Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

আফগানরাই নিজেদের
রক্ষার জন্য লড়েনি
মৃণালকান্তি দাস

চমকে গিয়েছে গোটা দুনিয়া!
চমকে যাওয়ারই তো কথা। ৩ লক্ষ আফগান সেনাবাহিনীর সঙ্গে মাত্র ১০০ দিনের লড়াইয়ে প্রায় বিনা বাধায় তালিবানের কাবুল দখল— এও কি সম্ভব? এই প্রশ্নই তাড়িয়ে বেড়াচ্ছে গোটা বিশ্বকে। চার কোটি মানুষকে ভয়ঙ্কর তালিবানের মুখে ফেলে রেখে পালিয়েছেন প্রেসিডেন্ট আশরাফ ঘানি। অভিযোগ, তালিবান বাহিনীর কাবুল দখল নিশ্চিত হতেই চারটি গাড়ি আর একটি হেলিকপ্টার-ভর্তি প্রচুর নগদ অর্থ নিয়ে দেশ ছেড়েছেন ঘানি। আফগান আমজনতার কাছে আশরাফ ঘানির পরিচয় এখন ভিতু, মিথ্যাবাদী, বিশ্বাসঘাতক...।
তবে তালিবানের এই উত্থান আদৌ বিনা মেঘে বজ্রপাত নয়। গ্রামীণ আফগানিস্তান তালিবানের উত্থান টের পেয়েছিল বহু আগেই। নিখুঁত পরিকল্পনা, সাহসী নেতৃত্ব আর প্রতিপক্ষ শিবিরে ক্রমাগত ভাঙন। এই তিন ‘অস্ত্রে’ ভর করেই মাত্র তিন মাসের মধ্যে রাজধানী কাবুল-সহ প্রায় গোটা দেশ দখল করে নিয়েছে হিবাতুল্লা আখুন্দজাদার তালিবান বাহিনী। চল্লিশের দশকে চীনের গৃহযুদ্ধের সময় যেমন কৌশলে নিয়েছিল চেয়ারম্যান মাওয়ের বাহিনী। 
চলতি বছরের মে মাসের গোড়া থেকে আমেরিকার সেনা আফগানিস্তান ছাড়তে শুরু করেছিল। কিন্তু প্রথমেই বড় শহর বা প্রাদেশিক রাজধানীগুলি দখলের পথে হাঁটেনি হিবাতুল্লা আখুন্দজাদার বাহিনী। বরং ধীরে ধীরে পাকিস্তান ও ইরান সীমান্ত লাগোয়া গ্রামগুলিতে আধিপত্য বাড়াতে শুরু করে তারা। এমনকী, যোগাযোগ তৈরি করে আফগান সেনা অফিসারদের একাংশের সঙ্গেও। জুলাইয়ের মাঝামাঝি থেকে শুরু হওয়া পুরোদস্তুর যুদ্ধে একের পর এক শহর ও সেনাঘাঁটি বিনাযুদ্ধে দখল করেছে তারা। সংখ্যা এবং সমরাস্ত্রের নিরিখে আফগান সেনা এগিয়ে থাকলেও যুদ্ধে তার কোনও প্রতিফলন দেখা যায়নি। বরং অনেক ক্ষেত্রে আফগান সেনার পাশতুন জওয়ানরা সরাসরি হাত মিলিয়েছে তালিবানের সঙ্গে। নেতৃত্বে সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা মোল্লা মহম্মদ ওমরের ছেলে মহম্মদ ইয়াকুব।
অথচ, আমেরিকা এই আফগানিস্তানে তিন লাখ সেনাকে অত্যাধুনিক সামরিক শিক্ষা দিয়েছিল। প্রায় ৮ হাজার ৯০০ কোটি ডলার খরচ করেছিল। ন্যাটোর দেওয়া আরও অতিরিক্ত ৭০ মিলিয়ন ডলার ব্যবহৃত হয়েছিল তাদের আরও চোস্ত-চৌকস করার জন্য। অস্ত্রশস্ত্রেরও কমতি ছিল না। লক্ষ্য ছিল, এমন এক সেনাবাহিনী তৈরি করা, যারা তালিবানের আক্রমণে গর্জে উঠবে। ‘বিনা যুদ্ধে নাহি দিব সূচ্যগ্র মেদিনী’।
