃক্ত, আর অতিপৃক্ত। নিছক স্কুলজীবনের বৈজ্ঞানিক শিক্ষা। কিন্তু অবলীলায় একে দৈনন্দিন জীবন, সমাজ এবং রাজনীতিতে চালিয়ে দেওয়া যায়। অতিপৃক্ত শব্দটিকে জীবনের সঙ্গে খাপ খাওয়ালে বলা যেতেই পারে, জল গলার উপর উঠে গিয়েছে।
  বিশদ

16th  July, 2024
নয়া তিন আইন নিয়ে প্রশ্নের উত্তর দেবেন কে?
পি চিদম্বরম

একটি বিতর্কের পরে যেখানে বিরোধীরা সংসদের উভয় কক্ষ (সঙ্গত কারণে) বয়কট করল, সেখানেই ভারতীয় দণ্ডবিধি, ১৮৬০, ফৌজদারি কার্যবিধি, ১৯৭৩ এবং ভারতীয় সাক্ষ্য আইন, ১৮৭২ প্রতিস্থাপন (এবং পুনঃপ্রণয়ন) করার জন্য তিনটি বিল পাস করা হল।
বিশদ

15th  July, 2024
বাজেটের আগে মোদি মস্কোয় কেন?
হিমাংশু সিংহ

কথায় কথায় বলেন, নেহরু যুগের সব খারাপ। সেই কারণে দেরি না করে দ্রুত কংগ্রেস জমানার যাবতীয় নিশান মুছে ফেলাই যে তাঁর অগ্রাধিকার, তা বারে বারে বুঝিয়ে দিয়েছেন। অথচ তৃতীয়বার প্রধানমন্ত্রী পদে শপথ নেওয়ার একমাসের মধ্যে নেহরু-ইন্দিরা যুগের বিদেশ নীতির পদাঙ্ক অনুসরণ করেই হইচই ফেলে দিলেন তিনি, নরেন্দ্র মোদি।
বিশদ

14th  July, 2024
ট্যাক্স সন্ত্রাস: জনতার কষ্টার্জিত অর্থ যায় কোথায়?
সমৃদ্ধ দত্ত

আমরা বেতন, ব্যবসা অথবা স্বাভাবিক পেশার বাইরে কোনও অতিরিক্ত কাজ করে কিছু বেশি রোজগার করলাম। সেই টাকার একাংশ সরকার ট্যাক্স নেবে। ট্যাক্স কেটে নেওয়ার পর যে টাকা বেঁচে থাকবে, সেটা পুরোটাই তো আমাদের জীবনযাপনের জন্য থাকার কথা। বিশদ

12th  July, 2024
মমতার জলযুদ্ধ!
মৃণালকান্তি দাস

সাহিত্যিক সমরেশ মজুমদারের ‘সাতকাহন’ উপন্যাসের নায়িকা ছিলেন দীপাবলি। যাঁকে উত্তরবঙ্গের চা-বাগান থেকে বহুবার সকরিকলি মনিহারি ঘাট হয়ে স্টিমারে গঙ্গা পেরিয়ে কলকাতা আসতে হতো। কলকাতা এবং উত্তরবঙ্গের যোগসূত্র তখন অর্ধেক পথ ট্রেনে, তারপরে স্টিমারে গঙ্গা পেরিয়ে আবার অন্যপাড়ে দাঁড়িয়ে থাকা ট্রেন। বিশদ

11th  July, 2024
একনজরে
বাংলাদেশের অশান্তির প্রভাব পড়েছে এপারের বাণিজ্যে। ওপারে সৃষ্টি হওয়া অচলাবস্থার জেরে মালদহের ব্যবসায়ীরা ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছেন। গত এক সপ্তাহ ধরেই পণ্য পরিবহণে বিঘ্ন ঘটছিল। রবি ...

আলু নিয়ে ব্যবসায়ীদের ফাটকাবাজি বন্ধ করতে এবার পদক্ষেপ নিল রাজ্য। চাষিদের থেকে আলু কিনে তা ন্যায্যমূল্যে স্বনির্ভর গোষ্ঠীগুলিকে দিয়ে বিক্রির সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য সরকার। ...

ফিটনেসের সমস্যা, চোটের জন্য মাঝেমধ্যেই বাইরে থাকা, সতীর্থদের আস্থার অভাব। ভারতের টি-২০ অধিনায়ক হওয়ার দৌড়ে হার্দিক পান্ডিয়ার ছিটকে যাওয়ার কারণ এগুলোই। সোমবার প্রধান নির্বাচক অজিত ...

সোমবার থেকে সংসদে বাজেট অধিবেশন শুরু হয়েছে। অধিবেশনের প্রথম দিনেই বাগনান থেকে শ্যামপুর পর্যন্ত রেললাইন চালুর দাবি জানালেন উলুবেড়িয়ার সাংসদ সাজদা আহমেদ। ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

