Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

ট্যাক্স সন্ত্রাস: জনতার কষ্টার্জিত অর্থ যায় কোথায়?
সমৃদ্ধ দত্ত

আমরা বেতন, ব্যবসা অথবা স্বাভাবিক পেশার বাইরে কোনও অতিরিক্ত কাজ করে কিছু বেশি রোজগার করলাম। সেই টাকার একাংশ সরকার ট্যাক্স নেবে। ট্যাক্স কেটে নেওয়ার পর যে টাকা বেঁচে থাকবে, সেটা পুরোটাই তো আমাদের জীবনযাপনের জন্য থাকার কথা। কিন্তু কী দেখা যায়? দেখা যায়, ওই বেঁচে থাকা টাকা দিয়ে যখন আমরা বিদ্যুৎ বিল দিচ্ছি, তখন তার সঙ্গে যুক্ত হচ্ছে একাধিক সেস। অর্থাৎ যা প্রকৃত বিদ্যুৎ বিল হয়েছে, তার থেকে বেশি টাকা দিতে হচ্ছে। নিচ্ছে সরকার। সন্তানের জন্মদিনে কোনও রেস্তরাঁয় হয়তো আমরা খেতে গেলাম। যা বিল হয়েছে, তার উপর স্টেট এবং সেন্ট্রাল জিএসটি দিতে হচ্ছে। সঙ্গে সার্ভিস ট্যাক্স। বেঁচে থাকা টাকায় যতবার মাসকাবারি নিত্যপণ্য কিনছি, প্রত্যেকবার যে কোনও পণ্যের সঙ্গে জিএসটি দিতে হয়। কতটা? চাল, ডাল, ময়দার উপরও জিএসটি দিতে হবে। কেন? কারণ সেগুলি প্যাকেট করা। গোটা মাসের সংসার খরচ বাঁচিয়ে বাঁচিয়ে ব্যাঙ্কে আমরা নিজেদের উদ্বৃত্ত অর্থ সঞ্চয় করলাম ফিক্সড ডিপোজিট করে। কেন? কারণ আমাদের কষ্টার্জিত টাকা থেকে আমরা সুদ পাব। সেই টাকা কোনও কাজে ব্যবহার করব। অথবা এভাবে আমাদের টাকা বাড়বে। কিন্তু তাও হবে না। সেই টাকা থেকে প্রাপ্ত সুদও পুরোপুরি আমাদের হবে না। ম্যাচিওরিটির পর যে অর্থ হবে, তার উপরও ট্যাক্স নিয়ে নেবে সরকার। পেট্রল ও ডিজেলের যা প্রকৃত দাম, তার উপর মাত্রাছাড়া ট্যাক্স। ট্রেনে যাব, প্লেনে যাব, হোটেল থাকব, গাড়ি ভাড়া নেব। প্রতিবার আমরা ট্যাক্স দেব। সারাদিনে একজন দেশবাসী হিসেবে নিজের অজান্তে অথবা জ্ঞানত যে কত টাকা সরকারকে ট্যাক্স দিয়ে চলেছি তার হিসাব হয় না। 
আমাদের শারীরিক শক্তি আছে। কারও আর্থিক শক্তি আছে। কেউ উচ্চশিক্ষিত। কেউ মাঝারি। কেউ হয়তো প্রথাগত শিক্ষায় বেশিদূর অগ্রসর হতে পারেনি। আমাদের সব আছে হয়তো। অর্থাৎ লোকবল। অর্থবল। মানসিক শক্তি। কিন্তু ধরা যাক যা নেই, তা হল, এই সমাজে সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ। তার নাম সোর্স। অর্থাৎ এই যে আমরা আমাদের পরিশ্রম করে অর্জন করা অর্থ থেকে সারাদিন ধরে, সারা মাস ধরে, সারা বছর ধরে সরকারকে ট্যাক্স দিয়ে চলেছি নানারকম নামের আড়ালে, তা সত্ত্বেও আমাদের ক্রাইসিসের সময় কোনও পরিষেবাই কিন্তু পাব না। কারণ আমাদের সোর্স নেই। হঠাৎ হাসপাতালে কোনও স্বজন ভর্তি হওয়ার পর রক্ত লাগলে, আমরা কি যখন তখন অনায়াসে রক্ত পাব? হাসপাতালের বেড? অথবা অপারেশনের ডেট? সবই সোর্স। কোভিডকালে যারা দিল্লি থেকে মুম্বই। জয়পুর থেকে বেঙ্গালুরুতে, অক্সিজেন না পেয়ে বড়লোকদের হাসপাতালেও অবিরত প্রাণ হারিয়েছেন, তারা কিন্তু নিয়মিত ট্যাক্স দিয়েছিলেন। কোনও রাজ্যে অথবা কেন্দ্রীয় সরকারে, একজনও মন্ত্রী, বিধায়ক, এমপিদের দেখা যায়নি যাঁদের অক্সিজেন না পেয়ে মৃত্যু হয়েছে। 
