Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

বাজেটের আগে মোদি মস্কোয় কেন?
হিমাংশু সিংহ

কথায় কথায় বলেন, নেহরু যুগের সব খারাপ। সেই কারণে দেরি না করে দ্রুত কংগ্রেস জমানার যাবতীয় নিশান মুছে ফেলাই যে তাঁর অগ্রাধিকার, তা বারে বারে বুঝিয়ে দিয়েছেন। অথচ তৃতীয়বার প্রধানমন্ত্রী পদে শপথ নেওয়ার একমাসের মধ্যে নেহরু-ইন্দিরা যুগের বিদেশ নীতির পদাঙ্ক অনুসরণ করেই হইচই ফেলে দিলেন তিনি, নরেন্দ্র মোদি। দিল্লির সরকারের বিদেশ নীতির এই নয়া চালে আমেরিকা চটল, ভ্রু কোঁচকাল ন্যাটোর সদস্য দেশগুলি, যুদ্ধবিধ্বস্ত ইউক্রেন পাল্টা তোপ দাগল। ভারত কি সত্যি যুদ্ধর শেষ দেখতে চায়, নাকি সবটাই কুমিরের কান্না? সমালোচনা হল বিস্তর। তবু কোনও কিছুতেই আমল না দিয়ে সেই রাশিয়ায় গিয়েই সর্বোচ্চ অসামরিক সম্মান ‘অর্ডার অব সেন্ট অ্যান্ড্রু দি অ্যাপসল’ নিয়ে এলেন নরেন্দ্র মোদি। স্বৈরতন্ত্রী পুতিন যখন মোদিজিকে ওই বিরল সম্মান দিচ্ছেন, তখন ইউক্রেনের শিশু হাসপাতালে নতুন করে হত্যালীলা চালিয়েছে মস্কো। মারণ ক্ষেপণাস্ত্র হানায় প্রাণ হারিয়েছে শিশু ও মহিলারা। নিহত ও জখমের সংখ্যা দুশো ছাড়িয়ে। দীর্ঘ আড়াই বছরের চাপিয়ে দেওয়া যুদ্ধে হার না মানা ইউক্রেনের রাষ্ট্রপ্রধান জেলেনস্কি কটাক্ষ করে বলছেন, বিশ্বের বৃহত্তম গণতন্ত্রের প্রধানের সঙ্গে যুদ্ধবাজ খুনির কোলাকুলি দেখছে বিশ্ব। বিশ্ব মানবতার পক্ষে এর চেয়ে মর্মান্তিক আর কী হতে পারে? মোদিজি মুখে বলছেন, ভারত বিশ্বকে যুদ্ধ দেয়নি, উপহার দিয়েছে বুদ্ধ ও তাঁর শান্তির বাণী। কিন্তু প্রশ্ন উঠে গিয়েছে নেতার এই অমৃতবাণী কি স্রেফ কথার কথা, আড়ালে কায়েমি স্বার্থরক্ষাই পাখির চোখ!
একথা অস্বীকার করার উপায় নেই, দশবছর আগে সরকারে এসে আমেরিকার সঙ্গে নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বাধীন বিজেপি সরকারের অতিরিক্ত ঢলাঢলি বিশ্ব রাজনীতিতে ক্ষমতার নয়া অক্ষরেখার জন্ম দেয়। কার্যত সেই সুযোগটাই খুঁজছিল বেজিং। নয়াদিল্লির অত্যধিক মার্কিন প্রীতিই রাশিয়া, চীন ও পাকিস্তানকে কাছাকাছি এনে রাতারাতি দিল্লির রক্তচাপ বাড়িয়ে দেয়। সেই সঙ্গে অভ্যন্তরীণ মার্কিন রাজনীতিতে দৃষ্টিকটুভাবে ভারতের প্রধানমন্ত্রী এতটাই জড়িয়ে পড়েছিলেন যে আগাম টেক্সাসে ডোনাল্ড ট্রাম্পের নির্বাচনে জয় পর্যন্ত ঘোষণা করে দেন, কার্যত বিজয় উৎসবে মেতে ওঠেন! কিন্তু ট্রাম্পকে হারিয়ে বাইডেন জিতে এলে মোদিজির নজিরবিহীন পদক্ষেপ দিল্লিকে যথেষ্ট অস্বস্তিতে ফেলে দেয়। আর এই মুহূর্তে মোদির বন্ধু ট্রাম্পের প্রত্যাবর্তনের প্রহর গুনছে আমেরিকা। ভারত এখন কী করবে?
