Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

ক্ষমতার বিকেন্দ্রীকরণ:
মমতার সাহসী পদক্ষেপ
তন্ময় মল্লিক

ক্ষমতার বিকেন্দ্রীকরণ অধিকাংশ মানুষের বেশ পছন্দের শব্দ। কারণ এর মধ্যে রয়েছে ভাগ করে নেওয়ার উদারতা। তবে, স্লোগান আর ক্ষমতার বিকেন্দ্রীকরণ করে দেখানোর ফারাকটা আসমান-জমিন। সেই ব্যবধানকে মুছে ফেলার লড়াইয়ে নেমেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ‘এক ব্যক্তি এক পদ’ নীতি তারই পদক্ষেপ। ‘মিশন-২০২৪’ সফল করার লক্ষ্যে মরিয়া মমতার কাছে ব্যক্তি অপেক্ষা সংগঠনের গুরুত্ব এখন অনেক বেশি। রাজ্যের শতাধিক পুরসভার প্রশাসনে এবং দলীয় সংগঠনে বিপুল রদবদল তারই প্রমাণ। লাভ ক্ষতির হিসেব নিয়ে গবেষণা চলতেই পারে। তবে মানতেই হবে, ক্ষোভ বিক্ষোভের আশঙ্কা সত্ত্বেও খোলনলচে বদলের এমন ঝুঁকি নিতে লাগে আত্মবিশ্বাস। একুশের নির্বাচনে মোদি-অমিত শাহ জুটিকে ফুৎকারে উড়িয়ে দিয়ে বিপুল জয়লাভ হাসিল করায় তৃণমূলনেত্রীর আত্মবিশ্বাস ছুঁয়েছে হিমালয়ের চূড়া। তাই ভাদ্র মাস পড়ার আগেই সেরে ফেললেন সংগঠনের ঝাড়পোঁচ। লোহা গরম থাকতে থাকতেই তাকে পিটিয়ে সোজা করেন দক্ষ কারিগররা।
বঙ্গের বিধানসভা নির্বাচনে বিপুল সাফল্য ঘরে তোলার পর থেকেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জাতীয় রাজনীতির অন্যতম কেন্দ্রীয় চরিত্র। দেশজুড়ে বিজেপি বিরোধী ঐক্য গড়ার কারিগর তিনিই। পাশাপাশি জনস্বার্থে নতুন নতুন সামাজিক প্রকল্পের পরিকল্পনা এবং বাস্তবায়নের জন্য তাঁর খ্যাতি এখন বিশ্বজোড়া। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী হয়েও বিশ্বের বিশিষ্টজনের পাশে জায়গা করে নেওয়ার বিরল কৃতিত্ব তাঁরই রয়েছে। তবে, খ্যাতি তাঁর আত্মতুষ্টির কারণ হয়ে দাঁড়ায়নি। তাই লক্ষ্যচ্যুত হওয়ার বদলে লক্ষ্যপূরণের সংকল্পে তিনি হয়েছেন আরও প্রত্যয়ী। রাজ্যে একের পর এক জনকল্যাণমূলক প্রকল্প চালু করছেন। নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি পালন করে বুঝিয়ে দিচ্ছেন, কথা আর কাজের মধ্যে বিন্দুমাত্র ফারাক থাকাটা তাঁর নাপসন্দ। তাই তাঁর সরকারের ঘোষিত প্রকল্পের সুযোগ নেওয়ার জন্য লাখো মানুষের ভিড়।
মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে রাজ্যবাসীকে স্বস্তি দেওয়ার পাশাপাশি দলনেত্রী হিসেবে দলের প্রতিটি খুঁটিনাটি বিষয়ের উপর তাঁর রয়েছে তীক্ষ্ণ দৃষ্টি। নির্বাচনে এমন পাহাড়প্রমাণ সাফল্যের পর ধরাকে সরা জ্ঞান করাটাই ছিল স্বাভাবিক ঘটনা। কিন্তু মমতা কাজের মধ্যে দিয়ে প্রমাণ করে দিচ্ছেন, তিনি সে পথের পথিক নন। তাই আত্মতুষ্টিতে না ভুগে করছেন আত্মসমালোচনা। দলের ভুলত্রুটি সংশোধন করে এগতে চাইছেন।
একুশের নির্বাচন তাঁকে শিখিয়েছে, ক্ষমতার কেন্দ্রীকরণ শুধু মানুষের জন্যই নয়, দলের জন্যও ক্ষতিকর। একজনের হাতে বেশি ক্ষমতা দিলে 
তাঁর মধ্যে তৈরি হয় দলকে ‘ব্ল্যাক মেল’ করার প্রবণতা। যাঁদের তিনি দু’হাত উজাড় করে দিয়েছিলেন, তাঁরাই আরও বেশি পাওয়ার প্রত্যাশায় দল ছেড়েছিলেন। কিন্তু সাধারণ কর্মী-সমর্থকরা তাঁকে ছেড়ে যাননি। সেই জন্যই মোদির সম্মোহনী ক্ষমতা আর অমিতজির কৌশলী রাজনীতিকে পরাস্ত 