এই জানা কথাগুলো আবার বলা হচ্ছে কেন? কারণ সম্প্রতি জুলাই মাসের শুরুতেই কেন্দ্রীয় সরকার একটি বার্তা দিয়েছে যে, এবার থেকে আর প্রতি মাসে কত টাকা জিএসটি বাবদ সরকার আদায় করেছে এই হিসাব জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না। এত বছর ধরে কিন্তু সরকার প্রতি মাসের হিসাব নিয়ম করে প্রকাশ করেছে। এমনকী মে মাসের হিসাবও পেয়েছি আমরা। কেন এই সিদ্ধান্ত? মনে করা হচ্ছে, জিএসটি আদায় লাফিয়ে লাফিয়ে যেভাবে বাড়ছে, সেটা কার্যত মানুষের মধ্যেও প্রশ্ন তৈরি করছে যে, আমাদের থেকে সরকার এই বিপুল অর্থ আদায় করছে, আমরা বিনিময়ে কী পাচ্ছি? অথবা সরকার কি তাহলে দেশবাসীকে রীতিমতো আর্থিকভাবে সন্ত্রাসই চালাচ্ছে? কথাটি সত্যি। শেষ হিসেব পর্যন্ত এক মাসে সরকার ১ লক্ষ ৭০ হাজার কোটি টাকা আদায় করেছে জিএসটি থেকে। যেভাবে জিএসটি আরোপ করা চলছে এবং ট্যাক্স কাঠামোর বদলের দিকে যাচ্ছে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রক অথবা জিএসটি কাউন্সিল, আগামী দিনে দ্রুত ২ লক্ষ কোটি টাকা ছাড়িয়ে যাবে জিএসটি আদায়। 
আয়কর এবং কর্পোরেট ট্যাক্স বাবদ সরকার প্রায় ২০ লক্ষ কোটি টাকা আয় করেছে বিগত আর্থিক বছরে। মনে রাখতে হবে, এর বাইরে রয়েছে জিএসটি আদায়। যা অন্তত ১৫ লক্ষ কোটি টাকা হবেই। যারা কর্পোরেট ট্যাক্স ও ব্যক্তিগত আয়কর দিচ্ছে, তারাও জিএসটি দিচ্ছে। আমরা প্রত্যেকেই যারা করযোগ্য আয় করি, তাদের উপর আয়কর, জিএসটি, সেস, সার্ভিস ট্যাক্স, এক্সাইজ ট্যাক্স সব পৃথক পৃথকভাবে আরোপিত হয়। একই মানুষ সরকারকে অসংখ্য ট্যাক্স দিয়ে চলেছি। অথচ আয় একটাই। যেই অতিরিক্ত আয়ের চেষ্টা কেউ করবে, সেটা যদি সাদা টাকা হয়, সঙ্গে সঙ্গে আবার ট্যাক্স দিতে হবে। 
একটি হাসপাতাল নির্মাণ করতে কত টাকা ব্যয় হয়? দেশের রাজ্যে রাজ্যে অনেক বেশি সরকারি মেডিকেল কলেজ কেন নির্মাণ করা হয় না? সরকারি হাসপাতাল রাজ্যে রাজ্যে বাড়ে না কেন? ২ লক্ষ কোটি টাকা খরচ হচ্ছে মুম্বই থেকে আমেদাবাদে বুলেট ট্রেন তৈরি করতে। আমাদের কী কাজে লাগবে? ধনীদের বিলাস ছাড়া বুলেট ট্রেনের সামান্যতম প্রয়োজনীয়তা ভারতে নেই। বিশেষ করে কোভিডে যেখানে অক্সিজেন, হাসপতাল বেড আর ব্ল্যাকমার্কেটে ওষুধ না পেয়ে লক্ষ লক্ষ মানুষের মৃত্যু হয়েছে, তাদের শেষ নিঃশ্বাসের বাতাস কেটে বুলেট ট্রেন যাচ্ছে, এই দৃশ্যটির মধ্যে সভ্য সমাজের চরম লজ্জা জড়িয়ে থাকবে। 