একথা বলতে অসুবিধা নেই, অনেক খাতির যত্ন করেও চীনের স্বৈরতান্ত্রিক প্রধান জি জিনপিংকে তাঁবে রাখতে ব্যর্থ হয়েছে বিজেপি সরকার। এবং এই মুহূর্তে বিশ্ব রাজনীতিতে প্রায় দেউলিয়া হয়ে যাওয়া হীনবল পাকিস্তান ক্রমাগত তাল ঠুকছে মূলত চীনের সক্রিয় মদতেই। অরুণাচল প্রদেশ ও লাদাখ ঘিরে চীনের সাম্প্রতিক অতিসক্রিয়তা ও লাল ফৌজের দাপাদাপি ১৯৬২ সালের স্মৃতিকেই মনে করাচ্ছে। দিল্লি খুব ভালো করেই জানে, মোদি জমানায় নয়াদিল্লির অত্যধিক মার্কিন প্রীতিই এর জন্য দায়ী। সঙ্গে পুতিনের অসন্তোষ যুক্ত হলে পরিস্থিতি মোটেই খুব সুখকর হবে না। ৬২ বছর আগের চীনা আগ্রাসনের পুনরাবৃত্তি হলে সঙ্ঘ পরিবার ও মোদিজির পক্ষে তা সহ্য করা খুব সহজ হবে না।
সেই অঙ্কেই চীনকে ঠেকাতে মস্কোর সঙ্গে দূরত্ব ঘুচিয়ে, নেহরু জমানার ‘রুশ ভারত ভাই ভাই’ তত্ত্বে ফিরতে চাইছে ভারত সরকার। গুরুত্বপূর্ণ সাধারণ বাজেট পেশের দু’সপ্তাহ আগে কেন তিনি হঠাৎ মস্কোয় ছুটে গেলেন যুদ্ধবাজ ঠান্ডা চোখের খুনি পুতিনের কাছে? সেই প্রশ্নের উত্তর খোঁজা চলছে। শুধু খেতাব আর সম্মান কোনওমতেই কারণ হতে পারে না। আসল কারণ রাশিয়া থেকে সস্তায় অশোধিত তেল কেনার পরিমাণ ও পরিধিকে আরও বৃদ্ধি করা এবং বৈদেশিক বাণিজ্যকে ১০০ বিলিয়ন ডলারের লক্ষ্যমাত্রায় নিয়ে যাওয়া। এই মুহূর্তে দু’দেশের বৈদেশিক বাণিজ্যের পরিমাণ ৬৭ বিলিয়ন ডলারের আশপাশে। ২০৩০ সালের মধ্যে তা ১০০ বিলিয়ন ডলার হলে ষোলোআনা লাভ দিল্লিরই। সেজন্যই ন’টি চুক্তি করেছে দিল্লি ও মস্কো। তেল, বৈদেশিক বাণিজ্য এবং অস্ত্র কেনা, রুশ-ভারত সম্পর্কের এই তিন পিলারই আমেরিকার মাথাব্যথার কারণ। ওয়াশিংটনের আপত্তি উড়িয়ে রাশিয়ার থেকে অশোধিত তেলই নয়, আধুনিক অস্ত্রশস্ত্র কেনাকাটাতেও এগিয়েছে দিল্লি। এই অস্ত্র সম্ভারের মধ্যে রয়েছে, আধুনিক এস ৪০০ ক্ষেপণাস্ত্র মোকাবিলা সিস্টেম, একে ২০৩ রাইফেল এবং যুদ্ধ সরঞ্জাম। ভুললে চলবে না, এই মুহূর্তে ভারতের প্রতিরক্ষা আমদানির ৪৫ শতাংশ আসছে পুতিনের দেশ থেকেই। ইরাক, সৌদি আরবকে পিছনে ফেলে তেল আমদানিও সবচেয়ে বেশি মস্কো থেকেই। কখন থেকে? যেদিন থেকে রুশ-ইউক্রেন যুদ্ধ শুরু হয়েছে সেইদিন থেকে। তার চেয়েও বড় কথা সস্তায়। এর সঙ্গে পাল্লা দিয়ে রপ্তানি না বাড়ানো গেলে বাণিজ্যিক ভারসাম্য নষ্ট হলে অর্থনীতির বিপদ। সেই জন্যই মস্কো ছুটে যাওয়া।