করতে পেরেছেন অতি সহজেই।
মমতা ব্যক্তি অপেক্ষা দলকে বেশি গুরুত্ব দিচ্ছেন। তাই দল ও প্রশাসনের ক্ষমতা ছড়িয়ে দিতে চাইছেন। এক ব্যক্তি এক পদ নীতি কার্যকর করতে গিয়ে এমন অনেকে বাদ পড়েছেন যাঁদের গায়ে ব্যর্থতার দাগ নেই। উল্টে কঠিন পরিস্থিতির মধ্যেও বিধানসভা ভোটে দলকে অভাবনীয় সাফল্য এনে দিয়েছেন। ‘লালদুর্গ’ পূর্ব বর্ধমানের ১৬টি আসনেই জিতেছে তৃণমূল। তবুও স্বপন দেবনাথ মন্ত্রী হওয়ায় তাঁকে জেলা সভাপতির পদ ছাড়তে হয়েছে। রাজ্যের যে পাঁচজন মন্ত্রীকে জেলা সভাপতির দায়িত্ব ছাড়তে হয়েছে, তাঁদের মধ্যে তিনজনের নেতৃত্বে জেলায় ভালো ফল করেছে তৃণমূল। সেই জয়ের মুখ অবশ্যই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু সেনাপতি হিসেবে তাঁদের অবদান অনস্বীকার্য। তবুও প্রাধান্য পেয়েছে নীতি। অপারেশন বেদনাদায়ক হলেও সুস্থ ও দীর্ঘ জীবনের জন্য কখনও কখনও তা আবশ্যিক হয়ে ওঠে।
সিপিএম ৩৪ বছরে যা করতে পারেনি, তৃণমূলনেত্রী ক্ষমতা দখলের ১০ বছরের মাথায় সেটাই করে দেখালেন। ‘এক ব্যক্তি এক পদ’ নীতি কার্যকর করার জন্য তাঁর ‘টাইমিং’ অসাধারণ। একদিকে নির্বাচনে বিপুল সাফল্য, অন্যদিকে বিরোধীদের ছন্নছাড়া অবস্থা। তাছাড়া লোকসভা নির্বাচন এখনও অনেক বাকি। তাই পরীক্ষা নিরীক্ষার এটাই সেরা সময়। এই অবস্থায় পদ থেকে সরিয়ে দেওয়ার জন্য ক্ষোভ তৈরি হলেও কেউ দল ছাড়বেন না। কারণ যাওয়ার জায়গা দিন দিন সঙ্কুচিত হচ্ছে। তাই কিল খেলেও মুখ বুজে হজম করতেই হবে। নির্বাচনের আগে ‘বেসুরো’দের করুণ পরিণতি নেতাদের জ্ঞানচক্ষু উন্মোচিত করেছে। তাই ক্ষমতাচ্যুত হয়ে ক্ষোভ প্রকাশ তো দূরের কথা, সকলেই ‘সুবোধ বালক’। দলের নির্দেশ হাসিমুখে পালনে প্রস্তুত। 
বিধানসভা নির্বাচনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের চালু করা সামাজিক প্রকল্পের পুরো ডিভিডেন্ট ঘরে তুলেছে রাজ্যের শাসক দল। তা সত্ত্বেও তাৎপর্যপূর্ণ হল, রাজ্যের বহু শহরে তৃণমূল পিছিয়ে। বেশকিছু বিধানসভা কেন্দ্রে তৃণমূল জয়ী হয়েছে স্রেফ গ্রামের বিপুল সমর্থনে। বিষয়টি তৃণমূল সুপ্রিমোর নজর এড়ায়নি। তিনি বুঝেছেন, রাজ্যের মহিলারা এবং গ্রাম সঙ্গে থাকলেও শহরের একটা বড় অংশ তৃণমূল থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে। কিন্তু কেন?
এই ‘কেন’র উত্তর খুঁজতে গিয়ে জানতে পেরেছেন, তৃণমূলের মুখ হিসেবে যাঁরা রয়েছেন, তাঁদের আচার, আচরণ মানুষ পছন্দ করছেন না। অনেকেই জনস্বার্থের বদলে ব্যক্তিস্বার্থে দলকে ব্যবহার করছেন। ফলে তাঁর বিপুল কর্মযজ্ঞের সুফলকে ঢেকে দিয়েছে শহুরে নেতাদের কুকর্ম। সেই সব মুখের প্রতি বিরক্ত হয়ে মানুষ বিজেপিকে ভোট দিয়েছেন। সেই কারণে বহু টাউন কমিটির সঙ্গে পুর প্রশাসনেও পরিবর্তন এনেছেন। পুরসভায় বিশেষ গুরুত্ব পেয়েছে সুশীল সমাজ। কারণ নেত্রী সাধারণ মানুষের কাছে পুরসভাকে আরও গ্রহণযোগ্য করতে চাইছেন। সেই কারণে নেতাদের পাশাপাশি চিকিৎসক, অধ্যাপক, এমনকী ব্যবসায়ীদেরও যুক্ত করা হয়েছে। যাঁরা কোনও দিনই তৃণমূলের ঝান্ডা ধরেননি, এমন অনেকে দায়িত্ব পেয়েছেন। এসব দেখে অনেকে প্রশ্ন তুলেছেন, এটা কি পুরসভাকে দলতন্ত্রের বাইরে বের করার প্রয়াস? এটাই কি ‘উন্নততর তৃণমূলে’র মডেল? উত্তর দেবে সময়।