ইন্ডিয়া রেটিংস রিসার্চ মঙ্গলবার যে সমীক্ষা রিপোর্ট পেশ করেছে সেটা যথেষ্ট উদ্বেগজনক। কেন্দ্রীয় সরকারের দুটি সিদ্ধান্ত এবং একটি কোভিড মিলিয়ে ভারতের সমাজ ও অর্থনীতির একটি বৃহৎ অংশের মেরুদণ্ড ভেঙে দিয়েছে। ১০১৬ সালের নোটবাতিল, ২০১৭ সালের নতুন জিএসটি চালু এবং ২০২০ সালের কোভিড, এই তিন ফ্যাক্টর মিলিয়ে সাড়ে ১১ লক্ষ কোটি টাকার লোকসান হয়েছে ভারতের। অসংগঠিত সেক্টরের ১ কোটি ৬০ লক্ষ মানুষ কর্মহীন হয়ে গিয়েছে। ৬৩ লক্ষ অসংগঠিত সংস্থা বন্ধ হয়ে গিয়েছে। এর মধ্যে ক্ষুদ্র পাড়ার কারখানা, দোকান কিংবা ছোটখাটো উৎপাদন ‌ইউনিট এমনকী শাড়ি ব্লাউজ বিড়ি লেদ মেশিনের উৎপাদন ইউনিটও হতে পারে। ভারতের মোট ওয়ার্কফোর্সের ৪৪ শতাংশই এই অসংগঠিত সেক্টরে কাজ করে। অকৃষিক্ষেত্রে কর্মসংস্থানের অবস্থা কতটা উদ্বেগজনক? ২০১৬ সালে কর্মীসংখ্যা ছিল ১২ কোটি। কমতে কমতে ২০২২ সালে সেটা হয় ১০ কোটি। 
হাজার হাজার মানুষ কাজ হারিয়েছে নোটবাতিলের সময়। কোভিডের সময়। অথচ আমরা বিগত বছরগুলিতে সরকারকে দেখেছি যে, তারা ঝাঁপিয়ে পড়েছে শিক্ষা নিয়ে? ওই পরিস্থিতি আবার এলে যাতে এরকম ভয়ঙ্কর কর্মহীনতা অথবা মৃত্যুমিছিল আর না আসে, এরকম কোনও মরিয়া মনোভাব দেখা গিয়েছে? আমরা কি দেখতে পাচ্ছি যে, আমাদের চারপাশে প্রচুর অক্সিজেন প্লান্ট তৈরি করেছে কেন্দ্রীয় সরকার? কারণ সেই ঘোষণাই তো করা হয়েছিল ওই সময়! রাজ্যে রাজ্যে নাকি একঝাঁক করে অক্সিজেন প্লান্ট তৈরি হবে? নতুন সংসদ ভবন, রামমন্দির, চন্দ্রযান, জি টুয়েন্টি নিয়ে রাষ্ট্রকে যতটা উত্তাল এক উৎসবের দিকে ঠেলে দিয়েছিলেন রাষ্ট্রনায়ক, সেই অনুপাতে বেকারত্ব, মূল্যবৃদ্ধি, বিনা চিকিৎসা, সঞ্চয়হীনতা ইত্যাদি মানুষের চরম সঙ্কটমোচনে কী কী উৎসব হয়েছে? জিরো! গত ১০ বছরে মূল্যবৃদ্ধি হয়েছে ৪৬ শতাংশ। অথচ ট্যাক্স ছাড়ের ৮০ সি ধারায় সঞ্চয়ের ঊর্ধ্বসীমা বেড়েছে সেই ১০ বছর আগে। ২০১৪ সালে। তারপর থেকে এক টাকাও বাড়ানো হল না। 
রাষ্ট্রের তো উচিত ছিল ওষুধের দাম কমাতে কমাতে একেবারে সাধারণ মানুষের সাধ্যের মধ্যে নিয়ে আসা! আদতে কি তাই হল? বরং গত এপ্রিল মাসে সাড়ে আটশোর বেশি ওষুধের দাম কয়েকগুণ বেড়ে গিয়েছে। সরকারের ড্রাগ প্রাইসিং কমিটিই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। জেলা সদরে একটি করে জেলা হাসপাতাল। মহকুমা হাসপাতাল। ব্লক হাসপাতাল। প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্র। এই তো প্যাটার্ন। বিগত ৩০ বছরে এই ফরম্যাটের কোনও বদল দেখছি আমরা? আজও তো সেইসব হাসপাতালকেই সরকারি হাসপাতাল নামে চিনি, যেগুলো ৩০ বছর আগেও ছিল। স্বাস্থ্য খাতে কেন্দ্রীয় সরকার ৯০ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ করেছিল শেষ পূর্ণাঙ্গ বাজেটে। আমাদের রাজ্য কী কী পেল ওই টাকায়? কী কী বদলেছে? 