পারিবারিক সম্পত্তি সংক্রান্ত আইনি কর্মে ব্যস্ততা। ব্যবসা সম্প্রসারণে অতিরিক্ত অর্থ বিনিয়োগের পরিকল্পনা। ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৮২৯- আমেরিকাতে টাইপরাইটারের পূর্বসুরী টাইপোগ্রাফার পেটেন্ট করেন উইলিয়াম অস্টিন বার্ড
১৮৪৩ - সাহিত্যিক, সাংবাদিক ও বাগ্মী রায়বাহাদুর কালীপ্রসন্ন ঘোষের জন্ম
১৮৫৬- স্বাধীনতা সংগ্রামী বাল গঙ্গাধর তিলকের জন্ম
১৮৮১ - আন্তর্জাতিক ক্রীড়া সংস্থাগুলির মধ্যে সবচেয়ে পুরাতন আন্তর্জাতিক জিমন্যাস্টিক ফেডারেশন প্রতিষ্ঠিত 
১৮৯৩ - কলকাতায় বঙ্গীয় সাহিত্য পরিষদ পূর্বতন বেঙ্গল একাডেমি অব লিটারেচার স্থাপিত
১৮৯৫- চিত্রশিল্পী মুকুল দের জন্ম
১৮৯৮ - বিশিষ্ট বাঙালি কথাসাহিত্যিক তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায়ের জন্ম
১৯০৬ - চন্দ্রশেখর আজাদ, ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনের বিপ্লবী
১৯২৭ - সালের এই দিনে ইন্ডিয়ান ব্রডকাস্টিং কোম্পানি বোম্বাইয়ে ভারতের প্রথম বেতার সম্প্রচার শুরু করে
১৯৩৩ - ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনের সশস্ত্র বিপ্লবী ও আইনজীবী যতীন্দ্রমোহন সেনগুপ্তের মৃত্যু
১৯৩৪ – পশ্চিমবঙ্গের প্রাক্তন রাজ্যপাল এম কে নারায়ণনের জন্ম
১৯৪৭ – বলিউড অভিনেতা মোহন আগাসের জন্ম
১৯৪৭ – বিশিষ্ট বেহালা বাদক এল সুব্রহ্মণমের জন্ম
১৯৪৯ -  দক্ষিণ আফ্রিকান ক্রিকেটার ক্লাইভ রাইসের জন্ম
১৯৫৩ - ইংল্যান্ডের প্রাক্তন ক্রিকেটার গ্রাহাম গুচের জন্ম
১৯৭৩ – সঙ্গীত পরিচালক তথা সঙ্গীত শিল্পী হিমেশ রেশমিয়ার জন্ম
১৯৯৫- হেল-বপ ধূমকেতু আবিস্কার হয়, পরের বছরের গোড়ায় সেটি খালি চোখে দৃশ্যমান হয়
২০০৪- অভিনেতা মেহমুদের মৃত্যু
২০১২- আই এন এ’ যোদ্ধা লক্ষ্মী সায়গলের মৃত্যু
২০১৮ - মঞ্চ ও চলচ্চিত্রাভিনেত্রী বাসবী নন্দীর মৃত্যু



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮২.৮৫ টাকা ৮৪.৫৯ টাকা
পাউন্ড ১০৬.৪৩ টাকা ১০৯.৯৫ টাকা
ইউরো ৮৯.৬৩ টাকা ৯২.৭৮ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৭৩,৭৫০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৭৪,১৫০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৭০,৫০০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৮৮,৯০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৮৯,০০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

৭ শ্রাবণ, ১৪৩১, মঙ্গলবার, ২৩ জুলাই, ২০২৪। দ্বিতীয়া ১৩/১০ দিবা ১০/২৪। ধনিষ্ঠা নক্ষত্র ৩৭/৫৫ রাত্রি ৮/১৮। সূর্যোদয় ৫/৮/০, সূর্যাস্ত ৬/১৭/৫৯। অমৃতযোগ দিবা ৭/৪৬ গতে ১০/২৪ মধ্যে পুনঃ ১/২ গতে ২/৪৮ মধ্যে পুনঃ ৩/৪০ গতে ৫/২৬ মধ্যে। রাত্রি ৭/১ মধ্যে পুনঃ ৯/১১ গতে ১১/২১ মধ্যে পুনঃ ১/৩১ গতে ২/৫৮ মধ্যে। বারবেলা ৬/৪৭ গতে ৮/২৫ মধ্যে পুনঃ ১/২২ গতে ৩/১ ম঩ধ্যে। কালরাত্রি ৭/৩৯ গতে ৯/০ মধ্যে। 
৭ শ্রাবণ, ১৪৩১, মঙ্গলবার, ২৩ জুলাই, ২০২৪। দ্বিতীয়া দিবা ১২/৪৭। ধনিষ্ঠা নক্ষত্র রাত্রি ১১/৪২। সূর্যোদয় ৫/৬, সূর্যাস্ত ৬/২১। অমৃতযোগ দিবা ৭/৫০ গতে ১০/২৪ মধ্যে ও ১২/৫৮ গতে ২/৪১ মধ্যে ও ৩/৩২ গতে ৫/১৫ মধ্যে এবং রাত্রি ৬/৫১ মধ্যে ও ৯/৫ গতে ১১/১৯ মধ্যে ও ১/৩৩ গতে ৩/২ মধ্যে। বারবেলা ৬/৪৬ গতে ৮/২৫ মধ্যে ও ১/২৩ গতে ৩/৩ মধ্যে। কালরাত্রি ৭/৪২ গতে ৯/৩ মধ্যে।
১৬ মহরম।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
নিট-ইউজি প্রশ্নপত্র ফাঁস মামলা: পুনরায় পরীক্ষার নির্দেশ দিল না সুপ্রিম কোর্ট

05:18:38 PM

কলকাতা লিগ: ক্যালকাটা পুলিস ক্লাব ও মোহন বাগানের ম্যাচ ড্র, স্কোর ১-১

05:10:49 PM

বক্তব্য শেষ করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়

05:02:23 PM

১৫ অক্টোবর দুর্গাপুজোর কার্নিভ্যাল: মমতা

04:58:39 PM

আগামী বছরে পুজো কমিটিগুলিকে ১ লক্ষ টাকা করে আর্থিক অনুদান দেওয়া হবে, ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রীর

04:58:18 PM

চলতি বছরে পুজো কমিটিগুলিকে ৮৫ হাজার টাকা আর্থিক অনুদান, ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রীর

04:56:43 PM