দুয়ারে সরকার ক্যাম্পগুলিতে হাজার হাজার মানুষের স্বতঃস্ফূর্ত ভিড় দেখে যাঁরা আক্রমণের অস্ত্রে শান দিচ্ছেন, তাঁদের একটা কথাই বলার, রসো বৎস্য, রসো। সমালোচনা করার আগে একটিবার অন্তত ভাবুন, কেন রাজ্যের লক্ষ লক্ষ মানুষ মমতার সরকারের প্রকল্পের সুবিধা নিতে ক্যাম্পে ভিড় করছেন? এই ভিড় কীসের ঈঙ্গিত? উত্তর, এটা মমতার কথার প্রতি মানুষের বিশ্বাসের প্রতিফলন। কথা দিলে কথা রাখেন। ধাপ্পা দেন না।
‘অর্থনৈতিক স্বাধীনতা ছাড়া স্বাধীনতা অর্থহীন।’ সম্ভবত এটাই বিশ্বাস করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও। তাই বাংলার লক্ষ লক্ষ অসহায় মা, বোনের জীবনে ‘অর্থনৈতিক স্বাধীনতা’র স্বাদ পৌঁছে দিতে প্রতি মাসে টাকা দেওয়ার অঙ্গীকার করেছিলেন। ৬০ বছর পর্যন্ত হাতখরচের এমন নিশ্চিত গ্যারান্টি এর আগে ভূ-ভারতে কেউ দেননি। তাই দুয়ারে সরকারের প্রতিটি ক্যাম্পে মা, বোনের ভিড় উপচে পড়ছে।
লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের গুরুত্ব বুঝতে পারছেন বিজেপির নেতা-কর্মীরাও। তাই কেউ নিজের ছবি ছাপিয়ে লক্ষ্মী ভাণ্ডারের প্রচার করছেন, কেউ আবার ক্যাম্পে গিয়ে ফর্ম পূরণে সাহায্য করছেন। বিজেপির রামপুরহাট শহরের নেতা বিপ্লব নন্দী তাঁদেরই একজন। তাঁর কথায়, লক্ষ্মীর ভাণ্ডার, স্বাস্থ্যসাথী কার্ডের জন্য বহু মহিলা শিবিরে আসছেন। আমরাও চাই, মানুষ সরকারের সমস্ত পরিষেবা পাক। সেজন্যই আমরা এখানে বসেছি। রাজ্য সরকার যদি জীবনভর লক্ষ্মীর ভাণ্ডার চালাতে পারে, তাহলে খুব ভালো।
মাটির সোঁদা গন্ধ এখনও যাঁদের নাকে পৌঁছয়, তাঁরা বুঝতে পারছেন, মমতার লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের বিরোধিতার অর্থ জনগণের বিরাগভাজন হওয়া। কারণ মমতার লক্ষ্মীর ভাণ্ডার কোনও মামুলি প্রকল্প নয়, এটা লক্ষ লক্ষ মা, বোনের আর্থিক স্বাধীনতার এক বলিষ্ঠ পদক্ষেপ। 
টিফিনের টোপ আর টাকার লোভ দেখিয়ে জমায়েতে অভ্যস্ত বিজেপি নেতারা মমতার লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্পে ভিড় দেখে দিশেহারা। পায়ের তলার মাটি দ্রুত সরে যাচ্ছে। ২০২৪এর পরিণতির কথা ভেবে অনেকে মাথার ঠিক রাখতে পারছেন না। তাই মা-বোনেদের জীবনে যা ‘স্বাধীনতার আনন্দ’ দিলীপ ঘোষের চোখে তা ‘ভিখারি’ বানানোর কৌশল। তিনি অবলীলায় বলতে পারেন, ‘উনি (মমতা) ৫০০টাকার জন্য বাঙালি সমাজকে ভিখারি বানিয়ে দিলেন।’
না দিলীপবাবু, আপনি ভুল বলছেন। মমতার ‘লক্ষ্মীর ভাণ্ডার’ বাংলার মা, বোনেদের ভিখারি বানায়নি, বরং ভালো করে দেখলে বুঝতে পারবেন, বাটিটা এখন আপনাদের হাতে!
21st  August, 2021
ড্রাগনের ছায়ায় সঙ্কটে
ভারতের প্রতিবেশী নীতি
মৃণালকান্তি দাস