১ লক্ষ ৬৪ হাজার কোটি টাকা নিয়ে বিএসএনএলের পুনরুজ্জীবন প্যাকেজ ঘোষণা করা হয়েছিল ২০২২ সালের ২৭ জুলাই। এই যে ২ বছর কেটে গেল, আমরা আম জনতা জানতে চাইছি যে, ওই ১ লক্ষ ৬৪ হাজার কোটি টাকায় কী কী কাজ হল? উল্টে তো বেসরকারি টেলিকম কোম্পানিদের লুটপাট চালানোর ব্যবস্থা করে নেওয়া হল! যে যেমন পারছে রিচার্জের দাম বাড়িয়ে দিয়েছে। আমাদের যাদের খুব সীমিত আয়, তাদের সরকারি পরিষেবাই হতে পারত শেষ আশ্রয়। বৃহৎ কর্পোরেট হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার ক্ষমতা নেই। বিল দিতে পারব না। স্বাস্থ্যবিমার প্রিমিয়ামও আয়ত্তের বাইরে। তাই সরকারি হাসপাতাল ভরসা। বেসরকারি টেলিকম কোম্পানির উচ্চহারের রিচার্জ অথবা পোস্টপেইড বিল দিতে সক্ষম নই। তাই সরকারি বিএসএনএলের দিকে তাকিয়ে থাকি। অথচ কই, সরকার তো জানাচ্ছে না ১ লক্ষ ৬৪ হাজার কোটি টাকায় কী কী করা হয়েছে? টাকার অঙ্কটা  তো আমরা কাগজে কলমে লিখতেই পারব না সংখ্যায়! কিন্তু আমরা সরাসরি প্রশ্ন করছি, ওই টাকা কোথায় গেল? বিএসএনএল পুনরুজ্জীবিত হল না কেন? কত টাকা জিএসটি থেকে আদায় হচ্ছে এবার থেকে সেটা গোপন রাখা হবে কেন? মানুষ লক্ষ লক্ষ কোটি টাকা ট্যাক্স দিচ্ছে। অথচ সরকার সেই মানুষকে কিছু দিচ্ছে না। রক্ষকই ভক্ষক! সরকারের উত্তর হবে কেন ট্যাক্সের টাকা দিয়ে রাস্তা হয়, সেতু হয়, রেললাইন হয়। তাই নাকি? একের পর এক সেতু ভেঙে পড়ছে। ট্রেন দুর্ঘটনা নিয়মে পরিণত। একটি বর্ষায় রাস্তা সাফ। টাকাগুলো কোথায় যায়? 
সবথেকে বিস্ফোরক তথ্য দেখা যাচ্ছে বিগত আর্থিক বছরের কর আদায়ের পরিসংখ্যানে। মোট যত ট্যাক্স সরকার আদায় করেছে, তার মধ্যে বেনজিরভাবে এই প্রথম কর্পোরেট ট্যাক্সের তুলনায় ব্যক্তিগত আয়কর জমা হওয়ার পরিমাণ বেশি হয়েছে! ধনী আয় করবে বেশি, ট্যাক্স দেবে কম। মধ্যবিত্ত আয় করবে কম, ট্যাক্স দেবে বেশি! ২২ জানুয়ারি অযোধ্যায় রামমন্দির উদ্বোধন করে প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন,আজ থেকে নতুন কালচক্র শুরু হল। এক হাজার বছর থাকবে এই কালচক্র। অর্থাৎ রামরাজ্য। এটাই প্রকৃত সেই নতুন কালচক্র। রাষ্ট্রকে টাকা জোগাবে আম জনতা। বিনিময়ে রাষ্ট্র দেবে জ্ঞানগর্ভ ভাষণ আর স্লোগান?
12th  July, 2024
রাজ্যপালের কাছে রাজ্যবাসীর আশা রাখা অন্যায়?
শান্তনু দত্তগুপ্ত

রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোসের মাসিক বেতন কত? সাড়ে তিন লক্ষ টাকা। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির থেকেও বেশি। তাও তিনি রাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে উপাচার্য নিয়োগে গা করেন না। সুপ্রিম কোর্ট বারবার নির্দেশ দিলেও কিছুতে নাকি বাংলার প্রশাসনিক প্রধানের সঙ্গে তাঁর মত মেলে না। 
বিশদ

নির্মলার বাজেট এবারও কি হতাশ করবে?
পি চিদম্বরম

অর্থনীতির অন্য শুভাকাঙ্ক্ষীদের মতো, আমিও বার্ষিক কেন্দ্রীয় বাজেটের প্রাক্কালে সবসময় পড়াশোনার পাশাপাশি মতামত দিই এবং লেখালিখিও করি। তবে, বেশিরভাগ বাজেটের দিনেই সংসদ ভবন ছেড়ে আসতে হয় একরাশ হতাশা নিয়েই। বিশদ

22nd  July, 2024
আবেগের নাম ২১ জুলাই
হিমাংশু সিংহ

একুশে জুলাইয়ের বয়স তৃণমূলের চেয়ে পাঁচ বছর বেশি। কিন্তু বয়সে কী আসে যায়। দেখতে দেখতে স্বাধীনতা-উত্তর বাংলায় রাজনীতির প্রধান চালিকাশক্তিতে পরিণত আজকের শহিদ দিবসটি। ২১ জুলাই শুনলেই সুন্দরবন থেকে পাহাড়, কাকদ্বীপ থেকে কোচবিহারের মানুষ আছড়ে পড়ে কলকাতার রাজপথে। বিশদ

21st  July, 2024
২১ জুলাই এবার অনেক নেতারও ‘শহিদ দিবস’
তন্ময় মল্লিক

‘লোকসভা নির্বাচনে কম আসন পেলেও রাজ্যে ৬৯টি পুরসভায় আমরা এগিয়ে।’ কথাগুলি বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের। নির্বাচনে ভরাডুবির পর হতোদ্যম দলীয় কর্মী-সমর্থকদের চাঙ্গা করতে গেলে হতাশার গাদা থেকে খুঁজে বের করতে হয় সাফল্যের ছুঁচ। বিশদ

20th  July, 2024
ট্রাম্প টার্গেট: কিশোর মন বোঝা জরুরি
সমৃদ্ধ দত্ত

আমেরিকার ২০ বছরের এক তরুণের মনের হদিশ এতদিন ধরে কিন্তু কেউ পায়নি। তার স্কুলের প্রাক্তন সহপাঠী, প্রতিবেশী, অভিভাবক সকলেই প্রবল বিস্মিত। এরকম কাজ এই ছেলেটি কীভাবে করতে পারে? আজ পেনসিলভেনিয়ার এক কান্ট্রিসাইডে ঘটে যাওয়া ওই রোমহর্ষক ঘটনা নিয়ে উত্তেজনাপূর্ণ আলোচনা অনেক দূরে আমাদের ঘরে ঘরেও হয়তো হচ্ছে।
বিশদ

19th  July, 2024
হতাশার ভোটে রক্তাক্ত ট্রাম্প!
মৃণালকান্তি দাস

সিক্রেট সার্ভিসের সদস্যরা ঘিরে রেখে তাঁকে মঞ্চ থেকে সরিয়ে নিচ্ছেন, তাঁর মুখের উপর রক্ত গড়িয়ে পড়ছে, এর মধ্যে মুষ্টিবদ্ধ হাত তুলে স্লোগান তোলা অদম্য ট্রাম্পের ছবি শুধু ঐতিহাসিক নয়, মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের গতিপথও উল্টে দিতে পারে।  বিশদ