এমনিতে ভারতীয় অর্থনীতির অবস্থা যে মোটেই ভালো জায়গায় নেই, তা পরখ করতে পোড়খাওয়া অর্থনীতিবিদ হওয়ার দরকার নেই। রিজার্ভ ব্যাঙ্ক যতই মোদিজির সাফল্যের বেলুন ওড়ানোয় মন দিক এবং বছরে অলীক ৪ কোটি চাকরির পরিসংখ্যান সামনে এনে শাসকের পিঠ চাপড়ানোয় ব্যস্ত হয়ে পড়ুক, বাস্তবে সরকার যে চাকরি দিতে ব্যর্থ, তা এদেশে অজানা নয় কারও। দশ লক্ষ সরকারি পদ ফাঁকা! তা পূরণ করার সদিচ্ছা যে ‘মঙ্গলসূত্র’ বাঁচানো বিজেপি সরকারের নেই, এই সারসত্যটা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য থেকে রাস্তার গরিব ফেরিওয়ালা—সবাই এতদিনে জেনে ফেলেছেন। অথচ, বেকারত্ব যত বাড়বে মঙ্গলসূত্র কেন, ঘটিবাটিটাও যে বাঁচবে না, তা ধুরন্ধর শাসককে ভোটার ভোলানো কোটি টাকা খরচের জনসভায় মনে করিয়ে দেবে কে? চারবছর আগের কোভিড ধাক্কা এখনও মাত্র আটআনা কেটেছে। বাকি আটআনা কবে কাটবে তার কোনও ইঙ্গিত কেউ দিতে পারবে কি? নোট বাতিলের পর ছোট ও মাঝারি শিল্পের কোমর সেই যে ভেঙেছে জোড়া  লাগেনি আজও। রেকর্ড বেকারত্বের সঙ্গে মূল্যবৃদ্ধির জোড়া আঘাতে আম নাগরিকের নুন আনতে পান্তা ফুরনোর জোগাড়। দাম, বিশেষত খাদ্যদ্রব্যের মূল্য নিয়ন্ত্রণ করা যে প্রায় অসম্ভব হয়ে উঠছে তা স্বীকার করে নিয়েছে দেশের সর্বোচ্চ বণিকসভা থেকে শীর্ষ নীতি নির্ধারকরাও। এই অবস্থায় মধ্যবিত্তের সঞ্চয় মার খাচ্ছে। চাহিদা কম থাকায় মার খাচ্ছে গড় উৎপাদন সূচকও। ক্ষমতায় এসেই  মোদিজি ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’ ক্যাম্পেনে ঝাঁপিয়েছিলেন। আর জোর দিয়েছিলেন স্টার্ট আপে যুব সম্প্রদায়কে উৎসাহিত করার কাজে। কিন্তু একটার পর একটা গালভরা নামই দেওয়া হয়েছে, স্বপ্ন ফেরি হয়েছে বিস্তর, আখেরে বাস্তবে মেলেনি কিছুই। বিদেশি বিনিয়োগ নিয়ে অনেক আকাশকুসুম স্বপ্ন দেখানো হলেও গত দু’বছরে তা ক্রমাগত থমকে গিয়েছে। ধাক্কা খেয়েছে সরকারি সংস্থার বিলগ্নিকরণ অভিযানও।
বরং এই সঙ্কটের মধ্যেও আশার কথা একটাই। অশোধিত তেল আমদানির পরিমাণ বাড়লেও মস্কো সুলভে তা সরবরাহ করায় দেশের খরচ (অয়েল ইমপোর্ট) কিছুটা কমেছে। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ চলছে সেই ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারি থেকে। এই খাতে আমদানি বিলে এ পর্যন্ত সাশ্রয় হয়েছে প্রায় ৩০ বিলিয়ন ডলার, ভারতীয় মুদ্রায় যা আড়াই লক্ষ কোটি টাকারও বেশি। অঙ্কটা মোটেই হেলাফেলার নয়। যুদ্ধ শুরু হতেই রাশিয়ার তেল কেনায় ন্যাটোর নিষেধাজ্ঞা ভারত সরকার মানেনি। যুদ্ধ থামানোর কথা বলেও সরাসরি সংঘাতে জড়ায়নি। আমেরিকা ও ন্যাটো সহযোগীরা ক্ষুব্ধ হলেও ভারতের বিদেশনীতির এটাই চ্যালেঞ্জ।
মুখে ‘যুদ্ধ করে করবি কী তা বল?’ কিন্তু আখেরে মস্কোর সস্তার তেলই ভারতীয় অর্থনীতির জিয়নকাঠি। তেলের দাম বাড়লে দিল্লির গদিও যে টলোমলো, তা জোট সরকারের প্রধানমন্ত্রীর অজানা নয়।
14th  July, 2024
রাজ্যপালের কাছে রাজ্যবাসীর আশা রাখা অন্যায়?
শান্তনু দত্তগুপ্ত

রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোসের মাসিক বেতন কত? সাড়ে তিন লক্ষ টাকা। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির থেকেও বেশি। তাও তিনি রাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে উপাচার্য নিয়োগে গা করেন না। সুপ্রিম কোর্ট বারবার নির্দেশ দিলেও কিছুতে নাকি বাংলার প্রশাসনিক প্রধানের সঙ্গে তাঁর মত মেলে না। 
বিশদ

নির্মলার বাজেট এবারও কি হতাশ করবে?
পি চিদম্বরম

অর্থনীতির অন্য শুভাকাঙ্ক্ষীদের মতো, আমিও বার্ষিক কেন্দ্রীয় বাজেটের প্রাক্কালে সবসময় পড়াশোনার পাশাপাশি মতামত দিই এবং লেখালিখিও করি। তবে, বেশিরভাগ বাজেটের দিনেই সংসদ ভবন ছেড়ে আসতে হয় একরাশ হতাশা নিয়েই। বিশদ

22nd  July, 2024
আবেগের নাম ২১ জুলাই
হিমাংশু সিংহ

একুশে জুলাইয়ের বয়স তৃণমূলের চেয়ে পাঁচ বছর বেশি। কিন্তু বয়সে কী আসে যায়। দেখতে দেখতে স্বাধীনতা-উত্তর বাংলায় রাজনীতির প্রধান চালিকাশক্তিতে পরিণত আজকের শহিদ দিবসটি। ২১ জুলাই শুনলেই সুন্দরবন থেকে পাহাড়, কাকদ্বীপ থেকে কোচবিহারের মানুষ আছড়ে পড়ে কলকাতার রাজপথে। বিশদ

21st  July, 2024
২১ জুলাই এবার অনেক নেতারও ‘শহিদ দিবস’
তন্ময় মল্লিক

‘লোকসভা নির্বাচনে কম আসন পেলেও রাজ্যে ৬৯টি পুরসভায় আমরা এগিয়ে।’ কথাগুলি বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের। নির্বাচনে ভরাডুবির পর হতোদ্যম দলীয় কর্মী-সমর্থকদের চাঙ্গা করতে গেলে হতাশার গাদা থেকে খুঁজে বের করতে হয় সাফল্যের ছুঁচ। বিশদ

20th  July, 2024
ট্রাম্প টার্গেট: কিশোর মন বোঝা জরুরি
সমৃদ্ধ দত্ত

আমেরিকার ২০ বছরের এক তরুণের মনের হদিশ এতদিন ধরে কিন্তু কেউ পায়নি। তার স্কুলের প্রাক্তন সহপাঠী, প্রতিবেশী, অভিভাবক সকলেই প্রবল বিস্মিত। এরকম কাজ এই ছেলেটি কীভাবে করতে পারে? আজ পেনসিলভেনিয়ার এক কান্ট্রিসাইডে ঘটে যাওয়া ওই রোমহর্ষক ঘটনা নিয়ে উত্তেজনাপূর্ণ আলোচনা অনেক দূরে আমাদের ঘরে ঘরেও হয়তো হচ্ছে।
বিশদ