ভারতের চোখে যে দেশ ছিল প্রকৃত বিশ্বস্ত বন্ধু, তালিবান উত্থানের পর তাও আজ অতীত। আর সব সম্পর্ক ভাঙনে আড়কাঠি হয়ে উঠেছে বেজিং। ড্রাগনের ছায়ায় সঙ্কটে ভারতের প্রতিবেশী নীতি। চীনের নজর এখন— ভারতীয় উপমহাদেশে প্রভাব বিস্তার, সীমা সম্প্রসারণ ও কূটনৈতিক লড়াই। বিশদ

সবচেয়ে ক্ষতি ভারতের ধর্মনিরপেক্ষতার
হারাধন চৌধুরী

ভারতের নিকটতম প্রতিবেশী নয় আফগানিস্তান। ইরান, তাজিকিস্তান, উজবেকিস্তান, তুর্কমেনিস্তান, পাকিস্তান ও চীনের মাঝে পাহাড়, মরুভূমি ও স্থল বেষ্টিত একটি দেশ আফগানিস্তান। তবু কাবুলের পতনে চিন্তার ভাঁজ মূলত ভারতেরই কপালে।
বিশদ

25th  August, 2021
ভয় যে আপনার রিমোট কন্ট্রোলেই

বাংলায় একটা প্রবাদ আছে, শূন্য কলসি বাজে বেশি। বিজেপি জানে, যেখানে কাজ মগজাস্ত্রের, সেখানে দাদামশাইকে অবসর দিলে ভালো হয়। কিন্তু তা তো করা যাবে না! তাহলে উপায় কী? কেন, প্রোপাগান্ডা! মোদি থাকতে ভয় কী? বাজারে ইতিমধ্যেই আলোচনা শুরু হয়ে গিয়েছে... বিজেপি এটাকেই এবার কাজে লাগাবে। একটা যুদ্ধ যুদ্ধ ভাব। কিন্তু যুদ্ধ নয়।
বিশদ