18th  July, 2024
সংবিধান প্রীতির সংসদীয় প্রতিযোগিতা
হারাধন চৌধুরী

বিখ্যাত রাষ্ট্রবিজ্ঞানী, হিউম্যারিস্ট স্টিফেন লিকক বলেছিলেন, প্রবাদগুলো নতুন করে লেখা উচিত। কারণ এগুলো প্রাসঙ্গিকতা হারিয়েছে। এমনকী, কিছু প্রবাদ সাম্প্রতিক বাস্তবের বিপরীত ব্যাখ্যাই বহন করছে বিশদ

17th  July, 2024
উপ নির্বাচন ও কিছু মিলে যাওয়া অঙ্ক
শান্তনু দত্তগুপ্ত

দ্রবণকে ব্যাখ্যা করতে গেলে তিনটি ধরন পাওয়া যায়—অসমপৃক্ত, সম্পৃক্ত, আর অতিপৃক্ত। নিছক স্কুলজীবনের বৈজ্ঞানিক শিক্ষা। কিন্তু অবলীলায় একে দৈনন্দিন জীবন, সমাজ এবং রাজনীতিতে চালিয়ে দেওয়া যায়। অতিপৃক্ত শব্দটিকে জীবনের সঙ্গে খাপ খাওয়ালে বলা যেতেই পারে, জল গলার উপর উঠে গিয়েছে।
  বিশদ

16th  July, 2024
নয়া তিন আইন নিয়ে প্রশ্নের উত্তর দেবেন কে?
পি চিদম্বরম

একটি বিতর্কের পরে যেখানে বিরোধীরা সংসদের উভয় কক্ষ (সঙ্গত কারণে) বয়কট করল, সেখানেই ভারতীয় দণ্ডবিধি, ১৮৬০, ফৌজদারি কার্যবিধি, ১৯৭৩ এবং ভারতীয় সাক্ষ্য আইন, ১৮৭২ প্রতিস্থাপন (এবং পুনঃপ্রণয়ন) করার জন্য তিনটি বিল পাস করা হল।
বিশদ

15th  July, 2024
বাজেটের আগে মোদি মস্কোয় কেন?
হিমাংশু সিংহ

কথায় কথায় বলেন, নেহরু যুগের সব খারাপ। সেই কারণে দেরি না করে দ্রুত কংগ্রেস জমানার যাবতীয় নিশান মুছে ফেলাই যে তাঁর অগ্রাধিকার, তা বারে বারে বুঝিয়ে দিয়েছেন। অথচ তৃতীয়বার প্রধানমন্ত্রী পদে শপথ নেওয়ার একমাসের মধ্যে নেহরু-ইন্দিরা যুগের বিদেশ নীতির পদাঙ্ক অনুসরণ করেই হইচই ফেলে দিলেন তিনি, নরেন্দ্র মোদি।
বিশদ

14th  July, 2024
মতুয়া ভোটের লোভেই কি শান্তনুর সাত খুন মাফ!
তন্ময় মল্লিক

কেন্দ্রীয় মন্ত্রী শান্তনু ঠাকুরের বিরুদ্ধে বিজেপি নেতৃত্ব বা নরেন্দ্র মোদির সরকার কি কোনও ব্যবস্থা নেবে? দ্বিতীয়বার মন্ত্রী হওয়ার এক মাসের মধ্যেই কেন এই প্রশ্ন? কারণ তাঁর বিরুদ্ধে উঠেছে গোমাংস পাচারে মদতের গুরুতর অভিযোগ। সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্তাকে তাঁর লেখা সুপারিশপত্র নিয়ে বিজেপির অন্দরে ব্যাপক জলঘোলা হচ্ছে।
বিশদ