আর লড়াইয়ের ময়দানে সেই সামরিক বাহিনীই কোথাও কোনও প্রতিরোধ গড়তে পারেনি। আসলে, তালিবানের বিরুদ্ধে তারা লড়াই চায়নি। নামেওনি। কিন্তু কেন সামরিক বাহিনী কোথাও কোনও প্রতিরোধ গড়েনি? সেটাও তো প্রশ্ন। আসলে, দীর্ঘ দু’দশক ধরে আফগানিস্তানে বিদেশি সেনার উপস্থিতি মেনে নিতে পারেনি দেশের সংখ্যাগুরু পাশতুন জনগোষ্ঠী। উনবিংশ শতকে ব্রিটিশ এবং আশির দশকে সোভিয়েত ইউনিয়নের সেনার বিরুদ্ধে প্রতিরোধেও অগ্রণী ভুমিকায় ছিল এই পাশতুনরাই। এ বার আমেরিকার সেনা প্রত্যাহার শুরু হতেই বিশেষত গ্রামাঞ্চলের পাশতুন গোষ্ঠী সক্রিয় ভাবে তালিবানের পাশে দাঁড়ায়। তাই মূল লড়াইয়ে প্রায় ৭০ হাজার তালিবান অংশ নিলেও দেড় লক্ষেরও বেশি সহযোগী মিলিশিয়া বাহিনীর সক্রিয় সমর্থন পেয়ে যায় তালিবান। যুদ্ধক্ষেত্রে যা নির্ণায়ক হয়েছে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, আফগান মাটি চেনেনই না, আমেরিকা থেকে উড়ে এসে জুড়ে বসা আশরাফ ঘানি নিজেই এই পরাজয়ের অন্যতম কারণ। কারণ, আমেরিকার হাতের পুতুল ঘানি সরকার ‘লেজিটিম্যাসি’ বা বৈধতা হারিয়েছিল। নির্বাচনে কারচুপির মাধ্যমে দ্বিতীয় দফায় ঘানি সরকারের আসা সাধারণ মানুষ ভালোভাবে নেয়নি। আফগানিস্তান এবং মধ্য এশিয়া বিশেষজ্ঞ আহমেদ রশিদের কথায়, ‘‘কখনও কাউকে কাছে আসতেই দেননি গনি। সবসময় একটা দূরত্ব বজায় রেখে চলতেন, সে আফগান নাগরিক হোন বা অত্যন্ত পরিচিত কেউ। অল্পেতে রেগেও যেতেন। অহঙ্কারী হিসেবেই আফগানিস্তানে তাঁর ভাবমূর্তি তৈরি হয়েছে।’’ শুধু তাই নয়, ঘানি সরকারের নির্ভরযোগ্য নীতিনির্ধারকদের সঙ্গেও জনগণের কোনও যোগ ছিল না। তাঁরা ছিলেন এলিট ঘরানার। তাঁরা দারি ও পশতু ভাষায় তেমন দক্ষ ছিলেন না, যতটা দক্ষ ইংরেজিতে। তাঁদের প্রত্যেকের আছে বিদেশি পাসপোর্ট। জনগণ জানত, বিপদে পড়লে নীতিনির্ধারকরা দেশ ছেড়ে পালাবেন। এই বাস্তব পরিস্থিতি সেনাবাহিনী এবং জনগণ উভয় পক্ষেরই অজানা ছিল না। তাই ভয়ঙ্কর আগ্রাসী তালিবানকেই আমজনতার বড় অংশ স্বাগত জানিয়েছে। যুদ্ধে নেমে সেনারা দেখেছে, রাস্তায় আমজনতা তালিবানের সঙ্গে কোলাকুলি করছে। সেনাবাহিনীর মধ্যে প্রশ্ন উঠেছে— আমরা কেন জনগণের বিপক্ষে দাঁড়াব? আমরা তো শাসকের পেটোয়া বাহিনী নই। দেশের সেবক। আমাদের দেশেই থাকতে হবে। বিবিসি আবার মারাত্মক তথ্য জানিয়েছে। তাদের নিজস্ব রিপোর্ট বলছে, রণক্ষেত্রে ৩ লাখ নয়, আফগান সেনা ছিল মেরেকেটে ৫০ হাজার। আফগান বাহিনীর সদস্যসংখ্যা নিয়ে একই কথা বলেছেন মার্কিন বিদেশ সচিব অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেনও।