24th  August, 2021
পাকিস্তানের তালিবান মদত ব্যুমেরাং হবে
কুমারেশ চক্রবর্তী

১৫ আগস্ট ২০২১, কাবুলের সঙ্গে সঙ্গে ইসলামাবাদ এবং লাহোরে পালিত হল তালিবান বিজয়োৎসব। পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান বললেন, ‘দু’দশক পরে আফগানরা দেশকে বিদেশিমুক্ত করল।’ 
বিশদ

23rd  August, 2021
তাৎপর্য হারিয়েছে স্বাধীনতা দিবসের ভাষণ
পি চিদম্বরম

বিশ্ব নেতাদের সবচেয়ে প্রত্যাশিত ভাষণগুলির মধ্যে একটি হল মার্কিন কংগ্রেসে প্রেসিডেন্টের বাৎসরিক ভাষণটি (অ্যানুয়াল স্টেট অফ দি ইউনিয়ন)। কারণ আমেরিকার নীতিগুলির প্রভাব পড়ে অন্যান্য দেশের উপরেও।
বিশদ

23rd  August, 2021
লাদেনের ভূত আমেরিকার পিছু ছাড়বে না
হিমাংশু সিংহ

আমেরিকাকে একটাই প্রশ্ন তালিবানের সৃষ্টি কর্তা কে? অনেকেই বলে থাকেন আমেরিকার মদতে সৃষ্ট তালিবান ২০০১ সালে ফ্র্যাঙ্কেনস্টাইন হয়েই টুইন টাওয়ারে হামলা করে যোগ্য জবাবই দিয়েছিল। পেন্টাগনকে বুঝিয়ে দিয়েছিল আগুন নিয়ে খেলার পরিণাম।
বিশদ

22nd  August, 2021
সোনার খোঁজে ভারতের মঞ্চ নির্ধারণ
অনুরাগ সিং ঠাকুর

আমাদের প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে নীরজ চোপড়াকে চুরমা দেওয়া, পিভি সিন্ধুকে আইসক্রিম খাওয়ানো, বজরং পুনিয়ার সঙ্গে হাসতে দেখা, রবি দাহিয়াকে আরও হাসতে বলা এবং মীরাবাই চানুর অভিজ্ঞতা শোনা প্রত্যেক ভারতীয়ের মুখে হাসি ফুটিয়েছে। টোকিওতে অংশ নেওয়া প্রতিটি ক্রীড়াবিদের সঙ্গে সময় অতিবাহিত করতে গিয়ে তিনি সকলকে সমানভাবে উৎসাহ দিয়েছেন। বিশদ

21st  August, 2021
তালিবানের সাফল্য ও আমেরিকার ভূমিকা
সমৃদ্ধ দত্ত

মাননীয় আমেরিকা, আপনাকে ধন্যবাদ। গত দেড় বছর ধরে করোনার জেরে সবথেকে বেশি ধাক্কা খেয়েছে বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে থাকা ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রি। দর্শক নেই, প্লট নেই, বড় পর্দায় রুদ্ধশ্বাস মুহূর্ত তৈরি করা চিত্রনাট্যও নেই। অবশেষে আবার আপনি অবতীর্ণ হলেন একটা অনবদ্য প্লট ও সিনেমাটোগ্রাফি নিয়ে।
বিশদ

20th  August, 2021
আফগানরাই নিজেদের
রক্ষার জন্য লড়েনি
মৃণালকান্তি দাস

যাদের ঘাড়ে বন্দুক রেখে দেশ শাসন করা হয়েছে, তারাই যখন পালাচ্ছে, তখন তালিবানের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ অর্থহীন— এমনই একটি সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেছিলেন প্রতিরক্ষা বাহিনীর সদস্যরা। তাঁরা বুঝতে পেরেছিলেন, বাঁচতে হলে তালিবানের সঙ্গে হাত মেলানোই শ্রেয়। বিশদ