19th  July, 2024
হতাশার ভোটে রক্তাক্ত ট্রাম্প!
মৃণালকান্তি দাস

সিক্রেট সার্ভিসের সদস্যরা ঘিরে রেখে তাঁকে মঞ্চ থেকে সরিয়ে নিচ্ছেন, তাঁর মুখের উপর রক্ত গড়িয়ে পড়ছে, এর মধ্যে মুষ্টিবদ্ধ হাত তুলে স্লোগান তোলা অদম্য ট্রাম্পের ছবি শুধু ঐতিহাসিক নয়, মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের গতিপথও উল্টে দিতে পারে।  বিশদ

18th  July, 2024
সংবিধান প্রীতির সংসদীয় প্রতিযোগিতা
হারাধন চৌধুরী

বিখ্যাত রাষ্ট্রবিজ্ঞানী, হিউম্যারিস্ট স্টিফেন লিকক বলেছিলেন, প্রবাদগুলো নতুন করে লেখা উচিত। কারণ এগুলো প্রাসঙ্গিকতা হারিয়েছে। এমনকী, কিছু প্রবাদ সাম্প্রতিক বাস্তবের বিপরীত ব্যাখ্যাই বহন করছে বিশদ

17th  July, 2024
উপ নির্বাচন ও কিছু মিলে যাওয়া অঙ্ক
শান্তনু দত্তগুপ্ত

দ্রবণকে ব্যাখ্যা করতে গেলে তিনটি ধরন পাওয়া যায়—অসমপৃক্ত, সম্পৃক্ত, আর অতিপৃক্ত। নিছক স্কুলজীবনের বৈজ্ঞানিক শিক্ষা। কিন্তু অবলীলায় একে দৈনন্দিন জীবন, সমাজ এবং রাজনীতিতে চালিয়ে দেওয়া যায়। অতিপৃক্ত শব্দটিকে জীবনের সঙ্গে খাপ খাওয়ালে বলা যেতেই পারে, জল গলার উপর উঠে গিয়েছে।
  বিশদ

16th  July, 2024
নয়া তিন আইন নিয়ে প্রশ্নের উত্তর দেবেন কে?
পি চিদম্বরম

একটি বিতর্কের পরে যেখানে বিরোধীরা সংসদের উভয় কক্ষ (সঙ্গত কারণে) বয়কট করল, সেখানেই ভারতীয় দণ্ডবিধি, ১৮৬০, ফৌজদারি কার্যবিধি, ১৯৭৩ এবং ভারতীয় সাক্ষ্য আইন, ১৮৭২ প্রতিস্থাপন (এবং পুনঃপ্রণয়ন) করার জন্য তিনটি বিল পাস করা হল।
বিশদ

15th  July, 2024
মতুয়া ভোটের লোভেই কি শান্তনুর সাত খুন মাফ!
তন্ময় মল্লিক

কেন্দ্রীয় মন্ত্রী শান্তনু ঠাকুরের বিরুদ্ধে বিজেপি নেতৃত্ব বা নরেন্দ্র মোদির সরকার কি কোনও ব্যবস্থা নেবে? দ্বিতীয়বার মন্ত্রী হওয়ার এক মাসের মধ্যেই কেন এই প্রশ্ন? কারণ তাঁর বিরুদ্ধে উঠেছে গোমাংস পাচারে মদতের গুরুতর অভিযোগ। সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্তাকে তাঁর লেখা সুপারিশপত্র নিয়ে বিজেপির অন্দরে ব্যাপক জলঘোলা হচ্ছে।
বিশদ

13th  July, 2024
ট্যাক্স সন্ত্রাস: জনতার কষ্টার্জিত অর্থ যায় কোথায়?
সমৃদ্ধ দত্ত

আমরা বেতন, ব্যবসা অথবা স্বাভাবিক পেশার বাইরে কোনও অতিরিক্ত কাজ করে কিছু বেশি রোজগার করলাম। সেই টাকার একাংশ সরকার ট্যাক্স নেবে। ট্যাক্স কেটে নেওয়ার পর যে টাকা বেঁচে থাকবে, সেটা পুরোটাই তো আমাদের জীবনযাপনের জন্য থাকার কথা। বিশদ