যে সামাজিক বৈষম্যের কারণে একসময় তালিবানের উত্থান হয়েছিল, ২০ বছরের মার্কিন অধিগ্রহণে তা বিলুপ্ত হয়নি, বরং আরও জেঁকে বসেছে। ক্ষমতার অপব্যবহার ও দুর্নীতি আগের চেয়ে ব্যাপকতর আকার নিয়েছে। মার্কিন সেনা আসার পর শহরে কিছু পরিবর্তন হলেও যে গ্রাম সেই গ্রামই রয়ে গিয়েছে। এসব গ্রাম থেকে তালিবান কখনওই সরে যায়নি। এই গোটা সময়েই তালিবান গ্রামাঞ্চলে একটি বিকল্প প্রশাসন চালিয়ে গিয়েছে। শহরের বাইরে অধিকাংশ আফগানির কাছে কাবুলের মার্কিনসমর্থিত সরকার কখনওই পুরোপুরি বৈধতা পায়নি। দেশের সর্বত্র মার্কিন বাহিনীর উপস্থিতি এই বৈধতা–হীনতাকে আরও জোরদার করেছে। যাদের ঘাড়ে বন্দুক রেখে দেশ শাসন করা হয়েছে, তারাই যখন পালাচ্ছে, তখন তালিবানের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ অর্থহীন— এমনই একটি সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেছিলেন প্রতিরক্ষা বাহিনীর সদস্যরা। তাঁরা বুঝতে পেরেছিলেন, বাঁচতে হলে তালিবানের সঙ্গে হাত মেলানোই শ্রেয়।
শুনলে অবাক হবেন, ঘানি সরকার সেনাবাহিনী নিয়েও দুর্নীতি চালিয়ে গিয়েছে। স্পেশাল ইন্সপেক্টর জেনারেল ফর আফগানিস্তান রিকন্সট্রাকশন (সিজার) ২০১৯ সালে এক প্রতিবেদনে জানায়, আফগান সেনাবাহিনী ভূতুড়ে যোদ্ধায় ভর্তি। এই সেনারা কাগজে-কলমে রয়েছে। এদের নামে মাসে মাসে বেতন-ভাতা তোলা হয়। কিন্তু বাস্তবে এদের কোনও অস্তিত্ব নেই। আফগান সরকারি কর্তারা বিভিন্ন ভুয়ো নাম ব্যবহার করে দিনের পর দিন নিজেরাই বেতন-ভাতা পকেটে পুরেছে। সিজারের তথ্য, ২০১৯ সালে ৫৮ হাজার ৪৭৮ জন সেনার কোনও হিসেবই পাওয়া যায়নি। আর ঘানি সরকারের এসব দুর্নীতির প্রচার করে জনসাধারণকে খেপিয়ে তুলেছিল তালিবান।
কে না জানে, ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনালের দুর্নীতির সূচকে আফগানিস্তানের অবস্থান ১৮০টি দেশের মধ্যে ১৬৫। ২০১৪ সাল নাগাদ আফগানিস্তানের ইউএসএইডে শুল্ক-করবিষয়ক দোভাষীর (ইন্টারপ্রেটর) কাজ করতেন সাইদুর রহমান নামে একজন আফগান। মার্কিন কর্তাদের সঙ্গে স্থানীয় কর্তাদের কথোপকথনে সাহায্য করতেন তিনি। তিন বছর পর আফগানিস্তানের নীতিনির্ধারকরা সেই সাইদুর রহমানকেই রাজস্ব বিভাগের শীর্ষকর্তা বানিয়ে দিয়েছিল। তারপর রাজস্ব বিভাগের শীর্ষকর্তার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল এক চিকিৎসককে। চারজন পরিচালকের মধ্যে তিনজনের রাজস্ব বিষয়ক কোনও অভিজ্ঞতাই ছিল না। ছিল না কোনও নিয়োগনীতি। 