19th  August, 2021
কোভিডের তৃতীয় ঢেউ সত্যিই
কি ভয়াবহ হতে চলেছে?
মৃন্ময় চন্দ

করোনার তৃতীয় ঢেউ সত্যিই কতটা উদ্বেগ বা আশঙ্কার, সে ব্যাপারে বিজ্ঞানীকুলও দ্বিধাগ্রস্ত। কোভিডের অব্যর্থ লক্ষ্যভেদী কোনও ওষুধ/চিকিৎসার অভাবে মাস্ক-ভ্যাকসিন-শারীরিক দূরত্ববিধির ত্রিশূলেই লুকিয়ে নভেলকরোনা বধের রণকৌশল।
বিশদ

18th  August, 2021
যে টাকা পকেটেই নেই,
সেটা ব্যয় করবেন মোদি!
সন্দীপন বিশ্বাস

লক্ষ লক্ষ কোটি টাকার প্রতিশ্রুতি দিতে এখন আর প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির মুখে আটকায় না। যে দেশে সরকারি কর্মীদের বেতন দিতে সরকারকে জাতীয় সম্পত্তি বেচতে হয়, রেল-স্টেশন-বিমানবন্দর, ছোটবড় কারখানা বেচতে হয়, সেখানে কথায় কথায় কী করে যে তিনি টাকার গপ্পো বলে মানুষকে সম্মোহিত করার ভুলভাল খেলা খেলেন, তা ভাবাই যায় না।
বিশদ

18th  August, 2021
কাবুলের পতন: ভারতের অসহায় বিদেশনীতি
শান্তনু দত্তগুপ্ত

তালিবান ঘুরে দাঁড়ানোর পর এখন শুধু সন্ত্রাসের আঁচ লক্ষ করা যাচ্ছে। অদূর ভবিষ্যৎ আর কী কী সঙ্কট ভারতের জন্য নিয়ে আসবে, তা এখন আন্দাজও করা যাচ্ছে না। ভারত ঘোষিত সন্ত্রাসবাদী বিরোধী। উত্তর এবং পশ্চিমে আমাদের ঘিরে থাকছে এমন তিন শত্রু দেশ, যারা হয় সন্ত্রাসবাদী, না হলে সন্ত্রাসে মদতদাতা। বিশদ

17th  August, 2021
একনজরে
‘লক্ষ্মীর ভাণ্ডার’ প্রকল্পে সুবিধা পাওয়ার জন্য মালদহে তিন লক্ষেরও বেশি আবেদনপত্র জমা পড়েছে। ‘দুয়ারে সরকার’ কর্মসূচির আওতায় প্রথম ন’দিনের শিবিরে ওই আবেদন জমা পড়েছে বলে ...

দেশজুড়ে সরকারি সংস্থা বিক্রির কড়া সমালোচনা চলছে। তবু মোদি সরকার অনড়। সিংহভাগ ক্ষেত্রেই সরকারের উপস্থিতি যে কমিয়ে আনা হবে, সরাসরি একথা জানিয়ে দিয়েছেন অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন। বুধবার তিনি বলেছেন, দুটি ভাগে সরকারি সংস্থাকে বিভাজিত করা হচ্ছে। ...

দুয়ারের সরকারের ক্যাম্পে ছাতা মাথায় দাঁড়িয়ে আছেন মহিলারা। অন্যান্য লাইনে হুড়োহুড়ি থাকলেও শান্ত হয়েই প্রতীক্ষায় মহিলারা। অধিকাংশের মুখেই চওড়া হাসি। কোনও তাড়া নেই তাঁদের। কারণ ...

‘তালিবানের সেবায় পাকিস্তান নিজেকে নিয়োজিত করেছে। তালিবদের কখনই চাপের মুখে পড়তে হয়নি। পাকিস্তানকে ওরা বেস হিসেবে ব্যবহার করেছে। নির্দিষ্ট কোনও এলাকা নয়, গোটা পাকিস্তানই তাদের সাহায্য করতে উঠেপড়ে লেগেছিল।’ ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