12th  July, 2024
মমতার জলযুদ্ধ!
মৃণালকান্তি দাস

সাহিত্যিক সমরেশ মজুমদারের ‘সাতকাহন’ উপন্যাসের নায়িকা ছিলেন দীপাবলি। যাঁকে উত্তরবঙ্গের চা-বাগান থেকে বহুবার সকরিকলি মনিহারি ঘাট হয়ে স্টিমারে গঙ্গা পেরিয়ে কলকাতা আসতে হতো। কলকাতা এবং উত্তরবঙ্গের যোগসূত্র তখন অর্ধেক পথ ট্রেনে, তারপরে স্টিমারে গঙ্গা পেরিয়ে আবার অন্যপাড়ে দাঁড়িয়ে থাকা ট্রেন। বিশদ

11th  July, 2024
একনজরে
সোমবার থেকে সংসদে বাজেট অধিবেশন শুরু হয়েছে। অধিবেশনের প্রথম দিনেই বাগনান থেকে শ্যামপুর পর্যন্ত রেললাইন চালুর দাবি জানালেন উলুবেড়িয়ার সাংসদ সাজদা আহমেদ। ...

পুলিসি ধরপাকড় কিছুটা কমতেই ফের শুরু হয়েছে চোরাই কয়লা কারবার। দুবরাজপুরের ঘাট গোপালপুর গ্রামই এখন চোরাই কয়লার প্রধান স্টক পয়েন্ট। সেখান থেকে বাইকে করে কয়লা ...

দুবাই পুলিস গ্রেপ্তার করেছে পাক সঙ্গীতশিল্পী রাহাত ফতে আলি খানকে। সোমবার পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যমে এমনই খবর ছড়িয়ে পড়েছিল। ...

বাংলাদেশের অশান্তির প্রভাব পড়েছে এপারের বাণিজ্যে। ওপারে সৃষ্টি হওয়া অচলাবস্থার জেরে মালদহের ব্যবসায়ীরা ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছেন। গত এক সপ্তাহ ধরেই পণ্য পরিবহণে বিঘ্ন ঘটছিল। রবি ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

পারিবারিক সম্পত্তি সংক্রান্ত আইনি কর্মে ব্যস্ততা। ব্যবসা সম্প্রসারণে অতিরিক্ত অর্থ বিনিয়োগের পরিকল্পনা। ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৮২৯- আমেরিকাতে টাইপরাইটারের পূর্বসুরী টাইপোগ্রাফার পেটেন্ট করেন উইলিয়াম অস্টিন বার্ড
১৮৪৩ - সাহিত্যিক, সাংবাদিক ও বাগ্মী রায়বাহাদুর কালীপ্রসন্ন ঘোষের জন্ম
১৮৫৬- স্বাধীনতা সংগ্রামী বাল গঙ্গাধর তিলকের জন্ম
১৮৮১ - আন্তর্জাতিক ক্রীড়া সংস্থাগুলির মধ্যে সবচেয়ে পুরাতন আন্তর্জাতিক জিমন্যাস্টিক ফেডারেশন প্রতিষ্ঠিত 
১৮৯৩ - কলকাতায় বঙ্গীয় সাহিত্য পরিষদ পূর্বতন বেঙ্গল একাডেমি অব লিটারেচার স্থাপিত
১৮৯৫- চিত্রশিল্পী মুকুল দের জন্ম
১৮৯৮ - বিশিষ্ট বাঙালি কথাসাহিত্যিক তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায়ের জন্ম
১৯০৬ - চন্দ্রশেখর আজাদ, ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনের বিপ্লবী
১৯২৭ - সালের এই দিনে ইন্ডিয়ান ব্রডকাস্টিং কোম্পানি বোম্বাইয়ে ভারতের প্রথম বেতার সম্প্রচার শুরু করে
১৯৩৩ - ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনের সশস্ত্র বিপ্লবী ও আইনজীবী যতীন্দ্রমোহন সেনগুপ্তের মৃত্যু
১৯৩৪ – পশ্চিমবঙ্গের প্রাক্তন রাজ্যপাল এম কে নারায়ণনের জন্ম
১৯৪৭ – বলিউড অভিনেতা মোহন আগাসের জন্ম
১৯৪৭ – বিশিষ্ট বেহালা বাদক এল সুব্রহ্মণমের জন্ম
১৯৪৯ -  দক্ষিণ আফ্রিকান ক্রিকেটার ক্লাইভ রাইসের জন্ম
১৯৫৩ - ইংল্যান্ডের প্রাক্তন ক্রিকেটার গ্রাহাম গুচের জন্ম
১৯৭৩ – সঙ্গীত পরিচালক তথা সঙ্গীত শিল্পী হিমেশ রেশমিয়ার জন্ম
১৯৯৫- হেল-বপ ধূমকেতু আবিস্কার হয়, পরের বছরের গোড়ায় সেটি খালি চোখে দৃশ্যমান হয়
২০০৪- অভিনেতা মেহমুদের মৃত্যু
২০১২- আই এন এ’ যোদ্ধা লক্ষ্মী সায়গলের মৃত্যু
২০১৮ - মঞ্চ ও চলচ্চিত্রাভিনেত্রী বাসবী নন্দীর মৃত্যু