আফগানিস্তান পুরোপুরি আমদানি নির্ভর দেশ। শুল্ক-কর আদায় বেশি হওয়ার কথা। কিন্তু নিয়মনীতির কোনও বালাই নেই। শুল্ক বিভাগ দুর্নীতিতে ডুবে। পণ্যবাহী ট্রাকচালকরা যদি মন্ত্রী অথবা প্রভাবশালীদের পরিচয় দিতেন, তাহলে শুল্ক-কর দিতে হতো না। আফগানিস্তানের শুল্ক-কর অফিসারদের সিংহভাগই দুর্নীতিগ্রস্ত। তাঁদের অনেকেই দুর্নীতির মাধ্যমে বিপুল অর্থের মালিক হয়েছেন। এমন অফিসারও রয়েছেন, সকালের ফ্লাইটে দুবাই যেতেন, বিকেলের ফ্লাইটে চলে আসতেন। রাজস্ব বিভাগে নিয়মকানুনের বালাই ছিল না। সব জায়গায় স্বজনপ্রীতি। ২০২০ সালে মার্কিন কংগ্রেস একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছিল। তাতে বলা হয়েছিল, পরিকাঠামো পুনর্নির্মাণ করতে গিয়ে ২০০৯ থেকে ২০১৯-র মধ্যে প্রায় ২ হাজার কোটি ডলার নষ্ট হয়েছে। সেই অর্থ গোটাটাই ঢুকেছে ধাপ্পাবাজদের ঘরে।
ইউনিসেফ-এর ফিল্ড অপারেশনের দায়িত্বে থাকা মুস্তাফা বেন মেসাউদের কথায়, ‘‘আফগানিস্তানে এমনিতেই পাঁচ বছরের কম বয়সি প্রতি দু’জন শিশুর মধ্যে এক জন অপুষ্টিতে ভোগে। এখন যা পরিস্থিতি, তাতে এক বেলাও মুখে অন্ন উঠছে না কারও। কোভিডে প্রতিদিন ১০০-র বেশি মানুষ মারা যাচ্ছে। কিন্তু ওই শিবিরগুলির দশা বেশ খারাপ। কোভিড বিধির কোনও বালাই নেই।’’
আফগানিস্তানের দুর্নীতিতে বড় অবদান রয়েছে খনিজ ক্ষেত্রের। প্রেসিডেন্ট আশরাফ ঘানির বিরুদ্ধেও এসওএস ইন্টারন্যাশনাল নামে আমেরিকার একটা কোম্পানিকে দুর্নীতির মাধ্যমে কুনার প্রদেশে খনিজ সম্পদে নিয়ন্ত্রণ পাইয়ে দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে। কাবুলের ২৫ মাইল দক্ষিণে লগার প্রদেশে মেস এয়াংক খনিতে রয়েছে বিপুল কপার। ২০১৭ সালে চীনের রাষ্ট্রীয় সংস্থা এমসিসি (মেটালুরজিক্যাল কর্পোরেশন অব চায়না) ৩ বিলিয়ন ডলারের চুক্তিতে সেই খনি লিজ নিয়েছিল। সেই সময় খবর বেরিয়েছিল, খনিজবিষয়ক মন্ত্রী মহম্মদ ইব্রাহিম আদেলকে এই চুক্তি করতে এমসিসি ৩০ মিলিয়ন ডলার কাটমানি দিয়েছিল। যার জন্য ইব্রাহিম আদেল পদচ্যুত হন। আফগানিস্তান জুড়ে এসব খবর ভূরি ভূরি।
ঘানি সরকারের স্বরাষ্ট্র ও বিদেশ বিভাগও অনিয়ন্ত্রিত দুর্নীতিতে ডুবে গিয়েছিল। স্বরাষ্ট্র বিভাগের অদক্ষতা ও দুর্নীতির কারণে সেনা ও পুলিস বাহিনীর কর্মীদের কয়েক মাসের বেতন-ভাতা পরিশোধ করা যায়নি। ফলে রণক্ষেত্রে সেনারা সরকারের পক্ষে দাঁড়ালে ক্ষুব্ধ পুলিস বাহিনীই বিদ্রোহ করত। নিশ্চিত।
বাইডেন ঠিকই বলেছেন, আফগানরাই নিজেদের রক্ষার জন্য লড়েনি...
19th  August, 2021
ড্রাগনের ছায়ায় সঙ্কটে
ভারতের প্রতিবেশী নীতি
মৃণালকান্তি দাস