হঠাৎ নেওয়া সিদ্ধান্তে বিপদে পড়তে পারেন। চলচিত্র ও যাত্রা শিল্পী, পরিচালকদের শুভ দিন। ধনাগম হবে। ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৭২৩ - অণুবীক্ষণ যন্ত্রের আবিষ্কারক ওলন্দাজ বিজ্ঞানী আন্তেনি ভান লিউভেনহুকের মৃত্যু
১৮৬৯ - রহস্য কাহিনীকার ও সম্পাদক দীনেন্দ্র কুমার রায়ের জন্ম
১৯১০: নোবেল জয়ী সমাজসেবী মাদার টেরিজার জন্ম
১৯২০ - মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে নারীদের ভোটাধিকার স্বীকৃত হয়
১৯২০: অভিনেতা ভানু বন্দ্যোপাধ্যায়ের জন্ম
১৯২৭ - ইন্ডিয়ান ব্রডকাস্টিং কোম্পানি কলকাতায় প্রথম বেতার সম্প্রচার শুরু করে
১৯৩৪: কবি ও গীতিকার অতুলপ্রসাদ সেনের মৃত্যু
১৯৪৩ - আজাদ হিন্দ ফৌজ আনুষ্ঠানিকভাবে গঠিত হয়
১৯৫৫ - সত্যজিত্ রায়ের চলচ্চিত্র ‘পথের পাঁচালী’র মুক্তি লাভ
১৯৫৬: রাজনীতিক মানেকা গান্ধীর জন্ম
১৯৬৮: চিত্র পরিচালক মধুর ভাণ্ডারকরের জন্ম 
২০০৩ - লেখক ও ঔপন্যাসিক বিমল করের মৃত্যু



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৭৩.৩৭ টাকা ৭৫.০৮ টাকা
পাউন্ড ১০০.১১ টাকা ১০৩.৫৭ টাকা
ইউরো ৮৫.৫৯ টাকা ৮৮.৭১ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৪৮, ২০০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৪৫,৭৫০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৪৬, ৪৫০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৬৪, ০০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৬৪, ১০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

৯ ভাদ্র ১৪২৮, বৃহস্পতিবার, ২৬ আগস্ট ২০২১। চতুর্থী ২৯/৪৪ অপরাহ্ন ৫/১৪। রেবতী নক্ষত্র ৪২/৫১ রাত্রি ১০/২৯। সূর্যোদয় ৫/২০/৫২, সূর্যাস্ত ৫/৫৬/১২। অমৃতযোগ রাত্রি ১২/৫৩ গতে ৩/৩ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ দিবা ৭/০ মধ্যে পুনঃ ১০/২৩ গতে ১২/৫৪ মধ্যে। বারবেলা ২/৪৭ গতে অস্তাবধি। কালরাত্রি ১১/৩৮ গতে ১/৪ মধ্যে।
৯ ভাদ্র ১৪২৮, বৃহস্পতিবার, ২৬ আগস্ট ২০২১। চতুর্থী অপরাহ্ন ৫/৩৪। রেবতী নক্ষত্র রাত্রি ১১/৫৫। সূর্যোদয় ৫/২০, সূর্যাস্ত ৬/০। অমৃতযোগ রাত্রি ১২/৪৩ গতে ৩/৪ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ দিবা ৭/৩ মধ্যে ও ১০/১৯ গতে ১২/৪৪ মধ্যে। কালবেলা ২/৫০ গতে ৬/০ মধ্যে। কালরাত্রি ১১/৪০ গতে ১/৫ মধ্যে।
১৭ মহরম।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
তৃতীয় টেস্ট: প্রথম ইনিংসে ইংল্যান্ড ২৯৮/৩ (চা বিরতি) 

08:49:20 PM

কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই ফের কাবুল বিমানবন্দরের বাইরে দ্বিতীয় বিস্ফোরণ

08:44:00 PM

কাবুল বিস্ফোরণে ১৩ জনের মৃত্যু, রয়েছে একাধিক শিশুও 

08:21:08 PM

করোনা: গত ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যে আক্রান্ত ৭১৭, মৃত ৯ 

08:03:25 PM

কাবুল বিমানবন্দরের বাইরে বিস্ফোরণ, হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি 

07:54:59 PM

কমতে পারে কোভিশিল্ড ভ্যাকসিনের দুটি ডোজের ব্যবধান: সূত্র 

06:01:10 PM