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮২.৮৫ টাকা ৮৪.৫৯ টাকা
পাউন্ড ১০৬.৪৩ টাকা ১০৯.৯৫ টাকা
ইউরো ৮৯.৬৩ টাকা ৯২.৭৮ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৭৩,৭৫০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৭৪,১৫০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৭০,৫০০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৮৮,৯০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৮৯,০০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

৭ শ্রাবণ, ১৪৩১, মঙ্গলবার, ২৩ জুলাই, ২০২৪। দ্বিতীয়া ১৩/১০ দিবা ১০/২৪। ধনিষ্ঠা নক্ষত্র ৩৭/৫৫ রাত্রি ৮/১৮। সূর্যোদয় ৫/৮/০, সূর্যাস্ত ৬/১৭/৫৯। অমৃতযোগ দিবা ৭/৪৬ গতে ১০/২৪ মধ্যে পুনঃ ১/২ গতে ২/৪৮ মধ্যে পুনঃ ৩/৪০ গতে ৫/২৬ মধ্যে। রাত্রি ৭/১ মধ্যে পুনঃ ৯/১১ গতে ১১/২১ মধ্যে পুনঃ ১/৩১ গতে ২/৫৮ মধ্যে। বারবেলা ৬/৪৭ গতে ৮/২৫ মধ্যে পুনঃ ১/২২ গতে ৩/১ ম঩ধ্যে। কালরাত্রি ৭/৩৯ গতে ৯/০ মধ্যে। 
৭ শ্রাবণ, ১৪৩১, মঙ্গলবার, ২৩ জুলাই, ২০২৪। দ্বিতীয়া দিবা ১২/৪৭। ধনিষ্ঠা নক্ষত্র রাত্রি ১১/৪২। সূর্যোদয় ৫/৬, সূর্যাস্ত ৬/২১। অমৃতযোগ দিবা ৭/৫০ গতে ১০/২৪ মধ্যে ও ১২/৫৮ গতে ২/৪১ মধ্যে ও ৩/৩২ গতে ৫/১৫ মধ্যে এবং রাত্রি ৬/৫১ মধ্যে ও ৯/৫ গতে ১১/১৯ মধ্যে ও ১/৩৩ গতে ৩/২ মধ্যে। বারবেলা ৬/৪৬ গতে ৮/২৫ মধ্যে ও ১/২৩ গতে ৩/৩ মধ্যে। কালরাত্রি ৭/৪২ গতে ৯/৩ মধ্যে।
১৬ মহরম।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
নিট-ইউজি প্রশ্নপত্র ফাঁস মামলা: পুনরায় পরীক্ষার নির্দেশ দিল না সুপ্রিম কোর্ট

05:18:38 PM

কলকাতা লিগ: ক্যালকাটা পুলিস ক্লাব ও মোহন বাগানের ম্যাচ ড্র, স্কোর ১-১

05:10:49 PM

বক্তব্য শেষ করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়

05:02:23 PM

১৫ অক্টোবর দুর্গাপুজোর কার্নিভ্যাল: মমতা

04:58:39 PM

আগামী বছরে পুজো কমিটিগুলিকে ১ লক্ষ টাকা করে আর্থিক অনুদান দেওয়া হবে, ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রীর

04:58:18 PM

চলতি বছরে পুজো কমিটিগুলিকে ৮৫ হাজার টাকা আর্থিক অনুদান, ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রীর

04:56:43 PM