ভারতের চোখে যে দেশ ছিল প্রকৃত বিশ্বস্ত বন্ধু, তালিবান উত্থানের পর তাও আজ অতীত। আর সব সম্পর্ক ভাঙনে আড়কাঠি হয়ে উঠেছে বেজিং। ড্রাগনের ছায়ায় সঙ্কটে ভারতের প্রতিবেশী নীতি। চীনের নজর এখন— ভারতীয় উপমহাদেশে প্রভাব বিস্তার, সীমা সম্প্রসারণ ও কূটনৈতিক লড়াই। বিশদ

সবচেয়ে ক্ষতি ভারতের ধর্মনিরপেক্ষতার
হারাধন চৌধুরী

ভারতের নিকটতম প্রতিবেশী নয় আফগানিস্তান। ইরান, তাজিকিস্তান, উজবেকিস্তান, তুর্কমেনিস্তান, পাকিস্তান ও চীনের মাঝে পাহাড়, মরুভূমি ও স্থল বেষ্টিত একটি দেশ আফগানিস্তান। তবু কাবুলের পতনে চিন্তার ভাঁজ মূলত ভারতেরই কপালে।
বিশদ

25th  August, 2021
ভয় যে আপনার রিমোট কন্ট্রোলেই

বাংলায় একটা প্রবাদ আছে, শূন্য কলসি বাজে বেশি। বিজেপি জানে, যেখানে কাজ মগজাস্ত্রের, সেখানে দাদামশাইকে অবসর দিলে ভালো হয়। কিন্তু তা তো করা যাবে না! তাহলে উপায় কী? কেন, প্রোপাগান্ডা! মোদি থাকতে ভয় কী? বাজারে ইতিমধ্যেই আলোচনা শুরু হয়ে গিয়েছে... বিজেপি এটাকেই এবার কাজে লাগাবে। একটা যুদ্ধ যুদ্ধ ভাব। কিন্তু যুদ্ধ নয়।
বিশদ

24th  August, 2021
পাকিস্তানের তালিবান মদত ব্যুমেরাং হবে
কুমারেশ চক্রবর্তী

১৫ আগস্ট ২০২১, কাবুলের সঙ্গে সঙ্গে ইসলামাবাদ এবং লাহোরে পালিত হল তালিবান বিজয়োৎসব। পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান বললেন, ‘দু’দশক পরে আফগানরা দেশকে বিদেশিমুক্ত করল।’ 
বিশদ