13th  July, 2024
মমতার জলযুদ্ধ!
মৃণালকান্তি দাস

সাহিত্যিক সমরেশ মজুমদারের ‘সাতকাহন’ উপন্যাসের নায়িকা ছিলেন দীপাবলি। যাঁকে উত্তরবঙ্গের চা-বাগান থেকে বহুবার সকরিকলি মনিহারি ঘাট হয়ে স্টিমারে গঙ্গা পেরিয়ে কলকাতা আসতে হতো। কলকাতা এবং উত্তরবঙ্গের যোগসূত্র তখন অর্ধেক পথ ট্রেনে, তারপরে স্টিমারে গঙ্গা পেরিয়ে আবার অন্যপাড়ে দাঁড়িয়ে থাকা ট্রেন। বিশদ

11th  July, 2024
একনজরে
ফিটনেসের সমস্যা, চোটের জন্য মাঝেমধ্যেই বাইরে থাকা, সতীর্থদের আস্থার অভাব। ভারতের টি-২০ অধিনায়ক হওয়ার দৌড়ে হার্দিক পান্ডিয়ার ছিটকে যাওয়ার কারণ এগুলোই। সোমবার প্রধান নির্বাচক অজিত ...

বাংলাদেশের অশান্তির প্রভাব পড়েছে এপারের বাণিজ্যে। ওপারে সৃষ্টি হওয়া অচলাবস্থার জেরে মালদহের ব্যবসায়ীরা ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছেন। গত এক সপ্তাহ ধরেই পণ্য পরিবহণে বিঘ্ন ঘটছিল। রবি ...

সোমবার থেকে সংসদে বাজেট অধিবেশন শুরু হয়েছে। অধিবেশনের প্রথম দিনেই বাগনান থেকে শ্যামপুর পর্যন্ত রেললাইন চালুর দাবি জানালেন উলুবেড়িয়ার সাংসদ সাজদা আহমেদ। ...

আলু নিয়ে ব্যবসায়ীদের ফাটকাবাজি বন্ধ করতে এবার পদক্ষেপ নিল রাজ্য। চাষিদের থেকে আলু কিনে তা ন্যায্যমূল্যে স্বনির্ভর গোষ্ঠীগুলিকে দিয়ে বিক্রির সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য সরকার। ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

পারিবারিক সম্পত্তি সংক্রান্ত আইনি কর্মে ব্যস্ততা। ব্যবসা সম্প্রসারণে অতিরিক্ত অর্থ বিনিয়োগের পরিকল্পনা। ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৮২৯- আমেরিকাতে টাইপরাইটারের পূর্বসুরী টাইপোগ্রাফার পেটেন্ট করেন উইলিয়াম অস্টিন বার্ড
১৮৪৩ - সাহিত্যিক, সাংবাদিক ও বাগ্মী রায়বাহাদুর কালীপ্রসন্ন ঘোষের জন্ম
১৮৫৬- স্বাধীনতা সংগ্রামী বাল গঙ্গাধর তিলকের জন্ম
১৮৮১ - আন্তর্জাতিক ক্রীড়া সংস্থাগুলির মধ্যে সবচেয়ে পুরাতন আন্তর্জাতিক জিমন্যাস্টিক ফেডারেশন প্রতিষ্ঠিত 
১৮৯৩ - কলকাতায় বঙ্গীয় সাহিত্য পরিষদ পূর্বতন বেঙ্গল একাডেমি অব লিটারেচার স্থাপিত
১৮৯৫- চিত্রশিল্পী মুকুল দের জন্ম
১৮৯৮ - বিশিষ্ট বাঙালি কথাসাহিত্যিক তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায়ের জন্ম
১৯০৬ - চন্দ্রশেখর আজাদ, ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনের বিপ্লবী
১৯২৭ - সালের এই দিনে ইন্ডিয়ান ব্রডকাস্টিং কোম্পানি বোম্বাইয়ে ভারতের প্রথম বেতার সম্প্রচার শুরু করে
১৯৩৩ - ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনের সশস্ত্র বিপ্লবী ও আইনজীবী যতীন্দ্রমোহন সেনগুপ্তের মৃত্যু
১৯৩৪ – পশ্চিমবঙ্গের প্রাক্তন রাজ্যপাল এম কে নারায়ণনের জন্ম
১৯৪৭ – বলিউড অভিনেতা মোহন আগাসের জন্ম
১৯৪৭ – বিশিষ্ট বেহালা বাদক এল সুব্রহ্মণমের জন্ম
১৯৪৯ -  দক্ষিণ আফ্রিকান ক্রিকেটার ক্লাইভ রাইসের জন্ম
১৯৫৩ - ইংল্যান্ডের প্রাক্তন ক্রিকেটার গ্রাহাম গুচের জন্ম
১৯৭৩ – সঙ্গীত পরিচালক তথা সঙ্গীত শিল্পী হিমেশ রেশমিয়ার জন্ম
১৯৯৫- হেল-বপ ধূমকেতু আবিস্কার হয়, পরের বছরের গোড়ায় সেটি খালি চোখে দৃশ্যমান হয়
২০০৪- অভিনেতা মেহমুদের মৃত্যু
২০১২- আই এন এ’ যোদ্ধা লক্ষ্মী সায়গলের মৃত্যু
২০১৮ - মঞ্চ ও চলচ্চিত্রাভিনেত্রী বাসবী নন্দীর মৃত্যু