23rd  August, 2021
তাৎপর্য হারিয়েছে স্বাধীনতা দিবসের ভাষণ
পি চিদম্বরম

বিশ্ব নেতাদের সবচেয়ে প্রত্যাশিত ভাষণগুলির মধ্যে একটি হল মার্কিন কংগ্রেসে প্রেসিডেন্টের বাৎসরিক ভাষণটি (অ্যানুয়াল স্টেট অফ দি ইউনিয়ন)। কারণ আমেরিকার নীতিগুলির প্রভাব পড়ে অন্যান্য দেশের উপরেও।
বিশদ

23rd  August, 2021
লাদেনের ভূত আমেরিকার পিছু ছাড়বে না
হিমাংশু সিংহ

আমেরিকাকে একটাই প্রশ্ন তালিবানের সৃষ্টি কর্তা কে? অনেকেই বলে থাকেন আমেরিকার মদতে সৃষ্ট তালিবান ২০০১ সালে ফ্র্যাঙ্কেনস্টাইন হয়েই টুইন টাওয়ারে হামলা করে যোগ্য জবাবই দিয়েছিল। পেন্টাগনকে বুঝিয়ে দিয়েছিল আগুন নিয়ে খেলার পরিণাম।
বিশদ

22nd  August, 2021
ক্ষমতার বিকেন্দ্রীকরণ:
মমতার সাহসী পদক্ষেপ
তন্ময় মল্লিক

সিপিএম ৩৪ বছরে যা করতে পারেনি, তৃণমূলনেত্রী ক্ষমতা দখলের ১০ বছরের মাথায় সেটাই করে দেখালেন। ‘এক ব্যক্তি এক পদ’ নীতি কার্যকর করার জন্য তাঁর ‘টাইমিং’ অসাধারণ। একদিকে নির্বাচনে বিপুল সাফল্য, অন্যদিকে বিরোধীদের ছন্নছাড়া অবস্থা। বিশদ

21st  August, 2021
সোনার খোঁজে ভারতের মঞ্চ নির্ধারণ
অনুরাগ সিং ঠাকুর

আমাদের প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে নীরজ চোপড়াকে চুরমা দেওয়া, পিভি সিন্ধুকে আইসক্রিম খাওয়ানো, বজরং পুনিয়ার সঙ্গে হাসতে দেখা, রবি দাহিয়াকে আরও হাসতে বলা এবং মীরাবাই চানুর অভিজ্ঞতা শোনা প্রত্যেক ভারতীয়ের মুখে হাসি ফুটিয়েছে। টোকিওতে অংশ নেওয়া প্রতিটি ক্রীড়াবিদের সঙ্গে সময় অতিবাহিত করতে গিয়ে তিনি সকলকে সমানভাবে উৎসাহ দিয়েছেন। বিশদ

21st  August, 2021
তালিবানের সাফল্য ও আমেরিকার ভূমিকা
সমৃদ্ধ দত্ত

মাননীয় আমেরিকা, আপনাকে ধন্যবাদ। গত দেড় বছর ধরে করোনার জেরে সবথেকে বেশি ধাক্কা খেয়েছে বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে থাকা ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রি। দর্শক নেই, প্লট নেই, বড় পর্দায় রুদ্ধশ্বাস মুহূর্ত তৈরি করা চিত্রনাট্যও নেই। অবশেষে আবার আপনি অবতীর্ণ হলেন একটা অনবদ্য প্লট ও সিনেমাটোগ্রাফি নিয়ে।
বিশদ

20th  August, 2021
কোভিডের তৃতীয় ঢেউ সত্যিই
কি ভয়াবহ হতে চলেছে?
মৃন্ময় চন্দ

করোনার তৃতীয় ঢেউ সত্যিই কতটা উদ্বেগ বা আশঙ্কার, সে ব্যাপারে বিজ্ঞানীকুলও দ্বিধাগ্রস্ত। কোভিডের অব্যর্থ লক্ষ্যভেদী কোনও ওষুধ/চিকিৎসার অভাবে মাস্ক-ভ্যাকসিন-শারীরিক দূরত্ববিধির ত্রিশূলেই লুকিয়ে নভেলকরোনা বধের রণকৌশল।
বিশদ

18th  August, 2021
যে টাকা পকেটেই নেই,
সেটা ব্যয় করবেন মোদি!
সন্দীপন বিশ্বাস

লক্ষ লক্ষ কোটি টাকার প্রতিশ্রুতি দিতে এখন আর প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির মুখে আটকায় না। যে দেশে সরকারি কর্মীদের বেতন দিতে সরকারকে জাতীয় সম্পত্তি বেচতে হয়, রেল-স্টেশন-বিমানবন্দর, ছোটবড় কারখানা বেচতে হয়, সেখানে কথায় কথায় কী করে যে তিনি টাকার গপ্পো বলে মানুষকে সম্মোহিত করার ভুলভাল খেলা খেলেন, তা ভাবাই যায় না।
বিশদ

18th  August, 2021
কাবুলের পতন: ভারতের অসহায় বিদেশনীতি
শান্তনু দত্তগুপ্ত

তালিবান ঘুরে দাঁড়ানোর পর এখন শুধু সন্ত্রাসের আঁচ লক্ষ করা যাচ্ছে। অদূর ভবিষ্যৎ আর কী কী সঙ্কট ভারতের জন্য নিয়ে আসবে, তা এখন আন্দাজও করা যাচ্ছে না। ভারত ঘোষিত সন্ত্রাসবাদী বিরোধী। উত্তর এবং পশ্চিমে আমাদের ঘিরে থাকছে এমন তিন শত্রু দেশ, যারা হয় সন্ত্রাসবাদী, না হলে সন্ত্রাসে মদতদাতা। বিশদ

17th  August, 2021
একনজরে
‘লক্ষ্মীর ভাণ্ডার’ প্রকল্পে সুবিধা পাওয়ার জন্য মালদহে তিন লক্ষেরও বেশি আবেদনপত্র জমা পড়েছে। ‘দুয়ারে সরকার’ কর্মসূচির আওতায় প্রথম ন’দিনের শিবিরে ওই আবেদন জমা পড়েছে বলে ...

‘তালিবানের সেবায় পাকিস্তান নিজেকে নিয়োজিত করেছে। তালিবদের কখনই চাপের মুখে পড়তে হয়নি। পাকিস্তানকে ওরা বেস হিসেবে ব্যবহার করেছে। নির্দিষ্ট কোনও এলাকা নয়, গোটা পাকিস্তানই তাদের সাহায্য করতে উঠেপড়ে লেগেছিল।’ ...

একই বিষয় নিয়ে দুটি মামলা। প্রথমটির উল্লেখ না করেই দ্বিতীয়টি দায়ের করা হয়েছে। এমন অভিযোগে বাঁকুড়ার মেজিয়া এলাকা থেকে বেআইনি কয়লা তোলার দ্বিতীয় মামলাটি বুধবার খারিজ করলেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি দেবাংশু বসাক। ...

দেশজুড়ে সরকারি সংস্থা বিক্রির কড়া সমালোচনা চলছে। তবু মোদি সরকার অনড়। সিংহভাগ ক্ষেত্রেই সরকারের উপস্থিতি যে কমিয়ে আনা হবে, সরাসরি একথা জানিয়ে দিয়েছেন অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন। বুধবার তিনি বলেছেন, দুটি ভাগে সরকারি সংস্থাকে বিভাজিত করা হচ্ছে। ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