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮২.৮৫ টাকা ৮৪.৫৯ টাকা
পাউন্ড ১০৬.৪৩ টাকা ১০৯.৯৫ টাকা
ইউরো ৮৯.৬৩ টাকা ৯২.৭৮ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৭৩,৭৫০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৭৪,১৫০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৭০,৫০০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৮৮,৯০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৮৯,০০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

৭ শ্রাবণ, ১৪৩১, মঙ্গলবার, ২৩ জুলাই, ২০২৪। দ্বিতীয়া ১৩/১০ দিবা ১০/২৪। ধনিষ্ঠা নক্ষত্র ৩৭/৫৫ রাত্রি ৮/১৮। সূর্যোদয় ৫/৮/০, সূর্যাস্ত ৬/১৭/৫৯। অমৃতযোগ দিবা ৭/৪৬ গতে ১০/২৪ মধ্যে পুনঃ ১/২ গতে ২/৪৮ মধ্যে পুনঃ ৩/৪০ গতে ৫/২৬ মধ্যে। রাত্রি ৭/১ মধ্যে পুনঃ ৯/১১ গতে ১১/২১ মধ্যে পুনঃ ১/৩১ গতে ২/৫৮ মধ্যে। বারবেলা ৬/৪৭ গতে ৮/২৫ মধ্যে পুনঃ ১/২২ গতে ৩/১ ম঩ধ্যে। কালরাত্রি ৭/৩৯ গতে ৯/০ মধ্যে। 
৭ শ্রাবণ, ১৪৩১, মঙ্গলবার, ২৩ জুলাই, ২০২৪। দ্বিতীয়া দিবা ১২/৪৭। ধনিষ্ঠা নক্ষত্র রাত্রি ১১/৪২। সূর্যোদয় ৫/৬, সূর্যাস্ত ৬/২১। অমৃতযোগ দিবা ৭/৫০ গতে ১০/২৪ মধ্যে ও ১২/৫৮ গতে ২/৪১ মধ্যে ও ৩/৩২ গতে ৫/১৫ মধ্যে এবং রাত্রি ৬/৫১ মধ্যে ও ৯/৫ গতে ১১/১৯ মধ্যে ও ১/৩৩ গতে ৩/২ মধ্যে। বারবেলা ৬/৪৬ গতে ৮/২৫ মধ্যে ও ১/২৩ গতে ৩/৩ মধ্যে। কালরাত্রি ৭/৪২ গতে ৯/৩ মধ্যে।
১৬ মহরম।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
নিট-ইউজি প্রশ্নপত্র ফাঁস মামলা: পুনরায় পরীক্ষার নির্দেশ দিল না সুপ্রিম কোর্ট

05:18:38 PM

কলকাতা লিগ: ক্যালকাটা পুলিস ক্লাব ও মোহন বাগানের ম্যাচ ড্র, স্কোর ১-১

05:10:49 PM

বক্তব্য শেষ করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়

05:02:23 PM

১৫ অক্টোবর দুর্গাপুজোর কার্নিভ্যাল: মমতা

04:58:39 PM

আগামী বছরে পুজো কমিটিগুলিকে ১ লক্ষ টাকা করে আর্থিক অনুদান দেওয়া হবে, ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রীর

04:58:18 PM

চলতি বছরে পুজো কমিটিগুলিকে ৮৫ হাজার টাকা আর্থিক অনুদান, ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রীর

04:56:43 PM