হঠাৎ নেওয়া সিদ্ধান্তে বিপদে পড়তে পারেন। চলচিত্র ও যাত্রা শিল্পী, পরিচালকদের শুভ দিন। ধনাগম হবে। ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৭২৩ - অণুবীক্ষণ যন্ত্রের আবিষ্কারক ওলন্দাজ বিজ্ঞানী আন্তেনি ভান লিউভেনহুকের মৃত্যু
১৮৬৯ - রহস্য কাহিনীকার ও সম্পাদক দীনেন্দ্র কুমার রায়ের জন্ম
১৯১০: নোবেল জয়ী সমাজসেবী মাদার টেরিজার জন্ম
১৯২০ - মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে নারীদের ভোটাধিকার স্বীকৃত হয়
১৯২০: অভিনেতা ভানু বন্দ্যোপাধ্যায়ের জন্ম
১৯২৭ - ইন্ডিয়ান ব্রডকাস্টিং কোম্পানি কলকাতায় প্রথম বেতার সম্প্রচার শুরু করে
১৯৩৪: কবি ও গীতিকার অতুলপ্রসাদ সেনের মৃত্যু
১৯৪৩ - আজাদ হিন্দ ফৌজ আনুষ্ঠানিকভাবে গঠিত হয়
১৯৫৫ - সত্যজিত্ রায়ের চলচ্চিত্র ‘পথের পাঁচালী’র মুক্তি লাভ
১৯৫৬: রাজনীতিক মানেকা গান্ধীর জন্ম
১৯৬৮: চিত্র পরিচালক মধুর ভাণ্ডারকরের জন্ম 
২০০৩ - লেখক ও ঔপন্যাসিক বিমল করের মৃত্যু



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৭৩.৩৭ টাকা ৭৫.০৮ টাকা
পাউন্ড ১০০.১১ টাকা ১০৩.৫৭ টাকা
ইউরো ৮৫.৫৯ টাকা ৮৮.৭১ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৪৮, ২০০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৪৫,৭৫০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৪৬, ৪৫০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৬৪, ০০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৬৪, ১০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

৯ ভাদ্র ১৪২৮, বৃহস্পতিবার, ২৬ আগস্ট ২০২১। চতুর্থী ২৯/৪৪ অপরাহ্ন ৫/১৪। রেবতী নক্ষত্র ৪২/৫১ রাত্রি ১০/২৯। সূর্যোদয় ৫/২০/৫২, সূর্যাস্ত ৫/৫৬/১২। অমৃতযোগ রাত্রি ১২/৫৩ গতে ৩/৩ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ দিবা ৭/০ মধ্যে পুনঃ ১০/২৩ গতে ১২/৫৪ মধ্যে। বারবেলা ২/৪৭ গতে অস্তাবধি। কালরাত্রি ১১/৩৮ গতে ১/৪ মধ্যে।
৯ ভাদ্র ১৪২৮, বৃহস্পতিবার, ২৬ আগস্ট ২০২১। চতুর্থী অপরাহ্ন ৫/৩৪। রেবতী নক্ষত্র রাত্রি ১১/৫৫। সূর্যোদয় ৫/২০, সূর্যাস্ত ৬/০। অমৃতযোগ রাত্রি ১২/৪৩ গতে ৩/৪ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ দিবা ৭/৩ মধ্যে ও ১০/১৯ গতে ১২/৪৪ মধ্যে। কালবেলা ২/৫০ গতে ৬/০ মধ্যে। কালরাত্রি ১১/৪০ গতে ১/৫ মধ্যে।
১৭ মহরম।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
তৃতীয় টেস্ট: প্রথম ইনিংসে ইংল্যান্ড ২৯৮/৩ (চা বিরতি) 

08:49:20 PM

কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই ফের কাবুল বিমানবন্দরের বাইরে দ্বিতীয় বিস্ফোরণ

08:44:00 PM

কাবুল বিস্ফোরণে ১৩ জনের মৃত্যু, রয়েছে একাধিক শিশুও 

08:21:08 PM

করোনা: গত ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যে আক্রান্ত ৭১৭, মৃত ৯ 

08:03:25 PM

কাবুল বিমানবন্দরের বাইরে বিস্ফোরণ, হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি 

07:54:59 PM

কমতে পারে কোভিশিল্ড ভ্যাকসিনের দুটি ডোজের ব্যবধান: সূত্র 

06:01:10 PM